প্রিয় মানুষ টি নাম ধরে ডাকলে
কি তৃপ্তি লাগে,
আজ বুঝবে না
বুঝবে আগামী দিনে।
যখন ডাকবে না কেউ
তোমার নিজস্ব নামে,
হবে কারো বাবা কেউ বা মা,
নিজের নাম টা ঢেকে যাবে
তাদের আড়ালে।
খুব ইচ্ছে করবে
বলুক নাম ডেকে,
কি করছ বাবা
অথবা প্রিয় মা।
এবারের ঈদে আসবে তো?
পিতৃ গৃহে।
খুব অভিমান ভরে বলবে,
আমার সন্তান বড় সংসারী
আমাদের গেল ভুলে।
ঠিক ভুলেই আছ,
তোমরা যাবে এবার দূরে কোন খানে
ঈদ উদযাপনে।
খুব নিরিবিলি শুধু দুই জনে
সুখের পানসিতে ভ্রমনের স্বপ্নে,
হিসেব কষে রেখেছ বহুদিন ধরে।
তোমার অগ্রজ বাড়িতে বসে শুধু তোমাদের ভাবছে।
ঘরের বেড়া রান্না ঘরের চালা
কিংবা স্যাঁতস্যাঁতে কলতলা,
প্রতিদিন একটু একটু করে অতি যত্নে
মেরামত করছে নিজের হাতে খুব স্নেহ ভরে।
খোকা আসবে সাথে বউমা
অথবা অতি আদরের ছোট মেয়েটা,
জামাই সমেত কতদিন পর।
মা তার নারিকেলের নাড়ু
পিঠে পায়েস সন্তানের প্রিয় হাঁসের মাংস,
কিংবা ঝোলা গুড় সন্দেশ
কত কিছু রাধছে।
দুই প্রজন্মের চাওয়া
কোনটাই অস্বীকার করি না।
আমি বলি না প্রমোদ ভ্রমণে যেও না।
কি করে বলি?
তোমাদেরও আছে নিজস্ব স্বপন সাধনা
প্রতিদিনের কাজ ক্লান্তির অসুস্থ বাতাস।
একটু হাওয়া বদল তোমারও দরকার।
কি এর সঠিক সমাধান?
আমি জানি না।
শুধু কষ্ট হয় সেই প্রিয় মুখ ভেবে,
যখন দেখবে শুন্য সাজানো সে গৃহ
ফাঁকা পড়ে আছে এবারের ঈদে।
অবুঝ দুই নয়ন বাঁধা মানে না
সাগরের নীল নোনা জল তার অধরে।
দুই চোখ উপচে কখন বুক ভাসে,
শত বাঁধা শত শাসন মানে না যে।
পৃথিবীতে ভালবাসা বড় অদ্ভুত নির্মম,
সর্ব সময়।
ভালবাসার ধারা নিম্নগামী বহমান নদীর স্রোতের মত।
ঊর্ধে বসে পাহাড় যেমন কাঁদে,
ঝর্ণা ধারা সে নিম্নেই নেমে আসে।
ততটাই কষ্টে দূর অগ্রজ মোছে অশ্রু জল,
নিম্নে বহমান অনুজকে কাছে পাবার আশে।
advertisement