(১)
গোলাপবাগ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের ইংরেজি শিক্ষক আনোয়ার সাহেব। রোজ সকালে তিনি আর মিজান সাহেব একসাথে হাঁটতে বের হন। দুজনেরই ডায়াবেটিস হয়েছে। ডাক্তার সাহেবের পরামর্শে সকালবেলা দুজন হাঁটেন। আজকে হাঁটা শেষ করে তারা একখানে বসে পড়লেন। মিজান সাহেব আশেপাশে তাকাতে লাগলেন। সকালবেলা নানা বয়সের পুরুষ ও মহিলারা হাঁটতে বের হয়। আনোয়ার সাহেব এদিক ওদিক তাকাতেই দেখতে পেলেন ২০-২৩ বছর বয়সের এক সুন্দরী তরুণী হাঁটতে হাঁটতে তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। ফর্সা গোলগাল চেহারার মেয়েটা ছেলেদের মত ট্রাউজার, টিশার্ট পড়েছে। আনোয়ার সাহেবের চোখ আটকে গেল মেয়েটার বুকে। সুডৌল স্তনদুটো যেন জামা ভেদ করে বের হয়ে আসতে চাইছে। যদিও তার বয়স চল্লিশ চলছে এবং তার বিবাহিত জীবনের পনেরো বছর হয়েছে, তবুও আনোয়ার সাহেব এমন দৃশ্য দেখলে চোখ ফেরাতে পারেন না। মেয়েটা যতক্ষণ তাদের সামনে দিয়ে গেল ততক্ষণ আনোয়ার সাহেব তাকিয়ে থাকলেন। মেয়েটা দূরে যেতেই আনোয়ার স্যার মিজান সাহেবকে বললেন---
-'বুঝলেন মিজান ভাই, সমাজ থেকে পর্দা একেবারে উঠে গেছে। মেয়েরা কি অশ্লীল কাপড় পড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে...দেখেছেন?'
-'তাই তো দেখছি...'
-'আমার ছাত্রী হলে তাকে এমন গাল দিতাম তবে বুঝত মজা।'
-'তাহলে আপনার কলেজের ছাত্রীরা মনে হয় সভ্য ভব্য।'
-'তা বলতে পারেন। কোন কোন ছাত্রীদের তো মুখই দেখা যায়না, একেবারে ঢাকা।'
হাঁটা শেষ করে আনোয়ার সাহেব বাসায় ফিরে আসলেন। সকালের খাবার খেতে টেবিলে বসেছেন। কাজের মহিলা টেবিলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। বয়স ৩৫-৪০ বছর হবে। তার শারীরিক সৌন্দর্যও আনোয়ার সাহেবকে আকর্ষণ করল। মহিলাটা নিচু হয়ে ঘর ঝারু দিতে লাগল। আনোয়ার সাহেব মনে মনে কাঁটাকম্পাস দিয়ে মহিলাটার বুকের ব্যাস মাপতে লাগলেন। মাপামাপি আর হিসাবের অভ্যাসটা তার একটু যেন বেশীই। স্ত্রী আসতেই তিনি তার জ্যামিতির সমাধান অসমাপ্ত রেখে খাবারে মন দিলেন। আনোয়ার সাহেবের মনে আফসোস কাজ করে। তিনি শুধু হিসাব করতে থাকেন, কিন্তু ফল বের করতে পারেননা। আশা আছে একদিন স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে হিসাবের ফল বের করবেন।
(২)
গোলাপবাগ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের একাদশ শ্রেণীর প্রথম ক্লাস আজ। ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই উপস্থিত হয়েছে। আনোয়ার স্যার ক্লাসের শুরুতে সবার উদ্দেশ্যে কিছু কথা বললেন----
