পাহাড়ের শৈত সলিল

শীত (জানুয়ারী ২০২০)

Abdul Hannan
  • 0
  • ১৪০
আমাজনের জংগলের মত দূর দৃশ্যপট,হাটতে গিয়ে অনেক পুরোনো ছোটো ছোটো গাছের মুতা গুলোর সাথে খালি ওছোড় লাগে,কনকনে শীতে জানটা বের হবার মত আর লতাপাতায় আটকে শিশির ভেজা পাহাড়ী পথে পা পিছলে যে কতবার পড়লাম। ছোট বেলায় মামুর সাথে এখানে এসেছিলাম তবে এত ভিতরে ঢুকিনি।ওছোড় খাওয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা আমার আছে এই জন্য আমি আগেই বলেছিলাম শীতকাল জঙ্গল জুতা সাথে নেবার জন্য।যে উদ্দেশ্যে সামনে যাচ্ছি তাতো অস্পষ্ট,ঐ সুরটাতো আর শোনা যাচ্ছেনা তবে কেন আমরা ওছোড় মোছোড় খেয়ে সামনের দিকে এগুচ্ছি? যত কান্ড সব হিরককে ঘিরে।আমরা অনার্স শেষ করে সবে মাত্র মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছি,সামনে সময় খুব কম পড়াশুনার চাঁপে বেড়ানোর আর সুযোগ হবেনা।সবাই মিলে পরামর্শ করছিলাম কোথায় যাওয়া যায়? কেউ কুয়াকাটা,কেউ কক্সবাজার,কেউ পতেঙ্গা,কেউ জাফলং
কোন সিদ্ধান্ত নির্ধারণ হলোনা কোথায় যাবো।শীতের রাতে বন্ধুরা মিলে টিভি শো দেখছিলাম,পার্বত্য উপজাতীয়দের বাংলা গানের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নুতন শিল্পি কল্পনাকে দেখেই হঠাৎ হিরকের চীৎকার হাতে তালি আমরা সবাই বেকুব বনে গেলাম কিরে? এটা কি হলো? হিরকও থুথু মুথু খেয়ে সরি।কিন্ত রহস্যতো রয়ে যাচ্ছে,হিরোককে বললাম দোস্ত ঘটনা কি? বলো তোমার চীৎকারের রহস্য।আচ্ছা দাঁড়া, আগে গানটা শুনি,অসাধারন গান গাইল কল্পনা।হিরক সহ আমরা সবাই মুগ্ধ গান শুনে,উপজাতি হলেও মেয়েটা দেখতে সুন্দরী বাঙ্গালীর মত মায়াবিনী। হিরক ওদের বাড়িতেই থাকতো,একসাথে এতদিন থাকলাম কোনদিন জানলামনা হিরক উপজাতি। হিরক একটু রেগে বললো আরে আমিতো উপজাতি না, আমি ওদের আশ্রিত ছিলাম।আমরা খাগড়াছড়ি হতে রাঙ্গামাটি আসার পথে শান্তি বাহিনী আমাদের গাড়ীর উপর হামলা করে। আমার পিতামাতাকে হত্যা করে।পরে আমি ওদের ওখানেই মানুষ হই। ও আর আমি একসাথেই থাকতাম, ওরা খুব গরীব মানুষ ওর বাবাটা মারা যাবার পর ওরা অসহায় হয়ে পড়ে, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি দিনমজুর করতাম। আমি ছোট বলে অনেকেই কাজে নিতে চাইতনা। ওর মা একদিন বললো, বাবা আমাদের অভাবের সংসার তুমি না হয় শহরে চলে যাও গিয়ে লেখাপড়া করো। ও আমাকে অনেক ভালোবাসতো।জে এসসি পরিক্ষার পর ওখান থেকে চলে এসছি, প্রথম প্রথম খোজ খবর নিলেও পরে আর ওদের খোজ নেয়া হয়নি। যতদুর জানতাম কল্পনা তখন পঞ্চম শ্রেনীতে পড়তো,ও তখনই ভালো গান গাইতে পারতো।ওদের বাড়ি রাংগামটির নানীয়ারচরের জৈব মহাজন পাড়াই,আমি ওদের বাড়ী বেড়াতে যাবো ,তোরা আমাকে নিয়ে চল।আমরা ওর আবেগঘন কথা গুলো মনোযোগ সহকারে শুনছিলাম আর নানীয়ার চরের অবস্থা ভাবছিলাম। নানীয়ার চরের যে পরিস্থিতি তাতে ওখানে বেড়াতে যাওয়া অনেক কঠিন।আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রমে পরিস্থিতি বেশি ভালো না। ওর গায়ে হাত বুলিয়ে শান্তনা দিয়ে বললাম, আমার এক বন্ধু ওখানে চাকুরী করে,নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে,ক্যাপ্টেন কামরান,দেখি ওখানে বেড়াতে যাবার ব্যাপারে আমাদের সাহায্য সহযোগীতা করতে পারবে কিনা?অবশেষ কথা বলে জানতে পারলাম নিরাপত্তার ব্যপারে ওর ও অনেক সীমাবদ্ধাতা আছে,জুনিয়র অফিসারতো,ওর সিওর অনুমতি ছাড়া ও তো কিছু করতে পারবেনা।তারপরেও সে বলেছে তোরা আই যতটুকু পারি হেল্প করবো।তো ঠিক আছে পাহাড়ে চলাচলে জন্য আনুসঙ্গিক জিনিষপত্র নিয়ে আমরা প্রস্তুত হই কল্পনার খোজে।পাহাড়ে হাটতে হলে জংগল সু লাগে কিন্ত কেউতো নিইনি,এটা মনে হয় ভূল হলো,অন্যরা হেসে বললো ব্যাটা এই বয়সে জংগল সু দিয়ে কি করবি? এই বয়সে খালী পায়ে হিমালয় জয় না করতে পারলে কল্পনাকে আবিস্কার করবি কেমনে? যাক শেষমেষ রওয়ানা দিলাম।রাংগামাটি পর্যন্ত ভালই গেলাম,কামরানের সাথে যোগাযোগ করছিলাম,ও বললো রাতে হোটেলে তোরা থাক,আগামীকাল সকালে বেবীতে নানীয়ারচর আসবি।সবাই শীতের জন্য কাঁপড় নিয়েছি কিন্ত পাহাড়ী এলাকায় এত শীত বুঝতে পারিনি। সকালে বেবীতে পাঁচ বন্ধু মিলে বগাছড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম,শীতের বাতাসে অবস্থা কুকড়ানো মুরগীর মত হয়ে গেলাম।যাক কোন মতে মোড়ে হাজির হলাম,কামরান ততক্ষনে ওর দলবল নিয়ে হাজির।ওখানে আর্মিদের পেট্রোল সহযোগীতা ছাড়া যাওয়া সম্ভব না।ইউপি ডি এফ নামের সন্ত্রাসীরা বাংগালীদের দেখলেই অপহরন করে মুক্তিপন দাবী করে।কামরানের কথা শুনে মনের মধ্যে ভয়ে মোচড় দিয়ে উঠলো।হিরকরে বললাম কিরে আগেতো বলিসনাই এ রকম ঘটনা।যাক কামরানের বাহিনীর সাথে হাটা শুরু করলাম জৈব মহাজন পাড়ার উদ্দেশ্য।মেইন রোড হতে পাহাড়ের ঝিরি পার হয়ে প্রবেশ করলাম জংগলের রাস্তায়।কামরান বললো তোরাতো চামড়ার জুতা পরে পাহাড়ে হাটতে পারবিনা,ঠিক আছে চল,একদিনতো একটু কষ্ট কর।বন জংগল,উচু নীচু পাহাড় দেখে মনটা জুড়িয়ে গেল।প্রথম প্রথম হাটতেও ভালো লাগছিলো, শীত লাগা বন্ধ হলো, মাঝে মাঝে পা পিছলানো আর পড়ে যাবার দৃশ্য দেখে সৈনিকরা হাসছিলো।