ছেলেটির নাম রুবেল।
বয়স কত হবে?খুব বেশি হলে ১২ বা ১৩?
রুবেলের সাথে আমার পরিচয় স্কুলের পাশের গলিতে।একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে সে আমার পথ আটকে মুখ কাচুমাচু করে বলল,”স্যার,দুইটা টাকা দিবেন?আমার মা নাই স্যার...ভাত খামু?”
আমি হেসে বলি,”দুইটাকায় ভাত হয় নাকি রে ব্যাটা?”সে আমার রসিকতা ধরতে পারল বলেই মনে হয়,কেননা হাত দিয়ে সে মুখের হাসি আড়াল করল।
-চল তোকে সিংগারা খাওয়াই,ভাত তো খাওয়াতে পারব না...
-না,স্যার।দরকার নাই...কয়ডা টাকা দেন।
-ক্যান,খাবি ক্যান?
সে দাত বের করে হেসে বলল,”ভাত খাইছি...হি হি...”
তার হাসি দেখে মনে হল ভাত কজাওয়া বেশ মজার ব্যাপার।
-তোকে কে ভাত খাওয়ালো?
-মা’য়ে দিসে।
-আরেব্বাস!একটু আগে এক লাইনে দুইটা মিথ্যা কথা বললি তাও আবার মাত্র দুই টাকার জন্য?
সে আমার প্রশ্নের ধার ধারল না।নিজের মত করে বলে চলল,”এই এত্তগুলো ভাত খাইছি...(সে দুই হাত দিয়ে যতগুলো ভাত দেখালো তা একজনের পক্ষে কখনো খাওয়া সম্ভব না)মা যে বাসায় কাম করে হেই আপা’য় দিসে।
আমি সাবধানে দীর্ঘশ্বাস গোপন করে চলে এলাম।
এরকম অসংখ্য রুবেলের মা আছে যারা “আপা”দের বাসায় কাজ করে আপাদের দেয়া বাসি-পচা খাবার নিয়ে এসে রুবেলদের মুখে তুলে দিচ্ছে।
সেই খাবারটুকু কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত বা পুষ্টিগুণসম্পন্ন তা পরীর কথা,খাদ্যটা আদও খাওয়ার উপযোগী কিনা তা নিয়েই সন্দেহ।
সমাজের দরিদ্র শ্রেণির এই মানুষগুলো যেমন খাবার সম্পর্কে নির্বিকারচিত্ত,তেমনি আমাদেরও তা নিয়ে খুব বেশি মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না,তাহলে রাস্তার পাশে টোকাইরা এক পলিথিন খাবার নিয়ে মারামারি করতে দেখলে আমরা গাড়ির জানালার কাচ নির্বিকারভাবে তুলে দিতের পারতাম না,মুখ গোমড়া করে বলতে পারতাম না,”যত্তসব”।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রশ্ন তখনই আসে,যখন খাদ্য চাহিদা আগে সম্মপূর্ণ নিশ্চিত করা যাবে।পানিই যদি না পাই তাহলে তো শরবতের আশা করে লাভ নেই।পানি পাওয়া গেলে তবেই শরবতের জন্য
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে,আজকের বাংলাদেশ শীঘ্রই একটি ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ হতে চলেছে।
একটা সময় ছিল যখন আমাদের প্রধাণ চ্যালেঞ্জ ছিলো দেশ থেকে ক্ষুধা দূরীকরণের।যেহেতু আমরা এখন দাবি করছি,দেশের প্রায় শতভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তার অধীনে এসেছে,তাই আমরা এখন স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দিকে নজর দিতে পারি।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সম্পর্কে জনগণকে,বিশেষ করে দরিদ্র জনগণের দিকে নজর দিতে হবে।তার কারণ,তাদের মাঝে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সম্পর্কে যথাযথ কোন ধারণা নেই।তাদের কাছে খাবার হলো এমন এক বস্তু যা পেটপুরে খেতে পারলেই হলো।আমিষ,প্রোটিন,স্নেহ সমৃদ্ধ সুষম খাবার অপেক্ষা লবণ মাখানো সাদা ভাত তাদের কাছে তা হতে অধিকতর উত্তম যদি তা হয় পরিমাণে বেশী।
তারা কখনোই ভেবে পাবে না,কেন টাকা দিয়ে তারা কম পরিমাণ খাবার কিনবে যেখানে তার চেয়ে বেশি খাবার একই দামে পাওয়া যাচ্ছে?পেটপুরে খাওয়াটাই যাদের কাছ একমাত্র লক্ষ্য,তাদের কাছে এরূপ মনে হওয়া স্বাভাবিক।দিনশেষে এসবকে তারা “বড়লোকদের পাগলামী” বলেই ধরে নেবে।
দোষটা তাদের না,আমাদের। স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের উপকারিতা তাদের হলে আগে তাদের যথাযথ শিক্ষার আওতায় আনতে হবে।
এবার ভূমিকা শেষ করে মূল প্রসঙ্গের দিকে যাওয়া যাক।১২ হাত কাকুড়ের ১৩ হাত বিচি থাকতে পারে,১৫ হাত বিচি থাকার কোন মানে নেই।ভূমিকা যতটুকু দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট তো নয়ই বরং বাড়াবাড়ি হয়েছে।
কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে এবার মূল প্রসঙ্গের উত্তর খোজা যাক।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার কী?
স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের সাথে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্পর্ক কি?
তৃতীয় প্রশ্ন,“উজ্জ্বল ভবিষ্যত” বলে আমরা যাকে অভিহিত করছি তা কি কেবল ব্যক্তির স্বার্থের সাথেই সম্পর্কিত নাকি দেশের জাতীয় স্বার্থও জড়িত?
চতূর্থ প্রশ্ন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খেলে তার প্রভাব কতটুকু হতে পারে?
শেষ প্রশ্ন হলো,স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করাটা কার দায়িত্ব?সরকার না ব্যক্তির?
এবার ক্রমাণ্বয়ে এক এক করে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোজা যাক।
আমাদের প্রথম প্রশ্ন হলো,”স্বাস্থ্যসম্মত খাবার কী?” ,কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার তো আর বাংলার “কারক” বা “অতীত কাল” না,যে একে এক লাইনে সঙ্গায়িত করা যাবে।তবে বেশ কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট থেকে মোটা দাগে একে চিহ্নিত করা যায়।
বইয়ের ভাষায় বলতে গেলে,”ক”
তবে এসব বৈশিষ্ট একসাথে খুজতে গেলে ভিটামিন ট্যাবলেট বৈ বেশী কিছু পাওয়া যাবে না।মূলত স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বলতে সেসব খাবারকেই বোঝানো হয় যা আমাদের খাওয়ার জন্য “উপযোগী” এবং একইসাথে “উপকারী” (চিপস,চকলেট ইত্যাদি খাওয়ার উপযোগী হলেও উপকারী নয়,আবার নিকোটিন,আলকোহল ক্ষেত্রবিশেষে মানবদেহের জন্য উপকারী হলেও তা সর্বদা খাওয়ার জন্য উপযোগী নয়)।এই সঙ্গায় যে যথেষ্ট হেয়ালিপনা রয়েছে তার সাথে আমি একমত।কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে যে,একেবারে সহজ-সরল ভাবে দেশের,শিক্ষিত-অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত সবার কাছে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার “জিনিস”টা কি তা বোঝানোর জন্য এর চেয়ে উপযোগী এবং উপকারী সঙ্গা দ্বিতীয়টি নেই।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের সাথে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্পর্ক কী,তা নিয়ে বেশি কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না।এটুকু বললেই যথেষ্ট যে,খাবার হচ্ছে মানবদেহের জন্য জ্বালানী স্বরূপ।ভালমানের জ্বালানী যেমন গাড়িকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে,তেমনি স্বাস্থ্যসম্মত খাবারও এগিয়ে নিয়ে যায় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে।তবে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এক-দুইদিন খেয়ে রাতারাতি “উজ্জ্বল ভবিষ্যত” পাওয়া যাবে না,বলা যেতে পারে এটা হলো দীর্ঘমেয়াদী একটি “প্রকল্প”।
এবার আসা যাক তৃতীয় প্রশ্নে।স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ব্যক্তি তার নিজের কল্যাণেই ব্যয় করছে তা শতভাগ সত্য।কল্যাণটা কেবল স্বাস্থ্যগত না,অর্থনৈতিকও।একজন সুস্থ-সবল মানুষ অবশ্যই একজন রোগা দুর্বল মানুষ অপেক্ষা অধিকতর কর্মক্ষম হয়ে থাকে।
কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ব্যক্তি কেবল নিজের কল্যাণে ব্যয় করলেও সামগ্রিকভাবে দেশের প্রভূত উপকার হচ্ছে।এর মাঝে অন্যতম হলো মানব সূচক উন্নয়ন।পাশাপাশি ব্যক্তির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে দেশের জনগণকে জনশক্তিতে রূপান্তরীত করা সহজ হচ্ছে।
অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার কেবল নিজের জন্যই উজ্জ্বল ভবিষ্যত বয়ে আনছে না,বরং দেশকেও উজ্জ্বল ভবিষ্যত উপহার দিচ্ছে।
চতূর্থ প্রশ্ন “স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খেলে তার প্রভাব কতটুকু হতে পারে?” তার উত্তর খোজার আগে আরেকটা প্রশ্ন করা যেতে পারে,তা হলো,” স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাবে না কেন?”
এই প্রশ্ন শুনলেই কানে দ্রিম দ্রিম করে বাজতে থাকে,” দারিদ্রতা.. দারিদ্রতা... দারিদ্রতা......”
কথাটা সত্য।
আমরা আমাদের মুখে যত বড় বড় বুলিই আওড়ায় না কেন,বাজারে নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির যে হিড়িক পড়েছে,তাতে খেটে খাওয়া দিনমজুর,কৃষক,রিকশাচালক,এমনকি নিম্নমদ্ধ্যবিত্ত মানুষদেরও পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
এই রচনায় বার বার আমার একটি কথা লিখতে মন চাচ্ছিল যে বলি,”স্বাস্থ্যসম্মত খাবার মানেই দামি খাবার নয়।দরিদ্র জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন...”
