উত্তরাধিকার

বিজয় দিবস (ডিসেম্বর ২০১৮)

Ahad Adnan
  • 0
  • 0
  • ৬২
‘শফিক গান ধরত আর আমরা গলা মেলাতাম। মফস্বলের একটা নাটক দল করেছিল ছেলেটা। আর অঞ্জন ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ছাত্র। গীটার বাজাত। কিন্তু গীটার কোথায় পাই? একাত্তরের জুলাই মাস। চারদিকে বর্ষার জল। আমরা একটা ভাঙা বাড়িতে। ক্যাম্প, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে আমরা। কয়েকদিন হয়ে গেছে দানা পানি নেই। শেষ রাতে অপারেশন। খালি পেটে আমরা গান ধরছি। বাসন, গ্লাস আমাদের অবলম্বন। গীটার নেই রে, ছিল না কোনদিন’।
‘কি গান, দাদু’?
‘গানের কি আর শেষ আছে রে! দেশটাইতো একটা গানের দেশ। প্রতিদিন নতুন নতুন গান আসছিল বেতারে। আমরা গিলতাম আর গাইতাম। কণ্ঠ ছেড়ে, চোখ দিয়ে, হাতের মুষ্টি পাকিয়ে গান গাইতাম আমরা। একাত্তর শুধু এই দেশটাই পোড়ায়নি দাদু, এই বুকটা পুড়িয়ে দিয়েছিল। হৃদয়টা পুড়ে পুড়ে আমরা হয়ে উঠেছিলাম খাটি সোনা। আমাদের বুক থেকে সুর গর্জে উঠত। ঘর বাড়ি ঠিকানা নাই, দিন রাত্রি জানা নাই’।
শান্ত মন দিয়ে শুনছে দাদুর গল্প। দাদু গান গাইছেন গলা খুলে। পুরোনো কাশিটা আটকে দেয় সময় সময়। একাত্তরের রণাঙ্গনের আগুন সেনা শাহিন মিয়া এখন পুরান ঢাকার একটা খুপরিতে বসে আছেন। গ্রামের মানুষ। শহরে এই বদ্ধ কামরায় দম বন্ধ হয়ে আসে। নাতিটা ছিল বলে রক্ষা। ঘরটাকে একটা মঞ্চ বলে মনে হচ্ছে, আর তিনি এক অভিনেতা। দুর্দান্ত একক অভিনয় চলছে।
‘খাল পার হলে হানাদারদের ক্যাম্প। অন্য সময় শুকিয়ে যায়। তখনতো ভরা বর্ষা। নতুন জলে থই থই করছে খেজুরবাগের খাল। খেজুরবাগ, নাকি ফইটাদী? না, খেজুরবাগই হবে হয়ত। খাল পার হতে হবে। লুঙ্গি কাছা দিয়ে আমরা সাঁতরাচ্ছি। অঞ্জন ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের ছাত্র। বড় বাপের সন্তান। জীবনে লুঙ্গি পরেনি। মাটি ছুঁয়ে দেখেনি। সেই অঞ্জনও তখন কাছা দিয়ে সাঁতার কাটছে। কোন শব্দ নেই, সাপের মত আমরা জল ভাঙছি। এই যে এভাবে’।
লক্ষ্মীবাজারের কামরার মেঝে যেন খেজুরবাগের খাল। শাহিন মিয়া মেঝেতে গড়াগড়ি করছেন। সাপের মত নিঃশব্দে।
‘চোখের সামনে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। কয়েকটা হানাদার জেগে আছে তখনো। আমরা কাঁদা মাটিতে বুক লাগিয়ে লটকে আছি। সুযোগ বুঝে হাতে ভর দিয়ে এগিয়ে যাব। তারপর একটা সময় আক্রমন করে গুড়িয়ে দেব ক্যাম্প। ছুড়ে মারব গ্রেনেড। এই যে এভাবে’।
শাহিন মিয়া হাঁপিয়ে উঠেন দুই হাজার সতেরোতে এসে। বয়স ষাট পেরিয়ে গেছে। হাতে আর সেই জোর নেই। চোখটা যাওয়ার পথে। আহ, চোখ! এই চোখটার জন্যই ঢাকায় আসা। না হলে গফরগাঁওয়ের গ্রামটা ছেড়ে কোনদিনই হয়ত আসতেন না। বউটা নেই পনেরো বছর হয়ে গেছে। ভাতিজার বউ রানু দুই বেলা এসে রেঁধে দিয়ে যায় বলে রক্ষা। ছেলেটা ঢাকায় একটা অফিসে কাজ করে। কষ্টের সংসার। গ্রামে কোন কাজ নেই। দশ বছরের একটা ছেলেকে নিয়ে সংসার। বউটা শিক্ষকতা করে একটা কিন্ডারগার্টেনে। বেতন টেতন নাকি ঠিক মত দেয় না। টিউশন নিতে হয় তাই একবেলা। গ্রামে যাওয়া হয় দুই ঈদে । শাহিন মিয়ার শরীরে অসুখ বাঁধছে আজকাল। বছরখানেক ধরে চোখের আলোটা কমতে কমতে নিভে যাওয়ার পথে। জেলা শহরে একদিন ঢাকা থেকে আসা চোখের ডাক্তারদের চক্ষু শিবির বসেছিল। কাঁপা কাঁপা পায়ে শাহিন মিয়া গিয়ে জানলেন, তার অপারেশন এই শিবিরে হবে না। তার তো রক্তচাপ অনেক বেশি। সাথে ডায়বেটিস। কখন কি হয়ে যায়। এখানে এই দুর্বল শরীরের নিস্প্রভ নয়নে কেও হাত দিবে না। তবে ঢাকায় বড় কোন হাসপাতাল হলে অন্য কথা।
দুই
‘এসব কি করেছেন? দিন দিন কাজ ভুলে যাচ্ছেন নাকি। ভালো না লাগলে চলে যান। ছেড়ে দেন চাকরি। লোকের অভাব নেই’।
‘স্যরি, স্যার’।
‘কিসের স্যরি। শুনুন শাহনুর সাহেব, লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি, এরকম ভুলভাল ফাইল দেখলে ছুড়ে ফেলে দিব আপনাকে। ইউজলেস যতসব। গেট লস্ট’।
টেবিলে মাথা নিচু করে বসে আছেন শাহনুর। ঘামছেন দরদর করে। কান্না পাচ্ছে। কিন্তু কান্না লুকিয়ে রাখার নামই জীবন। এই জীবনটায় খুব বড় একটা বিপদে পড়ে গেছেন শাহনুর। লাঞ্চের সময়। কারও থাকার কথা না এখন। সবাই ডাইনিংএ। করিম সাহেবের মনে হয় একটু মায়াই হয়। হাতে টিফিন বক্স। তিনিও খেতে যাবেন। একটু কথা বলতে ইচ্ছে হল তার।
বয়সে বেশ ছোটই হবে, তাই নাম ধরে ডাকেন ছেলেটাকে। ভদ্র, নিরীহ একটা ছেলে। কাজ করে যায় চুপচাপ। কোন ধরনের বাজে অভ্যাস নেই। তাই বুঝি বকা খায় রোজ রোজ বড় সাহেবের কাছে।
‘মন খারাপ, শাহনুর’?
‘ও, করিম ভাই। কিছু না। আপনি খাওয়া দাওয়া করেন। আমি একটু পরে আসছি’।
চেয়ারটা টেনে বসে পড়েন করিম সাহেব। কিছু একটা হয়েছে।
‘তোমার না বাবা আসবেন শুনেছিলাম, এসেছেন’?
‘হ্যা, তিনদিন আগে এসেছেন তো’।
‘ডাক্তার দেখাবে বলেছিলে, না’?
‘হুম, দেখিয়েছি। চোখের অপারেশন লাগবে। তবে ভর্তি থেকে আগে ফিট হওয়া লাগবে। প্রেসার অনেক বেশি তো। এবার সুগারটাও অনেক বেশি ধরা পড়েছে। অনেক সময় লেগে যাবে, করিম ভাই’।
‘ভালোই টাকা লাগবে, না’?
‘তা তো লাগবেই’।
‘কেমন পড়বে, কিছু জেনেছো’?
‘পরীক্ষা নিরীক্ষা, অপারেশন, ওষুধ, সব মিলিয়ে পঞ্চাশ হাজারের মত লাগবে মনে হয়’।
‘হাতে আছে কিছু? কম টাকা তো না’।
‘নাহ, তেমন কিছুই নেই। কিভাবে থাকবে বলুন? আমি কত আর পাই! বৌয়ের কিন্ডারগার্টেনের চাকরি। নামে মাত্র বেতন, তাও আটকে থাকে সময় সময়। সঞ্চয় তো কিছুই হয় না। দেখি করিম ভাই, কি করা যায়’।
‘আহা, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, এভাবে টাকার অভাবে চোখে দেখতে পারছেন না। ভাবতেই খারাপ লাগছে। চলো খেয়ে আসি। শরীরটা ঠিক রাখা লাগবে তো’।
‘আপনি যান। আমি পরে আসছি’।
তিন
‘তারপর একদিন ফটিককে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে যখন পাওয়া গেল জ্বর, শরীর কাঁপছে, প্রলাপ বকছে আবোল তাবোল। পৃথিবী নামের মহাসাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। কোন তল নেই। এক বাও মেলে না, দো বাও মেলে না’।
‘তুমি ছেলেদের এসব পড়াতে দাদু, আম্মুর মত স্কুলে’?
‘যুদ্ধের পর বিএ টা শেষ করি। এরপর গ্রামের হাইস্কুলে শুরু করি শিক্ষকতা’।
‘তুমি বাংলা পড়াতে, না’?
‘গ্রামের স্কুল তো, শিক্ষক কম। ফটিক, বাংলার মুখ, লিচু চোর পড়িয়েছি। ইংরেজি, গণিত শিখিয়েছি। ইতিহাস পড়িয়েছি। সঠিক ইতিহাস বলেছি। বড় বড় লোকেরা ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে, সেই ভুলভাল ইতিহাস পড়িয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছি। মাটির কথা বলেছি। আমাদের কথা বলেছি। সেই কথা বলতে গিয়ে একদিন চাকরি হারিয়েছি’।
‘তারপর’?
‘তোমার বাবা তখন ছোট, স্কুলে পড়ে। সংসার আমার চলে কি চলে না। একটা মুদির দোকান খুলে বসি। একটা সময় আসে একদিন। আমি মুক্তিযোদ্ধা, এই কথা বললেই বিপদ। স্বাধীন দেশে আমি যেন সবচেয়ে পরাধীন। একদিন কারা যেন দোকানটা পুড়িয়ে দিল’।
কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহিন মিয়া। লক্ষ্মীবাজারের বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
‘দাদু, দুপুর হয়ে গেছে, খাবে না? মা তো ভাত রেঁধে দিয়ে গেছে’।
‘আমার খিদা লাগে না দাদু। তুমি খাও’।
‘তুমি মানুষ না? খিদা কেন লাগবে না’?
‘দোকান টা পুড়ে যাওয়ার পর শহরে রিক্সা চালিয়েছি। সারাদিন না খেয়ে থাকতাম। কোন খিদা নেই। এরপর একটা কলেজে কেরানির চাকরি জুটে। যে বেতন পেতাম কিছুই হত না। সারাদিন না খেয়ে তোমার দাদীকে বলতাম, পেট ভরা, রাতে খাব না। তোমার বাবা তখন কলেজে পড়ত, হোস্টেলে থেকে। একটার পর একটা টিউশন নিত। আমি কোন টাকাই পাঠাতে পারতাম না। ছেলেটা মনে হয় না খেয়ে না খেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছিল। কোন খাবার গলা দিয়ে ঢুকে না দাদু। যুদ্ধের সময়ও ঢুকত না। খেজুরবাগের অপারেশনে শফিক, অঞ্জন দুইজনকেই হারাই। ভাতের থালাটা উল্টিয়ে অঞ্জন বাজাত, শফিক গান ধরত। ভাইয়ের মায়ের এত স্নেহ, কোথায় গেলে পাবে কেহ। যুদ্ধের বাকি দিনগুলোতে থালাতে ভাত নিতে পারতাম না, দাদু ভাই। তুমি খাও, আমি দেখি। ও, আমি তো এখন দেখতেও পারি না’।

চার
শাহনুরের ফোন বেজে উঠে।
‘আপনি এসেছেন? অফিসের পিছনে একটা টঙের চা দোকান। হ্যা, হ্যা, পিছনে। ওখানে থাকুন আমি আসছি’।
ডিসেম্বরের শীত পড়ে গেছে। শাহনুর তবু ঘামছে। ঘেমে শার্ট ভিজে গেছে। পা কাঁপছে রীতিমত। অনেক সময় লেগে যায় অফিসের পিছনদিকের টঙের চা দোকানটায় আসতে।
‘খালি হাতে ক্যান, ফাইল কই’?
‘পাগল হচ্ছেন ক্যান? পাবেন তো। অনেক দরকার না’?
‘ওই, মজা করবেন না। জানেন না, দরকার কি না। অ্যান্টি পার্টির ফাইল। হাপিশ করে দিতে হবে। আনছেন’?
‘টাকা লাগবে আরও’।
‘খা... পুত, তোরে দিছি না টাকা। পেটের নাড়ি বাইর কইরা ফালামু’।
‘মুখ খারাপ করবেন না। আমি বলেছি টাকা দেননি? পঁচিশ দিয়েছেন, আরও পঁচিশ লাগবে। মোট পঞ্চাশ হাজার। না দিলে নাই। এই নিন পঁচিশ। পঞ্চাশ হলে দেন, না হলে খোদা হাফেজ’।
‘দুই পয়সার কেরানি, বার্গেনিং করিস আমাদের সাথে? মিয়া ভাইয়ের সাথে? জানিস, এইখানে তোর লাশ ফেলে দিতে পারি’?
‘লাশ ফেললে তো আর ফাইল পাচ্ছেন না। যাই হোক আমার অফারটা ভেবে দেখবেন’।

শাহনুরের হাতে সেই কাঙ্ক্ষিত ফাইল। পকেটে পঞ্চাশ হাজার টাকা। অফিস রুমের সহকর্মী সবাই খেয়ে এসে পড়েছে। কেও জানে না, কি ঘটে গেছে এই চল্লিশটা মিনিটে। এখন শুধু বসে বসে সময়টা পার করে দিতে হবে। সবাই চলে গেলে চুপটি করে ফাইলটা পাচার করে দিতে হবে। কেও জানবে না।
বাবার অপারেশনটা হচ্ছে তাহলে। সারাটা জীবন কষ্ট করে গেছেন শুধু। দেশটার জন্য জীবনবাজি রেখেছেন। পরিশ্রম করেছেন, সৎ থেকেছেন, হার মানেন নি কোনদিন। তার ছেলে হয়ে কিভাবে হারবে শাহনুর?
ডিসেম্বরের বিকেল। চারটায় আসরের আজান হয়ে যায়। আর তখনই অফিস খালি হওয়া শুরু হয়। সবার শেষে বের হয় শাহনুর। সিঁড়ি দিয়ে যখন নামতে থাকে, মনে পড়ে ছেলেবেলার কথা। বাবার হাত ধরে বিকেলে মসজিদে যেত ছোট শাহনুর। সন্ধ্যায় যেত, ভোরে যেত। বাবা কত কথা বলতেন। যুদ্ধের কথা, কষ্টের কথা, আশার কথা, সততার কথা। শাহনুরের পা ভারি হয়ে আসে। পা আর চলে না।
পাঁচ
‘দাদু, ঘুমিয়ে পড়েছ? তোমার সাথে কত গল্প করার আছে’।
‘না দাদু। জেগে আছি। তুমি আমাকে কি গল্প শোনাবে? আমার কিন্তু এখন রাজা রানি’র গল্প ভালো লাগে না। ভূত, রাক্ষস এসব অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। তুমি আমাকে যুদ্ধের গল্প বল। আমি তো মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি’।
‘হা হা, তোমার বাবাই দেখেনি। দাদু, এইটা ডিসেম্বর মাস? ডিসেম্বর আসলে আমার রক্ত গরম হয়ে আসে। মিছিল করতে ইচ্ছে করে, স্লোগান দিতে মন চায়। আমি কষ্ট ভুলে যাই, পরাজয় ভুলে যাই, মাথা উঁচু করি। তুমি কখনো স্লোগান দিয়েছ’?
‘স্লোগান কি, দাদু’?
‘স্লোগান হচ্ছে নদীর স্রোত, সাগরের গর্জন। একটার পর একটা আছড়ে পড়ে। হাতে হাত ধরে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্লোগান করতে হয়। এসো, তোমাকে স্লোগান শেখাই। মিছিল শেখাই, বিজয় মিছিল’।
ছয়
লোকটা চোখের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছে। শাহনুর এগিয়ে আসছে। মুখে হাসি, প্রশান্তির হাসি। কতদিন এমন হাসি হাসে নি ও।
‘আনছেন ফাইল’?
‘এনেছি, দিব না’।
‘কুত্তার বাচ্চা, কল্লা ফালায়া দিমু। মাল দিছি, ফাইল দে’।
‘এই নিন, আপনার টাকা। পুরো পঞ্চাশ হাজার’।
‘আরও মাল চাস? বেঈমানের বাচ্চা’।
‘বেঈমানের বাচ্চা না, আমি মুক্তিযোদ্ধার বাচ্চা। আমার বাবা জীবনে একটাও হারাম পয়সা ছুঁয়ে দেখেন নি। দুর্নীতি করতে শেখান নি। চোখের অপারেশনের জন্য টাকার দরকার পড়েছিল। এই হারামের টাকা যদি বাবা জানতেন, তাহলে কি বলতেন জানেন? শাহনুর একটা শিক গরম করে আন, চোখে ঢুকিয়ে দে। হারামের টাকায় আমার দেখার দরকার নেই’।
‘এত সাহস তোর? তোকে খুন করে যদি ফাইল নিয়ে নেই’?
‘আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মৃত্যুর ভয় আমার নেই। আমি মাথা উঁচু করে চলে যাব। ফাইল যেখানে ছিল রেখে আসব। মারবেন আমাকে? চেষ্টা করতে থাকেন। গত সাতচল্লিশ বছরে কেও পারে নি আমাদের মারতে’।
হাতে ফাইলটা নিয়ে শাহনুর হাঁটতে থাকেন। বুক উঁচু করে। মুখে হাসি। পিছনে লোকটা হা করে তাকিয়ে আছে। কোন কথা বলার শক্তি নেই।

আর ওদিকে কামরায় নাতিকে মিছিলের স্লোগান শেখাচ্ছেন শাহিন মিয়া।
‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা।
তুমি কি আমি কি, বাঙালি বাঙালি।
লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মানসপটে কিছু গুণগত পরিবর্তন এনেছিল। একজন মুক্তিযোদ্ধা তার চিন্তা চেতনায় এই পরিবর্তন অনুভব করতে পারেন। যেমন একাত্তরের ডিসেম্বর ১৫ অার ১৬, ক্যালেন্ডার বলবে মাত্রই পাশাপাশি দুটো দিন। অথচ এই ষোল একজন বিজয়ীর জীনে গেঁথে দিয়েছিল সাহস, প্রত্যয়, মনোবল, স্পর্ধা শব্দগুলো। তারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে উত্তরাধিকারসূত্রে সঞ্চালিত করেছেন এই চেতনা। যেকোন বিপদ কিংবা বিপর্যয়ে পাশে এসে দাঁড়ায় এই চেতনা।

২৩ সেপ্টেম্বর - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৪২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