লাল শাড়ী পরে জুমি কংকন হস্তে, দাড়িয়ে দখিনা জানালায়, মনে বইছিলো প্রবল ঝড়,বধু আছে যানি কার অপেক্ষায়। চতুরদিকে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছিল প্রতিরোধ, অমর ও গিয়েছিল রনাঙ্গনে, নিতে বাঙ্গালী নিধনের প্রতিশোধ। চলছিল চৈত্রের ক্ষরাদগ্ধ মাস,পাগলা ঝড়ের আশু হাতছানি, আঁখি জল ছল চৌকাঠ ধরে দাঁড়িয়ে আমি হয়ে অভিমানী। পতিক্ষায় থাকতাম পূর্ব দিগন্তে কখন উঠবে রক্তিম সূর্য্য? স্বাধীনতার জন্য লুটিয়ে দিচ্ছে জীবনের সব সূর্য বীর্য। কখন স্বাধীন হবে মা মাটি মাতৃভূমির মজলুম মানুষ? কখন ফিরিয়া মায়ের সন্তানেরা এসে ফিরাবে মায়ের হুশ? কেন যে মনে মোচড় দিলো আজ কিছুই ভাল লাগে না, কেন চোখে এত অশ্রু আসছে কিছুইতো বুঝতে পারছিনা।
বেলুনিয়া বাজের অভিযান শেষেই লিখেছিলো সে আসবে, পহেলা বৈশাখে আলপনা এঁকে রঙিন সাজে সাজবে কৈ আজতো বৈশাখীর পড়ন্ত বিকেল এখোনতো আসলনা, চৌকাঠ ধরে টানা নিঃশ্বাসে ভাবছিলাম ও আর আসবেনা। সহসা চেঁচামিচির শব্দ ভেসে আসলো কারা করে হাহুতাশ? আমি কি জানতাম আমার জীবনে আসবে আজ সর্বনাশ। বুকে গুলিবিদ্ধ রক্ত ভেজা পোশাকে অমরকে নিয়ে সাথী, চীর দিনের জন্য নিভে গেল আমার মিলন মেলার বাতি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
স্বামী নব বুকে রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে গেছে।আসবো আসবো বলে যুদ্ধ দামামা ঘনিভুত হবার জন্য আসতে পারেনি,পত্র দিয়ে মিলনের নানান কথা জানিয়ে ছিল পহেলা বৈশাখে তাদের মিলন হবে আসলো ঠিকই কিন্ত মিলন হলো রক্তাক্ত মিলন।
২৯ জুন - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
১০ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।