অগ্নিপিণ্ড

বাংলাদেশ (ডিসেম্বর ২০১৯)

রিফাত হাসান
  • 0
  • ৩৫


মেঝেতে কালচে হয়ে জমে থাকা নিজের রক্তের দিকে এখন আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকতে পারি।
এই ঘরে ছোট্ট একটা জানালা আছে, তাও সারাদিন বন্ধ থাকে।
একসময় অবাক হয়ে আকাশের লাল রঙ দেখতাম, আর এখন নিজের কালচে রক্ত দেখি।
অনেক বদলে গেছি আমি।
মাত্র তিন দিন হল বন্দী আছি এই মিলিটারি ক্যাম্পে, অথচ মনে হয় যেন কতকাল।
বুকপকেটে রাখা মায়ের কাছে লেখা চিঠিটা রক্তে ভিজে চপচপে হয়ে গেছে।
কোনদিনও তা হয়তো আর মায়ের কাছে পৌঁছাবে না।
এই যুদ্ধ একদিন হয়তো শেষ হবে।
সবাই ঘরে ফিরে যাবে।
আবার হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ মাঠে বসে আড্ডা দেবে শফিক, সিদ্দিক, শওকত, মাধবী, মিলি।
মা হয়তো দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাবে।
এই তো সেদিন রাতেই লেপের নিচে কোলবালিশ ফেলে রেখে বাসা থেকে পালালাম।
অথচ সেসব মনে হয় এখন আগের জন্মের কাহিনী।
এ জন্মে আছে শুধু যুদ্ধ, মৃত্যু আর প্রতিশোধের আনন্দ।
ক্যাঁচ ক্যাঁচ করে দরজা খোলার শব্দ হল এসময়। ভারী বুট দিয়ে কেউ একজন লাথি মারল আমার মাথায়। নিজের অজান্তেই হাতের আঙুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ হয়ে উঠল আমার।
“ক্যাপ্টেন সাহাব বুলায়া।”


টিফিনের ঘণ্টা পড়তেই হৈ হৈ করে ক্লাস থেকে বের হয়ে এল সব ছেলেমেয়ে।
মাত্র বিশ মিনিট টিফিনের সময়।
গেটের বাইরে ঝালমুড়িওয়ালার সামনে ইতিমধ্যেই ভিড় জমে গেছে।
ঝালমুড়ি হাতে নিয়েই আবীরের চোখ পড়ল রাস্তার ওপাশের চায়ের দোকানের দিকে। ওর মনটা একটু খারাপ হয়ে গেল সাথে সাথে।
রুনু আজকেও আসে নি।
গত কয়েকদিন হল সে আসছে না।
“চাচা, রুনু আজকেও আসে নি?”
চায়ের দোকানদার বিরক্তি ভরা চোখ তুলে তাকাল।
“রুনু আর আইব না।”
“কেন?”
“বাদ দিছি। ট্যাকা চুরি করছিল।”


“আমি দশ মিনিট সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে তুমি তোমার বন্ধুদের নাম বলবে।”
আমি একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি আমার সামনে বসা অত্যন্ত সুদর্শন এই যুবকের দিকে। ক্যাপ্টেন রাকিব। কালো সানগ্লাসের নিচে যার নিষ্ঠুর দৃষ্টি আত্না কাঁপিয়ে দেয়।
“তিন মিনিট কিন্তু পার হয়ে গেছে।”
“ক্যাপ্টেন সাহেব আমি কারো নাম বলব না।”
ক্যাপ্টেন সাহেব একটু হাসলেন, কিংবা হাসার ভঙ্গি করলেন হয়তো। “আমি বাজি ধরতে পারি, আমার সিপাহীরা তোমাকে স্পর্শ করার সাথে সাথে তুমি সবার নাম বলবে... ধরবে বাজি?”
“ধরব।”
ক্যাপ্টেন রাকিব একটু অবাক হলেন, কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে তাকে আড়াল করে ফেললেন তার নিষ্ঠুরতা দিয়ে। “বেশ, কী বাজি ধরবে বল।”
“সেটা জেতার পরেই বলব।”
ধারালো চাপাতির এক আঘাতে একটা আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে আমার শরীর থেকে। মস্তিষ্কের একটা অংশ বলছে চিৎকার করে উঠতে, আরেকটা অংশ বলছে, চুপ চুপ। আরও একটা আঙুল টেনে ধরেছে নরপশুরা। এখনি নেমে আসবে অমানুষিক যন্ত্রণা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আমি এক ধরণের আনন্দ পাচ্ছি, অপার্থিব আনন্দ। ক্যাপ্টেন রাকিবকে সামান্য বাজিতে হারিয়ে দেওয়ার আনন্দ।
“ক্যাপ্টেন সাহেব আপনি কিন্তু হেরে গেছেন।”
ছোট্ট একটা টেবিলের একপাশে বসে আছে কালো সানগ্লাস পরা মিলিটারি ক্যাপ্টেন, এপাশে আমি। সানগ্লাসের আড়ালে ক্যাপ্টেন সাহেবের চোখ ঢাকা, কিন্তু সে চোখে নিশ্চিত বিস্ময়। সামনে বসে থাকা বাঙালি যুবকের সাহস দেখে বিস্ময়। সমস্ত শরীর রক্তে ভেজা, হাতের আঙুলগুলো সব টেনে টেনে তুলে ফেলা হয়েছে, তারপরেও চোখের দৃষ্টি কী তীব্র। ক্যাপ্টেন সাহেব শেষবারের মত প্রশ্ন করতে চান, “তুমি তোমার বন্ধুদের ঠিকানা বলবে কিনা?” কিন্তু জানেন প্রশ্ন করে কোনো লাভ হবে না। তার সামনে বসে থাকা এই যুবক পরাজয়ের চেয়ে মৃত্যুকে অনেক বেশি ভালোবাসে।
ক্যাপ্টেন সাহেব বুঝতে পারেন যে পরাজয় খুব কাছে চলে এসেছে। এইসব অদম্য যুবকদের বেশিদিন আটকে রাখা যায় না।
“তাহলে তুমি কারো নাম বলবে না?”
আমার ইচ্ছা করল সেই পুরনো হাসি হাসতে। ইউনিভার্সিটিতে যে হাসির মাধ্যমেই ভালোবাসার কথা বলেছিলাম সামিয়াকে। আচ্ছা, সামিয়া এখন কোথায় আছে? ও কি ভালো আছে? যুদ্ধ শেষে আমি ফিরে না গেলে ও কি করবে? ও কি কাঁদবে আমার জন্য?
“কাউকে ভালোবাস তুমি?”
শেষ পথ বেছে নিয়েছে ক্যাপ্টেন রাকিব। না, তার সামনে হৃদয়ের দুর্বলতা দেখানো যাবে না। তাকে দেখাতে হবে শুধু অগ্নিদৃষ্টি, যে অগ্নিদৃষ্টির মানে সে জানে না। আমি দেখতে পাচ্ছি এখনি চোখ নামিয়ে নেবে ক্যাপ্টেন রাকিব। আমি বিজয়ের আনন্দ পাচ্ছি। এক ধরণের অপার্থিব আনন্দ।
“কী চাও তুমি যুবক?”
“মৃত্যু।” শান্ত কণ্ঠে বললাম আমি।
এখানেই শেষ গল্পটি।
“কী পড়ছ এত মনোযোগ দিয়ে?”
সাদা পৃষ্ঠা থেকে মুহিব চোখ তুলে তাকাল সামনে দাঁড়ানো মধ্যবয়সী ভদ্রলোকের দিকে। সামনে স্তূপ করে রাখা একরাশ কাগজ। ভারী চশমার আড়ালে ওর চোখদুটিতে এক ধরণের অজানা বিষণ্ণতা। ভদ্রলোক আবার বললেন, “কয়েকটা গল্প আমিও পড়েছি। ভালই।”
“রেজাল্ট বের হয়েছে এই কম্পিটিশনের?”
“সে তো লাস্ট উইকেই বের হয়েছে।”
“ফার্স্ট হয়েছে কোন গল্পটা জানেন?”
“কোনটা আবার হবে? আরমান সাহেবের ছেলে যেটা লিখেছে সেটা। আরমান সাহেবকে চিনতে পারছ তো? আরমান গ্রুপের মালিক।”
“কী নাম উনার ছেলের জানেন? দেখি গল্পটা পড়ি। কাজটাজ যখন নাই তখন বসে থেকে কী করি?”
“তুমি দেখছি মুহিব কিছুই জানো না।”
“কী জানি না?”
“এখানে কি আর ফার্স্ট সেকেন্ড গল্প দেখে হয়? এই কম্পিটিশন করাই হয়েছে আরমান সাহেবের কথায়। যাতে উনার ছেলেকে ফার্স্ট প্রাইজ দেওয়া হয়। ছেলের শখ হয়েছে গল্প লিখে ফার্স্ট হবে। বড়লোকের ছেলে বলে কথা...”
অবাক হয়ে “বিপ্লব” পত্রিকা অফিসের ক্ষয়ে যাওয়া দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকে সাংবাদিক মুহিব।


“আঙ্কেল আপনি আমার গল্পটা পড়েছেন?”
“হ্যাঁ আবীর। খুব ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর লিখেছ তুমি।”
“আসলে কী জানেন আঙ্কেল, আমার স্কুলের যে বাংলা স্যার, মামুন স্যার, উনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ক্লাসে উনি প্রায়ই যুদ্ধের গল্প বলেন। উনার একটা বন্ধুর কথা উনি খুব বলেন। সেই বন্ধুটা নাকি খুব সাহসী ছিল। এক যুদ্ধে উনি মিলিটারিদের হাতে ধরা পড়েন। উনার কথা আমি খুব ভাবি। গল্পটা আমি উনাকে ভেবেই লিখেছি। মামুন স্যারকে আমি গল্পটা পড়তে দিয়েছিলাম। স্যার বলেছেন, এই গল্পটা নাকি শিওর ফার্স্ট হবে। আচ্ছা আঙ্কেল আপনি কি জানেন যে রেজাল্ট কবে দেবে?”
হঠাৎ এ প্রশ্নের কোন উত্তর খুঁজে পেল না মুহিব।
ক্লাস এইটের এই স্বপ্নচারী কিশোর অবশ্য কোন উত্তর চায়ও না। সে যেন শুধু বলতেই চায়। “জানেন আঙ্কেল রুনু নামের একটা ছেলে আছে, বেগুনবাড়ি বস্তিতে থাকে। আমাদের স্কুলের সামনের চায়ের দোকানে কাজ করত। টাকা চুরি করেছে বলে দোকানদার ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস হয় না ও চুরি করেছে। আমি কী ঠিক করেছি জানেন? ফার্স্ট প্রাইজ পেলে আমি টাকাটা রুনুকে দিয়ে দেব। এটাও অবশ্য মামুন স্যার বলেছেন।”
মাথার কাছে দাঁড়ানো আবীরের মা আঁচল চাপা দিয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠেন। বড় বোন কান্না লুকাতে অন্যদিকে তাকায়। মুহিব অবাক হয়ে জানালার বাইরে নীল আকাশটার দিকে তাকিয়ে থাকে। এই নিষ্পাপ কিশোরের শরীরের সমস্ত শ্বেত রক্ত কণিকা অজানা কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে না। লিউকোমিয়ার মত সামান্য ব্যাধির কি এত ক্ষমতা আছে এক আকাশ স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটানোর?
“জানেন আঙ্কেল, মামুন স্যার বলেন আমাদের দেশ থেকে কেউ নাকি এখনো এভারেস্টে উঠতে পারেনি। আমি কী ঠিক করেছি জানেন? বড় হয়ে পাহাড়ে ওঠা শিখব... তারপর এভারেস্টে উঠবো। রুনুকে এই কথা বলতেই ওর কি হাসি। ওরও খুব ইচ্ছা করে কিন্তু ও কী বলে জানেন? গরীবদের নাকি এত শখ থাকতে হয় না। আঙ্কেল আপনি ওকে খুঁজে বের করবেন তো, বেগুনবাড়ি বস্তিতে খুঁজলেই পাবেন। ও প্রায়ই বলে, বস্তিতে থাকতে ওর নাকি একদম ভালো লাগে না...।”


