চিন্তাটা যে বুলেটুপ্রুফ!

স্বাধীনতা দিবস (মার্চ ২০১৯)

জারিফ অয়ন
  • ১৪৯
৪৮ থেকে ৭১ কেন পারল না ওরা?
আমাদের জানানো হয়েছে রফিক সালামের নাম,
শহীদ সাহেব আর শেরে বাংলার ইতিহাস।
আমরা পড়েছি ক্লাশ ১ থেকে ৭ পর্যন্ত, মতিউর থেকে হামিদুর।
আমরা শুনেছি ত্রিশ লাখ শহীদের কথা।
আসাদের খুনে লাল হয়ে যাওয়া পিচের রাস্তার গল্পও আমরা জানি।
শেখ মুজিবের দরাজ গলা আর ভাসানীর টুপির উত্তাপে
ঝাঁপিয়ে পরতে শুনেছি জোয়ান সব ছেলেদের এলএমজির উল্লাসে।

কী ছিল আমাদের, যা ওরা মারতে পারে নি,
কী ছিল বাংলার, যা ওরা ধর্ষণে শেষ করতে পারে নি!
কী ছিল রফিক-সালাম-বরকতে,
কী লুকিয়ে ছিল ভাসানীর ভাসান সমাবেশে,
কী সুপ্ত ছিল বীজ হয়ে আসাদের তাঁজা বুকের পাঁজরে,
কেন কাল রাতে পুরো বাঙালি মেরেও,
জাতির জনককে পাকড়াও করেও ঠাণ্ডা হয়নি মুক্তির বাতাস!

কারণ মানুষ মরে,
গুলিতে দেহগুলো ছিঁড়ে স্তব্ধ হয়ে পরে যায়,
রাস্তার দুই পাশে কুকুর শেয়ালের খাবার হয়ে পরে থাকে,
হাজার ঘষায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন জোনী নিয়ে আমগাছে ধর্ষিত বোনেরা ঝুলে থাকে।
হ্যাঁ, মানুষ মরে যায়!
কিন্তু সেই সব মানুষের ভিড়ে,
মাংসল শরীরের আর্তনাদের গভীরে ছিল - স্বাধীনতা!
একটা চেতনা।
একটা উন্মুক্ত হবার ভাবনা।

যে ভাবনা ছড়িয়ে দিয়েছিল মুজিবের গলা,
যে চেতনা উছলে উঠেছিল ভাসানীর ঈমানের জোরে।
সেই আকাঙ্ক্ষাই বড় হয়ে উঠেছিল রবের পতাকা উত্তোলনে,
ইউসুফ সাহেবের মুক্ত বাংলার স্বাধীন সরকারের শপথ পাঠে।

কারণ ইয়াহিয়া ঠিক ছিল,
গুলি করলে, বোম মারলে, গণ ধর্ষণে মানুষ মরে।
কিন্তু নয়াজী ভুলে গিয়েছিল,
মানুষ আর তার চেতনা এক না,
গুলিতে, আগুনে ঝলসে মানুষ তো খুন হয়ে যায়,
শহীদ হয়ে যায়,
কিন্তু চেতনা খুন হবে কিসে?
চেতনা মরবে কিসে?
'স্বাধীনতা' স্বপ্পটা সরে যাবে কোন বোমার ধোঁয়ায়?
তা তাদের জানা ছিল না।

চেতনা, আমার অন্তরে থাকা,
৪৮-৭১, কোটি লক্ষ লোকের অন্তরে থাকা,
'স্বাধীনতা',
সে কখন মরে না।
না মরেছিল ব্রিটিশে, না পাকিস্তানে, না মরবে পাকিস্তানের রেখে যাওয়া জারজ কিছু সন্তানদের ধর্ম-ধর্ম খেলায়।

কারণ চেতনার গায়ে কোন বুলেট লাগে না,
চিন্তাটা যে বুলেটপ্রুফ!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী বলাই লাগে- এটি একটি চমতকার লেখা। কবিকে ধন্যবাদ-এমন লেখা উপহার দেওয়ার জন্য। শুভ কামনা রইল।।
রঙ পেন্সিল আপনার কবিতাটি পড়ে আমি রীতিমত স্তব্ধ হয়ে বসে আছি। সত্যিই চেতনার গায়ে কখনই বুলেট লাগেনা। শুভকামনা রেখে গেলাম কবি ও কবিতার জন্য।
আশরাফুল হক অসাধারন কবিতা। শুভ কামনা।
বহতা নদী কবিতা দিয়ে এত চমৎকার ইতিহাস বর্ণনা খুব কম পড়েছি ভাইয়া। আরো পড়তে চাই এমন কবিতা।
সময় করে পড়ার জন্য প্রথমে ধন্যবাদ জানবেন। আরোও লিখব নিশ্চয়। কিন্তু এখানে ব্লগে যে কিভাবে জায়গা পেতে হয় আমি বুঝি না। তাই আমার সব লেখা আমি দিতে পারি না। সামনের মাসে আবার দেয়া বিষয়ে নিয়ে হাজির হব কিছু। পাঠক থাকছেন, এটাই বর্তমান বাংলায় একজন মসিধারীর বড় পাওয়া।
সেলিনা ইসলাম কবিতায় চমৎকারভাবে সত্য ইতিহাস উঠে এসেছে! "মুজিবের গলা," গলা না লিখে কণ্ঠ লিখলে মনে হয় আরও ভালো লাগত। বেশ কিছু বানান ভুল। সব মিলিয়ে ভালো লাগল কবিতা। শুভকামনা রইল।
কন্ঠ শব্দটা অতি ব্যবহারে আর আমার মত হালকা মানুষের কাছে খুব ভারী মনে হচ্ছিল। আর পুরোটাই একটানে লেখা। তাই হয়তো সমস্যা! আর এমন একটা সময়ে বাস করি, বানান এর গোলমালে না থেকে পারি না। আমি সচেতন ভাবেই এই সমস্যা থেকে উঠে আসার চেষ্টায় আছি।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

'স্বাধীনতা' শুধু একটা শব্দ না, এটা একটা চিন্তা। একটা মুক্ত চেতনা। যা আমাদের মুক্তির জন্য লড়াই করা সংগ্রামী নেতাদের মুখ থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল আমাদের শহীদদের প্রাণে। আর মুক্তির জন্য উদ্বুদ্ধ মুক্তি সেনাদের বুক থেকে যা ক্রমশ ছড়িয়েছিল পুরো বাংলার জনগণের মাঝে। ফলে গোটা বাংলা স্বাধীনতার চিন্তায় এক হয়ে তাড়িয়ে ছেড়েছিল হানাদারদের। এই চিন্তাটাকেই খুন করতে পারেনি নিয়াজী, ইয়াহিয়ার নির্দেরশের পরেও। কারণ চিন্তার গায়ে কোন গুলি প্রবেশ করে না। সে সদা বুলেটপ্রুফ! তাই, বলা যায় এই কবিতা মার্চ মাসের অন্য দেয়া বিষয়ের সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

০৯ মে - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী