শত যান্ত্রিকতার এই বদ্ধ নগরীতে
এক চিলতে হাসি;
রাস্তার ওই পথ শিশুদের
কেইবা ভালোবাসি?
বেসেছি ভালো প্রণয়িনী তোরে
ক্ষাণিক খনেই ভালো;
হয়ত ক্ষাণিক সময় মাঝেই
জ্বেলেছি প্রেম আলো।
কালো বরণ বিবর্ণ ওই
খুদার্থদের তরে,
নির্বাক এই মানবতা আজ
মুখ লুকিয়ে মরে।
প্রণয়িনী তোরে দিয়াছি সর্বস্ব
রাখিনি যে কিছু বাদ,
রাস্তার ওই কংকাল শিশুটি
পায়নি দুধেরো স্বাদ।
রয়েছে পড়ে দুখিনী তার
এখনো নিয়ে বুকে,
খুদার কষ্ট বেঁচে গিয়াছে
কাঁদতেছে সেই সুখে।
শেষ কালেও দিতে পারেনি
মৃত ওই মুখে অন্য,
মানবরুপী পিশাচের মাঝে
খুঁজিছে হয়ে হন্য।
বন্য মোরা সবাই এখন
মানবতা সব ভূলে,
দয়া সে জিনিস ছিলো কি কখনো
প্রণয়িনী তোর কূলে?
গাড়িতে বসে এসির হাওয়াতে
রেস্তরার ওই দামি খাওয়াতে
নেইনি কাওরে সাথে,
খেয়েছি শুধুই দুজন মিলিয়া
পেট পুরে একই পাতে।
হাত পাতে তো সেও মেগেছে
একটু খানি ভিক্ষে,
দিবো কেমনে পাইনি যে আজো
মানব হবার দীক্ষে।
শিক্ষে আমার শত ধিক তোরে
প্রণয়িনীতে করিলি মুগ্ধ!
খুদার জ্বালায় মানব মরছে
তবুও আমি যে শুদ্ধ।
শত পাপ আজ গঙ্গা স্নাত
কত কথার যুক্তি,
দুখিনী আজো ডুকরে কাঁদছে
হবে কি তাতে মুক্তি?
ব্যর্থ হয়েছে আজ মানব জন্ম
দেখিনি কেমনে তারে?
দেখেছি শুধুই প্রণয়িনী তোরে
ভ্রমের অন্তরালে।
আজকে আমার ভ্রম কেটেছে
মৃত্যু এসেছে দ্বারে
দেখাবো কেমনে এ মুখ সেথায়
জন্ম বিধাতারে?!
advertisement
মৃত্যু এসেছে দ্বারে। অনন্য লেখনী।