মধ্যবিত্ত প্রেম

কৃপণ (নভেম্বর ২০১৮)

আর, এস, রায়হান মজুমদার
  • ১৭৫০
মধ্যবিত্ত পরিবার ছেলে আজাদ কলেজ শেষ করে ঢাকার একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছে। অাজাদের পরিবার গ্রামের বাড়িতেই থাকে। সে তার পরিবারের বড় ছেলে, তার ছোট একটি বোন অাছে। ঢাকায় ম্যাচে উঠেছে নতুন জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিল না, তার মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ে কয়েক দিন ভার্সিটি ক্লাস করতে পারেনি। কয়েক দিন পর সুস্থ হয়ে উঠে।

ম্যাচে বড় ভাইরা টিউশনি করে, তার ও একটা টিউশনি দরকার কিন্তু, কে দিবে?
আজাদ শান্ত স্বভাবের ছেলে কথা-বার্তা কম বলে, তার জন্য রফিক ভাই তাকে পছন্দ করে।
রফিক ভাই তকে দুই টা টিউশনি দিলো।
ক্লাস শেষে করে দুই টা টিউশনি করে আজাদ এখন অনেক ব্যস্ত। এখন তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ক্লাস, টিউশনি সবকিছু ভালই যাচ্ছে।

ভার্সিটিতে নতুন স্টুডেন্ট ভর্তি হয়েছে আজাদ এখন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এর মধ্যে তার ডিপার্টমেন্টের জুনিয়র নিপা নামে একটি মেয়েকে লাইক করে, একই ডিপার্টমেন্ট বলে তাদের মধ্যে দেখা হয়, কথা হয়, আর আজাদ ভাল ছাএ বলে নিপা ও লেখা পড়ার বিভিন্ন বিষয়ে মাঝে মধ্যে আজাদের কাছে বুজেনিতো।

এরই মধ্যে মনের অজান্তেই দু'জন ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
ক্যাম্পাসের অনেকেই তাদের প্রেমের কথা জানে। এই নিয়ে চলতে থাকে বেশ কিছু দিন।
হঠাৎ একদিন নিপার ফোন বন্ধ ভার্সিটি আসেনা, আসলে ও কথা বলেনা।
আজাদ কে এড়িয়ে চলে!!

অাজাদ : কি হয়েছে তোমার?
মন খারাপ কেনো?
তোমায় কোউ কিছু বলছে?
আর এ আজাব নিপা কিছু না বললে আমি বুঝবো কি করে!!

নিপা : তুমি কোথায় থাকো?

আজাদ : আমি ম্যাচ এ থাকি।

নিপা : তোমার বাবা, মা, কোথায়?

অাজাদ : গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

নিপা : তুমি আমাকে আগে বলনি কেনো?

আজাদ : এইটা বলার কি আছে!! তুমি তো আমায় কখনো জিজ্ঞেস করনি।

নিপা : শুনোন অাপনি আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবেন না।

আজাদ : কেনো? আমার ভূল টা কি?

নিপা : আপনার কোন ভূল নাই, সব ভূল আমার আমি ম্যাচে থাকা একটা ছেলে কে ভালোবাসি!! ছি..!
এই বলে নিপা চলে গেলো।

আজাদের মাথায় হাত দু'চোখ থেকে কয়েক ফোটা জল মাটিতে পড়লো, মনে মনে ভাবছে এখন বৃষ্টি হলে ভাল হতো এই জল কেউ দেখত না...
কান্নার জল সবাই দেখে, হৃদয়ের কষ্ট কেউ দেখে না!!
অনেক বার চেষ্টা করেও আজাদ নিপার সাথে কথা বলতে পারেনি।

আসলে ম্যাচে থাকা মধ্যবিত্তের ভালোবাসতে নেই। ম্যাচে থাকা ছেলের কোন শখ থাকতে নেই, ইচ্ছা থাকতে নেই, মধ্যবিত্তের কোন স্বপ্ন থাকতে নেই, মধ্যবিত্তের স্বপ্ন পরবর্তীতে হতাশায় পরিণত হয়। মধ্যবিত্তরা জানে না সুখ কি? এরা বৃষ্টি এলেও ভিজতে চায় না, পরে জ্বর কিংবা সর্দি বাধার ভয়ে। এরা চাঁদ দেখে ঠিক কিন্তু জোছনায় আবির মাখতে চায় না অলস হবার ভয়ে। ঘুণে খাওয়া কাঠের মতো এদের ভিতরটা খেয়ে ফেলে কিছু স্বপ্ন।
ধীরে ধীরে এই আজাদের মতো নিজেকে সপে দেয় ম্যাচে থাকা মধ্যবিত্ত নামক কারাগারে।
তখন তাদের স্বপ্ন, হাঁটাচলা, কথাবার্তা সবকিছুতেই মধ্যবিত্ত ভর করে।

আর এভাবেই কেটে যায় ক্লান্ত দিনের শেষে র্নিঘুম রাত।
ম্যাচে থাকা মধ্যবিত্ত চাইলেও এর থেকে বের হওয়া সম্ভব হয় না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাজমুল হুসাইন শুভ কামনা।ভালো লিখেছেন।আরো ভালো করতে হবে।আমার পাতায় আসবেন।আমন্ত্রন রইলো।
শামীম আহমেদ শুভ কামনা আর ভোট রইল।আসবেন আমার পাতায়,আমন্ত্রণ রইল।
মাইনুল ইসলাম আলিফ সুন্দর লিখেছেন।আরো বেশি বেশি পড়েন,নিশ্চয় আরো ভাল গল্প আমাদের উপহার দিতে পারবেন।শুভ কামনা রইল আর ভোট।আসবেন আমার পাতায়,আমন্ত্রণ রইল।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বর্তমানে অামাদের সমাজের বিত্তবান বড়লোক মানুষের মন মনসিকতা অনেক ছোট এবং কৃপণ প্রাকৃত হয়ে গেছে। এ গল্প থেকে একটি ধনী পরিবারে মেয়ের প্রমের মন মানসিকতা তার নিদর্শন করে।

২৫ অক্টোবর - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