সাধ্যে ছিলনা তার ঢাকাই শাড়ি কিংবা রেশমী চুড়ি; নথ- মাকড়ি, হাঁসুলি- বিছা কিংবা বালা-চুড়ি কিছুই ছিলনা সহজ নুনহীন পান্তার ঘরে। নাড়িছেঁড়া কিছু ধন আর একটি জড়সড় হাসনাহেনা এই ছিল তার স্বপ্নঘেরা পুঁটুলি।
নলখাগড়ার ঘরের কোণে হেরেমের বিলাস আমার মায়ের হাসনাহেনা – যেন জীবনের প্রাণরস। ছিলনা হাড়িতে চাল, উনুনে আগুন – এমন বহুদিন তবুও জোনাকীর মেলায় বসে প্রতি সন্ধ্যায় মা ফুসফুস ভরে নিতেন নির্মল ঘ্রাণ– তখন ভুলেই যেতেন ঠিকানা তার হাভাতের ঘর ।
এখনও হাসনাহেনা বিলি কাটে সন্ধ্যার চুলে আমাদের মাটির দাওয়া যেন স্বর্গের চাটাই রূপকথা শুনতে আসে জোনাকী শিশুর দল: এ যেন আমার মা - ঘিরে বসে আছি আমরা – আমি আর আমার অনুজা।
হাত রাখি হাসনাহেনার শীতল পাতায় – এ যেন মায়ের মুখ শুষ্ক সকরুণ – তবু ঠোঁটের কোণে আঁকা এক ফালি সুখ যেন কোনো ক্লেশ নেই, ছিলনা কখনও; কখনও ছোঁয়নি তাকে খিদের চিনচিনে ব্যথা কখনও দেখেনি সে বঞ্চনার ব্যাদান মুখ।
এখনও দাঁড়িয়ে যেন মা, হাতপাখা হাতে বেহেশতী সুবাস ছড়ায় তারা ফুল থেকে কপালে ছোঁয়ায় হাত আলগোছে মমতায় ভেজাচোখে মেলে ধরে সবুজ আঁচল, আর আমরাও ফিরে আসি বারবার মায়ের বুকে দাওয়ার অদূরে স্থির মা, হাসনাহেনা বেশে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাইনুল ইসলাম আলিফ
আহা ! জামাল ভাই আপনার কবিতায় যে কি রস, যে সবটুকু পড়বে না সে কিছুই টের পাবে না।প্রাণ জুড়ানো কবিতায় মায়া লাগানো স্মৃতিকাতরতা।অনেক অনেক শুভেচ্ছা।ভোট বন্ধ আছে।বিঃদ্রঃ আলহামদুলিল্লাহ আমি ভাল আছি।আশা করছি আপনিও ভাল আছেন।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
মাকে নিয়ে অনেক স্মৃতিই আমাদের থাকে। এরকম একটি স্মৃতিচিত্র ধরার চেষ্টা করা হয়েছে কবিতায়।
১৯ নভেম্বর - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
১৫৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।