স্বপ্নরেখা

স্বপ্ন (জানুয়ারী ২০২১)

পুলক আরাফাত
  • ৪৩
মাকে বাঁচাতেই হবে কিন্তু বাইরে ধুম ঝড় বৃষ্টি। এ্যাম্বুলেন্স আনার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। হাসপাতালে এই করোনার সময়েও নিতে হবেই। কোন ডাক্তার বাসায় আসতে নারাজ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সময়টাও সন্ধ্যে। এ্যাম্বুলেন্স আসতে একটু দেরি করছে। একজন রোগীকে নামিয়ে দিয়ে তারপরই ড্রাইভার দ্রুত আসছে বলে ইনিয়াকে নিশ্চিত করেছে।

ইশরাফ আর ইনিয়া দুই ভাইবোন। খুব চিন্তায় আছে দু’জনই। মায়ের রক্তচাপের সমস্যা। হঠাৎ করে প্রেসার বেড়ে যায় তাঁর। আবার হঠাৎ নেমে যায়। আজ তাঁর প্রেসার এমন নিচে নেমেছে যে একদম অজ্ঞানের মতো দেহটি নিথর হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। হাত পায়ে সরিষার তেল মালিশ করছে দু’জন মিলে। বাবা মারা গেছে কয়েক বছর হলো। দুই ভাইবোনই ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে। মা সোহেলি বেগম অসাড় হয়ে পড়ে আছেন। যেখানে ওরা থাকে সেখানে গলির অবস্থা খারাপ। বর্ষাকালে হেঁটে মূল সড়কে যাওয়া যেন এক ভোগান্তির নাম। ওরা থাকে গলির প্রায় শেষ মাথায়।

ঝড় বৃষ্টির মাঝেও এ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন শুনে আশ্বস্ত হলো দু’জন। কিন্তু সোহেলি বেগমকে নিয়ে চার তলা থেকে নামতে হবে বেশ কষ্ট করেই। ছয় তলার এই বিল্ডিং এ ডিজাইনারের ভুলে কোন লিফটের ব্যবস্থা নেই। এ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার, তার সহকারী আর ইশরাফ মিলে কোনক্রমে নিচে নামিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে তুলে রওনা হলো আশিয়ান হাসপাতালের দিকে। আশিয়ান হাসপাতালে সেনাবাহিনীর ডাক্তার বসেন। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই ঝড় বৃষ্টি থেমে গেলো। প্রথমেই জরুরী বিভাগে নেয়া হলো সোহেলি বেগমকে। জরুরী বিভাগের ডাক্তার তাঁকে পরীক্ষানিরীক্ষা করে কেবিনে পাঠিয়ে দিলো। তাঁকে ঘুমের ইঞ্জেকশান দেয়া হয়েছে। পথিমধ্যেই সোহেলি বেগমের একটু উন্নতি হয়েছিলো। যে অবস্থা তাঁর হয়েছিলো তা দেখে সবাই কিছুটা ভয়ই পেয়েছিলো।

দুই ঘণ্টা পর তাঁর ঘুম ভাঙে। এক ব্রিগেডিয়ার ডাক্তার সাহেব এসে তাঁকে দেখে যান। বলেন স্যালাইন দিতে। স্যালাইন পেলে শরীরটা একটু সতেজ হবে। যারা প্রেসারের রোগী তাঁদের উচিৎ নিয়মিত প্রেসার মাপানো। রুটিনমাফিক তা করা উচিৎ। অনেকে করে অনেকে আবার এসবের ধার ধারে না। প্রেসার উঠানামায় অনেকে মারাও যায় স্ট্রোক করে। তবে একবার প্রেসারের সমস্যা হলে সারাজীবন ওষুধ খেয়ে যেতে হবে এটা ভুল।

