সিরিয়ার যে শিশুটা,তিনবেলা উপোষ করে
কিংবা ইয়েমেনের যে শিশুটা ঘাস ফড়িঙ খুঁজে ক্ষুধার তাড়নায় ;
তার কাছে জানার নেই পেটের যন্ত্রণা!
যুদ্ধের মাঠে যে সৈনিক অস্ত্র কাঁধে মৃত্যু পাহাড়া দেয়,
দূরে ঠেলে প্রিয় হাতের স্পর্শ কিংবা ফাঁসির কাষ্ঠে ঠাঁই দাঁড়িয়ে শেষবার কল্পনারত আসামিকে
জানতে চাওয়ার কি মানে: জীবন কতটা মূল্যবান!
সবকিছুতেই ভালোবাসার বিপরীতে একটা ঘৃণা থাকে;
যে মা সন্তান বড় করে পরম মমতায় আর যে সন্তান ছুড়ে মারে ডাস্টবিনে,কিংবা বিষ মিশায় স্বজ্ঞানে-
দু'জনেরই কষ্টটা এক,গল্পটা ভিন্ন!
কে জেনেছে সে অনুভূতি: মানুষ করা আর লাশ ফেলার বাসনা কেমন?
কেউ কে মেপেছে জবাই হওয়ার আগে যে পশুটির অশ্রু ঝরছিল তা কতটা ভারী!
কিংবা ফাঁদে আটকানো ইঁদুরটির মেরুদণ্ড ভাঙ্গার যন্ত্রণা কতটা গভীর!
পশু নাহয় বাদই থাক,সে বুঝাতে ব্যর্থ ভাষাহীন!
মানুষের কথাই বলি:
গলির মোড়ে যে পাগলীটি ছেলে পুষে,
তার ছেলেরও বাবা ডাকতে ইচ্ছে হবে দু'দিন পর,
ষাটোর্ধ যে বৃদ্ধাটা বসে আছে নিষ্পলক আশ্রমের বেঞ্চিতে,তারও নাতি-পুতির হাত ছুঁতে মন চায়!
কিংবা চল্লিশ পেরুনো সেই বন্ধ্যার প্রাথর্ণারত হাতের ভাঁজে বিশ্বাস যে কিনারা খুঁজে;
ক'জন বুঝে?!
যার কেউই নেই,সে অসহায় নয়।
যার পাবার আশা নেই সে হতাশ নয়,
যার ভাষা নেই,সে কষ্টহীন নয়।
যেদিন মনুষ্য ভাষাহীনের কষ্ট বুঝবে;আর কিছু নাহোক:
বাঁচার উপলব্ধি হবে পৃথিবীর!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
মানুষের নিজের চাওয়ার সাথে অন্যের না পাওয়ার বেদনাকে ধারণ করতে পারে তবেই বোধহয় বুঝা যায় কিছু চাওয়ার না পাওয়াটা কতটা বেদনাদায়ক।কবিতায় শেষতক সেটাই উপলব্ধির চেষ্টা ছিল।
১৯ অক্টোবর - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।