শোক

কৃপণ (নভেম্বর ২০১৮)

ARJUN SARMA
  • 0
  • ১০০
যুগলকিশোরকে কেউ যদি পথে পেয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘কোথায় যাচ্ছ ?’ উত্তরে সে বলবে ,’ওই তো সামনে ‘। প্রশ্নকর্ত্তা বুঝে নেয় যুগলকিশোর কথায় ফুলস্টপ দিয়ে দিয়েছে । আর কিছু বের হবে না মুখ থেকে । একটা কথায় হলে দুটো সে বলবেই না । কখনো কখনো মদনের মতো কেউ কেউ পেঁচিয়ে ধরে,আরে ,সামনেই তো যাবে । কেউ কি পেছনে যায় নাকি ? বলছি সামনেটা কোথায় ? যুগলকিশোর না দাঁড়িয়ে মুখটাকে নিমের পাঁচন গেলার ঠিক পরমুহূর্তের অবস্থানে নিয়ে বলবে ,সামনেই যাচ্ছি । মদন বড়ো ক্ষ্যাপাটে । জোরে জোরে বলবে , সামনে তো অনেক জায়গা । ধরো হিমালয় পর্বত ,তিব্বত ,চীন ,লণ্ডন - - তা তুমি কোথায় যাচ্ছ ? উত্তর না পেয়েও বলবে ,লণ্ডন যে তোমার কাছে ঠনঠন তা কি আর জানি না । আরো জোরে যোগ করবে ,ঘরে অন্তত লন্ঠনটা জ্বালিও ।

লন্ঠন শব্দটা শুনলেই যুগলকিশোরের ব্রহ্মতালু কোজাগরীর তারাবাজির মতো ফ্যাচ ফ্যাচ করে জ্বলে উঠে । সবাই জানে তেল বেশি খরচের ভয়ে সে ঘরে হ্যারিকেন লন্ঠন জ্বালাতে দেয় না । একটা লন্ঠন ঘরে আছে যদিও , চিমনি কিনে না , পাছে বউ জ্বালিয়ে রাখে সেই ভয়ে । বউ সেজবাতিটা ক্ষণিকের জন্য ঠাকুরের সামনে দেখিয়েই নিভিয়ে ফেলে । এরপর দাওয়ায় বসে থাকে । কেউ এলে ঐ দাওয়ায় বসেই গল্প করে । রাতের রান্না দিনেই সেরে ফেলে । মোমবাতি এবাড়িতে প্রবেশাধিকার পায় নি কোনদিন, কোন পূজোতেও ।

যুগলকিশোরকে দুষ্টু ছেলেরা ‘লন্ঠন,ঠনঠন’ বলে দুয়ো দেয় আড়ালে ,নিরাপদ দূরত্ব থেকে। বাগে পেলে যুগলকিশোরও ছাড়ে না ।‘তোর বাপকে বলিস ‘ বলে গালাগাল দেয় । কিন্তু মদনের মুখে ‘লন্ঠন’ শুনেও যুগলকিশোর পিছনে না তাকিয়ে হাঁটা দেয় । কারণ ,উত্তর দিলে মদন এরপর যা বলবে তা যুগলকিশোর হজম করতে পারবে না এটা পুর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই জানে । মদনকে সে সত্যিই ডরায় ।

