জোৎস্নারাতের স্বপ্নকোমল

কোমল (এপ্রিল ২০১৮)

বুরহান আহমেদ
এক.
জোৎস্না রাত। তারারা মিটমিট করে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে পৃথিবীময়। ঝিরঝির বাতাসে হেলেদুলে উঠছে গাছের পাতাগুলো। মনে হচ্ছে কোন এক দুনিয়াতে অতিথি হয়ে এসেছি সামান্য সময়ের জন্য। হারিয়ে যাচ্ছি এক স্বপ্নীল ভুবনে। বেদনার মুহুর্তগুলো আমার থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শত ক্রোশ মাইল দূরে। হঠাৎ কাধে একটা শীতল হাতের ছোয়ায় ফিরে এলাম ভুবনে। ফিরে তাকাতেই দেখি দুটি নিষ্পাপ চোখ ছলছলে চাহনিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। হয়ত কিছুটা অভিমান-ভালোবাসা আর ফিরে আসার আকুতি নিয়ে। আমার চোখ দুটোও কি ছলছল করে উঠল? বুঝতে পারলাম না।
দুই.
আনিতার সাথে প্লান করেছিলাম সন্ধ্যায় একসাথে হাটতে যাবো। হাতে হাত রেখে ঘুরে বেরাব পুরোটা শহর। হারিয়ে দু'জনে কোন এক অজানা দুনিয়ায়। বিয়ের ছ'মাসের মধ্যে একদিনও তাকে এভাবে সময় দিতে পারি নি। কত স্বপ্নই তো দেখেছিল সে। কত আশাতেই তো বুক বেঁধেছিল আমার ঘরে আসার আগে। একটু হলেও কি পেরেছি তার আশা পূরণ করতে? তার মুখে হাসি ফোটাতে?
ফার্মগেটে বাসে বসেই হারিয়ে যাচ্ছিলাম ভাবনার দুনিয়ায়। কত আনন্দ আর কল্পনা উঁকিঝুকি দিচ্ছে মনের আয়নায়। অজান্তেই হেসে উঠছি। কিন্তু সময়টাতো আর ফুরাতে চাচ্ছে না । প্রতিটি মুহুর্ত পাহাড়ের মত স্থির মনে হচ্ছে। আসলেই কি তাহলে অপেক্ষার প্রহরগুলো এত কষ্টের? হারিয়ে গেলাম কল্পনার ভূবনে।
তিন.
আনিতার ফোনটা বেজে উঠলো। অপরিচিত এক নাম্বার থেকে ফোন এসেছে। রিসিভ করতেই ভেসে এল এক মহিলার কণ্ঠস্বর। পরিচয় দিয়েই শুনিয়ে দিলো আমার ও ঐ মহিলার পুরাণো (মিথ্যা) লাভস্টোরি। আনিতা প্রথমে বিশ্বাস না করতে চাইলেও মহিলার জোরালো কণ্ঠ আর স্পষ্ট বাচন ভঙ্গি তার মধ্যে ঢুকিয়ে দিলো সন্দেহের বীজ। তারপর থেকে শুরু হলো আমার প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণা। আবেগের বশবর্তী হয়ে আমাকে না জানিয়েই নিয়ে নিল এক ভয়ানক সিদ্ধান্ত
চার.
ব্যবসায়িক কাজে আমার সাথে একটা লোকের সামান্য দ্বন্ধ ছিলো। শেষমেষ আমার সাথে না পেরে প্রথমে চেয়েছিলো আমার দোকানে আগুন ধরাতে। পারল না। কিন্তু লোকটা সংসারে ধরাতে আর ভুল করলো না। ছাড়খার করে দিল সব। ভাড়াটে মহিলা দিয়ে সাজাল ঘটনা। যখন বুঝেছি ততক্ষণে বড্ড দেরী করে ফেলেছি। ছোট হয়ে গেছি প্রেয়সীর কাছে।

পাঁচ.
হালকা বাতাসে আনিতার চুলগুলো উড়ছে। উদাস নয়নে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে ফের ছুটে এসেছে..। আচ্ছা আমার চোখের অশ্রুগুলো কি ও দেখে ফেলল? নিজেকে লুকাতে চাইলাম। ও আমার একেবারে কাছে চলে এসেছে। কেন যেন ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। বাতাসে মিলিয়ে যেতে লাগল আমাদের দু'জনের আনন্দ কান্নার আওয়াজ।
ভাবলাম, এতকিছুতে হয়ত ভেংগে যেতে আমাদের এই সংসার যদি কোমলতার পরিবর্তে ব্যবহার করতাম রগচটা রাগ।
হয়ত এতক্ষণে দু'জনে থাকতাম দুই প্রান্তে। হয়ত আমার জীবনে নেমে আসত তিমির অন্ধকার। কোমলমতি এই নারীর প্রতি কোমল আচারণেই যেন সব পালাল।
এই জোৎস্নায় এভাবেই কেটে গেলো কিছু মুহুর্ত!!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু আসলে মানুষ চেনা বড় কঠিন কাজ। কে যে কখন সংসারে আগুন ধরানোসহ অন্যান্য ক্ষতি করার চেষ্টা করে তা বোঝা মুশকিল। তাই সতর্ক থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। --- শেষ পর্যন্ত আনিতা যে ভুল বুঝতে পেরে ফের ছুটে এসেছে এটা খুব সুন্দর। অনেক ভাল লাগল গল্পটি। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। ভাল থাকবেন।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী আবেগটা বেশি ফুটিয়েছেন। আরও বড় ও ভালো করার অনুরোধ রইল.... শুভকামনা নিরন্তর।
সালসাবিলা নকি শেষ কথাগুলো খুব মূল্যবান। গল্পটা ভালো লেগেছে।
সাদিক ইসলাম আনিতার মতো কোমল মেয়ে আমারও পছন্দ। ভালো গল্প। আমার গল্পে আমন্ত্রণ।
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া পাঁচ পর্বের গল্প। তবে চার দিলাম। ভালো লেগেছে। আসবেন অামার কবিতার পাতায়। মন্তব্য জানালে অনুপ্রাণিত হবো।
রবিউল ইসলাম সুন্দর লিখেছেন কবি। আমার পাতায় আপনাকে স্বাগতম। আপনাকে ভোট দিতেও ভুলিনি প্রিয়।
জুনায়েদ বি রাহমান ভালো হয়েছে। তবে গল্প আরো বড় করলে ভালো লাগতো। (আগেও পড়ে মন্তব্য দিয়েছিলাম কিন্তু এখন অপাঠিত দেখাচ্ছে। বুঝলাম না।)

০১ মার্চ - ২০১৮ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