“আমি জানি আমার রুনু ট্যাকা চুরি করে নাই। আপনে আমার পোলারে চিনলে আপনেও কইতেন এই কথা।”
“আমি জানি রুনু চুরি করে নি। খোঁজখবর নিয়েই আমি এসেছি।”
“আপনে কেডা? আইছেন কোত্থেকে হুড কইরা?”
“আপনি আমাকে চিনবেন না। আমার নাম মুহিব। একটা পত্রিকায় কাজ করি। রুনু যে দোকানে কাজ করতো সেখানে আমি গিয়েছিলাম। সবাই জানে যে রুনু চুরি করে নি। ঐ দোকানদারের মাঝে মাঝেই এরকম করে। মাস শেষ হওয়ার আগেই কোন একটা দোষ বের করে দোকানের ছেলেকে তাড়িয়ে দেয়। যাতে মাসের বেতন দিতে না হয়।”
“সবাই জাইনা কী লাভ হইল? আমার রুনুরে যখন লাথি মাইরা বের কইরা দিল তখন কেউ কিছু কইছিল?”
এ প্রশ্নের উত্তর নেই মুহিবের কাছে। ও শুধু কোনরকমে বলতে পারে, “আপনারা গ্রাম ছেড়ে এই শহরের বস্তিতে আসেন কেন?”
“না আইসা করমু কী? শখ কইরা তো আসি না। নদী ভাইঙ্গা স্বর্বস্বান্ত হইছি। এতদিন বাপ দাদার ভিটে আঁকড়ে ধরি ছিলাম। গত বছর তাও গেল। গেরামে থাকলে খামু কী?”
এ প্রশ্নেরও উত্তর নেই মুহিবের কাছে। সে শুধু প্রশ্নই করতে পারে। “গ্রামে রুনু স্কুলে পড়ত না? এখানে তো ওর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে।”
“শহরে বইসা আপনেরা এইসব বড় বড় কথা কইতেই পারেন। আশেপাশে দশ গাঁয়ে কোন হাইস্কুল নাই। আমার রুনু ফাইভ পর্যন্ত পড়ছিল। পোলার আমার পড়াশোনার খুব শখ। কিন্তু কী করমু কন? আপনাগো মত বড় বড় লোক তো আমাদের গেরামে আসে না, আপনাগো সরকারও আমাগো দিকে তাকায় না। একটা হাইস্কুল থাকলি না খায়া মরলিও আমরা শহরে আইতাম না। পোলাডা আমার পড়ালেখা করতি পারত।” একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন পঙ্গু মোতালেব মিয়া।
পঙ্গু মোতালেব মিয়ার পায়ের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোর রুনুর দিকে একবার তাকাল মুহিব। তেরো বছরের কিশোরের মায়াবী চেহারা ছাপিয়ে তার দৃষ্টি হঠাৎ চলে গেল আরো বহুদূরে। আকাশছোঁয়ার অহংকার নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সুউচ্চ এভারেস্ট। বাংলাদেশের কেউ নাকি এখনো তার বুকে পা রাখতে পারে নি। কিন্তু মুহিব স্পষ্ট দেখতে পেল তার অহংকার চূর্ণবিচূর্ণ করে সেখানে সগৌরবে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা।
সত্যি সত্যি ঠিক তখনই এভারেস্টের বুকে সগৌরবে উড়ছিল বাংলাদেশের পতাকা। মুসা ইব্রাহীম নামের এক অসীম সাহসী যুবক তার বুকে পা চূর্ণ করে দিয়েছে তার সব অহংকার।
এভারেস্টের চূড়া ছাপিয়ে মুহিবের দৃষ্টি ফিরে এল একটা ছোট্ট অন্ধকার ঘরে। একটা ছোট্ট টেবিলের ওপাশে বসে আছে কালো সানগ্লাস পড়া মিলিটারি ক্যাপ্টেন। ক্যাপ্টেন রাকিব। সানগ্লাসের নিচে তার দুচোখে প্রথমে ছিল হাসি... আস্তে আস্তে তা কঠিন হয়ে গেল... শেষ পর্যন্ত তাতে দেখা গেল বিস্ময়... তারপর আর পারল না... চোখ অন্যদিকে সরিয়ে নিল সে। নিচু হয়ে গেল তার মাথা।
জীবনে বেঁচে থাকার গভীর অর্থের সন্ধান পেয়ে গেছে মুহিব।


প্রেরণা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল ভারী চশমার আড়ালে আশ্চর্য সুন্দর দুটি চোখের দিকে।
“কী বলছ তুমি মুহিব? গ্রামে গিয়ে স্কুলের কাজ শুরু করবে?”
“ঠিকই বলেছ প্রেরণা। এ দেশে লক্ষ লক্ষ কিশোর আছে যারা এভারেস্টে উঠে আকাশ স্পর্শ করার স্বপ্ন দেখে। আমি তাদেরকে হিমালয়ের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।”
“তুমি না বলতে যে তুমি অনেক বড় সাংবাদিক হবে?”
“ভুল বলতাম প্রেরণা। এ দেশ অনেক স্বপ্ন দিয়ে গড়া দেশ। সেই স্বপ্নগুলো নিয়েই আমি বাকি জীবনটুকু কাটাতে চাই প্রেরণা। তুমি যদি চাও আমার সাথে আসতে পার। আর যদি না চাও তাহলে...” মুহিবের গলা ধরে আসে, “যদি না চাও তাহলে ভালো থেক।”
প্রেরণা অবাক হয়ে দেখে ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে মুহিব। সে জানে মুহিব কখনো ফিরবে না। তাকেই যেতে হবে ওর সাথে।
ও কখনো মুহিবকে একা যেতে দেবে না।
যে পথে মুহিব চলেছে সে পথে কখনো একা চলা যায় না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
MD. MOHIDUR RAHMAN লেখা চালিয়ে যাবেন আশাকরি...
Abdul Hannan লেখা চালিয়ে যান।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এ সংখ্যার গল্পের বিষয় ছিল "বাংলাদেশ"। সামান্য পাঁচ ছয় পৃষ্ঠার মধ্যে বাংলাদেশের বিশালতাকে ফুটিয়ে তোলা যায় না, সে চেষ্টাও আমি করি নি। আমার গল্পে আমি শুধু একটা বিষয়ই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি সেটা হল আমাদের যেমন গর্ব করার মত ইতিহাস আছে, তেমনি আবার আমাদের মাথা নিচু হয়ে যাওয়ার মত ভুলত্রুটিও আছে। তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি। আমরা স্বপ্ন দেখি একদিন বিশ্বজয় করার। পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার।

১৯ এপ্রিল - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