মদনের সঙ্গে অনেক এনকাউন্টারের মধ্যে একটা হল গোলবৈরাগীর চা দোকানের ঘটনা । যুগলকিশোর ,হরেন আর মদন চা খাচ্ছিল । মদনই চা খাওয়াচ্ছিল । গোলবৈরাগী বলল ,আজ কি সূর্য উত্তর দিকে উঠেছে নাকি ? যুগলদার পদধূলি আমার দোকানে ! জোর করেও তো দোকানে ঢুকাতে পারিনি ,পাছে চা খেয়ে দাম দিতে হয় সেই ভয়ে । এত টাকাপয়সা কে খাবে ? নিজের জিভটাকে একটু স্বাদের পরশ দাও না । এই মদন আজ যুগলদাই তোদের রসগোল্লা খাওয়াবে । আর চা’র সঙ্গে টোষ্ট দিচ্ছি , এর টাকাও দেবে যুগলদা । কোন কথা শুনছি না । নিত্য নিত্য খালি চা খাও । হরেন ,মদন যুগলের স্বাস্থ্য কামনার ফিরিস্থির ফাঁকেই বৈরাগী তিনপ্লেটে রসগোল্লা এনে দিয়েছে । হতভম্ব যুগলের মুখ দিয়ে কথা সরছে না । সে টোষ্টটা চায়ে ডুবিয়ে মুখে দিতে দিতে হিসাব করছে তিনটাকা করে তিনটে রসগোল্লা নয় টাকা আর টোষ্ট আট আনা করে দেড় টাকা ,মোট হলে গিয়ে সাড়ে দশ টাকা । কাশি উঠে বিষম খেল যুগল । ষাট ষাট আস্তে খাও ,বলল মদন । যুগল গম্ভীর সুরে বৈরাগীকে ডেকে বলল, রসগোল্লাটা তুলে নাও । আজ আমার খাওয়া হবে না । বৈরাগী বলল ,আরে আজই খাও তো ,নইলে আর কোনদিনই খাওয়া হবে না । যুগল ভাবছে একটা রসগোল্লার টাকা বেঁচে যাবে । বাজারে আসার পথেই রূপন ধানের দাম বাবদ ষাট টাকা দিয়েছিল । ট্যাঁকে এখনো সেই টাকার তাপ অনুভব করছে । সেখান থেকে এতগুলো টাকা চলে যাবে এত সহজে ! হরেন আর মদনের খাওয়া শেষ । যুগল দশ টাকা দিয়ে বৈরাগীকে বলল, এখান থেকে সাড়ে সাতটাকা রেখে বাকীটা দাও । রসগোল্লাটা রেখে দাও । হাটবার বলে দোকানে খুব ভিড় । বৈরাগী রেগে গিয়ে বলল ,যুগলদা অনেক কিপ্টে দেখেছি । এমন দেখি নি । এই নাও তোমার রসগোল্লা কুকুরকে দিলাম , বলে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিল । মনে রেখ ,ভগবান টাকাপয়সা দিয়ে পরীক্ষা করে দেখে লোকটা ভোগ করতে পারে কিনা । না পারলে ফিরিয়ে নেয় । তোমার টাকাও উইপোকায় খাবে একদিন । সবাই শুনল ,মন্তব্য ছুঁড়ল । দোকান থেকে বের হয়েই ধরল মদন , টোষ্টটা গিলতে পেরেছিলে তো ,নাকি উগরে দেবে ? তোমাকে দোকানে আনাটাই ভুল হয়েছে । সাড়ে সাত টাকার শোক সামলাতে পারবে তো ? তোমার টাকার রসগোল্লায় পেট না ফুলে উঠে ভাবছি । তুমি আসলে চিমসার হদ্দ । যাও বাড়ি গিয়ে দুদিন উপোস দাও । তোমার পোলাটা ঠিকই বলে , তোমার টাকা ঘুণা পোকায়ই খাবে । আর বলে কি জান ,তুমি মরলে সে মচ্ছব দেবে । মদনকে ডরায় যুগল । চুপচাপ চলে যায় ।

যুগলের অনেক ধানি জমি,সব্জি ক্ষেত ,সুপুরীর বাগান,নারিকেল গাছ আছে । সারা বছর সুপুরী আর নারিকেলই বিক্রী করে অনেক টাকার । টাকা সে নিজের কাছেই রাখে । ছেলে রমেশ বা বউ সুমতিবালাকে ধরতেও দেয় না । রমেশ একবার বাজার করতে গিয়ে দেড় টাকা বেশি খরচ করেছিল বলে তাকে এই মারে কি সেই মারে । দেড় পয়সার মুরোদ নেই দেড় টাকার সৌখিনগিরি ! আজ উপোস দিবি হারামজাদা । এই তোর শাস্তি ।

রমেশ সাদাসিধে ছেলে । মাকে জড়িয়ে ধরে দুয়েক টাকা আদায় করে । সাবধানে চুরি করে সুপুরী বিক্রী করে সুমতিবালা । তবে মাঝে মাঝেই যুগলকিশোরকে বকে তুলোধূনো করে দেয় । এক কাপড়ে থাকে সারাক্ষণ । ব্লাউজ কি জিনিস বিয়ের সময় ছাড়া বুঝে নি । দুটো কাপড় আনতে বললে যুগল পরীক্ষা করে একটাই আনবে । তাহলে একটা কাপড়ের দাম বেঁচে গেল । যেকোন কিছু দুটো আনতে বললে যুগল সর্বদাই একটা আনবে । বলবে , একটা শেষ না করে আরেকটা ব্যবহার করা অন্যায় । একটার দাম বাঁচানোর জন্য এটাই তার ফর্মূলা ।

যুগলকিশোর নিজে ধূতি পরে ,ভিতরে পরে কাপড়ের টুকরোর ল্যাঙ্গট । উপরে একটা ফুলহাতা গেঞ্জি । তাও বাজারে বের হলে ,অন্য সময় খালি গা । খালি পা । ল্যাঙ্গটের প্রস্তাবে রমেশ দুদিন উপোস ছিল । শেষে বউয়ের জ্বালাধরানো বকুনি খেয়ে একটা সর্ট আর একটা লং প্যান্ট কিনে দিতে কলজে ছিঁড়ে যাবার জোগাড় । রমেশ বাজারে বের হলেই প্যান্ট পরে । অন্য সময় লুঙ্গি , গেঞ্জি বা খালি গা । দুটো আইটেম তারও নেই । যুগল এক আইটেমের লোক !

ছোটোবেলায় কোজাগরীতে বাজি পোড়ানোর বায়না ধরেছিল রমেশ । সুমতিবালা বলল , অন্তত দুটো প্যাকেট তারাবাজি কিনে দাও । অনেক বকবকানির পর যুগল এক প্যাকেটের টাকা দিয়ে বলেছে,বাজী পুড়িয়ে কী লাভ । এতো শুধু দেখার বিষয় । যা , সামুরা অনেক বাজী কিনেছে । ওদের উঠোনে দাঁড়িয়ে দেখে আয় । এক প্যাকেট বাজীর দাম বেঁচে গেল ।

সুমতিবালার মায়ের দেওয়া একজোড়া কানের হালকা রিং আছে । যুগল সেগুলিকে লুকিয়ে রেখেছে । ঘুমোবার জন্য কাঠের বড়ো চৌকির পায়ার নিচে গর্ত করে রেখে মাটি চাপা দিয়েছে । অন্য পায়ার নিচে আছে টাকার বান্ডিল । আর একটা ট্রাঙ্কেও থাকে টাকা । চাবি সর্বদা তার কোমরের তাগায় আটকানো থাকে ।

কালিপূজোর চাঁদা আদায় করতে ছেলেদের কালঘাম ছুটে যায় । গেল বছর এক টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকায় পৌঁছুতে এক ঘন্টা তর্ক চালিয়েছিল যুগল ।

রমেশকে সবসময় সমবয়সী বন্ধুরা, বড়োরা ক্ষেপায় আর দুয়ো দেয় ,
কিপ্টে যুগলের চিমসে ব্যাটা,
তোদের, টাকা খাবে উইয়ের পোকা ।
এই নিয়ে রমেশের মনে ক্ষোভ আছে ,প্রকাশ করতে ভয় পায় । সুমতিবালাও মাঝে মাঝে লেগে যায় যুগলের সঙ্গে । তখন যুগল একটু ঘাবড়ে যায় । তাও বাইরে প্রকাশ করে না । রমেশ একদিন বন্ধুদের সঙ্গে কোথায় যাবে বলে দেড়শো টাকা চাইল বাপের কাছে । যুগল তো বকে বকে এই মারে কি সেই মারে অবস্থা । দেবেই না টাকা । টাকা কি গাছের পাতা যে চাইলেই ঝরে পড়বে । শেষে সুমতিবালাও মাঠে নামে ,বিরক্ত হয় । অনেকদিনের পূঞ্জিভূত রাগ ,অভিমান বিষ্ফোরিত হল । কোমর বেঁধে বলল , সারাজীবন তো দুটো বললে একটা আনার অভ্যাস ছাড়তে পারলে না । না দিলে নিজের পরানে , না ছেলেকে , না আমাকে । কে খাবে তোমার টাকা ? হাড়মাস কালি করেও সুখ নাই । ছেলেটা দেড়শোটা টাকা চাইল ,তাতেও আঙ্গুলে জল সরে না । দাঁড়াও ,তুমি এখনো আমাকে চিনতে পার নি । তুমি মরলে আমরা ব্যাণ্ডপার্টি লাগিয়ে শ্মশানে যাব আর তোমার শ্রাদ্ধে গ্রামচুক্তি ভুরিভোজের আয়োজন করব ।

যুগল মরেই গেল । ছেলে আর বউ গর্ত খুঁড়ে , ট্রাঙ্ক খুলে টাকা বের করল । ব্যাণ্ডপার্টি এল । চন্দন কাঠ এল । দামী কাজ করা ধূতি পাঞ্জাবী পরানো হল যুগলকে । রমেশের পরনে দামী পায়জামা পাঞ্জাবী,মাথায় পাগড়ী আর সুমতিও পরল দামী শাড়ী । গ্রামের লোক হুমড়ি খেয়ে পড়ল । এমন শবযাত্রা কেউ আগে দেখে নি । শ্রাদ্ধের দিন যথারীতি ভুরিভোজের আয়োজন হল । রমেশ আর সুমতিবালাকে চেনাই যাচ্ছে না । ওদের অনুমানের চেয়ে অনেক বেশি টাকা পেয়ে আনন্দ আর ধরে না । শামিয়ানার নিচে টেবিল চেয়ারে বসে সবাই কব্জি ডুবিয়ে খাচ্ছে । সপ্ত ব্যঞ্জন শেষে দই মিষ্টি । গোলবৈরাগীকেই দেওয়া হয়েছে দইমিষ্টির বরাত । হরেন ,মদন আর বৈরাগী একসঙ্গে বসে হাসছে আর আকন্ঠ গিলছে । বৈরাগী হা হা করে হেসে বলছে, যে কোনদিন একটাও রসগোল্লা খায়নি আজ তার টাকাতে রসগোল্লা খাব মনের সুখে । এ্‌ আমাকে পাঁচটা রসগোল্লা দিবি । হরেন বলে ,আমাকে তিনটে দিবি । মদন আরো ক্ষেপে যায় ,শালা হাড়কিপ্টে যুগল ,দেখ কেমন তোর টাকার শ্রাদ্ধ করছি । এই, আমাকে দশটা রসগোল্লা দে তো ।

য়োঁ য়োঁ য়োঁ না না না ,খবরদার কিছুতেই না । আমি থাকতে কিছুতেই হবে না মদনা ,হরু । আমার টাকা , আমার টাকা , য়োঁ - - য়োঁ - -য়োঁ - - -য়োঁ - - -। সুমতিবালা ছুটে আসে , এই ,কী হয়েছে ? এইরকম করছ কেন ? বেলা হয়েছে । আরে ! পায়ার নিচে কী খুঁজছ । তুমি কী এখনো ঘুমুচ্ছো না কি ? দেখা গেল যুগল চৌকির পায়া ধরে বসে আছে । সুমতির ঠেলা খেয়ে ধাতস্থ হয় । পায়ায় হেলান দিয়ে স্বপ্নের বিষয়গুলো আর একবার ঝালিয়ে নেয় । সুমতিবালা ‘মরণ !’ বলে চলে যায় ।

