নাম না জানা ওই বৃদ্ধ লোকটি গোপন করে তার অনুক্ত শোকটি আছে ঘুমিয়ে থাকা পুকুরঘাটে বসে নিঝুম জলের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে- আলতো একটা করুণ হাসি হেসে।
মনে পড়ে যাচ্ছে যে তার ফেলে আসা স্মৃতিগুলোই বারেবার একদিন তো তার সবকিছু ছিল নির্মম ভাগ্য যে সে সব কেড়ে নিল সুখ-দুঃখ আর ভালবাসা দিয়ে গড়া পরিবার ছেলেমেয়ে আর স্বজনদের নিয়ে কাটানো সংসার এমনই সব কথা তার পড়ে মনে যতবার বৃদ্ধের বুকটি করে ওঠে হাহাকার।
সন্তানকে নিয়ে বড় বড় স্বপ্ন- দেখাই কি ছিল বৃদ্ধের অপরাধ? বার্ধক্যে সন্তানের উপর নির্ভর করা সে তো প্রত্যেক বাবা মায়ের ই সাধ
তাই নিজের কষ্টগুলো লুকিয়ে কোনোদিন বা না খেয়ে- গোপন করে হৃদয়ের যত শোক ছেলেকে সে বানিয়েছিল মস্ত বড়লোক।
ভেঙে দিয়ে বৃদ্ধের সকল আশা ভরসা ছেলে হয়ে গেল তার এমনই অধম লিখে দিয়ে গেছে বাবার শেষ পরিচয়খানি অচেনা,অজানা এই পুরনো বৃদ্ধাশ্রম।
বৃদ্ধ এখানে সবসময়ই থাকে উদাসীন এমনিভাবে তার অবহেলায় কাটতে থাকে দিন বৃদ্ধ তো আজও সেই আশায় আছে পুরনো সুপোরি গাছটা ধরে দাঁড়িয়ে সুদীর্ঘ ওই পথের দিকে তাকিয়ে ছেলে বুঝি তাকে নিয়ে যাবে আবার ফিরিয়ে!
এমন কেও নেই তার পাশে গল্প করে কাটবে সময় যার সাথে। সাথে আছে পুরনো দিনের সব স্মৃতিকাতরতা মৃতের মত আজও সে বেঁচে আছে- আঁকড়ে ধরে তার যত নি:সঙ্গতা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
কবিতার বিষয়টা খুবই চমৎকার। বৃদ্ধাশ্রমে অবস্থানরত অবস্থায় ছেলেমেয়ে আর স্বজনদের নিয়ে কাটানো সুখের দিনগুলির কথা স্মরণ করে আশাভঙ্গের হাহাকার মনে জেগে উঠা। বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করার জন্যই সে কি ছেলেকে মানুষ করেছিল? নিজেকেই নিজে এই প্রশ্ন করে চলা। আপনার লেখার মধ্যেকার একটা বিষয় খুবই প্রশংসার যোগ্য, আর তা হলো, বৃদ্ধের এই আশা করা যে তার ছেলে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য কিন্তু আশা থাকাটা অত্যন্ত দরকার। আশাই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। আশা পূরণ না হলেও আশা যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ কিন্তু মনের মধ্যে বাঁচার অনুপ্রেরণা ও কর্মের আগ্রহ থাকে। আশা না থাকলে কিন্তু মানুষ আত্মহত্যার পথেও অগ্রসর হতে পারে। আপনার বিষয় বেছে নেয়াটা অত্যন্ত চমৎকার। আর চেষ্টাটা অনেক ভালো। চালিয়ে যান। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
১০ম শ্রেণীর ছাত্রীর পক্ষে চেষ্টা পর্যন্তই শেষ হবে কেন? মেধা থাকলে বয়স কোনো বিষয় নয়, আর কামনা করি যে আপনার লেখালেখি যেন চেষ্টা পর্যন্তই শেষ না হয়, লেখালেখি যেন চালু থাকে এবং লেখক হিসাবে চরম সফলতা এলেও যেন চালু থাকে, চালু না থাকলে আমরা আপনার লেখা পড়ার সুযোগ পাবো কিভাবে? আর আপনি যেমন ধারণা করছেন যে আপনি অনেক কিছুই জানেন না, এটা কিন্তু ঠিক না, কারণ জানা এবং না জানা বয়সের উপর নির্ভর করে না, আপনি যা জানেন তা একজন বয়স্ক মানুষেরও অজানা থাকতে পারে।
এখন থেকে সবসময় মনে রাখবেন: কবিতা-২০ লাইন, আর গল্প ৩০০০ শব্দের মধ্যে লিখতে হবে। এখানে, এটাই নিয়ম। আর আমার লেখা পড়ে যেমন ইচ্ছে তেমন সমালোচনা করুন। ধন্যবাদ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।