রাজদ্রোহী

স্থিতিশীলতা (ডিসেম্বর ২০২৪)

Lubna Negar
  • 0
  • ১৯
প্রাচীণকালে বর্তমান বাংলাদেশ বঙ্গ, পুন্ড্র, সুক্ষ্ণ, রাঢ় প্রভৃতি জনপদে বিভক্ত ছিল । অস্ট্রিক এবং দ্রাবিড়রা ছিল এইসব জনপদের অধিবাসী। পরবর্তীকালে পশুপালক আর্যরা এইসব কৌমের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করে। তবে এই সংঘাত চলেছিল কয়েক শত বছর ধরে। সংঘাতটি ছিল মূলত দুটি সভ্যতার ।
পুন্ড্র রাজ্যে আজ মহোৎসব। মহারাজা জয়সিংহ মৃগয়া থেকে ফিরেছেন। তিনি খোশ মেজাজে আছেন। আট বছর পূর্বে এই দিনে জয়সিংহ সিংহাসনে আরোহন করেন। সেই থেকে দিনটি পুন্ড্র জনপদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। তাছাড়া গত দুই বছর পুন্ড্র রাজ্য পাশ্ববর্তী কোনো রাজ্যের সাথে যুদ্ধে জড়ায় নাই। এই বিষয়টাও রাজ্যবাসীর জন্য স্বস্তির।
তরুণ পন্ডিত অভিমন্যু আজ বিশেষ ব্যস্ত। আগামীকাল দুপুরের পরে তিনি রাজপ্রাসাদের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। রাজবাড়িতে উৎসব উপলক্ষ্যে তিনি নিজে কে প্রস্তুত করছেন। তাকে রাজার প্রশস্তি গাইতে হবে। অভিমন্যুর কণ্ঠটি সুরেলা। তার মাধুর্যময় কণ্ঠে মুগ্ধ হয়ে রাজা তাকে তিন মাস আগে রাজকবি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই পদ প্রাপ্তির আগে অভিমন্যু স্থানীয় টোলে শিক্ষকতা করতেন। সত্যি কথা বলতে কি শিক্ষকতার কাজটা তার বেশি ভালো লাগতো। অভিমন্যুর টোলটা বাড়ির কাছে অবস্থিত। তার ছাত্ররা মূলত অবস্থাপন্ন ব্রাহ্মণ ঘরের সন্তান। বাণিজ্যে প্রভুত অর্থ উপার্জনকারী বৈশ্য বর্ণের দুটো ছেলেও সেখানে শিক্ষা লাভ করে। তবে ব্রাক্ষণ বর্ণের ছাত্রদের থেকে দূরে তারা মাদুর পেতে বসে।
অভিমন্যু কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছিলেন, এই দুই বর্ণের শিক্ষার্থীদের বাইরে আরও একটা বালক সবার পেছনে এসে বসে থাকে। ছেলেটা অখন্ড মনযোগ সহকারে তার পড়া শোনে। অভিমন্যু ছেলেটার জাত সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করেননি। ভিন্ন জাতিবর্ণের সদস্য হলেও পন্ডিত মশাই সবাই কে সমান দৃষ্টিতে দেখেন। অভিমন্যু তার টোলে বেদ বা উপনিষেদের পরিবর্তে গণিত, ইতিহাস চর্বাক দর্শন, মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপন প্রণালী সম্পর্কে আলোচনা করেন। একদিন তিনি টোলে ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। তিনি বলছিলেন,
আর্যীকরণের প্রাথমিক পর্যায়ে অনার্য জনরা তখনো পুরোপুরি পরাজিত হয়নি। তবে আর্যরা ততোদিনে বর্ণপ্রথা প্রচলন করেছে। আর্যরা বিজয়ী হয়ে অনার্য জনগোষ্ঠী কে দাসে পরিণত করে। তারা হয় শুদ্র এবং অস্পৃশ্য। অথচ বিস্মৃত প্রায় দ্রাবিড়ভাষী লোকেরা সিন্ধু সভ্যতার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আরও বলেন,
সভ্যতার উন্নতির সাথে শ্রেণীবিভাগের বৃদ্ধি পেয়েছিল। দ্রাবিড় সমাজের শ্রেণীবিভাগের সর্বোচ্চ ছিল রাজা। তারপর ক্ষেত্রস্বামী বা কৃষক, তারপর বণিত বা ব্যবসায়ী। এইসব শ্রেণী ছিল উচ্চ বা মলোর , তারপর শ্রমজীবী বা বিলইবলার, আর সর্বনিম্নে দাস জাতি। প্রত্যেক শ্রেণীর মধ্যে আবার বহু বিভাগ ছিল। উচ্চ নিচ প্রবণতা দ্রাবিড়ভাষী নরগোষ্ঠীর মধ্যে বিশেষভাবে পরিস্ফুট হয়। তাদের অস্পৃশ্যতাবোধ ক্রমে ভারতের বর্তমান বংশগত অনমনীয় জাতিভেদ প্রথায় পরিণত হয়। পরিশেষে এরা যখন আর্য নরগোষ্ঠীর সংস্পর্শে আসলো তখন আর্যরা তাদের বহু প্রথা গ্রহণ করেছিল। ভারতবর্ষে তারা বৈদিক সভ্যতার প্রতিষ্ঠাতা।
এই পর্যন্ত বলার পর অভিমন্যু লক্ষ্য করেছিলেন, শ্রেণীকক্ষে নীরবতা নেমে এসেছে। কেউ কিছু বলছে না। হঠাৎ সেই নীরবতা ভঙ্গ করে সবার পেছনের ছেলেটা প্রশ্ন করে, পন্ডিত মশাই, জাতিবর্ণ প্রথা তাহলে ঐশ্বরিক কোনো বিধান নয়। মানুষে মানুষে বিভেদ আসলে সুবিধাভোগী মানুষের সৃষ্টি। অভিমন্যুর সম্মুখে বজ্রপাত হলেও তিনি এত অবাক হতেন না। হতভম্বভাবে তিনি এই এগারো বছরের বালকের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
অভিমন্যু পরে খোজঁ নিয়ে জেনেছেন, ছেলেটা জনৈক ডোম্বীর একমাত্র সন্তান। নগরের বাইরে তাদের বসবাস। ছেলেটির পিতৃ পরিচয় অজ্ঞাত। সবাই তাকে কোসল নামে ডাকে।
সেদিনের ঘটনার কথা প্রচার হতে বেশি সময় লাগে নাই। সমাজের উচ্চ বর্ণের মানুষের মধ্যে বিষয়টা তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার করে। একটি অস্পৃশ্য ছেলে কিভাবে টোলে বিদ্যা শিক্ষার সুযোগ পায়? সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রধান মন্দিরে বিষয়টা নিয়ে বিচার সভা বসে। অভিমন্যুকে সেখানে উপস্থিত হতে হয়েছিল। প্রধান পুরোহিত গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন করেছিলেন, পন্ডিত মশাই , আপনি জানেন অস্পৃশ্যদের বিদ্যালাভ নিষিদ্ধ। তারপরও এই ছেলেটি কিভাবে আপনার টোলে অধ্যয়ন করছে? অভিমন্যু উত্তর দিয়েছিলেন, আমার টোলে যারা শিক্ষা গ্রহণ করে তারা সবাই শিক্ষার্থী। আমার কাছে তারা সবাই সমান। সবাই মানুষ।
পুরোহিত কঠিন স্বরে বলেছিলেন, শাস্ত্র মতে, অস্পৃশ্যরা শিক্ষা লাভ করতে পারবে না। যদি তারা বেদের বাণী শোনে তাহলে সীসা গরম করে তাদের কানে ঢেলে দেয়া হয়। অসহায় অভিমন্যু আশেপাশে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখেন , উপস্থিত উচ্চবর্ণের প্রতিটি মানুষের চোখে মুখে সম্মতির লক্ষণ। পরে এক বিকালে অভিমন্যু কোসল কে গোপনে ডেকে বলেছিলেন, বাবা, তুই আর টোলে আসিস না। ভগবান বিশাল ব্রহ্মান্ড সৃষ্টি করেছেন। তুই পৃথিবীর পাঠশালা থেকে জ্ঞানার্জন করতে পারবি। পন্ডিত মশাই লক্ষ্য করেছিলেন, বালকের চোখ দুটো অশ্রু সিক্ত হওয়ার পরিবর্তে জ্বলে উঠেছিল।