দেড় ঘন্টা হাটার পর আমরা সবাই ক্লান্ত হয়ে গেলাম,শীতের দিনে গা ঘামা শুরু হয়ে গেল কিন্ত সৈনিকদের গা ঘামেনী,একজন সৈনিক বললো আরে হাটার জন্য কেবল ফিট হলাম।দূরে কালা পাহাড় দেখা যাচ্ছিলো,ওর পাশেই জৈব মহাজন পাড়া।কামরান পাহাড়ের উপর থেকে পাড়াটি দেখিয়ে দিলো।আরো কমপক্ষে এক ঘন্টার রাস্তা,পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল ফোনটা বের করলাম বাড়ীতে কথা বলার জন্য।দুদিন হলো বাড়িতে কথা বলা হয়নি।মোবাইল খুলতেই নো সার্ভিস,কোন নেট ওয়ার্ক নেই।কামরান হেসে বললো বন্ধুরা এখানে নেট পাওয়া যায়না।আমরা পি আরসি সেটে যোগাযোগ করি।মনটা অনেক খারাপ হয়ে আসলো,কিছুতো করার নেই।পাহাড়ের উপর কিছু সময় বিশ্রাম করে আবার রওয়ানা দিলাম,কিছুদূর যেতেই পাহাড়ী থুরুং মাথায় কিছু মেয়ে ছেলে দল বেঁধে কোথায় যেন যাচ্ছে।আর্মিদের সাথে আমাদের দেখে কি যেন ঘোত ঘোত করে বলছে,শুধু এতটুকু বুঝলাম মোগদা বংগাল কথাটি,পরে জানলাম এটা ওদের একটা উস্কানি মুলক কথা।বাংগালীদের দেখলেই ওরা এ রকম গালী দেই।কিছুদুর হাটতেই সুন্দর এক পাহাড়ী ঝর্নাধারা কুল কুল করে বয়ে চলেছে,পানিগুলো কি ফটিক,দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যায়।মনে হয় যেন ডেমাসকাস শহরের সেই পানি।শীতের সময় হাটতে হাটতে পানি পিপাসা লেগে গেছে, হাত এ্যজল্যো করে পানি পান করছিলাম হঠাৎ পিছন থেকে ধপাস করে কি যেন পড়তেই চ্যুমকে উঠলাম,গেল পানি পানের মজা।পিছু ফিরে দেখি সংগ্রাম পা পিছলে পাথরের উপর পড়ে গেছে,মাজাই পায়ে বেশ ব্যাথাও পেয়েছে,কদিন আগে বেচারা মোটর বাইক দুর্ঘটনায় হাটু ছুলেছিলো আজ আবার ব্যথা পেলো। শীতে একেবারে হাটুর চামটা উঠে গেছে। ধরাধরি করে উপরে নিয়ে গেলাম,কামরানের সাথে ফাষ্ট এইড ছিলো উনি ব্যাথা নাশক ইনজেকশন দিলেন। আরো প্রায় আধা ঘন্টার রাস্তা,লাঞ্চের সময় হয়ে এসছে।কামরান ওর সৈন্যদের পাহাড়ের উপর মোতায়েন করলো আর আদেশ দিয়ে দিল এম আর ই পাকানোর জন্য।এম আর ই হলো গোশত সিদ্ধ করে শুকিয়ে রাখা।ওটা আর চাল, ডাল একত্রে মিশিয়ে রান্না।ক্ষুধায় ভালো লাগলো,তবে সৈনিক ভাইদের একটু কম পড়লো। আবার রওয়ানা দিলাম সংগ্রাম রাগে ফুলছে আর ফিস ফিস করে হিরককে গালি দিচ্ছে। আমি বললাম দোস্ত একটু ধৈর্য্য ধর ঐ তো সামনেই কল্পনাদের গ্রাম।পাহাড় বেয়ে নীচে নামতেই কিছু ঘর দেখা গেলো,আর্মি দেখে এলাকার কার্বারী ক্ষেপনচন্দ্র বাতের রুগী সব সময় ‍আর্মির দারু বাবুকে খোজে খুড়াতে খুড়াতে কোন মতে আসলো,কামরান সহ আমাদের সবাইকে আদাব জানালো।