স্বপ্ন চোখ

পার্থিব (আগষ্ট ২০১৮)

রাজু আহমেদ রিন্টু
  • ৩৫
কর্মক্লান্ত সন্ধ্যা আঁধারের চাদর গায়ে রোজকার মতই ঘুমানোর চেষ্টায় রাত্রির বুকে। কিন্তু এই ব্যস্ত নগরীর অজস্র কোলাহল, অসংখ্য মানুষের দিগ্বিদিক ছুটে চলা। আমার মতো ভবঘুরের ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসে নিকোটিনের কুণ্ডলী উড়িয়ে অকারণ সময় নষ্টের দায়ে, আজও তন্দ্রালু সন্ধ্যার নিঘুম অভিমানী দু’চোখ ছলছল পানে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। যেন সে অবলীলায় সবকিছু বলতে চায়। আমি প্রথম প্রথম খুব একটা পাত্তা না দিলেও আজ তার করুণ চোখের দৃষ্টি এড়াতে পারিনি। তাই পদ্মার ধারে গিয়ে বসতেই, সে ভ্যান ভান করে কেঁদে দিলো। তার কষ্টের নদী কতটা পথ যে বিস্তৃত, আমি তার বর্ণনা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। কেউ না জানলেও, আমি জানি। তাই সন্ধ্যার জন্য মনটা প্রায়ই কিছু করতে চায়। কিন্তু এই নিযুত-কোটি শহুরে মানুষগুলো একপক্ষ আর আমি একাই যে একপক্ষ। তাদের বোঝাতে আমি শতভাগ অক্ষম। একে একে দুই হয় জানি; আবার এ দু’পক্ষের হিসেব কখনই মিলবে না এও জানি। বড় মনে পড়ে গ্রামের নিঝুম সন্ধ্যায় কলাবতীয় ঝোঁপে মিটমিট জোনকির ঝাঁক। বাঁশবাগান কিংবা কুঁড়েঘরের উপরে উঁকি দেয়া পূর্ণিমা চাঁদ। নেহাত পাগলামি ছাড়া কিছুই নয় ভেবে, আমার ভাবনাটুকু এতক্ষণে হয়ত সবাই ভুলভাল ঝুড়ির তলায় ঠাই দেবে নিশ্চয়ই। এরপরও কেউ মানতে নারাজ হলেও আমার বলতে দ্বিধা নেই। আমরাই মানুষ যারা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনি। যারা প্রতিনিয়ত হাজারো ভাবে পরিবেশ দূষণে অভ্যস্ত। জ্বালানীর মিছে অপচয়, বন উজাড় করে বনদস্যুদের উদ্ভিদ হত্যা, সেই সাথে চিমনীর কালো ধোঁয়া। ব্যাস, আমরাই বুঝি সভ্যতার চরম শীর্ষে! বিপরীতে ওজনের ঢাল ক্ষয়ে সমুদ্র ফুসে উঠে কবে যে আমাদের একেবারে গ্রাস করে ফেলে। তার থেকে সুরক্ষা পাবার সার্থক উপায়ের প্রতিফলন অতশী কাঁচেও অস্পট। যাহোক নিরূপায় সমব্যথী আমার মনে সন্ধ্যার তন্দ্রাচ্ছন্ন বিষন্নতার কষ্ট তবু জেঁকে বসে। সেই কষ্টের ফাল অবিরাম আমার বুক চষে বেড়ায়। শান্তি পাই না কিছুতেই।
সন্ধ্যার জন্যে না হোক অন্যের জন্য কিছু করার ভাবনাটা তবু রয়ে যায়। ভাবনাটা অনেক কালের। সেই অনু ভাবনাগুলোর এক তেজস্ক্রিয় পরমাণুর প্রবল বিচ্ছুরণের দরুণ কোন এক বিকেলে রুগ্ন একটি ছাগলকে ঘাস-পাতা খাওয়াতে গেলাম। একি! যে ছাগলের পাঁজরের হাড় কয়টি এক পলকেই তা বলা যায়। সে কিনা মুহূর্তে গরুর মত তীক্ষ্ম শিং বাঁকিয়ে আমার দিকে তেড়ে এলো। নিরাপদ দূরত্বে এসে বুঝতে পারলাম আমার এই ভালোবাসার মাঝে নিশ্চয়ই কিছু একটা গলদ ছিল। আর তাই ছাগল...!

