ঘুমোতে যাবার আগে প্রতি রাতে মা কেমন বেঁধে রাখতেন স্বপ্নের পুঁটুলি, অতিযতনে আঁচলের খুঁটে ! আঁজলা ভরা ভোরের আলোতে কেঁচে নিয়ে পুরতেন তাতে নীলাভ আকাশের অসীমতা।
আমরা – আমি, আমার অগ্রজ আর অনুজা কিলবিল করে ছিঁড়ে ছুঁড়ে মায়ের স্বপ্ন ফোঁড়ানো কাঁথা হেঁটে ছুটে দৌড়ে পালাতাম দিগ্বিদিক– ভোরের চৌকাঠ থেকে দুপুরের গরাদে, সন্ধ্যের যবনিকা গলে তমসার নিখাদে: আবার ফিরে আসা সেই ছিলাম যেখানে (মায়ের স্বপ্নের বীজতলায়) প্রশান্ত ঊষার ঘুলঘুলি বেয়ে।
কেমন হন্যে মা আমাদের – তারার রাজ্যে চলে যাবার আগে – নাওয়াখাওয়া ছেড়ে: বুনবেন তার লালিত দানা স্বপনের, কোথা সে সুবর্ণভূমি? তবে কি হবেনা দেখা অঙ্কুরোদগম – কচিপাতা, পুষ্পকলি ছোয়া কি হবে না তার? ভয় তাকে জেঁকে ধরে নিশুতি রাতের বাদুড়ের ডানার ঝাপটার মত।
প্রতিটি ভোর হামাগুড়ি দিয়ে বসতো এসে যখন মায়ের চোখের পাতায় – সে কি আনন্দ! ফের সেই আঁচলের খুঁট, ছোটাছুটি, স্বপ্নের বীজ – প্রক্ষালন সূর্যের শূচিতে। আবার সেই বিশাল আকাশ আবার সুবর্ণভূমির তালাশ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত
কবিতার বিষয়বস্তু , বর্ণনার উপস্থাপনা , ভাষার ব্যবহার মুগ্ধ করেছে । ভাল থাকবেন । শুভকামনা রইল ।
মাইনুল ইসলাম আলিফ
ভোরের চৌকাঠ থেকে দুপুরের গরাদে,
সন্ধ্যের যবনিকা গলে তমসার নিখাদে:
আবার ফিরে আসা সেই ছিলাম যেখানে (মায়ের স্বপ্নের বীজতলায়)
প্রশান্ত ঊষার ঘুলঘুলি বেয়ে।///অসাধারণ।ভোট রইল জামাল ভাই।আসবেন আমার পাতায়।
Tahmina Alom Mollah
আকাশ কি নিজে জানে সে কত বড়? তো আপনার অভিধা বিচারের ভাঁড় আপনি নিজে নিচ্ছেন কেন? আর তাছাড়া কারো কারো কাছে এইটুকু বলতে বা ভাবতে পারাটাও যে আনন্দের।সেইটুকুও কি পেতে দিতে চান না?
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
প্রতিটি ভোর হামাগুড়ি দিয়ে বসতো এসে
যখন মায়ের চোখের পাতায় – সে কি আনন্দ!
ফের সেই আঁচলের খুঁট, ছোটাছুটি,
স্বপ্নের বীজ – প্রক্ষালন সূর্যের শূচিতে।
আবার সেই বিশাল আকাশ
আবার সুবর্ণভূমির তালাশ। অনেক চমৎকার লেখা কবি। খুব ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল।
জামাল উদ্দিন আহমেদ সাহেব, পুরস্কার নিতে তো যেতে পারছি না, আমাকে কি এব্যাপারে সাহায্য করতে পারেন? কি করতে হবে জানালে বাধিত হব। কিছু পাঠাতে হলে পাঠাবো। আপনার মোবাইল ফোন নম্বর দিলে আমি কথা বলতে পারি। আমার নম্বর 7005708006. দয়া করে মিস কল করলে খুশি হব।
অর্জুনদা, খুবই দুঃখিত যে ব্যস্ততার কারণে আপনার দ্বিতীয়বারের মন্তব্য/অনুরোধ চোখে পড়েনি। আপনার সাথে কথা বলব, নিশ্চিত থাকুন। তবে তার আগে আরেকটি কাজ করুন (ইতিমধ্যে যদি কিছু না করে থাকেন)। গক কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করতে পারেন যে তারা আপনার পুরস্কার আমার কাছে হস্তান্তর করবে কি না। যদি করে তবে আমি নাহয় একটু সময় বের করে তা নিয়ে এলাম। কিন্তু এর পরের ব্যাপারটার সমাধান হবে কেমন করে? কলকাতা হলে অসুবিধা নেই, আমার জানা লোকজন প্রায়ই ওদিকে যায়। ওদের হাতে দিয়ে দিলে তারা কলকাতায় পৌঁছে আপনাকে ফোন করে স্থানকাল জানিয়ে দেবে। এই একটা পথ। আমাকে জানাবেন প্লিজ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনি পুরস্কার নিতে পারবেন। শুধু পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। আপনার what's app নম্বর আমাকে পাঠান, আমার পরিচয়পত্র পাঠিয়ে দেব, ওটাদেখাতে হতে পারে। পুরস্কার আপাতত আপনার কাছে থাকুক, কলকাতা থেকে নিতে পারব। আপনার নম্বর দিন। আমি কথা বলব ৲
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
পৃথিবীতে মানুষের অবস্থান মহাকালের বিচারে অত্যল্পকাল। তবে আশা আর স্বপ্ন বিশাল। যেন পার্থিব জীবনটাই অনন্ত। কতভাবেই না জীবনটাকে সাজাতে চায়। অগুনতি স্বপ্ন দেখে। সন্তানের জন্য মা-বাবার স্বপ্নতো অফুরান। সব স্বপ্ন, সব আশাই পৃথিবীকেন্দ্রিক। কবিতায় এক মায়ের পার্থিব আকাঙ্ক্ষার পরিচর্যাকেই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
১৯ নভেম্বর - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
১৬১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।