রাত্রি আধার মেঘে ছারখার ক্ষুধার অন্তরায়, ব্যথা হাতে পায়ে, রোগে মরা গায়ে ময়লা চাদর গায়ে, শুয়ে আছে এক বাংলার মা দেখিলাম সেই রেলে। বুক ভিজে যায় চোখের জলেতে মোরা নাকি তার ছেলে, হাইরে বাঙালি তোরা তো কাঙালি বিখ্যাত গাদ্দার, কিসের অভাবে কুকুর স্বভাবে দেখাস অহংকার। মাঝে মাঝে দেখি নোট আর সিকি চলিস পকেটে নিয়ে, ফকির মাঙিলে বলিস যা বেটা কাজ করে খা গিয়ে। এই বুঝি মোর স্বপ্নে কাতর বাংলার সন্তান, করি ধুরধুর তোরা তো শূকর জারজের সন্তান। তোরা যদি হতি দয়াময় অতি বাংলা মায়ের ছেলে, কুকুর স্বভাবে শূকরের ভাব দেখাতিনা সেই রেলে। করি লানত, তোরা আমানত রক্ষা করিস নাই, এই বাংলায় থাকিবার তোর নাই অধিকার নাই। শোন হে জারজ করছি আরজ এখনো সময় আছে, ক্ষমা চেয়ে আই সেই অসহায় দুখিনি মায়ের কাছে। যদি একবার সালাম, রফিক, বরকত জেগে যায়, তোদের মতো শূকরের আর বাঁচার উপায় নাই। সেই কারণেই সকল মিনতি করি বাঙালির কাছে, কেমন সু্যোগে বাংলার বুকেতে গাদ্দার বসে আছে। আয় ছুটে আয় মৃত্যু খাঁচায় জীবন করিবো দান, ছিনিয়া আনিব বাংলার মায়ের অতিতের সম্মান। হাজার দুখ আর কষ্ট যদি নিতে হয় আমি নিব, তবুও সুখের সুখফল আমি বাংলা মায়েরে দিব। এভাবেই তাই ইতি টেনে যায় আমার ভৎর্সনা, বুক ফেটে যায় দেখবি কে আয় সে মায়ের চিৎকার।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
আমাদের এই দেশে এমন অনেক মানুষ আমরা দেখতে পায়, যারা গরিব এবং অসহায়দের সাথে খারাপ আচরণ করে। তারা গরিবদের মূলত মানুষ মনে করে না। তারা চলাফেরা, উঠা বসা সব জায়গাতে হেয় প্রতিপন্ন করে। তাদের এই কার্যকলাপে পাকিস্তান রক্তের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। অতিতে আমাদের মায়ের ভাষা নিয়ে অনেক দুর্ব্যবহার করে এই পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। এই দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শহীদ হন সালাম, রফিক, বরকত আরো অনেকে।
অতএব আমরা বলতে পারি, যারা বাঙালি হয়ে বাংলা মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করে তারা বাঙালি হতেই পারে না। তারা হলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জারজ সন্তান। তাই সর্ব বাংলার বাঙালিদের বলতে চায়, এসব বাঙালি বাংলার সন্তান নয়, তারা হলো বাঙালি রূপে জারজ সন্তান।
১২ মে - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
৩ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।