'তোমাদের সাথে আজ আমার প্রথম পরিচয়। আমি তোমাদের কিছু কথা বলব। সবাই মন দিয়ে শোন। তোমরা সবাই ভালোভাবে পড়ালেখা করবে। তবে শুধু ভালোভাবে লেখাপড়া করলেই হবেনা, সাথে তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে এবং ভালোভাবে চলাফেরা করতে হবে। ছেলেরা তোমরা বিড়ি সিগারেট খাবে না, মেয়েদের সাথে টাঙ্কি মারবেনা। আর মেয়েরা তোমরা কলেজে অযথা সেজে আসবেনা, অশ্লীল কাপড় পড়বে না। ভদ্র মেয়েদের মত কলেজে আসবে।... তোমরা আমার কথা শুনে অবাক হচ্ছো মনে হয়। তোমাদের বলে রাখি, আমি কথা যা বলি, সরাসরি বলি... ঠিক আছে?...। অনেক কথা বললাম, এখন তোমরা একে একে সিরিয়ালি আমার কাছে এসে তোমাদের নাম বলে যাও আর একটা করে রজনীগন্ধার স্টিক নিয়ে যাও। প্রথমে ছেলেরা এস, তারপরে মেয়েরা এস।'
আনোয়ার স্যারের কাছে ছেলেরা আসতে লাগল। সবাইকে একটা করে ফুল দিলেন তিনি। মেয়েরা আসতে থাকলে তার মুখে হাসি ফুটে উঠল। তিনি মেয়েদের ফুল দেবার সময় তাদের মুখ এবং বুকের দিকে তাকাতে লাগলেন। এদের মাঝে তেমন টাইট পোশাকের মেয়ে নাই। এই মেয়েরা খুব ভদ্র। এত ভদ্র মেয়ে তার পছন্দ না। দুই একটা টাইট, ফিটিং কাপড় পড়া ছাত্রী না থাকলে তার মন ভরে না।
(৩)
কয়েক মাস পর। একাদশের বার্ষিক পরীক্ষায় ইংলিশে শরমিলা নামের এক ছাত্রী ফেইল করেছে। সে বুঝতেই পারল না কিভাবে ফেইল হলো? সে পরীক্ষা ভাল না দিলেও পাশের মত অ্যানসার করেছে। শরমিলাকে কলেজ শেষে তার রুমে দেখা করতে বললেন আনোয়ার স্যার।
শরমিলা ভয়ে ভয়ে স্যারের রুমে আসল। কলেজ শেষে টিচার রুমের অন্যান্য স্যাররা চলে গেছে। কেবল আনোয়ার স্যার বসে আছে। আনোয়ার স্যার শরমিলাকে বলল----
-'সারাদিন বাসায় কি কর তুমি?'
শরমিলা ভয়ে চুপ করে থাকল। স্যার আবার বললেন---
-'চুপ করে থাকবেনা, কথা বল। তোমার বয়ফ্রেন্ড কয়টা?'
-'স্যার আমি প্রেম করিনা।'
-'তবে কি কর? পড়াশোনা না করলে ফেইল তো হবেই।'
-'স্যার আমার খাতাটা আমি দেখতে চাইছিলাম। দয়া করে খাতাটা দেখতে দেবেন?'
-'কেন?'
-'স্যার আমি পরীক্ষা ভাল দেইনি ঠিক, কিন্তু আমি পাস মার্কের উত্তর করেছি।'
-'আর ইউ শিওর?'
-'তেমনই হবার কথা স্যার।'
-'ঠিক আছে আজ বিকেলে আমার বাসায় এস। আমার বাসা চেন তো?'
-'চিনি স্যার। আপনাকে একদিন বাসা থেকে বের হতে দেখেছি।'
(৪)
বিকেলবেলা। আনোয়ার সাহেবের স্ত্রী বুশরা ছেলে মেয়েকে নিয়ে এক দাওয়াতে গেছেন। আজ রাতে ওখানে থাকবেন।
শরমিলা আনোয়ার স্যারের বাসায় এসে কলিং বেল বাজাল। স্যার এসে দরজা খুলে দিলেন। তিনি শরমিলাকে বসার ঘরে বসতে দিলেন। একটু পরে ভিতর থেকে একটা খাতা নিয়ে এলেন। শরমিলাকে বললেন---
-'এই দেখো তোমার খাতা।'
শরমিলা ভয়ে ভয়ে খাতা দেখতে লাগলো। খাতার পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে দেখল স্যার পাঁচটা উত্তরের কোন মার্ক দেননি। সে বলল----
-'স্যার, আমার মনে হচ্ছে আপনি এই পাঁচটা উত্তর দেখতে দেখতে ছেড়ে গেছেন।'
-'হতে পারে। আমি তো অনেক কিছুই চাইলেও দেখতে পারিনা।'
-'স্যার...আপনার কথা বুঝতে পারছি না।'
শরমিলা খাতা থেকে মুখ তুলে দেখতে পেল আনোয়ার স্যার তার সামনে নাই। কখন যেন তার চেয়ারের পেছনে এসে গেছে। স্যার খপ করে শরমিলার স্তন চেপে ধরে চাপ দিতে লাগল। শরমিলার গোটা শরীর কেপে উঠল। সে বলল---
-'স্যার এসব কি হচ্ছে?'
