কী প্রাণান্তকর তার প্রয়াস! মাঝে মাঝে দু-একটা শেয়াল, শকুনকে দেখা যায় পচে যাওয়া, গলিত ও দুর্গন্ধময় লাশ খেতে। তাজা লাশগুলো তো কবেই মানুষের পাকস্থলীতে হজম হয়ে গিয়েছে! সৌভাগ্যবানরা আজ উদ্ভিদের পুষ্টি। একটা কাঠঠোকরা অবিরাম কাঠ ঠুকে চলছেঃ ঠক ঠক ঠক ক্লান্ত হয়ে আসে তার ঠোঁট ক্লান্ত হয়ে আসে অসংখ্য বাজপাখি, হামিংবার্ড, ঈগলের ডানা। মরুর জাহাজের সব সঞ্চয় শেষ হয়ে আসে তার দুই হাঁটু মুড়ে এলিয়ে দেয় নরম কুঁজ তপ্ত বালুতে। নিস্তব্ধ প্রান্তর, পাহাড়ের চূড়াগুলো শকুনের পাখার ধ্বনিতে প্রাণোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ওরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে। ওরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসে সৈনিকদের কাঁধে ভর করে। কাঠঠোকরা, বাজপাখি, হামিংবার্ড আর ঈগলের চোখের সকরুণ অনুনয় ওদের রক্তের নেশাকে আরও গাড় করে তোলে। সানআর সদ্য জৌলুসহারা এক বাড়ি থেকে একটা ক্ষুধার্ত শিশু ক্রমাগত চিৎকার করে যাচ্ছে, তার সুতীব্র চিৎকারে কেঁপে কেঁপে উঠছে ভগ্ন দরজা। তার সুতীব্র চিৎকারে খসে পড়ছে দেয়ালের রং, পালস্তারা। তার জননী অনবরত একটা ভোঁতা ছুড়ি দিয়ে নিজ দেহ থেকে এক টুকরো মাংসপিণ্ড কেটে নেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। তার শীর্ণ শরীরে এতটুকু ক্লান্তি নেই, এই আর্দ্রতাহীন বাতাসে তার এতটুকু ঘাম নেই। তার পা বেয়ে ফোঁটা ফোঁটা কালচে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে ঝলসানো মাংসের আশায় আর্দ্র জিভ সে চেটে নেয়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এ কবিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের নাগরিকদের কষ্টের বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারী - ২০১৮
গল্প/কবিতা:
১৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।