চোখদুটো লাল। অশ্রু-শিশিরের টলমল। চোখ বেয়ে বেয়ে গড়াগড়ি করছে অশ্রুসজল। দেহাঙ্গেও প্রত্যাশার হাউমাউ কান্না। যে কান্নার ভিড়ে প্রকৃত ভালোবাসার ঠাঁই নেই। আছে শুধু আহামরি আহাজারি পায়চারি সমবেদনা।
জিজ্ঞেস করলাম - কেউ দেখতে আসে না?
হুমম, এসেছিলো।
কে এসেছিলো?
ছোট বোন।
কেন আপনার বউ ছেলেমেয়ে কেউ আসেনি?
(চুপ করে রইলো।)
কি হলো? কিছু বলছেন না যে।
কি বলবো?
কেন? আপনার বউ ছেলেমেয়ের কথা।
আমি বিয়ে করিনি।
সত্যি? বিশ্বাস হচ্ছে না।
কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন - সত্যি বলছি, আমি বিয়ে করিনি।
আপনার তো বেশ বয়স হয়েছে। এখনো বিয়ে করেননি কেন?
পরিবারে আমি সবার বড়। আমার ছোট পাঁচজন ভাইবোন আছে।
তাতে কি?
আব্বা তো মইরা গেলো। তারপর পরিবার সামলাতে হলো আমাকে।
তাই বলে কি মানুষ বিয়ে করে না?
হুমম, করে। কিন্তু আমি করিনি। কারণ, আব্বার মইরা যাওয়ার কিছুদিন পরে মায়েও মইরা গেলো। তখন থেকেই সবাইকে কোলেপিঠে করে মানুষ করছি। এজন্য আর...।
এজন্য আর কি?
ভাবছি, সংসারে বউ আসলে ওদের কষ্ট হবে। ঝামেলা হবে। এসব চিন্তা করেই বিয়ে করিনি।
এখন কি মনে হচ্ছে?
পৃথিবীতে কেউ কারো নয়। সবাই যার যার আপনজন।
এরপরে কি করবেন?
যদি রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ আসে তাহলে আর বাড়িতে ফিরে যাবো না।
যদি পজিটিভ আসে। তখন কি করবেন?
তখন আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে দোয়া করবো, আমাকে তুমি তুলে নাও।
ছবি উঠাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উঠাতে দেয়নি। বলেছিলাম, নিউজ করবো। কিন্তু তিনি অনুরোধ করলেন নিউজ না করতে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের প্রত্যাশা রয়েছে। বন্ধুর থেকে, প্রতিবেশীর থেকে এমনকি পরিবার থেকেও।
কিন্তু মানুষ যখন বন্ধু, প্রতিবেশীর থেকে তার প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। তখন কিন্তু পরিবারই তার কাছে একমাত্র ভরসার স্থান পায়।
কিন্তু যখন সেই প্রিয় পরিবার থেকেও পিছুটান আসে তখন জীবনের, বেঁচে থাকার মূল্য কমে যায়।
৩০ মে - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
৪৬ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।