ইশরাফ আর ইনিয়া ডাক্তারের সাথে আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ উনি। খুব চমৎকার একজন মানুষ তিনি। বেশ হাসিখুশি তা দেখেই বুঝা যায়। দু’জনই এখন আশ্বস্ত হলো। বিপদ প্রায় কেটে গেছে। সোহেলি বেগম একটুআধটু কথা বলছেন একমাত্র ছেলে ইশরাফের সাথে। তিনি বলছেন, “বাবা, আমি যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলাম হঠাৎ করে, কিছুই বলতে পারিনি, পরে আস্তে আস্তে যেন কিছুটা সংজ্ঞা ফিরে পেলাম!“ “আম্মা আপনি চিন্তা করবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে। এইতো, আজ রাতের মাঝেই সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করি। ডাক্তার সাহেব খুব ভালো মানুষ। আপনি কথা বললে আপনিও মুগ্ধ হয়ে যাবেন।“ বাসায় চলে যাবার আগে ডাক্তার সাহেব এসে তাঁকে দেখে গেলেন। বললেন, “সাহস রাখুন, আপনি এখন শঙ্কামুক্ত।“

রোগব্যাধি মানুষের থাকতেই পারে। রোগ যেমন আছে কিছু রোগ ছাড়া সব রোগেরই ভালো চিকিৎসাও আছে। মানুষ কি সারাজীবন রোগী থাকে? তবে অল্পবিস্তর দুশ্চিন্তা প্রতিটি মানুষেরই আছে। এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। খাবার দাবারের ব্যাপারেও আমাদের সচেতন থাকা খুব জরুরী। রক্তে যদি কোলেস্টেরল ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাহলে কিন্তু মহাবিপদ। শাকসব্জি হলো খুবই ভালো একটি খাদ্যাভ্যাস। তৈলাক্ত খাবার যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলা খুবই ভালো। ইশরাফের সব্জি খুব পছন্দ। বাসায় সব্জি রান্না হলে তার আর কিছুই লাগে না। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা তাঁদের জন্য ফুলকপি খুবই উপকারি। চকোলেটও। গাছগাছড়া লতাপাতা থেকেই তো ওষুধ তৈরি করা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রতিনিয়ত গবেষণা চলে। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত সবকিছু আপডেট করছেন।

করোনার এই মহামারীতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে বিজ্ঞানীদের যথেষ্ট গবেষণা করতে হয়েছে। তারপরও একদম শতভাগ কার্যকরী ভ্যাকসিন এখনো আসেনি। হয়তো তাও চলে আসবে মানুষের কাছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনা পৃথিবীতে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সিজনাল রোগ হিসেবে থেকে যাবে। তাঁরা তাই বলেছিলো।

যাই হোক, রাতে খুব ভালো ঘুম হয়েছে সোহেলি বেগমের। সকালে উঠে তাঁর শরীরটা মোটামুটি ঝরঝরেই লাগছে। আজ শনিবার। ইশরাফ বা ইনিয়া কারোরই আজ অফিস ডিউটি নেই। সারাদিন মা’র পাশে থাকতে পারবে এটাই শান্তি। বাবাকে হারিয়ে যে শূন্যতা দু’জনের মাঝে বিদ্যমান তা যেন মায়ের চোখের দিকে তাকালেই খুঁজে পায় ওরা।

বেলা বারোটার দিকে ডাক্তারের কথামতোই রিলিজ হলেন সোহেলি বেগম। ধীরে ধীরে সিঁড়ি ভেঙে বাসায় ঢুকলো তিনজন। ইনিয়া ফ্রিজ থেকে মুরগী নামিয়ে রান্না করলো, সাথে ডাল। রান্না শেষ করে মাকে ডেকে খেতে বললো। গোসল সেরে বিছানায় বসে ভাত খাচ্ছেন তিনি। “আম্মা রান্না কেমন হয়েছে?” “ভালোই তো রে মা।“ “খান আম্মা, পেট ভরে খান।“

পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যকে আপ্যায়ন করতে পছন্দ করে। ইনিয়া তাদেরই একজন। ইনিয়া আর ইশরাফ দু’জনই খুব সামাজিক। ইশরাফ সবার সাথে চলতে পছন্দ করে। ইনিয়া একটু ভিন্ন। ওর সাথে যাদের মনের মিল হয় শুধু তাদের সাথে চলে। এটাও সামজিকতার একটি বিশেষ ধরণ।

ইনিয়াকে বিয়ে দিতে হবে। সোহেলি বেগমের এ নিয়ে খুব চিন্তা। ইশরাফের এক বন্ধু আছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ভালো পোস্টে চাকরী করে। মাঝে মাঝে সময় পেলেই ইশরাফের সাথে আড্ডা দিতে আসে বাসায়। ইশরাফও ওর বাসায় যায়। বেশ ভালো সম্পর্ক দুই পরিবারের। ইনিয়া রাকিবকে পছন্দ করে। রাকিবও মনে মনে ইনিয়াকে পছন্দ করে। মনে হয় যেন ওদের দু’জনের বিয়ে হলে ওরা হবে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দম্পতি।

এক শুক্রবারে ইশরাফ তার মাকে বলে বসলো “আম্মা, রাকিবের বাসায় যাই চলেন।“ “কেন বাবা?” “আম্মা, রাকিব লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে আমাকে একদিন বলেই ফেলেছে সে ইনিয়াকে পছন্দ করে। ওরা আমাদের বাসায় প্রস্তাব নিয়ে আসতে চায়। আজ গিয়ে চলেন কিছু আলাপ-টালাপ করা যাবে একটু ভিন্নভাবে।“ “আচ্ছা বাবা, চল তাহলে।”

বিকেলে ইশরাফ আর সোহেলি বেগম রাকিবদের বাসায় গেলো। রাকিবদের বাসা বনানীতে। ওরা এখানে ভাড়া থাকে। দু’জনকে দেখেই রাকিব আর তার বাবা-মা খুব খুশি হলো। “আপনার শরীরটা এখন কেমন যাচ্ছে?”, রাকিবের মা সোহেলি বেগমকে প্রশ্ন করলো। “ভাবী এখন মোটামুটি ভালোই আছি।“ রাকিব সেদিনের অবস্থার কথা তার মাকে বলেছিলো। রাকিবের পরিবার যথেষ্ট আপ্যায়ন করলো। একেবারে রাতে খাইয়ে-টাইয়ে তারপর ছাড়লো। নাছোড়বান্দা তাঁরা। খেয়ে আসতেই হলো। এর মাঝে রাকিব আর ইনিয়ার বিয়ের ব্যাপারে হাল্কা কিছু আলাপ ভিন্নভাবে হয়েই গেলো।

পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা ইশারা বুঝে না! ইঙ্গিত বুঝে না! অথবা বুঝেও না বুঝার ভান করে! এরা বোকা প্রকৃতির মানুষ। দুই, মুখে না বলে হাতের আঙ্গুল দিয়ে দেখালেও কি বুঝা যায় না?

ঠিক কিছুদিন পরেই রাকিবের বাবা-মা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির। ইশরাফ আর সোহেলি বেগম খুব খুশি মনে তাদের যত্নআত্তি করলো। রান্নাবান্না যা করার সব করেছে ইনিয়া। ইনিয়া আজ শাড়ি পরেছে মায়ের কথামতো। খুব সুন্দর লাগছে ইনিয়াকে। হালকা সাজে বেশ লাগছে ওকে। রাকিবের মা ইনিয়াকে আংটি পরিয়ে দিলেন। আশীর্বাদ করলেন। আর দু’জনই বিয়ের পাকাপাকি কথা বলে গেলেন।

পনেরো দিন পর এক রবিবারে বনানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে ওদের বিয়ে হয়ে গেলো। সোহেলি বেগমের সেকি কান্না। ইশরাফের চোখেও জল এসে গেলো। তাও নিজেকে সামলে নিলো। ইনিয়া খুব কেঁদেছে বিদায়বেলায়।

নিজেকে যেন খুব একা একা লাগছে ইশরাফের। আগে তো বাসায় ঢুকলেই ইনিয়াকে দেখতে পেতো। এখন শুধুই মা। কয়েকদিন পরই এক বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করে ইনিয়া আর রাকিবকে আনতে গেলো সে। যাকে বলে নায়র আনতে যাওয়া। একটি প্রাইভেট কারে করে সবাই এসে বাসায় হাজির। সোহেলি বেগম মহাখুশি। মেয়ে এসেছে, সাথে নতুন জামাই। নিজ হাতে রান্নার আয়োজন করলেন তিনি। ইনিয়াও কিছুটা সাহায্য করলো। রাতের খাবার খেয়ে সবাই শুতে গেলো। বাসায় তিনটা বেডরুম। মাঝখানের রুমে রাকিব আর ইনিয়া দরজা লাগিয়ে শুয়ে পড়লো। ইশরাফের আজ কেন যেন নিজেকে শূন্য শূন্য লাগছে। এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার।

ইশরাফ মানুষের সাথে খুব দ্রুত মিশে যেতে পারে। এটা তার বড় গুণ। মানুষকে ভালোবাসার মাঝে এক নিগুঢ় আনন্দ আছে। অনেকে তাকে কষ্ট দেয়, ভুল বুঝে। তাও সে তাদের মনে রাখে। ইশরাফ মনে মনে ভাবে আহা এমন একজন জীবনসঙ্গিনী যদি পেতাম যে কিনা সারা জীবনের সুখ-দুঃখের সাথী হবে। আল্লাহ্‌ মানুষের মনের খবর রাখেন ও জানেন। ইশরাফের প্রেম সয় না। কয়েকটা মেয়ে তাকে ভালোবাসতো। কিন্তু ইশরাফ তাদের মাঝে কেন যেন সততা খুঁজে পায়নি। ইশরাফ মানবিকভাবে বেশ সৎ প্রকৃতির মানুষ।

ইশরাফের বিয়ে করাটা জরুরী। কারণ তার মা আর কতো সংসার সামলাবে। ইশরাফ অফিসে চলে গেলে সারাটা দিন একা একা থাকে তার মা। ছোটা একজন কাজের মহিলা আছে যে কিনা কাপড় ধোয়া, থালাবাসন মাজা আর ঘর মুছে দিয়ে যায়। যেসব বুয়া শীত নেই গরম নেই প্রতি কাজে নিম্নে ছয়শো টাকা করে চেয়ে নিয়ে কয়েক বাসায় কাজ করে কোনক্রমে তাদের সংসার চালায় তাদের জন্য যদি সরকার এলাকাভিত্তিক ছোটবড় ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিতো তাহলে এদের মনের আকাশটা অনেক বড় হয়ে যেতো। নিজেদের সংকীর্ণ মনোভাব দূর হয়ে যেতো। মানুষের অন্তরের গভীর থেকে আসা কারও জন্য করা দোআ অনেক বড় ব্যাপার। মানুষের জন্য কিছু করে প্রতিদানে কিছু চাইতে নেই। কিন্তু এই যে দোআ, এটাই আসল। পৃথিবীর জীবনটা আর কয়দিনের।

ইশরাফ চায় তার জীবনটা যেন খুব না হোক অন্তত কিছুটা হলেও গোছালো হয়। তার জীবনের স্বপ্নরেখায় কেমন সে জন আসবে তারই কাঙ্ক্ষিত প্রতীক্ষায় সে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Dipok Kumar Bhadra খুব সুন্দর লিখেছেন।
ভালো লাগেনি ৩১ জানুয়ারী, ২০২১
ফয়জুল মহী অনেক সুন্দর পোষ্ট। আপনাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ।
ভালো লাগেনি ২ জানুয়ারী, ২০২১
ধন্যবাদ। আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
ভালো লাগেনি ২১ জানুয়ারী, ২০২১

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এই গল্পে আমি তুলে ধরেছি একটি পরিবারের যাপিত জীবনের চিত্র। যেখান থেকে খুঁজে পাওয়া যাবে বেশ কিছু আপেক্ষিক বিষয়। এ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের রয়েছে নিজস্ব ব্যাক্তিসত্ত্বা। প্রতিটি মানুষের চেহারা জমজ বাদে ভিন্নরকম, ভিন্ন তাদের মন মানসিকতা, ভিন্ন তাদের চিন্তার রেখা। সবাই সুখী হবার স্বপ্নে বিভোর। অনেকে প্রকাশ করে আবার অনেকে করে না। দুঃখ, যন্ত্রণা, কষ্ট অনেক সময় সইতে হয়। এই পৃথিবীতে কেউই পরাজিত নয়। কেউ জিতে আর কেউ শিখে।

২৪ জুলাই - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ২২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