গোধূলির শেষ লগ্ন্ সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে কিছুক্ষণ আগে। থেমে গেছে তার সোনালি-লালচে আভার খেলা। দিগন্তজুড়ে শুধু একটি জ্বলজ্বলে তারা। তবুও সেই তারার ঝিলমিল আলো পুকুরের পরিস্কার পানিতে দেখা যাচ্ছে। দূরের ঘরে টিমটিমে সন্ধ্যাবাতি দেখা যাচ্ছে। আর আমি পুকুরের পানিতে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আনমনে ভাবছি। তবে কি ভাবছি তা বুঝতে পারছি না।
অনেক সময় কি ভাবছি তা না বুঝে এক ধরনের ঘোরের মধ্যে থাকার মধ্যে অনেক আনন্দ রয়েছে। কিছুক্ষণ পর আচমকা আমি অনুভব করি, কে যেনো আমাকে অনেকক্ষণ থেকে একদৃষ্টিতে দেখছে। প্রথমে পুকুরের পরিষ্কার পানিতে প্রতিবিম্বটিকে একটু ভৌতিক মনে হচ্ছিলো। পেছনে ফিরে তাকিয়ে যা দেখলাম তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। একমুহূর্তের জন্য নিজেকে বিশ্বাস হচ্ছিলো না। আমি সত্যিই কি দেখছি! এ যে অনিন্দ্য সুন্দরী। নিটোল গোলাকার চেহারা। উজ্জ্বল গৌর বর্ণের শরীরে যেন রূপের জোয়ার। অত্যন্ত লজ্জ্বাবতী ও সরল সুন্দর হৃদয়ের অধিকারিণী। দেখলে তার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে স্বর্গের অস্পরীরা পর্যন্ত তার প্রেমে বিমুগ্ধ হবে।
মেয়েটির নাম পাপড়ি। পাপড়ির সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিলো প্রায় ছয় বছর আগে। আমার থেকে দুই বছরের ছোট হলেও সম্পর্কটা বেশ বন্ধুত্বপূর্ণই ছিলো। হঠাৎ মনে পড়ে গেলো পাপড়ির দেয়া শেষ চিরকুটের কথা। তাতে শুধু লেখা ছিলো আবার দেখা হবে, ভালো থেকো। এই ছয় বছরে যেনো অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে।
এতোটা সুন্দর হয়ে গেছে যে চিনতে একটু সময়ই লেগে গেছে। চলে যাবার সময় আমার সাথে দেখা পর্যন্ত করে যায়নি। এতোটা অভিমানী ছিলো সে। ওর বাবার বদলির পর একদিনের জন্যও খোঁজ নেয়নি আমার। আগে পাশাপাশি বাসায় থাকতাম আমরা। ওদের পরিবারের সাথে আমাদের সম্পর্কটা এতোই ভালো ছিলো যে, কখন কে কার বাসার খাবার খাচ্ছি বুঝতে পারতাম না।
আজ ছয় বছর পর প্রথম কথা তার, ‘একটুও বদলাও নি তুমি। এখনো এখানে বসে থাকো?’ আমি হেসে বললাম, ‘মানুষের স্বভাব কি এতো সহজে বদলানো যায়? কেমন আছো তুমি?’ উত্তর না দিয়েই পাপড়ি বললো, ‘শুনলাম, তুমি নাকি কাল চলে যাচ্ছো?’ আমি বললাম, হুম! কাল যেতে হবে। আমার ক্লাস শুরু হবে তো। পাপড়ির গাল লালচে বর্ণের হতে শুরু করেছে। এটা খুবই খারাপ লক্ষণ। তাতে বোঝা যাচ্ছে, অনেক আবেগের কঠিন কথা বলতে যাচ্ছে ও।
এখন তার দুই চোখে অশ্রু। অশ্রুভেজা চোখে যেনো আরও অপূর্ব লাগছিলো। হঠাৎ হাত ধরে বললো, সম্ভব হলে অন্তত দু’টো দিন থেকে যাও। তার এই মৃদুবাক্য আমি ছাড়া আর কেউ শুনতে পায়নি। আর আমি নির্বাক মুখে মনে মনে বলছি, ভগবান তোমাকে দেবীর চেয়েও সৌন্দর্য দান করেছেন। তুমি নির্ঘাত আকাশ থেকে উড়ে আসা অস্পরী। তোমার কথা কি করে ফেলি আমি?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
একমুহূর্তের জন্য নিজেকে বিশ্বাস হচ্ছিলো না। আমি সত্যিই কি দেখছি! এ যে অনিন্দ্য সুন্দরী। নিটোল গোলাকার চেহারা। উজ্জ্বল গৌর বর্ণের শরীরে যেন রূপের জোয়ার। অত্যন্ত লজ্জ্বাবতী ও সরল সুন্দর হৃদয়ের অধিকারিণী। দেখলে তার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে স্বর্গের অস্পরীরা পর্যন্ত তার প্রেমে বিমুগ্ধ হবে।
১০ সেপ্টেম্বর - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।