-'আরে বাঁধা দিও না...বাঁধা দিও না...শুধু পড়াশোনা শিখলেই হবেনা। এসবও জানতে হবে, নইলে বিয়ের পরে বরের চাপ সহ্য করতে পারবেনা।'
-'স্যার আমাকে ছাড়েন বলছি...'
-'আরে এমন করছ কেন? তোমাকে সব পরীক্ষায় এ প্লাস দিব আমি।'
শরমিলা স্যারের টোপ অগ্রাহ্য করে কষে স্যারকে একটা কনুই এর গুঁতো মারল। স্যার ব্যাথার চোটে শরমিলাকে ছেড়ে দিল। সে দরজা খুলে দৌড়ে বাহিরে এল। পরীক্ষার খাতা দেখতে এসে পুরুষ মানুষের একটা অশ্লীল চেহারা দেখে গেল সে। সব পুরুষ মানুষের উপর তার ঘৃণা এসে গেল। নিজের বাড়িতে ফিরে কাউকে জানালনা ঘটনাটা। তার শরীর ঘিনঘিন করতে লাগল। অনেকক্ষণ ধরে বাথরুমে গোসল সারল সে। কিছুটা কান্নাকাটিও করল।
(৫)
শরমিলা আর নওরিন একসাথে বসে গল্প করছে। তারা পরস্পর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তাদের বন্ধুত্ব স্কুল থেকে। তারা নিজেদের মাঝে সব কথা শেয়ার করে। নওরিন বলল----
-'তোর সাথে এত বড় একটা অন্যায় ঘটে গেল, আর তুই কাউকে জানাবি না?'
-'আমার খুব ভয় করছে রে।'
-'কিসের ভয়?'
-'বাড়িতে জানতে পারলে বাবা আমাকে মেরে ফেলবে। আর সবাই আমাকে খারাপ নষ্ট মেয়ে বলবে।'
-'তাই বলে এটার একটা বিচার হবেনা?'
-'ঐ আনোয়ার জানোয়ারের বিচার হলে আমার সম্মান তো ফিরে আসবে না।'
শরমিলা কাঁদতে লাগল।
নওরিন বলল- 'তুই কান্নাকাটি করিসনা। আমি কাউকে কিছু বলব না।'
(৬)
আজ শিক্ষক দিবস। গোলাপবাগ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের ছাত্ররা শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠান বলতে তেমন কিছু না। কয়েকজন স্যার বক্তৃতা দেবেন এবং দুইজন বিদায়ী শিক্ষককে সংবর্ধনা দেয়া হবে। দুইজন স্যার এরইমাঝে বক্তৃতা দিয়ে ফেলেছেন। এবার আনোয়ার স্যার এর বক্তৃতার পালা। তিনি বললেন---
'প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা, তোমরা সবাই মিলে কলেজে শিক্ষক দিবস পালন করছ, আমি খুব খুশী। আমাদের তোমরা যে সম্মান জানাচ্ছ, তাতে আমরা সব স্যার ও ম্যাডাম সবাই খুশী। তোমরা সবাই ভালোভাবে পড়াশোনা করবে আর সবাই ভালো হয়ে চলবে। দেখবে এই কলেজ অন্যান্য কলেজের অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। আজকে চারিদিকে তাকালে দেখি যুবক যুবতীরা অধঃপতনে যাচ্ছে। অশ্লীল পোশাক, ছবি আর অশ্লীল গানে তারা ব্যস্ত। আমি আশা করবো তোমরা যুগের এই ঢেউয়ে গা ভাসাবেনা। তোমরা হবে মন ও মননে আধুনিক এবং উন্নত চরিত্রের অধিকারী।'
(৭)
একদিন আনোয়ার স্যারের স্ত্রী মিসেস বুশরা বাড়ির কলিং বেলের শব্দ শুনতে পেলেন। দরজা খুলে দেখলেন একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি বললেন---
-'তোমার পরিচয় কি মা? তোমাকে তো চিনলাম না।'
-'আমার নাম নওরিন, ম্যাডাম। এটা কি আনোয়ার স্যারের বাসা?'
-'হ্যাঁ তো, তোমার কি দরকার মা?'
-'আমি স্যারের কাছে এসেছি। উনি তো বাসায় আছেন?'
-'হ্যাঁ আছেন, ভিতরে আসো।'
নওরিন ভিতরে আসল। একটু পরেই স্যারের দেখা পেল। আনোয়ার স্যার তাকে দেখে অবাক হলেও খুশী হলেন। বললেন---
-'কি ব্যাপার নওরিন? হঠাৎ বাড়িতে?'
-'স্যার ইংলিশে আমি দুর্বল। আপনার কাছে প্রাইভেট পড়তে চাই। যদি আমার জন্য সময় দিতেন...'
নওরিনের বুকের উপর থেকে ওড়না পড়ে গেল। সে আবার তা ঠিক করে নিল। স্যার এই সুযোগে বুকের ব্যাস মাপার চেষ্টা করলেন। বললেন--
-'আমি তো সময় পাইনা...ঠিক আছে তুমি যখন বলছো...কাল থেকে সকালবেলা ৮টার দিকে আসো।'
-'থ্যাঙ্ক ইউ স্যার।'
পরদিন থেকে নওরিন স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে লাগল। স্যার পড়াশোনার ফাঁকে সুযোগ পেলেই নওরিনের কাছ ঘেঁষার চেষ্টা করতে লাগলেন। কৌশলী নওরিন স্যারের মতলবে মিটিমিটি হাসতে লাগল। এভাবে ১৫ দিন কেটে গেল।
(৮)
এক রাতে ফেসবুক খুলে নওরিন দেখতে পেল আনোয়ার স্যার তাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দিয়েছে। সাথে এসএমএস দিয়েছে 'হাই কি করো? আমি তোমার আনোয়ার স্যার।'
নওরিন রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করে রিপ্লাই দিল--'স্যার আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে জানতাম না তো'।
একটু পরে রিপ্লাই আসলো---'আছে তো।'
নওরিন টাইপ করল--'কেমন আছেন?'
-'ভালো আছি। তুমি আজকে পড়তে আসনি কেন?'
-'স্যার আজকে একখানে বেড়াতে গিয়েছিলাম।'
-'দেখলাম তো... ফটো আপলোড করেছ... ছেলেদের টাইট টি শার্ট পড়ে।'
-'স্যার, আপনি সেই ফটো দেখেছেন!!'
-'হ্যাঁ...'
-'আপনি রাগ করলেন নাকি স্যার, আমার খুব লজ্জা করছে...'
-'কেন? রাগ করব কেন?'
-'না মানে আপনি তো এমন পোশাক পড়া পছন্দ করেননা, ক্লাসেও তাই বলেন।'
-'আরে ওসব কথা সবাইকে বলতে হয়। ওসব হচ্ছে কথার কথা।'
-'মানে স্যার?'
-'আরে যেই মেয়ে যত খোলামেলা কাপড় পড়ে তাকে তত সুন্দর লাগে।'
-'তাই নাকি স্যার?'
-'হ্যাঁ, যত অশ্লীল তত সুন্দর। যদি তোমার পেট আর বুক সুন্দর হয়...'
-'স্যার... এসব কি বলছেন স্যার...'
-'আছে নাকি তোমার এমন সুন্দর অঙ্গ, আমাকে একবার দেখিও তো।'
-'কিভাবে দেখাব স্যার?'
-'কেন সরাসরি?'
-'আমার লজ্জা লাগবে না?...'
-'ধুরর... সেখানে আর কেউ থাকবে না, কেউ দেখবে না।'
(৯)
এক সপ্তাহ পর। মিসেস বুশরা আজ মায়ের বাসায় বেড়াতে গেছেন। সাথে তার ছেলে মেয়েও আছে। আজকে সেখানেই থাকবেন। বিকাল বেলা নওরিন আনোয়ার স্যারের বাসায় পড়তে আসল। মেয়েটা আজকে বোরখা পড়ে এসেছে। স্যার তাকে দেখেই বললেন--
-'একী, নওরিন, আজ যে একেবারে ধার্মিক বিবি সেজে এসেছ?'
-'স্যার, আপনিই তো ক্লাসে বলেন মেয়েদের অশ্লীল কাপড় না পড়তে?'
-'আরে, আমি তো আগেই বলেছি, ওসব কথা সবার সামনে বলতে হয়...'
