তিয়া নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না... কি দেখছে সে এসব? সে স্বপ্ন দেখছে নাতো? সে নিজের হাতে একটা চিমটি দিল উফফ্.. নাহ সে তো স্বপ্নে দেখছে না... তাহলে সে কোথায় আছে তা বুঝতে পারছে না কেন? আর সারা শরীরে এত অসহ্য ব্যাথা.. কি হয়েছে তার? উফফ্.. কিচ্ছু মনে করতে পারছে না সে.... তার নাম তিয়া। এইটুকুই মনে পরছে তার। আচ্ছা এ কি এইখানেই থাকে? তাহলে তার হাত বাধা কেন? কে ই বা বাধলো? কেনই বা... হাউ আর ইউ ব্রেইভ গার্ল? আশা করছি তোমার এইখানে কোন কষ্ট হচ্ছে না.. হা হা হা... হঠাৎ চিকন কর্কশ কন্ঠে তিয়ার চিন্তায় ছেদ পড়ল। সামনে বিদঘুটে চেহারার একটি লোক দাড়িঁয়ে আছে... লম্বা প্রায় আট ফুটের মতো... এত লম্বা কেউ হতে পারে তিয়া সেটা ভাবতে পারেনি। লোকটার চোখ অনেকটা হিংস্র ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো... ছোট্ট একটা মুখ যেন বিশাল দেহে বসিয়ে দেয়া হয়েছে.... ওই চোখ দুটো যেন ওই বসিয়ে দেওয়ারই অংশবিশেষ। সমস্ত মুখজুড়ে সজারুর মতো কাঁটা.. তিয়া আর তাকাতে পারছে না। ওর চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। তিয়া ঘুমিয়ে পড়ল। তিয়া কতক্ষণ ঘুমালো সে জানে না। কিন্তু যখন চোখ খুলল... সেই মানুষটি এখনও তার সামনে। তার মানে সে ঘুমিয়ে পড়েনি। বোধহয় কিছুক্ষণের জন্য অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। ইউ আর স্টিল এলাইভ... আই এম ইম্প্রেস্ড ইয়াং লেডি... আই নিউ ইউর ব্রেইভনেস.... হা হা হা। আহ কি যন্ত্রণা.... সারা শরীরে বিষ দেওয়ার মতো যন্ত্রণা। আচ্ছা..... তাকে কি বিষ দেয়া হয়েছে? তিয়া ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠছে। লোকটি কে? তাকেই বা ব্রেইভ গার্ল বলছে কেন? সে ই বা কে? এখানে হাতপা বাধাঁ অবস্থায় কি করে এল? আচ্ছা সে কি ক্রিমিনাল কেউ? হয়ত সামনে বসে থাকা লোকটি পুলিশ। এইকারণে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে? কিন্তু এই জায়গাটা দেখে তো থানা মনে হচ্ছে না। একটা তাবুর মতো.... আশেপাশে কোথাও ক্ষুধার্ত অনেকগুলো শকুন চিৎকার করছে... হয়তো সে জঙ্গলের মধে আছে। তাবুটা বেশ অন্ধকার। আবছা আবছা যা দেখা যাচ্ছে তা দেখেই তিয়ার শরীর শিউরে উঠল... অনেকগুলো সিরিঞ্জ, একটা রক্তমাখা করাত, কিছু ছুরি একপাশে রক্তে মাখামাখি অবস্থায় একপাশে পড়ে আছে। মনে হচ্ছে সদ্য কিছু কাটা হয়েছে... হয়ত মানুষ। ছিঃ... তিয়া আর ভাবতে পারছে না। এটা থানা হতেই পারে না। আই নিড ইউর ব্রেইভনেস... গার্ল... আই নিড ইউর ব্রেইভনেস... বিশাল এক সিরিঞ্জ নিয়ে লোকটি এগিয়ে আসছে তার দিকে.... তিয়া ভয়ংকর কিছুর আন্দাজ করতে পারছে... সেই কি মৃত্যু? লোকটা এগিয়ে আসছে ক্রমেই... তিয়ার প্রশ্ন এখনও শেষ হচ্ছে না... লোকটি সিরিঞ্জ তিয়ার বা হাতে পুশ করে দিয়েছে। তিয়া চোখে অন্ধকার দেখছে... তার মাথায় প্রশ্ন ঘুরছে তো ঘুরছেই... কিন্তু কোন উত্তর পাচ্ছে না। লোকটি বিদঘুটে দাঁত বের করে হাসছে। বাই বাই, ইয়ং লেডি... হা হা হা, সি ইউ ইন এনাদার ওয়ার্ল্ড... তিয়া অস্পষ্টভাবে শুনতে পেলো। সে মারা যাচ্ছে... এত প্রশ্ন নিয়েই... প্রশ্নবিদ্ধ হয়েই সে মারা যাচ্ছে। বিদঘুটে লোকটির চিকন কর্কশ গলার অস্পষ্ট স্বর সি ইউ ইন এনাদার ওয়ার্ল্ড, হা হা হা.... শুনতে শুনতে তিয়া ঢলে পড়ল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
শুধু নিজের নাম মনে করতে পারছে। এছাড়া আর কিছুই না। একজন ভয়ংকর লোক তাকে ইনজেকশন দিল। লোকটি কে, সে কোথায় এসব প্রশ্ন নিয়েই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো। চমৎকার লেখা। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
সাইয়িদ রফিকুল হক
গল্পের বিষয় ভালো। কিন্তু ছোটগল্প আরও গোছালো হতে হবে। আপনাকে ভোট দিয়ে যাচ্ছি। আর সমালোচনায় রাগ করবেন না। আর আমার গল্প পড়ে ইচ্ছেমতো সমালোচনা করবেন। শুভকামনা রইলো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।