কার্বারী হিরককে দেখেই চিনে ফেললো,জিজ্ঞেস করলো তুমি এখানে?জি কাকা অনেকদিন পর আসলাম।কামরান কারবারিকে বললো একে কিভাবে চিনেন? কারবারি বললো এতো এ পাড়াতেই থাকতো ওর অনেক ইতিহাস। কল্পনার খবর কি জানো? ও ঢাকা গিয়েছিলো গান করতে,ওখান থেকে আসার পর ওকে আর পাওয়া যাচ্ছেনা।যতদূর সম্ভব ইউপি ডি এফ ধরে নিয়ে গেছে।ইউপি ডিএফ নাকি ওকে গান করতে যেতে নিষেধ করেছিলো।আমার ধারনা ওকে কালা পাহাড়ে ধরে নিয়ে গেছে।কামরানের নিকট জরুরী একটা বার্তা আসলো ওর সদর দপ্তর হতে,ওয়ারলেস সেটের ভাষা আমরাও বুঝতে পারছিলাম।ওকে দ্রুত ফিরে যেতে হবে,ও আমাদেরকে কার্বারীর কাছে বুঝিয়ে দিয়ে বললো আমি আবার ব্যাক করবো,ততক্ষন এদের আপনার এখানে রাখবেন,যেন কোন সমস্যা না হয়।সংগ্রামের অবস্থা খারাপ ওকে বিশ্রামে ব্যবস্থা করতে বললাম।কার্বারীর বাড়ীর পাশেই ছিলো ঝর্না তবে অনেক নীচে গোসল করে উপরে আসতে আসতে কাঁপড় শুকিয়ে গেলো।ফ্রেস হয়ে যুক্তি করলাম কালা পাহাড়ে যাবো। ঘড়িতে চারটা বাজলেও কালা পাহাড়ের পাদদেশে মনে হয় যেন সন্ধা ঘনিয়ে এসছে।কার্বারীকে কিছু না বলেই সংগ্রামকে বললাম তুই বিশ্রাম কর আমরা একটু আসছি।কৌতুহলী মন কল্পনাকে খুজতে বের হলাম চার বন্ধু।জীবনের নিরাপত্তার কথা একবারো কেনো কারো মনে আসলোনা জানিনা।বেশ অনেক উচুতে উঠে পড়েছি,কিছু দূর যাবার পর কল্পনার ঐ গানের সুর আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম।একজন আরেক জনকে বলছিলাম ঐতো কল্পনার কন্ঠ,যে দিক হতে শব্দ ভেসে আসছিলো ঐ দিকে দ্রুত হাটা শুরু করলাম,সন্ধা ঘনিয়ে এসছে হাটতে গিয়ে খালী ওছোড় খাচ্ছিলাম তখন মনে পড়ছিলো জংগল জুতার কথা। হঠাৎ গানের শব্দ বন্ধ হয়ে গেল’ আমরা হাটছিতো হাটছিই,কিরে আন্দাজে আমরা কোথায় যাচ্ছি?আচমকা জংগল থেকে দশ বারো জন স্বশস্ত্র লোক আমাদের ঘিরে ফেলে বললো থাম হাত উপর ’আমরা হাত উপর করলাম।পাশে থেকে দুজন ব্যক্তি রাবারের বেত দিয়ে আমাদের পিটানো শুরু করলো আর বলতে লাগলো কল্পনাকে নিতে এসছিস?কেউ বলে গুলি কর কেউ বলে না ওদের দিয়ে মুক্তিপন আদায় করতে হবে।আমাদের পিঠ মোড়া করে বেঁধে ওদের আস্তানায় নিয়ে গেলো।আমরা সবাই কম বেশি রক্তাক্ত,মানুষ এতো হিংস্র হতে পারে কল্পনাও করিনি।কল্পনাকে আমাদের সামনে নিয়ে আসলো, কল্পনা লিডারকে বললো গার্ড পার্টি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে,লিডার রেগে গিয়ে গার্ডদের পিটানো শুরু করলো। কল্পনা হিরককে দেখে চিনে ফেলে মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ ইশারা করলো।ওদেরকে একটা ছোট ঘরে রেখে তালা দেয়া হলো।ইউপিডিএফ পার্টি বাংলা মদ খেতে বেশি ভালোবাসে,ওদের খুশির কোন সংবাদ হলেই ওরা অনুষ্ঠান করে বাংলা মদ খাবে।চতুর্দিকে প্রহরী রেখে লিডাররা বাংলা মদ খাওয়া শুরু,পরিবেশনটা কল্পনার দ্বারাই হচ্ছে।মদ খেয়ে সবাই অচেতন,কল্পনা রুমের প্রহরীদের কাছে গিয়ে কৌশলে মদ খাইয়ে দিল এবং ওদের সবার হাতের বাঁধন খুলে পালানো শুরু করলো।কিছুদূর যেতেই দূরের প্রহরী গুলো টের পেয়ে পিছু ধাওয়া এবং ফায়ার শুরু করলো।ওদিকে ক্যাপ্টেন কামরান তার দলবল নিয়ে কারবারীর বাড়ি এসে সংগ্রামের কাছে জানতে পারলো ওরা চারজন কল্পনার খোজে কালা পাহাড়ে গেছে।কামরান বললো কি সর্বনাশ কারবারী আপনি ওদের ছাড়লেন কেন?আমরাইতো কালা পাহাড়ে যেতে ভয় পায়।কামরান সৈন্য নিয়ে কালা পাহাড় অভিযান শুরু করলো,কিছু দুর যেতেই গুলির আওয়াজ।রাতে কঠিন কুয়াশা দুই হাত সামনে কিছুই দেখা যায়না।হিরক কল্পনার হাত ধরে সামনে আর আমরা পিছে,হঠাৎ সামনে কল্পনা মা বলে চীৎকারের শব্দ,কিরে এখনতো কোন গুলির শব্দ নেই কি হলো? সামনের দিকে হাটা শুরু করলাম কিছু দেখতে পারছিনা আবার ভয়ে ডাকতেও পারছিনা।অনেক খুজাখুজির পর ঝর্নার কিনারে কল্পনাকে কোলে নিয়ে বসে আছে হিরক,হিরকের জ্যাকেটটা কল্পনার গায়ে,অচেতন অবস্থায় কল্পনা।পাল্স ক্ষীন হয়ে এসছে, জানা গেলো কল্পনা ঝর্নাতে পড়ে ভিজে গিয়েছিলো।হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে।পরনে তখনো ভিজা পাজামা,হিরককে বললাম তোর পরনে কি হাফ প্যান্ট আছে?তাহলে তোর শুকনা প্যান্টটা পরানোর ব্যবস্থা কর।সাথে সাথে কামরানের বাহিনীও হাজির,ওরা ওখান হতে দ্রুত আমাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসলো এবং কল্পনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।ওর সুস্থ হতে বেশ কদিন সময় লাগলো,পরে আমরা কল্পনাকে নিয়ে রওয়ানা দিলাম গল্পের পরবর্তী ধাপে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী অনন্য লিখনী।
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০২০

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

শীতের গল্পের সাথে অত্র গল্পের সামঞ্জস্যতা নিয়েই লেখা।

২৯ জুন - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ১০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "পদত্যাগ”
কবিতার বিষয় "পদত্যাগ”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুন,২০২৫