-'তাই স্যার?... আমার তো খোলামেলা কাপড় পড়তেই ভালো লাগে। খুলব নাকি স্যার এসব?'
-'খুলে ফেলো খুলে ফেলো, গা থেকে এই কাপড়ের গাঁট্টি খুলে ফেলো। কোন অসুবিধা নাই।'
-'স্যার, ম্যাডাম যদি রাগ করেন?'
-'আরে বুশরা আজ বাড়িতে নাই। তোমাকে তো সেইজন্যই বিকেলে আসতে বললাম। তোমাকে পড়িয়ে তাড়াতাড়ি ওখানে যেতে হবে আমাকে।'
-'তাহলে স্যার খুললাম...'
নওরিন ওপরের বোরখা খুলে ফেলল। সে বোরখার নিচে শুধু ব্রা আর প্যান্টি পড়ে এসেছে। তাকে দেখেই স্যারের চক্ষু একেবারে ছানাবড়া হয়ে গেল। বললেন----
-'বাপরে! তুমি তো দেখি একেবারে চালু মাল...'
-'স্যার আপনিই তো বললেন আমাকে দেখবেন...'
-'তাই?'
-হ্যাঁ, আমার উঠতি যৌবন, কেউ তো আমাকে ধরার সাহসই পায়না। আমার কি ইচ্ছা করে না পুরুষের ছোঁয়া পেতে? বাবা তো এখন বিয়ে দিতে রাজিই না।'
-'আজই তোমার আশা পূরণ করে দিচ্ছি আমি...'
স্যার নওরিনের কাছে আসতেই সে বলল---
-'স্যার এভাবে না...'
-'মানে?'
-'আমি চাই আপনি একটু সিনেমার হিরোর মত হবেন'
-'কিভাবে?'
-'আপনি বুড়ো মানুষ...পারবেন কিনা কে জানে?'
-'আরে, মাত্র চল্লিশ বছর বয়সে বুড়ো হয়ে গেলাম? তুমি শুধু বল আমাকে কি করতে হবে?'
-'আমি যেভাবে করতে বলবো পারবেন তো?'
-'চেষ্টা করতে পারি...'
-'আমি আপনার চোখ বেঁধে দেব, আপনার গায়ে আদর করব। তারপর আপনার যা ইচ্ছা করবেন...'
-'ভালোই হবে।'
নওরিন স্যারের চোখ বেঁধে দিল। স্যার বিছানায় শুয়ে পড়লেন। সে স্যারের কাপড় খুলে দিল। স্যার উত্তেজনায় কাঁপতে লাগলেন। নওরিন স্যারের গায়ে হাত দেবার সময়ে দিগম্বর নগ্ন শরীরের একটা ছবি তুলল। তারপর তার ব্যাগ থেকে একটা কৌটা বের করল। কৌটার মুখখানা খুলে স্যারের তলপেটের উপর ঢেলে দিতেই ভিতর থেকে ৫-৭টা কালো বিষপিঁপড়ে বের হয়ে কামড় দিতে লাগল। নওরিন গেট খুলে বাহিরে চলে এল। আসবার সময় শুনতে পেল স্যার 'নওরিন নওরিন' করছে আর 'ওরে বাবা... ওরে বাবা...' করছে।
রাস্তায় এসে ম্যাডামকে ফোন করল নওরিন----
-'ম্যাডাম, তাড়াতাড়ি বাসায় আসুন। আপনার স্বামী একটা ছাত্রীকে বাড়িতে নিয়ে অশ্লীল সিনেমার শুটিং করছে...'
-'তুমি কে?'
-'আমাকে চেনার আপনার দরকার নাই। নিজের স্বামীকে চিনলেই হবে...'
সেদিন রাত থেকে ফেসবুকে দুইটা ফটো ঘুরে বেড়াতে লাগল। ফটোর সাথে লেখা রয়েছে---'পর্ণ ছবির মডেল এই ব্যাক্তি হলেন ছাত্রীদের অশ্লীলতার বিরুদ্ধে উপদেশ দিয়ে বেড়ানো গোলাপবাগ উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের ইংলিশ শিক্ষক আনোয়ার। সাথে জনৈক ছাত্রীর সাথে স্যারের অশ্লীল আলাপের স্ক্রিনশট।'
(সমাপ্ত)
নারীদেহের প্রতি আসক্ত আনোয়ার সাহেবের কাহিনি