কলঙ্কিনী চাদ

প্রশ্ন (ডিসেম্বর ২০১৭)

কাদের সিদ্দিকী
  • ২২
দুপুরথেকে বৃষ্টি হচ্ছে।
শেফালি জানালার পাশে বসে আছে । বৃষ্টি দেখছে । হাতে কফির মগ । কফিতে চুমুক দিতে দিতে শেফালি ভাবলো, “রফিককে সে ঠকাচ্ছে না তো? সিফাতের বিষয়ে রফিক কিছুই জানে না । সিফাতকে খুব ভালোবাসত শেফালি । একবার…..। থাক সেসব কথা ।”
কলিংবেল বাজছে ।শেফালি দেয়ালে আটকানো ঘড়ির দিকে তাকালো । ৫:১৭ । এসময় কে আসতে পারে? রফিক? নাহ,রফিক আসতে আসতে রাত ন’টা বাজবে ।তাহলে কে ?
“এই ফুলির মা, ফুলির মা ।”
“জ্বে আম্মা ।”
“দেখোতো কে এসেছে ।”
“আমার যত জ্বালা । এক বুইড়ারে হাগাইতে-মুতাইতেই তো সময় পাই না!আবার দরজা খোলাখুলি ।” ফুলির মা নিচু গলায় কথাটা এমনভাবে বলল যেন শেফালি শুনতে পায় ।
ফুলির মা বলল, “দাদাজান পেসাব করব ।উনারে পেসাব করাইয়া যাইতাছি ।”
শেফালিই দরজা খুলল ।
মোরশেদ এসেছে । রফিকের চেম্বারে থাকে । ফার্মেসির দায়িত্বে নিযুক্ত ।এছাড়া বাসার কিছু কাজ করে।রফিক কিছু কিনে দিলে বাসায় দিয়ে যাওয়া,বাবাকে ডায়ালাইসিস করাতে নিয়ে যাওয়া ।
শেফালি বলল, “পুরো ভিজে গেছেন দেখি!আসেন ভেতরে আসেন ।”
“না না, ভেতরে যাব না।রিকশা নিচে দাড় করিয়ে রেখেছি ।এগুলো রাখেন ।রফিক ভাই পাঠাইছে ।”
“আজকে রোগী কেমন?”
“দুপুরের পর কোনো রোগী নাই ।অসমের বৃষ্টি ।এসময়ে এতো বৃষ্টি কেনো?শরতে থাকবে ঝকঝকা স্বচ্ছ আকাশ ।তা কৈ? পরিবেশ দূষন কোন পর্যায়ে গেছে দেখেছেন ভাবী ? ”
শেফালি কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়ল ।
“আচ্ছা ভাবি, যাই ।”
“আচ্ছা।”
রফিকের এই এক স্বভাব ।যখন-তখন বাজার করা ।বাসায় মাছ-মাংস আছে কি নেই জিঙ্গেস করবে না? শেফালি এই স্বভাবের জন্য রফিককে প্রায়ই কথা শোনায়, বিরক্ত হয় ।তবে আজ বিরক্ত হতে পারল না বরং হাসি পেলো । কারন শেফালি জানে এই বাজারের উদ্দেশ্য কি। ডাল-মাংস পাঠিয়েছে । নিশ্চয়ই কিছুক্ষন পর ফোন দিয়ে বলবে , “ আজকের ওয়েদার টা দেখেছো, শেফা ।চমৎকার ওয়েদার ।রাতে খিচুরি করতে পারবে ? বৃষ্টির রাতে খিচুরীর তুলনা হয় না ।”