মধ্যাহ্নে আহারপর্বের জন্য পন্ডিতের স্ত্রী তাকে ডাকলেন। আজ পন্ডিত পত্নী রান্না করেছেন, সাদা ভাত, মৌরালা মাছের ঝোল আর নলিতা শাক। অভিমন্যু ভোজন রসিক নন। তবু স্বল্পাহার করতে গিয়েও তিনি আজ অন্যমনস্ক। ব্যপারটা স্ত্রীর নজর এড়ায় না। তিনি প্রশ্ন করেন, কি হয়েছে তোমার? রান্না ভালো হয়নি? অভিমন্যু জবাব দেন, রান্না ঠিকই আছে। তারপর একটু ইতস্তত করে বলেন, রাজ্যে উৎসব চলছে। রাজবাড়ি সহ অন্য অভিজাত বাড়ির হেসেলে হরিণ, ছাগ ও পাখির মাংস মসলা সহযোগে রান্না হচ্ছে। আছে বিভিন্ন প্রকার মাছের ব্যঞ্জন, মিষ্টান্ন, পিঠা পায়েস। অথচ শবর, ডোম, বাগদী পল্লীর মানুষদের দু মুঠো অন্ন জোটে না। পন্ডিত পত্নী বলেন, ভগবানের ইচ্ছা। তিনি মানুষ কে সম্পদশালী বা নিরন্ন দুইই করতে পারেন। ভগবানের অশেষ কৃপায় তুমি রাজকবি হয়েছ। আমাদের অভাব ঘুচে গেছে। তারপর আদুরে কণ্ঠে বলেন, আগামী মাসে আমাকে একখানা সোনার হার গড়িয়ে দিও।
অভিমন্যু তার স্ত্রীর দিকে তাকান। নিজের সংসার, নিজের স্বার্থের বাইরে এই নারী আর কিছু চিন্তা করতে পারে না। রূপ আছে বটে সরলার। কিন্তু সেই রূপ হৃদয়ে কম্পন জাগায় না। অভিমন্যু সাবধানে একটা দীর্ঘশ্বাস গোপন করেন।
এখন অপরাহ্ন। সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে। একটু পর সন্ধ্যা নামবে। আজকের দিনটা গুমোট। আকাশে মেঘ থম থম করছে। রাতে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। অভিমন্যু ঘরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় একটা বালক ছুটতে ছুটতে এসে তার আঙ্গিনায় প্রবেশ করে। অভিমন্যু অবাক হয়ে দেখেন, আরে এতো দিব্যক। তার টোলের ছাত্র। দিব্যক হাফাঁতে হাফাঁতে বলে, পন্ডিত মশাই, সর্বনাশ হয়ে গেছে। আজ বিকালে কোসল মন্দিরে প্রবেশ করে বিগ্রহ স্পর্শ করে। ঘটনাটা পুরোহিত দেখে রেগে যান। তখন নাকি কোসল বলেছে, দেবতা তো পুরোহিতের একার সম্পত্তি নয়। দেবতা সর্বজনের। রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে পুরোহিত চিৎকার করে লোক জড়ো করে। তারা এসে কোসল কে হাতেনাতে ধরে। এখন উত্তরের গড়ের মাঠে কোসল কে খুটি পুতে বেধেঁ রাখা হয়েছে। তাকে পুড়িয়ে মারা হবে।
অভিমন্যুর কয়েক মূহুর্ত লাগে পুরো বিষয়টা বুঝতে। তারপর তিনি ঝড়ের বেগে গড়ের মাঠের উদ্দেশ্যে ছুটে যান। মাঠের কাছাকাছি যেতেই আগুনে পোড়া কটু গন্ধের ঘ্রাণ তার নাকে এসে লাগে। তিনি দেখতে পান, অদূরে খুটিতে আগুন জ্বলছে। আর সেই খুটি ঘিরে একদল মানুষ উল্লাস প্রকাশ করছে। অভিমন্যু ভীড়ের মধ্যে গিয়ে তাদের বাধা দেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু খুটির কাছে পৌছাঁবার আগেই মাথার পেছনে প্রচন্ড আঘাত অনুভব করেন। কারা যেন লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করেছে। অভিমন্যু জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান।
অভিমন্যুর যখন জ্ঞান ফেরে তখন মধ্যরাত। জ্ঞান আসার পর দেখেন যে তিনি নিজের ঘরে চৌকিতে শুয়ে আছেন। স্থানীয় লোকজন তাকে সন্ধ্যাবেলা বয়ে এনে দিয়ে গেছে। শিয়রে পন্ডিত পত্নী বসে অভিমন্যুর মাথায় জলপট্টি দিচ্ছেন। স্বামীর জ্ঞান ফিরেছে দেখে তিনি সশব্দে কেদেঁ ওঠেন। কি দরকার বাপু তোমার এইসব ঝামেলায় জড়ানোর? ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর দরকার কি? অভিমন্যু অস্ফুটভাবে বলেন, কোসল, কোসলের কি হয়ছে? পন্ডিত পত্নী উত্তর দেন, ওকে তো পুড়িয়ে মেরে ভস্মাবেশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। বাইরে প্রচন্ড শব্দে বাজ পরে। প্রলয়ংকারী ঝড় হচ্ছে। সেই সাথে মুষলধারায় বৃষ্টি। অভিমন্যুর মনে হলো, মাতা ধরিত্রী কাদঁছেন। তার অশ্রু অঝোর ধারায় বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে। বিশ্বমাতা যেন বলছেন, এই লাশের ভার তিনি বহন করতে পারবেন না। এই অন্যায়ের প্রতিকার হোক।
পরদিন আকাশ মেঘ মুক্ত। আজ উৎসবের তৃতীয় দিন চলছে। রাজ্যবাসীরা আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন কি ডোম, শবর, কাহার পল্লীতেও উৎসবের আমেজ লেগেছে। আজ রাজবাড়িতে কাঙ্গালি ভোজ হবে। রাজপ্রাসাদ থেকে অদূরে এইসব নিম্নবর্ণের মানুষেরা জড়ো হবে। তাদের কলা পাতায় খাবার দেয়া হবে। এই দিনটির জন্য তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।
অপরাহ্নে অভিমন্যু রাজপ্রাসাদের উদ্দেশ্যে রওনা হন। আজ সারাদিন তিনি কোনো কথা বলেননি। আজ তাকে রাজার প্রশস্তি গাইতে হবে। রাজপ্রাসাদ আজ অন্য দিনের তুলনায় বেশি জাকঁজমক পূর্ণ। সভাকক্ষে সভাসদরা ছাড়াও অতিথিরা উপস্থিত আছেন। মান্যবর এইসব অতিথিরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জমিদার। তারা উচ্চবর্ণের সদস্য। অভিমন্যু সভাকক্ষে প্রবেশ করলে সবার দৃষ্টি তার দিকে নিবন্ধ হয়। মহারাজ জয়সিংহ স্বয়ং তাকে অভ্যর্থনা জানান। রাজা বলেন, কোনো আনন্দযজ্ঞ কবিগান ছাড়া পূর্ণ হয় না। রাজকবি এসে গেছেন। তিনি তার সুরেলা কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। উপস্থিত সকলে উৎসুকভাবে রাজকবির দিকে তাকায়।
মানুষের উচ্ছাস এবং রাজানুগ্রহ প্রাপ্তি সত্ত্বেও অভিমন্যুর মধ্যে কোনো চাঞ্চল্য নেই। তিনি নিস্পৃহভাবে সভার নির্দিষ্ট স্থানে দাড়াঁন। তারপর রাজার চোখের দিকে তাকিয়ে গাইতে শুরু করেন,
জাতের নামে বজ্জাতি সব
জাত জালিয়াত খেলছো জুয়া,
ছুলেই তোর জাত যাবে
ছেলের হাতের নয়কো মোয়া।
বলতে পারিস বিশ্বপিতা
ভগবানের কোন সে জাত?
কোন ছেলে তার লাগলে ছোয়াঁ
অশুচি হন জগন্নাথ?
ভগবানের জাত যদি নাই
তোদের কেনো জাতের বালাই?
এই পর্যন্ত গেয়ে অভিমন্যু গান থামান। সভাকক্ষ জুড়ে তখন পিনপতন নীরবতা। অভিমন্যু বলেন, মহারাজ, গতকাল আপনার রাজ্যে একজন নিম্নবর্ণের বালককে বিগ্রহ স্পর্শ করার অপরাধে উচ্চবর্ণের লোকেরা পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আপনি এই অন্যায়ের বিচার করেন। রাজা ক্রোধে কাপঁতে কাপঁতে উঠে দাড়াঁন। তারপর বলেন, কি বললি তুই? পাগল না মাতাল হয়েছিস? অভিমন্যু শান্তভাবে বলেন, আমি মানুষ হত্যার বিচার দাবী করছি। রাজা গর্জন করে বলেন, তোর এতো বড় সাহস। তুই অস্পৃশ্য হত্যার বিচার দাবী করিস? তোর গলা টিপে ধরবো। প্রহরী, একে বন্দী কর। রাজার মন্ত্রীরা এতোক্ষণ এই আদেশের অপেক্ষায় ছিল। হুকুম শোনা মাত্র মন্ত্রীর ইশারায় বিদ্যুৎবেগে ছয়জন প্রহরী এসে অভিমন্যু কে ধরে কয়েদখানায় নিয়ে যায়।
সভায় ইতোমধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অভিমন্যুর কথা বাইরে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগলো না। শবর, ডোম, কাহার প্রভৃতি নিম্ন বর্ণের মানুষরা খাবার ফেলে উঠে দাড়াঁয়। তারা যুগ যুগ ধরে উচ্চবর্ণের মানুষ দ্বারা নিগৃহীহিত এবং নির্যাতিত । তাদের কণ্ঠে ফুটে ওঠে প্রতিবাদের ভাষা। এদিকে রাজন্যবর্গ বসে ছিল না। তারা নিরস্ত্র মানুষের উপর রাজসৈন্য লেলিয়ে দেয়। শুরু হলো হত্যা এবং ধরপাকড়।
রাতের মধ্যে সৈন্যরা বিক্ষোভ দমন করতে সমর্থ হয়। শেষ রাতে কয়েদখানায় অভিমন্যুর শিরোচ্ছেদ করা হয়। রাজ্যে সর্বত্র স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। শুধু যে মানুষটা গান গাইতো, প্রতিবাদ করতো, সত্য, ন্যায়, মানবতার পক্ষে কথা বলতো তার কণ্ঠস্বর চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়া হয়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়জুল মহী চমৎকার লিখেছেন, ভীষণ ভালো লাগলো
doel paki ইতিহাসের গল্পগুলো আসলেই অন্যরকম।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

প্রাচীণকালে বর্তমান বাংলাদেশ বঙ্গ, পুন্ড্র, সুক্ষ্ণ, রাঢ় প্রভৃতি জনপদে বিভক্ত ছিল ।

০৩ মার্চ - ২০১৯ গল্প/কবিতা: ৩৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