দিনের পুরোটা পথ পশ্চিমে বাঁক ঘুরে মিশে যাচ্ছে রাতের গলিতে। পর্বতের ছায়াও এমনকি মৃতপ্রায়। গোধূলি ও সন্ধ্যার গিলাফে রচিত দু'রঙের সামান্য ব্যবধান।
একটা পরবাস্তবিক জলোচ্ছ্বাসে ফুলে ওঠে আমার খুলি, লোমকূপ, কংকাল। স্বপ্নের ডিঙিতে ভাসতে ভাসতে হাজির হয় রক্ত-মাংস ও আত্মার কাঠামোহীন বারবারার মৃত্যুশয্যা। তার গায়ে তখন তুষারের ফ্যাকাশে কম্বল অন্ধকারে ডুবন্ত নক্ষত্রের মতো চোখে মৃত্যুর ইতস্তত ছায়া। পাশে তার নাবালক ম্যাক্সিম- মাতামহের অনাগত অত্যাচারের শঙ্কায় ত্রস্ত।
আর আজ; এই অপ্রেমের সারশূন্য জগতে যখন সন্তান হত্যার শিল্পে আকৃষ্ট পৃথিবীর সমস্ত ভাস্কর তখনও উদ্ভাসিত বজ্রের মতো জিহ্বার সুদৃঢ় উচ্চারণে মা আমাদের ঢেকে দেন আলোর প্রশস্ত বর্মে।
শুনেছি, নগরীর চতুর্দিকে যখন শুধু ক্ষুধা আর ক্ষুধা তখন ভোঁদড়েরা মাতৃ-মাংসে বাঁচে আশৈশব। তাহলে ভাবো একবার, একাত্তরের সেই স্নেহময়ী জননীর কথা যে নিজের সন্তান ভেবে বিছানার বালিশ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল শত্রুহীন নির্বাক জঙ্গলে। এখন বাতাসে আবার রটে গি্যেছে রক্তের গন্ধ মানুষের ঘ্রাণ শুঁকে বাড়ি বাড়ি ইবলিশ দেয় হানা। আর বুটের আঘাতে থেঁতলে ফেলে নবজাতকের মগজ। আদিগন্ত কুয়াশার কুন্ডলী পাকানো এই মৃত্যুর উৎসব রুখতে রোহিঙ্গা জননীর বাহু আর কতটুকুই বা বিস্তৃত?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এ কবিতায় মায়ের তাৎপর্য ও মহিমা তুলে ধরা হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
১৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।