না, আর সহ্য হয় না! ছাগলের মতো জীবটি যদি বুঝতে পারে এই কৃত্রিমতা, তাহলে মানুষ? না আমার দ্বারা হয়ত আর কিছু হয় না। কিন্তু উর্বরতার কেঁচো তবু থেমে নেই, আমার মাথার উর্বরতা নতুন করে বাড়িয়ে দেয়।
এবার ঠিকই বুঝতে পারে মন, এমন কিছু করতে হবে যার দ্বারা অন্যের মনের গহীনে জোর করে নয় ঠাই হবে নিঃস্বার্থ ভালোবেসে। যার স্থায়িত্ব হবে দিন, মাস, বছর নয় অনন্তকালের। কিন্তু একা অনেক কিছুই সম্ভব নয়। তাই এক এক করে অনেক ভাবনাই তৃণলতার মতো শুকিয়ে যায়। এক সময় তাদেরও হারিয়ে ফেলি মনের অতল গহ্বরে।
কোন এক দুপুর বেলা জ্বর নিয়ে শুয়ে আছি। আমার মেসমেট সাইফুল ভাই কোথা থেকে যেনো অচেনা তিনটা লোক নিয়ে হাজির। পরিচয় পর্বে জানলাম একজন শ্রদ্ধেয় হেনা ভাই, আরেকজন বুলবুল ভাই। অজানা সেই তিন জনের একজন ছিলো আরো বেশি অন্য রকম, একটু অদ্ভুত। চুলগুলো চিরুণীর ভয়হীন একটি আরেকটির সাথে অক্টোপাসের মত জড়িয়ে আছে। গায়ের শার্ট দেখে বোঝাই যায় অনেকদিন সাবানের নিচে সঁপে দেয়া হয় নি। চোখে মুখে নিরাশার ক্লান্তির ছাপ। যেনো অনেক হাঁপিয়ে উঠেছেন, আর পারছেন না। আমার কাছে বিষয়টা কেমন যেনো ধোঁয়াটে মনে হচ্ছিল। প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে হেনা ভাইয়ের দিকে তাকাতেই তিনি কারণটা বললেন। শোনা মাত্রই ভীষণ ভড়কে গেলাম। এমনিতেই আমার যে স্বাস্থ্য তদুপরি অসুস্থ। তাছাড়া পূর্ব কোন অভিজ্ঞতাও নেই। কিন্তু সেই অদ্ভুত মানুষটা সজল চাহনীতে অনুনয় করে শুধু একটি কথাই বললেন, “ভাই, আমার রোগীর অবস্থা ভালো না, এক ব্যাগ রক্ত সন্ধ্যার আগে দেওন লাগবো” নাইলে...। তার এমন কথায় বড় একটা চোট পেয়ে গেলাম। অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে চাই, করতে চাই, বলে দিন রাত চেঁচিয়ে বেড়াই আর আজ ঘরের দরজায় সুযোগ এসে কড়া নাড়ছে। আর আমি কিনা জোর করে খিল আঁটতে চাইছি। লজ্জা! এ যে ভীষণ লজ্জা। মনে প্রশ্ন রাখি, তবে কি মানবতার কাছে হেরে যাবো? না কিছুতেই না। মনের আকাশে বিদ্যুৎ চমকালো, আমি সেই আলো থেকে জোর একটা সাহস পেলাম।
অতঃপর RMCH-এর ডোনার বেডে। মনে মনে একটুখানি ভীত হলাম। কিন্তু প্রকাশ না করলেও, নানা প্রতিকূলতার মাঝে মানবতার সেবায় নিয়োজিত যারা তাদের তো সাদা মনের সৈনিক বলাই শ্রেয়। আমার মনের অবস্থা সেই সাদা সৈনিক হেনা ভাই ঠিকই বুঝতে পারলেন। তাই তিনিসহ বুলবুল ভাই আমার মাথায় হাত বুলানোর সাথে সাথেই, একি! ভয় তো দূরের কথা, মনে হচ্ছিল এমন স্নেহের পরশে শুধু এক ব্যাগ নয় শরীরের সবটুকু রক্ত

দিতে কেউ এতটুকু কার্পণ্য করবে না। সে সময় হেনা ভাইয়ের শেষোক্তি “মানবতার তরে অভিজ্ঞতা নিছক এক কল্পনা, এখন যা করছো তাই চরম অভিজ্ঞতা” আমি সে কথায় উতরে গেলাম।
এমন ভাল কাজের সুসংবাদটা তাই ব্যাকুল হয়ে ডোনার বেডেই মাকে জানালাম। কিন্তু হায়! মা যেনো শুনেই বোবা হয়ে গেলেন। আচমকা মায়ের শান্ত পৃথিবীতে যেনো অশান্ত এক ঝড় বয়ে গেল। বুঝতে পারলাম মায়ের কাছে থাকলে সে ঝড়ে ডাল-পালা মানে আমার হাত-পা কোন একটা ভেঙ্গে যেতো আর কি! পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আমার স্বাস্থ্য নিয়ে মায়ের করা পরিসংখ্যান
১. আমি নাকি জীবন্ত মরা মানে না মরে বেঁচে থাকা
২. প্যান্ট পরলে নাকি খুলে যেতে চায় দড়ি দিয়ে বাঁধা উচিত
৩. নিজেরই রক্ত লাগে আবার অন্যকে দিতে যায় দাতা হাতেম তাই
৪. সামনের মাস থেকে টাকা দেয়া বন্ধ।

যাহোক, মায়ের বাণীগুলো কানের টিমপেনিক পর্দা হয়ত কেন্দ্র ককলিয়াতে ঠিক মত রিলে করতে পারেনি। তাই মায়ের কথায় খারাপ তো লাগেই না বরং অন্য রকম ভালোলাগায় ভাসি। বুলবুল ভাই জিজ্ঞেস করলে বলি, মা খুব খুশী হয়েছে। তাদের গুণধর ছেলে এমন মহত্বের নজির রাখতে পারে কখনও ভাবেইনি! সে দিনের না বলা গোপন কথাটি আজ অজান্তেই ফাঁস করে দিলাম হাঃ হাঃ হাঃ।
রক্ত দেয়ার পর কী যে অনুভূতি! আমার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র এই প্রথম ভালো লাগাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। এ তো পুরোটাই মনের খেয়াল। কলমের ভাষায় বোঝানো তা বড়ই মুশকিল। তবে নিজেকে সেদিন সত্যিকারের মানুষ মনে হয়েছে। মানবতার মেঘহীন মুক্ত আকাশে যেনো হঠাৎ-ই হয়ে গেলাম তারা। সে তারার দু'চোখ বেয়ে অনবরত ঠিকরে পড়তে থাকে আনন্দ রেখা। একই সাথে ব্লাড ব্যাগের ভেতর থেকে উষ্ণ রক্ত কণিকাগুলো সমস্বরে আওয়াজ তুলে, “ধন্য, তুমি আজ ধন্য,” তুমি আজ ধন্য” আত্মার অনুভবে আমি তাই পুরোটাই বিভোর। এমন অনুভবতার স্পর্শ এর আগে কখনও পাইনি।