রফিক রোগী দেখার বেডে শুয়ে আছে । মনে মনে বৃষ্টি সম্পর্কিত একটা গান গাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে । আশ্চর্য বিষয়!কোনো গানই মাথায় আসছেনা । রফিক নিজের স্মৃতিশক্তির উপর কিছুটা বিরক্ত হলো ।
আজকের দিনটা কেমন কাটল রফিকের ? তেমন কোনো রোগী আসেনি ।অবশ্য রফিকের কাছে কখনোই খুব বেশি রোগি আসে না । মানুষ এখন অনেক বেশি জানে ।শুধুমাত্র M.B.B.S পাশ করা কারো কাছে রোগ দেখাতে ভরসা করে না । বড় ডাক্তার দেখায় । অবশ্য রফিকের এতে কোনো অভিযোগ নেই ।ইনকাম ভালোই হয় ।মাস শেষে গড়ে প্রায় লাখখানিক টাকা তো হবেই । প্রতি দিন যে রোগী দেখার পর কিছুটা ভাববার সময় পায় এতেই সে খুশি । বাবাকে নিয়ে ভাবে , শেফালির কথা ভাবে। মাঝে মাঝে মার কথাও মনে হয় ।রফিক যখন খুব ছোট তখন তার মা মারা যায় । মার চেহারা প্রায় ভুলেই গেছে রফিক।একদিন মনে করে মার ছবি দেখতে হবে ।বাবার কিডনী সমস্যাটা খুব বেড়েছে । বাবার কথা মনে হলেই রফিকের মনটা খারাপ হয়ে যায় ।জীবনে সুখের দেখা খুব একটা পায় নি।যৌবন বয়সে মানুষটা অর্থকষ্টে ভুগেছে । কখনো কখনো তিনবেলা ঠিকমতো ভাত খেতে পারেনি। রফিককে পড়াশোনা করিয়েছে । ডাক্তার বানিয়েছে । এখন তাদের অর্থকষ্ট নেই । তিনবেলা খাওয়ার পরও প্রায়ই অনেক ভাত-তরকারি ফেলে দিতে হয়। অর্থকষ্ট মুক্তির আনন্দ করবে কি ছাই , আক্রান্ত হলো কিডনী রোগে ।ঠিকমতো হাটতে পারে না এখন ।ডান বাম হাতটা সবসময় কাপে । সপ্তাহে দু-তিনবার ডায়ালাইসিস করাতে হয় ।জলের মতো টাকা খরচ হচ্ছে । রফিক অবশ্য টাকা নিয়ে ভাবে না । মোরশেদ থাকায় বিরাট উপকার হয়েছে রফিকের । বাবার দিকটা সে সামলে নিচ্ছে । রফিক স্বস্তির নি্শ্বাস ফেলল । ভাগ্যিস মোরশেদ ছিলো!
শেফালির কথাই বেশি ভাবে রফিক ।বড় ভালো মেয়ে ।তেমন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই ।কিছু দিলে খুশি , না দিলেও মন খারাপ নেই ।তবুও শেফালির চোখে একধরনের শূন্যতা খুজে পায় রফিক ।রফিক এই শূন্যতার কারন খুজে পায় না ।তাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় বছরখানিক হলো ।তেমন ভালো কিছু শেফালিকে দেওয়া হয়নি । রফিক ঠিক করে রেখেছে তাদের বিবাহের বছরপূর্তিতে শেফালিকে বড় একটা উপহার দিবে ।কিন্তু কি দেয়া যেতে পারে?
এভাবে ভাবতে ভাবতে রফিকের মনে জন্ম নেয় হাজারো প্রশ্ন । বেশিরভাগ প্রশ্নেরই উত্তর খোজার চেষ্টা রফিক করে না ।একসময় ভাবতে ভাবতে ঘুম এসে যায় ।আজও যখন তন্দ্রার মতো এসেছে তখন একজন ডাকল, “ডাক্তার সাব কি ভিতরে আছেন ?”

শেফালি আর রফিক পাশাপাশি চেয়ারে বসেছে । রাতের খাবার খাচ্ছে ।খিচুরি পাক হয়েছে । এমন সময় ফুলির মা কাপড়ের ব্যাগ-ট্যাগ নিয়ে হাজির ।
রফিক বলল, “কি হয়েছে ফুলির মা ?”
“আমি আর কাজ করুম না।”
“কেনো?”
“দাদাজানরে পেসাব করাইতে নিতে একটু দেরি হইলেই মুইততা পুরা ভাসায় লায় । ভাইজান আপনেই কন এই কাজ মেয়েলোক করে ? হাগা-মুতা পরিষ্কার করা মেথরের কাম । আমি কি মেথর ?”
রফিক কিছু বলল না ।
শেফালি বলল , “তুমি এখন যাও তো ?”
“কই যামু ?”
“সামনে থেকে যাও।”
ফুলির মা সেখান থেকে চলে গেলো । তার একটু পরেই কান্নার শব্দ শোনা গেলো, “ফুলির বাপরে, ও ফুলির বাপ, ফুলির বাপ …..।”রফিকের বাবা বলল, “আহা, কান্দে কেন?কি হইল?কান্দে কেন?”এধরনের ঘটনা এ বাড়িতে প্রায়ই ঘটে । ফুলির মা ব্যাগ-ট্যাগ গুছিয়ে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে কিন্তু কাজ আর ছাড়ে না । কাজ ছাড়তে না পেরে অথবা অন্য কোনো ক্ষোভের কারনেই হোক সে কাদে ।কান্নাকাটি শেষ হলে আবারো রফিকের বাবার সেবায় নেমে পড়ে । মাঝে মাঝে বারান্দায় গিয়ে ঝাপসা চোখে আকাশের দিকে তাকায় ।এ বাড়ির প্রতিটি জীবের মতো ফুলির মাও বড় নিসঙ্গ ।

রাত প্রায় ৩টা । শেফালি জেগে আছে । পাশে থাকা মানুষটা মরার মতো ঘুমুচ্ছে । শেফালির ইচ্ছে করছে রফিককে ডেকে কিছুক্ষন গল্প করতে । আজ কি জোছনা হয়েছে?দু’কাপ কফি বানিয়ে ফেলব?আকাশে চাদের আলোয় স্বামী-স্ত্রী দু’জন পাশাপাশি বসে আছে ।মধ্যরাত ।মৃদু বাতাস বইছে । পুরো পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়েছে । জেগে আছে শুধুমাত্র সে আর রফিক । কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে একে অপরের দিকে লাজুক চোখে তাকাবে । একসময় হঠাত রফিক তার হাতটা নিজের হাতে নিয়ে মৃদু চাপ দিয়ে বলবে, “কি সুন্দর জোছনা হয়েছে দেখেছো শেফা ?কবিতা শুনবে ?আচ্ছা দাড়াও ।
এইখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশে চাদের আলোয়
এক ঘাইহরিনীর ডাক শুনি,--
কাহারে সে ডাকে!
শেফালি মুগ্ধ হয়ে কবিতা শুনবে । রফিক এতো সুন্দর করে আবৃত্তি করে না!
শেফালি রফিকের দিকে তাকিয়ে আছে ।রফিক ঘুমুচ্ছে ।শেফালি দুবার ডাকল । রফিক উঠল না ।তারপর ভাবলো, “থাক,মানুষটা সারাদিন পরিশ্রম করে এখন শান্তিমতো ঘুমুচ্ছে,ঘুমুক না!” শেফালি উঠে বসল । বোধহয় আজকে আর ঘুম হবে না ।প্রায় রাতেই ঘুম হয় না শেফালির । ফযরের আযানের পর ঘুমাতে যায় ।
কফি বানিয়ে বারান্দায় গিয়ে বসল শেফালি । ঘুটঘুটে অন্ধকার ।নাহ, আজ জোছনা হয়নি । সেদিন রাতেও জোছনা ছিলো না । শেফালি সিফাতের হাত ধরে বসেছিলো ।সিফাত নিজের হাতে শেফালির হাত ঘষতে ঘষতে বলেছিলো, “কবিতা শুনবে?”
“কার কবিতা?”
“এই অধমের।”
শেফালি মুচকি হাসল । সিফাত আবৃত্তি শুরু করল ।

কৃষ্ণপক্ষের ঘুটঘুটে অন্ধকারে
প্রকৃতিতে খেলা করে ভয়,
চন্দ্রহীন আকাশটা আমারে
জোছনার কথা কয় ।।

“শেফালি।”
“উঃ”
“তুমি যখন পাশে থাকোনা সবসময় তোমার কথা মনে হয় । এর কারন বলতে পারো ?”
শেফালি লাজুক গলায় বলল, “জানি না।”বড় সুখেরসময় যাচ্ছিলো শেফালির । সিফাত যা বলে তাই তার ভালো লাগে ।
“আমি কি চাই জানো ?”
“কি?”
“আমাদের জীবনে কখনো কৃষ্ণপক্ষ আসবে না । আমাদের জীবন হবে জোছনাময় ।”
শেফালির কথাটা এতো ভালো লাগলো ।বারবার কানে বাজতে থাকল, “আমাদের জীবন হবে জোছনাময় ।” সেরাতে শেফালি আর সিফাতের মাঝে রহস্যময় কিছু সময় কাটে ।
সিফাতের সাথে শেফালির জীবন জোছনাময় হয় নি । পরদিন ভোরেই সিফাত কোথায় যেনো চলে যায় । সেদিন এর পর সিফাতের দেখা শেফালি কখনো পায় নি ।
এসব কথা মনে হলেই শেফালির শরীর ঘিন ঘন করে । নিজেকে খুব তুচ্ছ মনে হয় ।তখন তার বয়স কত হবে ?১৮,১৯?আর সিফাত তখন চাকরির সন্ধান করছে । কত সুন্দর সুন্দর কথা বলত!আর সে বোকার মতো সব বিশ্বাস করেছে ।কতটা গভীরভাবেই না সে সিফাতকে ভালোবেসেছিলো!আর সিফাত ? সে তার শরীরটাকে...। ছিঃ।
এই ঘটনার জন্য শেফালি নিজেকেই বেশি দোষারোপ করে । কেনো সে এতো বোকা হতে গেলো ? কেনো সিফাতকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতে গেলো ? কেনো সে সমস্ত কিছু ভুলে সিফাতের কথায় সেদিন চলে এসেছিলো?না আসলেই তো এসব কিছু হতো না । শেফালি দীর্ঘশ্বাস ফেলল।রফিক এ বিষয়ে কিছুই জানে না ।খুব বেশিই বিশ্বাস করে তাকে ।মানুষটার চোখে কখনো সন্দেহ দেখেনি শেফালি ।
কোনো কিছু গোপন করাও এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা ।যেখানে বিশ্বাস আছে,ভালোবাসা আছে সেখানে গোপনীয়তা একধরনের অন্যায় । শেফালি প্রায়ই ভাবে রফিককে সব জানিয়ে দেবে ।আবার তার ভয়ও হয় । রফিক যদি এসব শোনার পর ডিবোর্স চায়? এদিকে আবার বিবেকের তাড়নাও তাকে পুড়ে পুড়ে খাচ্ছে ।
ফযরের আযান দিচ্ছে । ভোরের প্রথম আলো শেফালির কান্নার সাক্ষী হয়ে থাকল । হয়তো বিষাদমাখা সুরে কয়েকবার বললও, “আহারে,আহারে!”

জোছনা ও নক্ষত্রের রাত । স্বামী-স্ত্রী দুজন খোলা আকাশের নিচে বসে আছে ।দুজনে নীরব ।তবে তাদের মস্তিষ্ক হয়ে চোখে সম্পূর্ন দুটি ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে ।একজনের চোখে অস্থিরতা আর অন্যজনের চোখে মুগ্ধতা । রফিক মুগ্ধ হয়ে জোছনা দেখছে । আকাশে পূর্ন চন্দ্র । সে একবারও চাদের দিকে তাকাচ্ছে না । কারন চাদের দিকে তাকিয়ে জোছনা উপভোগ করা যায় না ।শেফালির মস্তিষ্ক অস্থির পায়চারি করছে ।রফিককে অনেক কিছু বলার আছে তার । রফিক কথাগুলো কিভাবে নেবে সে জানে না । কিন্তু কথাগুলো তাকে বলতেই হবে ।কথাগুলো গুছিয়ে নিতেই যা একটু সময় লাগছে ।
শেফালিই নীরবতা ভাঙল ।
“আমার কিছু বলার আছে।”
“বলো।”
“আমার দিকে তাকাও ।”
রফিক ঠোটের রেখা বিস্তৃত করে শেফালির দিকে তাকালো । “কি বলতে চাও বলো ।”
“তুমি কথাগুলো কিভাবে নেবে আমি জানি না…।”
“আচ্ছা, কি হয়েছে বলোতো শেফা ।”রফিক একটা কৌতূহলী দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো ।
“আমি…”
রফিক ভুরু কুচকে শেফালির দিকে তাকালো ।”
“আমার একজনের সাথে সম্পর্ক ছিলো । বিয়ের আগে ।”
“একটা ছেলেকে ভালোবাসতাম আমি । তার নাম সিফাত ।”
“আমার বয়স কম ছিলো। বুঝিনি।”
শেফালি দম নেওয়ার জন্য কিছুক্ষন থামল ।
“একদিন আমি বাসা থেকে পালিয়ে যাই । ওকে খুব বিশ্বাস করেছিলাম । আমি ওর সাথে পুরো একদিন ছিলাম । পরদিন ভোরে সে আমাকে ছেড়ে চলে যায় ।”
“ঐদিন যতক্ষন ওর সাথে ছিলাম আমরা নববিবাহিত দম্পত্তির মতোই ছিলাম ।”
“এসব কথা তোমাকে অনেক আগেই বলা উচিত ছিলো । আমি বলতে পারিনি ।” শেফালির কন্ঠে দীর্ঘশ্বাস ঝরে পড়ল ।
শেফালি রফিকের দিকে তাকালো । তার চোখের দৃষ্টি বোঝার চেষ্টা করছে । কিছুক্ষন আগেও শেফালির মাথায় অনেকগুলো প্রশ্ন চক্রাকারে ঘুরপাক খাচ্ছিলো । এখন সে প্রশ্নহীন । নিজেকে অনেকটা হালকা মনে হচ্ছে ।প্রশ্ন-প্রশ্ন খেলার পরবর্তী চালটা রফিকের ।এই খেলার মজার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় প্রশ্ন দিয়ে ।রাতের গভীরতার সাথে জোছনার গভীরতাও বেড়েছে । জোছনার গভীরতা প্রকৃতিতে এক ধরনের রহস্য তৈরি করে । এই রহস্যের কিছুটা কি রফিককে স্পর্শ করেছে? শেফালি জানে না । সে অপেক্ষায় আছে রফিকের । রফিক কি তার দিকে হাতটা বাড়িয়ে দেবে?

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু রফিককে শেফালি তার অতিতের সম্পর্কের কথা বলে দিল। তারপর সে অপেক্ষায় রইলো যে রফিক বিষয়টা কিভাবে নিবে, সে তার হাত বাড়িয়ে দিবে কিনা। তার মনে জাগা এই প্রশ্নটা যুক্তিসঙ্গত। অনেক ভাল গল্প। শ্রদ্ধা জানবেন। শুভকামনা রইলো। ভাল থাকবেন।
ভালো লাগেনি ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭
Farhana Shormin শুভকামনা রইল
ভালো লাগেনি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
ধন্যবাদ আপা ।
ভালো লাগেনি ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭
সাইয়িদ রফিকুল হক ভালো লাগলো। ভোট দিয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ ভাই ।

৩১ অক্টোবর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