হাজার চেষ্টা করে লিখতে পারিনি,লিখতে গেলেই নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছিল,চোখের সামনে ফুটে উঠছিল রুবেলদের ব্যঙ্গ হাসি।
বাংলাদেশে দিনে ১০০ টাকার নিচে আয় দেশের শতকরা ৭% মানুষের,অর্থাত প্রায় ১.২ কোটি মানুষ।এইসব মানুষের জন্য “নুন আনতে ভাত ফুরোয়”কথাটা বড় সত্য.৩-৪ সদস্যের পরিবারের জন্য দিনে ৩ বেলা,মোট ১২ থালা ভাত জোগাড় করাই কঠিন সেখানে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার কি সম্ভব মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে?
প্রশ্নটার উত্তর আমি দিব না,হতে পারে প্রশ্নটার উত্তর আমার জানা নেই কিংবা উত্তর দেবার কোন প্রয়োজন অনুভব করছি না।
মূল প্রশ্নে ফিরে যাই,স্বাস্থ্যসম্মত খাবার না খেলে কি কি অসুবিধা হবে।
এই প্রশ্নের উত্তর কারো অজানা থাকার কথা না।খাবার না খেলে “গায়ে জোর হবে না” কিংবা ”মাথায় বুদ্ধি হবে না” এসব কথা ছোটবেলায় মা-বাবাদের কাছে সবাই শুনে এসেছে।কিন্তু এখন বসে বসে এসব লিস্ট করা কোন কাজের কথা না।স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করাটাই হওয়া উচিত এখন আমাদের প্রধাণ চ্যালেঞ্জ।
এবার শেষ প্রশ্ন।
ব্যক্তি তার নিজের জায়গা থেকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেয়ে থাকে তার নিজের স্বার্থেই,সুতরাং নিজের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করাটা সর্বপ্রথম ব্যক্তির উপরই বর্তায়।যেহেতু আমরা এটাকে “দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প” বলছি,তাই ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার ব্যপ্তি যথাসম্ভব দীর্ঘায়িত করতে হবে।
অপরদিকে জাতীয় স্বার্থও যেহেতু এর সাথে সমানভাবে জড়িত,তাই রাষ্ট্রেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।নাগরিকের স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার ব্যপ্তিটুকু দীর্ঘায়িত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
যত বেশি নাগরিক যত বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করবে,রাষ্ট্রের উন্নয়নও ততটাই ত্বরাণ্বিত হবে।
এ থেকে সহজেই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে,স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা কেবল ব্যক্তির একার দায়িত্বই না বরং সরকারের উপরও তা সমানভাবে বর্তায়।
“স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেলে উজ্জ্বল ভবিষ্যত মেলে” কথাটা কোন গুপ্তধন নয়।কিন্তু আমরা এটা বই-পুস্তকে যেভাবে আটকে রেখেছি,মনে হয় এ বুঝি সাত রাজার ধন।এখন সময় এসেছে এ কথাকে ছড়িয়ে দেবার।কথার বাস্তবায়নে কাজ করার।
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার আমাদের গ্রহণ করতেই হবে,কেবল আমাদের স্বার্থেই নয়,আমাদের দেশের স্বার্থেও।
কারণ,আমরা সুস্থ থাকলেই সুস্থ থাকবে বাংলাদেশ।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
শীতকাল আমরা কেবল দেখি আমাদের নিজেদের চোখ দিয়ে,অনুভব করি নিজেদের মন দিয়ে।আমাদের শীতকাল আর রাস্তার পাশের ছেলেটার শীতকাল এক নয়।আমদের শীতকাল আর ফুটপাতের ভিক্ষুকটার শীতকাল এক নয়।তাদের জগতের শীতকাল আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।এই গল্পে চেষ্টা করা হয়েছে সামান্য পরিমাণে হলেও তাদের জগতে প্রবেশ করে তাদের জীবনের দুঃখ-কষ্ট গুলো খুজে বের করার,যেগুলো কিনা আমাদের রঙিন চোখে ধরাও পড়ে না।রঙিন চশমা ছাড়িয়ে এ গল্পে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সমাজের বাস্তবতা,সাথে আমাদের ব্যর্থতাও।
শীতকাল মানেই কেবল সকালে উঠে ভাপ উঠা পিঠা খাওয়া না,রাত্রে গায়ে কাথা মুড়ি দিয়ে আরামের ঘুম না,শীতকাল মানেই গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে ঘুরে বেড়ানো না,সকালের আরামের ঘুম না।এসব সুবিধার বাইরে একদল জনগোষ্ঠী আছে,যাদের কাছে শীতকাল মানে সংগ্রাম করে বেচে থাকা।সেই শীতকালকেই এ গল্পে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হিয়েছে।
২১ জানুয়ারী - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