এর শেষ কোথায়,.,?

প্রশ্ন (ডিসেম্বর ২০১৭)

Khudro Rana
আমি ভীষণ রকমের আনস্মার্ট একজন মানুষ। কারন আধুনিকতার সকল ¯বাধ আমার গ্রহন করা হয়নি। আজ দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। চারদিকে উন্নয়নের ঢেউ। সাথে সাথে মানুষ গুলোও অনেক উন্নত হয়ে গেছে। উন্নত তাদের জীবন ধারা। কিন্তু এই উন্নত জীবনে সেই আগের মত , গ্রামের সহজ সাধারন মানুষের সরলতার ছাপ নেই। গ্রামেও উন্নয়নের হাওয়া বইছে। আগের মত আর আঁকাবাঁকা কাঁচা রাস্তা নেই। যেখানে বৃষ্টি হলেই ছেলে-মেয়েরা লাফালাফি গড়াগড়ি করে নিজের গায়ে কাঁদা জড়িয়ে প্রমান দিত আমরা বাঙ্গালি আসলেই মাটির মানুষ। আজ মাটি পিচের চাদরে নিজেকে আড়াল করে রেখেছে। আর মানুষ গুলোও ভদ্রতার মুখোশ পরে সভ্য সমাজের ভীরে ,,.।
আমাদের বর্তমান সমস্যা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে , বেকার সমস্যা। আমাদের দেশের অধিকাংশ কর্মক্ষেত্রের প্রধান ফটকে বড় করে লেখা থাকে , ১৮ বছরের নিচে শ্রমিক নিয়োগ হয়না। কিন্তু এই বয়সের প্রায় প্রত্যেক ছেলে-মেয়েই তাদের পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত। আর্থিক সংকটের কারনে কোনভবে এইচ.এস.সি পাশ করে বা পড়ালেখা শেষ করে যখন তারা কোন চাকরির জন্য যায় ,তখন তাদের বলা হয় , কমপক্ষে ২- বছরের অভিক্গতা প্রয়োজন। কিন্তু যে দেশের শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র লেখকদের জন্ম-মৃত্যু সাল , আর গল্প কবিতা পড়ে সার্টিফিকেট লাভ করে , তারা চাকরির ক্ষেত্রে ২-বছরের অভিক্গতা কোথায় পাবে? জন্ম-মৃত্যু সাল , আর গল্প কবিতায় মেধা বিকশিত হলেও পেটের ক্ষুদা তো নিবারিত হয়না। তাই আমার মনে হয় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় গোড়া থেকেই কর্মমূখী শিক্ষার বড় প্রয়োজন।
তৃতীয় বিশ্ব হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক আর স্বর্থপরতার বিশ্ব। এখানে যে যত পারে অন্যকে পিছনে ফেলে নিজে আগে যাওয়ার প্রয়াস চালায়। একসাথে চলার মন -মানসিকতা আমদের নেই। যেমন-: আমরা বাস্ স্টপে দাড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু গাড়িতে সিট ফাঁকা না থাকায় কোনভাবেই উঠতে পারছিনা। এজন্য সুপারভাইজার গাড়িতে তুলতে চাচ্ছেনা। কিন্তু আমাদের যাওয়াটা খুবই জরুরী। তখন আমাদের মনে হয়,কোনভাবে ঠেলে ঠুলে ঝুলে ঝুলে যেতে পারলেই হল। অতঃপর অনেক ঠেলাঠেলি করে গাড়িতে উঠে যাওয়ার পর , যেতে যেতে যখন দেখি সামনের স্টপেজে আরও যাত্রী উঠতে চাচ্ছে তখন আমরা সুপারভাইজার এবং ড্রইভার এর উপর রেগে যাই এবং তাদেরকে আর উঠতে দেইনা। এভাবেই আমরা অন্যজনকে পিছনে ফেলে নিজের মত একা ছুটে চলছি। যার কারনে আমাদের দেশে এত এত দালানকোঠা থাকা সত্বেও , পথ শিশুটি আরেকজনের বুকে মাথা রেখে হৃদপিন্ডের শব্দ শুনতে শুনতে রাত্রীযাপন করে।
আজকাল খবরের কাগজে নানা ধরনের খবর বের হয়। কিন্তু যে খবরটি পত্রিকাতে না থাকলে পত্রিকাটি স্বয়ংসম্পূর্ন মনে হয়না তা হচ্ছে ধর্ষনের খবর। কি›তু যারা প্রথমে নিজেদের বিবেককে ধর্ষন করে তারপর শরীরটাকে ভোগ করছে , তাদের খবর খুব একটা পত্রিকায় আসেনা। তারা প্রেম যমুনায় নিজেদের গাঁ ভাষিয়ে সেই জলে হাবুডুবু খাচ্ছে। বর্তমান দুনিয়া ভালবাসার দুনিয়া। প্রতিটি আঁনাচে কাঁনাচে ছরিয়ে ছিটিয়ে আছে হাজারো লাইলি-মজনু। প্রত্যেক প্রেমিক প্রেমিকাই একে অপরকে বলছে , আমি তোমার রুপটাকে নয় , মনটাকে ভালবাসি। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে , সেই মনটাকে খোজার জন্য তারা প্রতি মূহুর্তে রুপের জাদুতে তাদের শরীরটাকে ব্যবহার করছে। প্রতিদিন-রাত প্রিয়জনের কাছে ধর্ষিত হচ্ছে। প্রেমের নামে গড়ে উঠছে হাজারো পতিতা।
আর এজন্যই আমি আনস্মার্ট। আধুনিকতার এইসব স্মার্টনেস্ দের সাথে নিজেকে মিলাতে পারছিনা। নিজে নিজে গোপনে গোপনে ব্যাথা পেয়ে যাচ্ছি। তবুও আমি স্বপ্ন দেখি। কারন স্বপ্নই মানুষকে বঁচিয়ে রাখে , আর মানুষ স্বপ্নকে। তাই-:
জন্মেছি আমি কুঁড়ে ঘরে
তবুও মন ছুতে চায় আকাশ
এযে, শুধুই স্বপ্ন আর
মিথ্যে সুখের আভাস ,.,.,.,,.,.,
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু বেকার সমস্যা, পতিতাবৃত্তিসহ বর্তমান সমাজের কিছু বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন গল্পে। একজন সৎ ছেলে এসব বিষয়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না বলে সে নিজেকে আনস্মার্ট বললো। সাধারণত খারাপ মানুষেরা অন্যের সম্পর্কে এরকম মন্তব্যই করে। খুব ভাল গল্প। চমৎকার। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।
নূরনবী সোহাগ ভাল লেখা। ভোট রইল
মহিউদ্দিন মিম aj onk din por abr valo ekta golpo porlm..

১৯ অক্টোবর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী