একটি মধ্যবিত্ত ভৌতিক গল্প

অলিক (অক্টোবর ২০১৮)

A R Shipon
  • ৫২
নীলা : এতো রাতে ছাদে কি করো?
রাফি : তুমি? তুমি আবার?
নীলা : হ্যা আমি। আমি ছাড়া কে আসবে আর বলো?
রাফি : হুম সেটাই।
নীলা : আচ্ছা তুমি সিগারেট খাও কেনো? জানো সিগারেট কতটা ক্ষতি করে?
রাফি : নিকোটিন আমাকে সুখ দেয়। আমাকে ভাবতে শিখায়। সবচেয়ে বড় কথা নিকোটিন তোমার দেওয়া কষ্ট গুলো ভুলে থাকতে সাহায্য করে আমাকে।
নীলা : আমাকে অনেক ভালোবাসো তুমি তাই না?
রাফি : ভালোবাসা কি জানিনা। তবে.......
নীলা : থামলে কেনো?
রাফি : আমাকে নিচে ডাকছে। আমি আসি।
নীলা : আমি তোমার কাছে আসলে, তোমার পাসে বসলেই তোমার যত সব কাজ পরে। যাও তুমি।
রাফি চলে আসে। নীলা ছাদের কোনে চুপ করে বসে থাকে।
(পরেরদিন সকাল)
ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই দরজায় নাড়া পরে। রাফি ব্রাশ হাতে নিয়ে দরজা খুলে দেয়।বাড়িওয়ালা এসেছেন। বয়স্ক লোক, মুখভর্তি দাড়ি। দেখতে খুব শান্তশিষ্ট মনে হলেও লোকটা এক নাম্বারে বদের হাড্ডি। বাসার ভাড়া ৫ তারিখ এর জায়গায় ৬ তারিখ হলেই চেঁচামেচি শুরু করে। আর মাঝে মাঝে বাসায় ঢুকে এটা সেটা নিয়ে অভিযোগ তো থাকবেই। যাস্ট ছাদটা আছে বলে আর নীলার জন্য এই বুইড়া খাটাস এর বাড়িতে আছে সে।
রাফি : আসসালামু আলাইকুম কাকা, কেমন আছেন?
বাড়িওয়ালা ঃ ভালো ।
রাফিঃ আজ তো ৩ তারিখ। আমি ৫ তারিখের মধ্যেই আপনার বাসার ভাড়াটা দিয়ে দিবো।
বাড়িওয়ালা : ভিতরে আসতে পারি স্যার ?
রাফি : আপনার বাড়ি, আপনি আসবেন না। আসেন।
বাড়িওয়ালা ভিতরে ঢুকে এক এক করে সব রুম, টয়লেট খুটিয়ে খুটিয়ে দেখে।
বাড়িওয়ালা : আমার এতো সুন্দর বাসাটাকে একদম শেষ করে দিছে। এর জন্যই ব্যাচেলর ভাড়া দেওয়া ঠিক না।
রাফি : কাকা আপনার বাসাতো ঠিকই আছে। আমি তো কোন কিছুই করিনি। এমনকি দেয়ালে একটা পেরেকও মারিনি।
বাড়িওয়ালা : আবার মুখে মুখে তর্ক, তর্ক করো আমার সাথে? খুব হেটম হয়ে গেছে? যাও.........
রাফি : কোথায় যাবো?
বাড়িওয়ালা : এই বাড়িতে তোমার আর থাকতে হইবো না। আমি আর আমার বাসায় ব্যাচেলর রাখুম না। আমি ৫০০০ টাকা বেশি ভাড়ায় এই বাসা এক ফ্যামিলিকে ভাড়া দিছি। তারা ৫ তারিখ সকালে এই বাসায় উঠবে। তার আগেই তুমি বাসা খালি করবা।
রাফি : (রাগান্বিত কন্ঠে) মগের মল্লুক নাকি?আজ ৩ তারিখ আর আপনি এসে বলবেন ৫ তারিখ বাসা খালি করে দিতে হবে আর আমি খালি করে দিবো। এডভ্যান্স দেওয়া আছে আমার। বাসা খালি করার একমাস আগে নোটিস দিতে হবে। এটাই আইন।
বাড়িওয়ালা : আমাকে আইন শিখাও? জজ্ঞি কইয়া পুলিশে ধরাই দিমুনে তখন বুঝবা।রাফি : যান এখান থেকে, আমি বাসা ছাড়বো না। কি করবেন করেন।
বাড়িওয়ালা : দাড়াও দেখতাছি।
বাড়িওয়ালা চলে যায়। রাফি হাত মুখ ধুয়ে ছাদে এসে কিছুখন বসে তারপর অফিসের দিকে রওনা দেয়।
রাফি ছোট একটা ফার্মে চাকরি করে, বেতনও অল্প । জনাব খান হেলাল রাফির বস। রাফি প্রায় প্রতিদিনই অফিসে লেট করে আসে। এটা একরকম ওর অভ্যাস হয়ে গেছে।
রিওন ঃ রাফি তুই আজও দুই ঘন্টা লেট করে আসলি। এভাবে করতে থাকলে তো একদিন ভাইয়া খেপে গিয়ে তোকে অফিস থেকে বের করে দিবে।
রাফি ঃ আর বলিস না ভাই, বাড়িওয়ালা আজ হটাত করে বলে এই ৫ তারিখে বাসা ছারতে হবে। উনার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে দেরি হয়ে গেলো।
রিওন ঃ আচ্ছা এখন কাজ কর কথা কম বল , কারন হেলাল ভিতর থেকে সব দেখতেছে।
রাফি কোন রকম অফিস শেষ করে বাসায় ফিরে এসে ছাদে উঠে। প্রতিদিনের মত ছাদের কোনায় গিয়ে বসে। একটু পরেই নীলা আসবে, নীলার সাথে কিছুখন সময় দিয়ে আজ ঘুমিয়ে পরবে।
পিছন থেকে নীলা রাফির কাধে হাত রাখে
রাফি ঃ আবার তুমি ?
নীলা ঃ এমন ভাব করো যে আমি সারাদিন তোমার পিছনে লেগে থাকি , সারাদিনে এইটুকুই সময়ই তো কথা বলি।
রাফি ঃ কেমন আছো ?
নীলা ঃ ভালো না। গতকাল রাতে তোমাকে নিয়ে একটা দূঃস্বপ্ন দেখেছি । একটু সাবধানে থেকো ।
রাফি ঃ হাহাহাহাহাহা। তুমি আমাকে নিয়ে টেনশনও করো ?
নীলা ঃ হ্যা আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তোমাকে নিয়ে টেনশন করবো না ?
রাফি ঃ ভালোবাসলে চলে গিয়েছিলে কেনো ? কেনো আমাকে এই ছাদে কেদে জ্ঞ্যান হারাতে হয়েছিলো ?
নীলা উঠে চলে যায়। রাফি পকেট থেকে সিগারেটের বের করে ধরায় । কিছুখন পর নিচে শব্দ পেয়ে নিচে গিয়ে দেখে দুইজন পুলিশ তার রুমের সামনে।
রাফি ঃ কোন সমস্যা ?
পুলিশ ঃ আপনি কে ?
রাফি ঃ আমি রেদওয়ান রাফি ।
পুলিশ ঃ ওহ তুই তাইলে সেই জজ্ঞি । চল থানায় চল।
পুলিশ রাফিকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় গিয়ে রাফি পুলিশ স্টেশনের নাম্বার থেকে তার বসকে ফোন দিয়ে আসতে বলে । খান হেলাল সাহেব এসে রাফিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় এই শর্তে যে রাফি ঐ বুড়োর বাসা ছেরে দিবে।
খান হেলাল ঃ এখন কোথায় উঠবি রাফি ?
রাফি ঃ জানিনা।
খান হেলাল ঃ আজকের মত কোন বন্ধুর বাসায় গিয়ে থাক ।
রাফি ঃ হুম।
রাফি সালাউদ্দিনকে ফোন দেয়। সালাউদ্দিন জানায় তারা ৫ তারিখ নতুন বাসায় উঠবে সেখানে একটা সিট খালি আছে চাইলে শেয়ার করে থাকতে পারে।
৫ তারিখ সকালে নতুন বাসায় সালাউদ্দিনের সাথে উঠে রাফি। রাফির রুমে রাফির সাথে আরেকজন থাকবে । সালাউদ্দিনের এক বোনের ছেলে আসিফ। আসিফ একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ করছে ।
নতুন বাসার ছাদের উঠার পারমিশন নেই। তাই আর ছাদে যাওয়া হয় না রাফির। রুমের সাথে বড় বারান্দাটাই এখন রাফির অবসর সময়ের সঙ্গী। এখন আর নীলার সাথে দেখা হয় না। রাফি মাঝে মাঝে আগের বাসার সামনে গিয়ে হাটাহাটি করে কিন্তু নীলার দেখা পায় না । পাবে কি করে ? রাফি ধানমন্ডি আর নীলা উত্তরা।
এতোদিনে আসিফ আর রাফির খুব ভালো একটা সম্পর্ক হয়ে গেছে ......
রাত ২টা বাজে
আসিফ আর রাফি সুয়ে সুয়ে কথা বলছে এমন সময় একটা বাচ্চার চিৎকার শুনতে পায়।
আসিফ ঃ মামা কিছু শুনেছেন ?
রাফি ঃ হ্যা।
আসিফ ঃ মামা আমি কিন্তু প্রায় প্রতিদিন রাতেই এক বাচ্চার চিৎকার, কান্নার শব্দ শুনতে পাই।
রাফিঃ হুম। আমিও, মনে হয় পাশের বাসার ফ্ল্যাটে কোন বাচ্চা আছে ।
আসিফঃ হ্যা সেটাই হবে। কিন্তু এই রকম ভয়ানক চিৎকার করে কেন? ভয় পেয়ে যাই । হাহাহাহাহাহাহা(হেসে উঠে দুজনে)
পরেরদিনও সন্ধ্যায় রুমে ফিরে আসে রাফি। এসে বারান্দায় বসে সিগারেট ধরায়। সিগারেট টানছে এমন সময় সে খেয়াল করে পাসের ফ্ল্যাটে টয়লেট থেকে মৃদ কুকিয়ে কুকিয়ে কান্নার শব্দ আসছে। ঠিক সেই সময় সালাউদ্দিন বারান্দায় আসছে।
সালাউদ্দিন ঃ কিরে পাগলা কি করিস ?
রাফি ঃ এইতো নিকোটিন এর সাথে প্রেম করছি।
সালাউদ্দিনঃ কেন তোর নীলা তোর কাছে আসে না ?
রাফিঃ হাহাহাহাহা। আচ্ছা দোস্ত পাসের বাসা থেকে মনে হয় কান্নার শব্দ আসছে শুনতে পাচ্ছিস ?
সালাউদ্দিনঃ কই ? আমি তো কিছু শুনতে পাচ্ছি না।
রাফিঃ আচ্ছা বাদ দে ।
সালাউদ্দিনঃ তুই কি আবার ভুত নিয়ে গবেষনা শুরু করলি নাকি ?
রাফি ঃ আরে না, গল্পটল্প লেখা বাদ।
সালাউদ্দিনঃ লিখ না দোস্ত আবার ভুতের গল্প। খুব মিস করি।
রাফিঃ দিন গুলো হারিয়ে গিয়েছে বন্ধু।
এর মধ্যে আসিফ চলে আসে। তিনজন মিলে গল্প করে তারপর রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে শুয়ে ঘুমিয়ে পরে।
হটাত মাঝ রাতে আসিফ রাফিকে ডেকে তুলে।
আসিফ ঃ মামা, মামা উঠেন।
রাফি ঃ কি হইছে মামা ?
আসিফ ঃ ঐ বাচ্চাটা দেখেন কিভাবে চিৎকার করছে। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আসেন ঐ ফ্ল্যাটে গিয়ে বাচ্চাটাকে উদ্ধার করি।
রাফি ঃ নাহ এতো রাতে যাওয়াটা ঠিক হবে না।
আসিফ ঃ বারান্দায় গিয়ে দেখি আসেন।
রাফি আর আসিফ বারান্দায় যায়। কিছুক্ষন পর কান্না থেমে যায়।
আসিফ ঃ দেখছেন মামা আমাদের মনে হয় দেখেছে। তাই মাইর থামিয়ে দিয়েছে।
রাফি ঃ কিন্তু ঐবাসায় কোন আলো নেই কেনো? দরজা জানালা সব সময় বন্ধ কেনো?
আসিফ ঃ মামা জানেন ঐ পিচ্চি মাঝে মাঝে গোংইয়ায় । ঐ শব্দ গুলো খুব কানে লাগে, অসহ্য একটা ব্যাথা অনুভব করি।
রাফি ঃ এগুলা নিয়ে দিনে আলোচনা করা যাবে, এখন চলো ঘুমাই। সকালে অফিস আছে ।
রাফি আর আসিফ এসে ঘুমিয়ে পরে।
সকাল ৭টায় আসিফ ঘুম থেকে উঠে ক্লাসে চলে যায়। আর রাফি ঘুমিয়ে থাকে।
আজ রাফির প্রচন্ড ঘুম। কাথামুরি দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। ঘুম জেনো তাকে আজ শক্ত করে জরিয়ে ধরেছে, কোনভাবেই বিছানা থেকে উঠতে দিচ্ছে না। এদিকে এক এক করে ফ্ল্যাটের সবাই যার যার কাজে বেরিয়ে গেছে।
দুপুর ১২টাঃ
কে জেনো রাফির পায়ের কাছে কাথা ধরে টানছে। রাফি ধিরে ধিরে চোখ খুলে দেখে একটা ৮/৯ বছরের বাচ্চা মেয়ে তার কাথা ধরে টানছে ।
রাফি ঃ কে তুমি ? ডিস্টার্ব করছো কেনো ?
মেয়েটি ঃ ভাইয়া চা খাবেন ?
রাফি ঃ কে তুমি ?
মেয়েটিঃ আমার নাম মিম, আমি কাজের মেয়ে।
রাফি ঃ এইটুকু পিচ্ছি কাজের মেয়ে ? খালার মেয়ে তুমি ? তার সাথে আসছো ?
মিমঃ চা খাবেন না? আমার চা খাইলে মজা পাইবেন।
রাফি ঃ আচ্ছা যাও চা বানাইয়া নিয়ে আসো, আমি আরেকটু ঘুমাই।
মিম মিনিট ১০ পরে এক মগ চা বানিয়ে নিয়ে এসে রাফিকে ডেকে উঠায়।
রাফি ঃ বাহ! আজ অনেকদিন পর বেডটি পেলাম । আগে বাড়ি গেলে আম্মু বেডটি করে দিতো ।
মিমঃ আপনার আম্মায় আপনারে অনেক আদর করে তাই না?
রাফিঃ হুম। কেন তোমার মা তোমাকে আদর করে না?
মিমঃ আমি তো কাজের মেয়ে, মায়ের সাথে থাকি না। বাড়িওয়ালা আর ম্যাডাম এর সাথে থাকি।
রাফিঃ উনারা আদর করে না ?
রাফি কথাটি বলে মিমের দিকে তাকায়। মিমের চোখ দিয়ে পানি ঝড়ছে। রাফি খেয়াল করে দেখলো মেয়েটির চেহারায় একটা আলাদা মায়া আছে। ওর হাতে ছেনি দিয়ে ছ্যাকার দাগ।
রাফিঃ তোর মালিক কি তোরে মারে ?
মিম ঃ ভাইয়া আপনি তো গল্প লেখেন তাই না ?
রাফিঃ কে বলছে তোমাকে ?
মিমঃ ভাইয়া ঐযে তনু, মিতু, খাদিজা, ঐ আপাদের নিয়ে তো অনেকেই অনেক গল্প লিখছে তাই না?
রাফিঃ তোমার কি ফেসবুক একাউন্ট আছে ? এতোকিছু কি করে জানো?
মিমঃ আমার ম্যাডামের আছিলো।
রাফিঃ মিম তুমি কিন্তু চা টা অসাধারন বানিয়েছো।
মিমঃ ধন্যবাদ ভাইয়া। (একটু থেমে) ভাইয়া আপনি তো ভূতের গল্প লিখেন তাই না?
রাফি ঃ হুম । তুমি ভূত ভয় পাও না?
মিমঃ ভাইয়া আমি একটা গল্প জানি, শুনবেন?
রাফিঃ মিম আমি তোমাকে প্রশ্ন করলে এরিয়ে যাও কেনো?