‘ভাই যাকে রক্ত দিলেন তাকে দেখবেন না' সংবিৎ ফিরে পাই। হ্যা, এক কথায় অবশ্যই। ১৫ নং ওয়ার্ড দুপাশে রোগীর সারি। দুই বেডের মাঝে ফ্লোরে আরেকটি করে রোগী, এক কথায় গাদাগাদি। তারই মাঝখানের বেডটার দিকে ধীরে পায়ে এগোচ্ছি। বেডের সন্নিকটে দাঁড়াতেই সময়ের সন্ধিক্ষণে আমি আঁতকে উঠি। শরীরে অভ্যন্তরীণ ভয়ানক এক ঝাঁকি খেয়ে গেলাম। ভুল দেখছি নাতো। না এইতো আমার চারপাশে অনেক মানুষ। কিন্তু আমি যে মানুষটাকে দেখছি সে তো মানুষ নয়, যেনো জীবন্ত এক কঙ্কাল।
মাথায় একটি চুলও নেই উঁচু নিচু অসমান বেলের মত। গাল দুটো দাঁতের পাঁজরে একেবারে সাঁটানো। চোখ দু'টি কোটরের ভেতর এতটাই বসানো যেনো মনে হয় ছোট ছোট দুটি গর্ত। গলা ও হাতের শিরা-উপশিরা যেনো চামড়া ঠেলে বাইরের পৃথিবী দেখতে চায়। আমি মনে মনে জোর গলায় নিষেধ করি, দোহাই তোমাদের এতটা নিষ্ঠুর হয়ে
। এই মানুষটার এমন পরিণতি কেন? কি এমন অসুখ হয়েছে? অচেনা মানুষটি বিড় বিড় করে বলে গেলেন, “এইডা আমার স্ত্রী, ব্লাড ক্যান্সার, তিন মাস ধইরা হাসপাতালের এই বেডে, আপনে ১০ নাম্বার ব্যাগ”।
শোনামাত্রই আমি একেবারেই চুপসে গেলাম। ভেবেছিলাম অসুস্থ মানুষটা নির্ঘাত পুরুষ হবে। কিন্তু ক্যান্সার নামক হায়েনা তার শরীরের মাংস গুলোকে এমনভাবে কুরে কুরে খেয়েছে, মেয়েলীর কোন বৈশিষ্ট্যটুকুও অবশিষ্ট রাখেনি। আহত স্বরে লোকটা আবার বলে চললো, “টানা-পোড়েন সংসার জমি জমা সবকিছুই এইডার পেছনে শেষ করছি, ভিটে মাটিই এখন শেষ সম্বল, ছোট একটা মাইয়া বাড়ীতে সারাক্ষণ মা, মা কইরা কান্দে”।
এর অল্পকিছুক্ষণ পর মৃত্যুপথযাত্রী কঙ্কালসার নারী চোখের পর্দা মেলে ফ্যাকাশে মণি দিয়ে আমায় অস্পষ্ট দেখার চেষ্টা করে। তিনি আমায় স্পষ্ট না দেখলেও আমি ঠিকই স্পষ্ট দেখেছি তার নিভু নিভু স্বপ্ন চোখে ১ মিনিট, ১ দিন, আরো ১ মাস বেশি বেঁচে থাকার আকুতি। কথা বলতে না পারলেও আমি সেই চোখেই দেখেছি, আমার প্রতি তার বিশুদ্ধ কৃতজ্ঞতার হাসি। অজান্তেই চোখ দুটো ছলছল করে উঠলো। আমি আর সইতে পারছিলাম না। অগ্যতা বললাম, ভাই এখন তাহলে আসি....
৬ মাস পরের কথা। আমার মেজো বোন সীমা গুরুতর অসুস্থ হলে ১৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করাই। ঠিক দুদিন ধরে। সকাল-সন্ধ্যায় একটা মানুষ এসে নাকি আমার বোনকে দেখে যায় খোঁজ নেয়, আমার মাকে ‘মা’ বলে ডাকে। তাই মা বলল, এই মানুষটা কে রে? আজ সন্ধ্যায় তুই থাকিস তো! এই অসুস্থ পরিবেশে হাজারো মানুষের ভিড়ে যে মানুষটি আমার বোনকে দেখতে এলা, সে আর কেউ নয় সেই অচেনা অথচ খুব চেনা মানুষ যার প্রাণপ্রিয় স্ত্রীকে রক্ত দিয়েছিলাম। আমায় দেখা মাত্রই হকচকিয়ে দৌড়ে এসে আমার দু হাত ধরে কেঁদে ফেললেন। বলেন, “ভাই আপনার ঋণ শোধ দেবার নয়, আপনাদের দোয়ায় আমার স্ত্রী এখনও বাইচ্যা আছে।” আনন্দে আমার মনটা ভরে উঠে। মায়ের দিকে তাকাতেই দেখি মায়ের চোখে মুখে খুশীর দীপ্ত রেখা ঝিলিক দিয়ে ওঠে। এত দিন পর মা জানতে পারলেন, আমি যা করেছি এমন মহৎ কাজ পৃথিবীতে খুব সহজেই কেউ করে না। আর তাই মা বললেন, “মানুষ হয়ে মানুষের জন্যে কিছু করতে চাইলে এমন কিছুই করিস বাঁধা দিবো না। আমার মনে দেয়ালে সে কথা স্বর্ণাক্ষরে নয়, হাতুড়ি-বাটাল দিয়ে সেদিন খােধাই করে লিখেছি।
হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে নারিকেল পাতার ফাঁক দিয়ে সন্ধ্যার আকাশটাকে দেখার চেষ্টা করছি। সীমাহীন সে আকাশ। অসীম তার দূরত্ব। কিন্তু তবুও পৃথিবীর সাথে তার একটা সেতুবন্ধন রচিত। যার নাম মাধ্যাকর্ষণ, সেটিও অদৃশ্য। আমি বুঝতে পারলাম মাস ছয়েক আগের কথা, আমি তো প্রায় ভুলতেই বসেছি। অথচ সেই অচেনা মানুষটির মনে তার রেশ বা Mind-connection রয়েই গেছে। সেটিও অদৃশ্য। যেটা ছিড়তে চাইলেও ছেড়া যায় না। তবে সেটা কিসের বন্ধন? হ্যা, শুধুই বাহ্যিক শিষ্টাচার নয়, এ বন্ধন ‘আত্মার বাঁধন'...
উৎসর্গঃ বাঁধন পরিবারের সেই সব সাদা সৈনিকবৃন্দ, যারা স্বার্থহীন অথচ প্রতিনিয়ত অন্যের রক্তস্রোতে মিশে যায়...


আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক মানুষ মানুষের জন্য..এই মেসেজটা পেলাম...ভালো লাগলো...শুভকামনা...আমার পাতায় আসবেন
মাইনুল ইসলাম আলিফ আশা করি সবাই অন্যের জীবন বাঁচাতে রক্ত দানে উৎসাহিত হবেন।সুন্দর গল্প।ভোট রইল।আসবেন আমার গল্প কবিতার পাতায়।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

এই পার্থিব জীবনের নানাবিধ দুঃখকষ্টের মধ্যে যে বিষয়গুলো আমাদের আনন্দিত করে, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল অন্যের জন্য কিছু করতে পারা। এই ছোটগল্পে কঠিন নগরজীবনের মধ্যেও এক তরুনের গল্প বলা হয়েছে যে কিনা জীবনের এক বিশেষ আনন্দ বিশেষ স্বার্থকতা খুজে পেয়েছে রক্তদানের মাধ্যমে। পার্থিব কর্ম, অপার্থিব প্রাপ্তি। গল্পের বিষয়বস্তু 'পার্থিব' বিষয়টির সাথে খুবই সমঞ্জস্যপূর্ণ ।

১১ এপ্রিল - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