এসব ঘটনা অনেকদিন আগের । আজ সত্যি সত্যিই যুগলকিশোর মরণের কাছাকাছি । কয়েকদিনের পুরনো জ্বর । খাওয়া বন্ধ । শরীর একেবারেই দুর্বল । কথা বলার শক্তি নেই । তাকে না জানিয়েই গোপাল ডাক্তারকে আনা হয়েছে । অনেকক্ষণ দেখেশুনে গোপাল ডাক্তার বলল ,অবস্থা ভাল নয় । কমপক্ষে তিনটে স্যালাইন দিলে পর বুঝা যাবে । কানে যেতেই চোখ না খুলেই যুগলকিশোর সর্বশক্তি জড়ো করে বলল, ডাক্তার , একটা কম দিলে হয় না ? ডাক্তার বলল, হবে না কেন , হবে । তবে সবই তাঁর ইচ্ছা । তুমি আমি কে বল ? জনান্তিকে বলে ,দুটোও লাগে কিনা সন্দেহ । সুমতিবালার কাতর আহ্বানে ডাক্তার স্যালাইন লাগিয়ে দিয়েছে ।

যুগলকিশোরের চোখ আর খোলে নি । সুমতিবালা স্যালাইনের দিকেই তাকিয়ে বসেছিল সারাক্ষণ । একটা স্যালাইনও পুরো টেনে নিতে পারেনি যুগলের শরীর । দুটো স্যালাইনের টাকাই বেঁচে গেল !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মুহাম্মাদ লুকমান রাকীব প্রিয় কবি/লেখক. অাপনাদের জন্য নতুন ওয়েব সাইট www.kobitagolpo.com তৈরি করা হয়েছে নতুন অাঙিকে। এখানে বর্তমান প্রতিযোগীতার জন্য নির্ধারিত “বাবা-মা” শিরোনামে লেখা জমা দেয়ার জন্য অামন্ত্রণ করা হচ্ছে। অাগ্রহীগণ ২৫ নভেম্বরের মধ্যে www.kobitagolpo.com এ লিখা জমা দিন। প্রতিযোগীতায় সেরা নির্বাচিত ৬ জনকে সম্মাননা দেয়া হবে।।।
ARJUN SARMA মো মোখলেছুর রহমান সাহেব, অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকুন,
মোঃ মোখলেছুর রহমান যুগলকিশোরের জীবনালেখ্য পড়লাম, চরিত্র চিত্রায়ন অসাধারন।
Arshad Beeg চোখে জল আসার মত গল্প।শুভকামনা রইলো।
Arshad, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকুন
ARJUN SARMA জসিম উদ্দিন আহমেদ সাহেব, অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ভালো থাকুন,
জসিম উদ্দিন আহমেদ ভালো লাগল গল্প পড়ে। তবে মাঝের অনুচ্ছেদে "যুগল মরেই গেল....” বিষয়টা যে যুগলকিশোরের স্বপ্নে ঘটছে, তা আরেকটু খোলাসা করলে ভাল লাগতো বলে আমার মনে হয়েছে। ভোট ও শুভকামনা।
ARJUN SARMA জামাল উদ্দিন আহমেদ সাহেব, অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রথম পাঠকের সেরা অনুপ্রেরণা, ভালো থাকুন
Jamal Uddin Ahmed দাদা, এবার আমিই আপনার প্রথম পাঠক। বরাবরের মত আকর্ষণীয় বুনন। শুভেচ্ছা ও ভোট থাকল।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

কৃপণ হয়ে কেউ জন্মায় না । ভাগ্যবলে বা কর্মবলে অনেক এই পৃথিবীতে সম্পদের অধিকারী হয় । সেই সম্পদ ব্যবহারেই বুঝা যায় তার জীবন দর্শন । কেউ সারাজীবন টাকা শুধু জমিয়েই যায় । ভোগ করে না বা করতে জানে না । তারাই কৃপণ । যুগলকিশোর এই শ্রেণির । শুধু আগলে আগলেই রাখল সম্পদ । একমাত্র ছেলে বা বউ কাউকেই ভোগ করতে দিল না । নিজেও ভোগ করতে শিখল না । এরা জমিয়েই যে আনন্দ পায় তা নয় । জমানোতে একধরনের হীন আত্মসুখ অনুভব করে । একদিন দুম করে মরেও যায় । কেউ মনে রাখে না । যুগলকিশোর এই অর্থে প্রকৃত কৃপণ ।

০৮ এপ্রিল - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ১২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "পরগাছা”
কবিতার বিষয় "পরগাছা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুলাই,২০২৫