মিমঃ ভাইয়া আরেক মগ চা করে নিয়ে আসি, চা খান আর গল্প শুনেন।
মিম কথাটি বলেই রাফির হাত থেকে মগ নিয়ে দৌড় দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। এইফাকে রাফি আবার কাথামুরি দিয়ে সুয়ে পরলো এবং যথারিতি ঘুমিয়ে পরলো । একটা মানুষ যে কিভাবে এতো ঘুমাতে পার সেটা আমার বুঝে আসেনা। সোয়ার সাথে সাথেই ঘুম।
কিছুক্ষন পর মিম আবার এসে ডেকে তুলে চা দেয়।
রাফি ঃ বলো তোমার গল্প।
মিমঃ আচ্ছা শুনেন।
রাফিঃ (চায়ের কাপে মুখ দিয়ে) বলো।
মিমঃ আমার গল্পের মাঝে কিছু বলবেন না, সুধু শুনবেন।
রাফিঃ তুমিতো খুব সুন্দর করে কথা বলো, কাজের মেয়েরা কি এতো সুন্দর করে কথা বলে। আচ্ছা তোমার গল্প বলো, আমি কথা বলবো না। এই চুপ।
মিমঃ
গ্রামের নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে আনিকা। কোন এক কারনে হাটাত আনিকার বাবা আর্থিকভাবে খুব সমস্যায় পরে। এতোটাই খারাপ অবস্থা যে আনিকার স্কুলের খরচ পর্যন্ত জোগার করতে পারছিলো না। কিন্তু আনিকার বাবার খুব স্বপ্ন আনিকা অনেক পড়ালেখা করবে, ডাক্তার হবে। কিন্তু তার আর্থিক অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় আনিকার পড়ালেখা প্রায় বন্ধ হওয়ার অবস্থা। এমন সময় আনিকার বাবা তার পাশের গ্রুপের একবন্ধুর সাথে কথা বলে। বন্ধুর ছেলে সাইদ সাহেব। সে ঢাকায় একটা ব্যাংকে চাকরি করে। কিছুদিন আগে এক বাচ্চা হয়েছে তার।
সাইদ সাহেব এর বাবা আনিকার বাবাকে প্রস্তাব করে যে সে তার ছেলের বাসায় রেখে আনিকাকে পরাবে। আনিকা ঢাকাতে পরবে । আনিকার সব খরচ আনিকার বাবার বন্ধুর ছেলে সাইদ দিবে। আর আনিকা থাকলে সাইদ সাহেবের বাচ্চার মাঝে মাঝে দেখাশুনা করবে।
আনিকার বাবা তার বন্ধুর প্রস্তাবে খুব খুশি হন। বাসায় এসে আনিকার মা এর সাথে পরামর্শ করলে সে প্রথমে নারাজ হলেও আনিকার ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রাজি হয়।
আনিকা ঢাকায় আসে। ঢাকা তার ভালো লাগে না। চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থাকতে হয় সারাদিন তাকে। সে আশায় থাকে সাইদ সাহেব ছুটি পেলে তাকে নিয়ে গিয়ে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিবে। কিন্তু না, স্কুলে যাওয়া হয় না আনিকার। প্রথম প্রথম সাইদ সাহেবের বাচ্চার দুধ গরম করে দেওয়া আর সাইদ সাহেবের স্ত্রী গোসলে গেলে বাচ্চার পাশে বসে থাকতে হতো, আর এখন আনিকাকে বাসার সব কাজ করতে হয়। একজন কাজের মেয়ে যা যা করে সব কাজ করে আনিকা।
ধিরে ধিরে আনিকা অতিষ্ট হয়ে উঠে। কাজে তার মন বসে না, বাবা মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু জানেন ভাইয়া ওরা আনিকাকে তার বাবা মায়ের কাছে যাওয়া তো দুরের কথা তাদের সাথে ফোনে কথা বলতে দিতো না।
রাফিঃ আনিকা কি তোমার পরিচিত?
মিমঃ ভাইয়া আমি আগেই বলেছি আপনি কোন কথা বলবেন না গল্পের মাঝখানে।
রাফিঃ আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। তবে তুমি কাদছো, তোমার চোখ দিয়ে পানি পরছে । তুমি কান্না থামিয়ে গল্প বলো।
মিমঃ
আনিকার মন আর কাজে নেই তাই কাজে ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এই ভুলের জন্য তার উপর শারিরিক অত্যাচার শুরু হয়। একদিন কি হয় জানেন ভাইয়া, আনিকা ভাতের পাতিল থেকে ভাত বেড়ে দিচ্ছে সাইদ সাহেবের প্লেটে। একটু ভাত চামচ থেকে পরে গিয়ে সাইদ সাহবের হাতে পর। সাইদ সাহেব উহ! করে চিৎকার দিয়ে আনিকার হাতটা টেনে নিয়ে গরম ভাতের পাতিলে ঢুকিয়ে রাখে। আনিকা চিৎকার করে কাদতে থাকে। কিন্তু কেউ আনিকার কান্নার শব্দ পায় না।( মিমের চোখ দিয়ে অঝরে পানি ঝড়ছে)
সুধু সাইদ সাহেবই নয় ছোট ছোট ভুলের জন্যও সাইদ সাহেবের স্ত্রী আনিকাকে মারধোর করত। সাইদ সাহেবের স্ত্রীর ব্লাউজ স্ত্রি করতে গিয়ে সামান্য পুরিয়ে ফেলার অপরাধে তিনি আনিকার পিঠে গরম স্ত্রির ছ্যাকা দিয়েছিলো।
রাফিঃ এতো ছোট মেয়েটি কিভাবে এই গল্প বলছে আমার মাথায় ধরছে না। আচ্ছা বলো।
মিমঃ একদিন সাইদ সাহেবের স্ত্রি তার একবোনের বাসায় যায়, এবং রাতে আসতে পারবে না বলে জানায়। আনিকা রান্নাঘরে থাকতো। গভির রাতে সাইদ সাহেব এসে আনিকা তার বেড রুমে নিয়ে যায়। বিছানায় নিয়ে আনিকার সারা শরীরে হাত বুলায়। আনিকা ভয়ে ভয়ে বলে কি করছেন ভাইয়া, আমার ভালো লাগছে না, আমাকে ছেরে দেন, আমি ঘুমাবো। কিন্তু সাইদ সাহেব আনিকার কথায় পাত্তা দেয় না। আনিকার শরীরের জামাকাপর সব খুলে ফেলে। সারা শরীর কাপরে, আচরে ক্ষত বিক্ষত করে, আনিকার সাথে তারপর( মিমের হাত পা কাপছে, চোখ দিয়ে পানি, মুখে ভয়ের একটা ছাপ) বুঝতেই পারছেন কি করেছে। আনিকার অনেক রক্তক্ষরন হয়। সকালে সাইদ সাহবের স্ত্রী চলে আসে। স্ত্রী আনিকার আচরন দেখে সন্দেহ করে। বুঝছেনই তো ভাইয়া এতোটুকু একটা বাচ্চার সাথে এই পৌশাচিক আচরনের পরের সকালে তার আচরন কেমন হতে পারে। সাইদ সাহবের স্ত্রি আনিকা অনেক মারধর করে জিজ্ঞেস করে যে কি হয়েছিলো। গতকাল রাতের অত্যাচার আর সকাল দুপুরের মারধর আর সহ্য না করতে পেরে আনিকা সব বলে দেয়। এরপর রাতে সাইদ সাহেব আসলে তার স্ত্রি তাকে জিজ্ঞেস করে, তাদের মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয় । একসময় আনিকাকে ডেকে জিজ্ঞেস করে সব কথা। আনিকা বলে, আনিকার কথা শুনে সাইদ সাহেব আনিকাকে শরীরের সব শক্তি দিয়ে থাপ্পর মারে। আনিকা মাটিতে পরে যায়। সাইদ সাহেবের স্ত্রী আনিকার পেটে লাথি দিয়ে বলে এই মাগির মেয়ে উঠ, বল সব সত্য কথা। কিন্তু আনিকার উঠার শক্তি আর নেই। আনিকা না উঠায় তারা রেগে আরো মারতে থাকে। একসময় আনিকার দেহ নিস্তেজ হয়ে যায়। কিছুখন পর সাইদ সাহেবের সন্দেহ হয়। সে আনিকার হার্টবিট চেক করে দেখে আনিকা আর বেচে নেই।
রাফিঃ হোয়াট?
(মিম অঝরে কেদে চলছে, তার হাত পা কাপছে, কথা বলতে মুখ আটকে যাচ্ছে)
মিমঃ সাইদ সাহেব আর তার স্ত্রি ভয় পেয়ে যায়। কি করবে ভেবে পায় না। অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর তারা সিধ্যান্ত নেয় তাদের বাসার সামনের ছোট বাগানের মাঝে মাটিতে একটা পানির হাউস আছে সেখানে লাশ ফেলে রাখবে। সেই মত লাশ ফেলে দেয়। এবং তারা আনিকার বাড়িতে জানিয়ে দেয় যে আনিকা নাকি এক ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছে। সাইদ সাহেব এবং তার স্ত্রি তার কিছুদিন পরেই বিদেশে চলে যায়।
হটার রাফির ফ্ল্যাটের কলিং বেল বেজে উঠে।
রাফিঃ আনিকা তুমি বসো। ওহ সরি, মিম তুমি বসো কে জেনো এসেছে আমি দরজা খুলে দিয়ে আসি।
মিমঃ (মুচকি হেসে) আচ্ছা ভাইয়া।
রাফি দরজা খুলে দেয়। খালা এসেছে।
রাফিঃ খালা আপনি বাইরে গেলেন কখন?
খালা ঃ কি কন মামা, আমি আসলামই তো মাত্র।
রাফিঃ আপনি মাত্র আসলেন মানে? আপনার মেয়ে মিম তো সেই কখন এসেছে, এর মধ্যে আমাকে দুইবার চা বানিয়ে চা ও খায়িয়েছে।
খালাঃ কি যে বলেন না মামা। আমার মেয়ে আসবো কোথায় থেকে, আমার ত এক ছেলে।
খালার কথা শুনে রাফির মাথায় জেনো আকাস ভেংগে পরে। সে দ্রুত তার রুমে এসে দেখে সেখানেও কেউ নেই। তাহলে এতোখন তার সাথে কে কথা বললো? কে তাকে চা করে খাওয়ালো? চায়ের কাপ তো ঠিকই আছে। হাত পা কাপছে রাফির। কোনমতে গিয়ে টেবিলের সামনে রাখা চেয়ারে গিয়ে বসে সে। চেয়ারে বসে টেবিলে হাত রাখতেও হাতে পরে ছোট এক টুকরো কাগজ যেখানে লিখা “““আনিকা ভালো নেই, আনিকা মুক্তি চায়”””
আসিফ রুমে আসে।
আসিফঃ মামা মন খারাপ নাকি? চুপ হয়ে আছেন যে?
রাফিঃ নাহ (নিচু কন্ঠে)
আসিফঃ মামা আজ কিন্তু পাশের বাড়ি যাওয়ার কথা। ঐ ফ্ল্যাটের লোকদের বলতে হবে ঐ বাচ্চাকে না মারার ব্যাপারে। আর মারলে পুলিশে খবর দিবো সেই হুমকিও দিতে হবে।
রাফি আসিফের মুকের দিকে তাকিয়ে বলে এখনি যাবো।
রাফি আর আসিফ ঐবাড়ি যায়। দুইতলার এই ডুপ্লেক্স বাড়িটিতে মনে হয় না তেমন কেউ থাকে। অনেকবার বেল চাপার পর বাড়ির কেয়ার টেকার দরজা খুলে দেয়।
কেয়ারটেকার ঃ কি চাই?
আসিফঃ আমরা পাশের বাড়ীর দোতালায় থাকি।
কেয়ারটেকারঃ তো ।
আসিফ ঃ এই বাড়ির দোতালার বাসিন্দাদের সাথে আমরা একটু কথা বলবো।
কেয়ারটেকারঃ হাহাহাহাহা, এই বাড়িতে কেউ থাকে না আমি ছাড়া। আমি নিচের এই গ্যারেজে থাকি।
রাফি; মানে ? কেউ থাকে না আর?
কেয়ারটেকারঃ নাহ। মালিকরা ২২দিন হয় বিদেশ চলে গেছে।
রাফিঃ মালিকের নাম কি ?
কেয়ারটেকারঃ মিঃ সাইদ।
রাফি আসিফের কাধে হাত দিয়ে প্রায় পরে যেতে থাকে। আসিফ কোনমতে ধরে ফেলে।
রাফিঃ বাড়ির কাজের মেয়ের নাম কি আনিকা ছিলো?
কেয়ারটেকারঃ হ্যা। ফাজিল মাইয়া। এইটুকু বয়সে এক পোলার লগে ভাইগা গেছে।
আসিফ আর রাফি চলে আসে। রাফির নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। কোন কিছুই তার মাথায় ঢুকছে না। বারবার তার চোখে আনিকার মুখ ভেষে উঠছে, আনিকার কান্না, থরথর করে কাপা আনিকার দেহ, আনিকার লেখা চিঠি “““আনিকা ভালো নেই, আনিকা মুক্তি চায়”””
আনিকা কেনো রাফির কাছো আসলো।
আসিফ ঃ মামা আমি ঘটনা কিছু বুঝলাম না। ঐবাসায় কেউ থাকে না, কিন্তু প্রতি রাতেই আমরা কান্নার শব্দ, চিৎকার শুনতে পাই। ঐবাড়িতে কি তাহলে ভুত আছে?
রাফিঃ ঐবাড়িতে আনিকা আছে, আনিকার আত্তা আছে।(কাপা কাপা কন্ঠে)
আসিফঃ মানে? কি বলছেন কিছুই বুঝছি না। আর হলোটা কি আপনার?
রাফি আসিফকে সব বলে। সব শুনে আসিফও নিস্তব্ধ হয়ে যায়। ওরা কি করবে বুঝতে পারছে না।
দারোয়ানকে অনেক বলে কয়ে বাসার ছাদের চাবি নিয়ে ছাদে যায় রাফি। রাফির যখন মন খুব বেশি খারাপ থাকে সে তখন ছাদে যায়। ছাদে গিয়ে খোলা আকাস দেখলে তার মনটা একটু ভালো হয়।
ছাদের এককোনায় গিয়ে বসে রাফি। সিগারেট ধরায় আর আনিকার কথা ভাবছে। হটাত তার পিছন থেকে কাধে কোমল একটা হাত স্পর্শ করে, হকচকিয়ে পিছনে ফিরে তাকায় রাফি। পিছনে ফিরে দেখে নীলা এসেছে নীল শাড়ী, কালো টিপ, খোলা চুল আর হাতে একগুচ্ছ নীল চুরি। যদিও পিছনে ফিরে সে আনিকাকে দেখতে চেয়েছিলো।
রাফিঃ এতদিন পর এলে যে ?
নীলাঃ তুমি তো ছাদে আসো না, ভুলে গেছো আমায়।
রাফিঃ আচ্ছা তুমি আমার কাছে আসো কেনো? তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
নীলাঃ ভালোবাসি বলেই তো আসি।
রাফিঃ তাহলে বাস্তবে আসো না কেনো?
নীলাঃ জানিনা।
রাফিঃ আমি মধ্যবিত্ত বলে? তুমি উচ্চশিক্ষিত বলে?
নীলাঃ জানিনা।
রাফিঃ আচ্ছা তুমি ভালোবাসো বলে আমার কাছে এসেছো। কিন্তু আনিকা আমার কাছে কেনো আসল? তাও এই রকম একটা পরিস্থিতি নিয়ে।
নীলাঃ আনিকারা ভালোমানুষের কাছে আসে। বিশ্বাসীদের কাছে আসে। আনিকারা মুক্তি পেতে আসে।
রাফিঃ হ্যা মুক্তি। আনিকা একটা চিরকুঠ লিখে গিয়েছিলো সেখানে লিখা ছিলো “““আনিকা ভালো নেই, আনিকা মুক্তি চায়””” ।
নীলাঃ আনিকার লাশ ঐ পানির হাউস থেকে উদ্ধার কর। ওর জানাজার ব্যাবস্থা করো ।
রাফিঃ কিভাবে? কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবে না। আনিকাকে কেউ বিশ্বাস করবে না, যেমন কেউ তোমার অস্তিত্ব বিশ্বাস করে না।
নীলাঃ আনিকার গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করো। সব ঘটনা তার মাকে বলো, সে বিশ্বাস করবে তোমার কথা।
রাফিঃ আর নীলা তুমি?
নীলা কোন উত্তর দেয় না। ধীর পায়ে হেটে চলে যায়। রাফি পিছন থেকে চেয়ে দেখে।
রাফি নিজের ঠিকান গপন রেখে সব ঘটনা আনিকার বাবার কাছে চিঠি লিখে পাঠায়। কিছুদিনপর আনিকার বাবা পুলিশ নিয়ে এসে বাগানের ভিতর তল্লাশি চালায় এবং পানির টাংকি থেকে আনিকার পরনের জামা সহ কংকাল উদ্ধার করে।
( পুরো গল্পটিই কাল্পনিক, বাস্তবতার সাথে এর কোন মিল নেই)
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
A R Shipon অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মাইনুল ইসলাম আলিফ ভাল লিখেছেন।চেষ্টা করলে আরো ভাল করতে পারবেন।বেশি বেশি পড়বেন,বানানগুলো খেয়াল করবেন,দেখবেন বানান ও ঠিক হয়ে গেছে।শুভ কামনা পছন্দ আর ভোট রইল।আমার কবিতায় আসবেন, আমন্ত্রণ রইল।
A R Shipon অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। বানানে আমি সত্যিই একটু দুর্বল। চেষ্টা করছি ঠিক করে নেয়ার।
আপনি উত্তর দেবেন প্রত্যুত্তরে ক্লিক করে।
ধন্যবাদ।
আহসানুল হক শোভন ভাল। কিছু জায়গায় বানান শুধরে নিতে পারেন; যেমন- *জজ্ঞি=জঙ্গি, *কিছুখন=কিছুক্ষণ, *হটাত=হঠাৎ, *হেটম=হ্যাডম, *পরবে=পড়বে ইত্যাদি।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

গল্পের বিষয় হচ্ছে অলিক। অলিক মানে কল্পনা। আর আমার এই গল্পটি কল্পনাকে ঘিরে। যেখানে গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র মিম কল্পনা বা স্বপ্নে রাফির কাছে আসে এবং গল্প শুনিয়ে তারই লাশ উদ্ধার করায়। গল্পের আরেকটি কাল্পনিক চরিত্র নীলা। নীলা রাফির সাবেক প্রেমিকা যে কিনা রাফিকে ছেড়ে চলে যায় এবং এর পর সে কল্পনায় রাফির কাছে আসে এবং রাফির সাথে গল্প করে। সব মিলিয়ে আমি মনে করি বিষয়বস্তুর সাথে আমার এই গল্পটি সম্পুর্ন সামঞ্জস্যপুর্ন।

১৬ সেপ্টেম্বর - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