প্রথম দেখার ভালোলাগাটুকু
রয়ে গেল মন মন্দিরে,
চোখ পেরিয়ে ঠাই নীল তা
গহীন বুকে অন্দরে।
আবার দেখা, চোখের স্পর্শ
তুলে দিল তা বুকে কাঁপন,
আর একটু ভাললাগা, গাঢ় অনুভূতি
কমাল কিছুটা দূরত্বের বন্ধন।
একটু দেখার নিবিড় বাসনা
জুরে রইল মোর নয়ন-মনে,
জানিনা কোন অজানা খেয়ালে
উঠে জেগে তা ৰণে ৰণে।
মুহূর্তের বেশি তাকিয়ে থাকা তার
ভাসিয়ে দেয় মন গভীর ভাবনায়,
কি জানি কি আঁকা আছে
তার সেই নিরব চাওয়ায়।
যখনই চোখ দেখা পায় তার
ভেবে যায় মন কি এক কথা,
কি জানি কি থেকে যায় হায়
মোর হৃদয় গহীনে গাথা।
যখনই দেখা হয় তাহার সনে
ভাললাগা ছোঁয় অনত্দর,
জানিনা কেন যে এমন হয়
কি জানি মোরে করেছে ভর!
সারাৰণ মনে লুকোচুরি খেলা
সে চোখ দেখার নিবিড় বাসনা,
অস্থির করে মোরে প্রতি মুহূর্তে
ডেকে যায় মনে কি এক কামনা।
এভাবেই জেগে রইল সে মুখ
মনেরই আয়নায়,
জেগে রইল সে অনুভূতিতে
চেতনায় বেদনায়।
উথলে উঠল বুকে আবেগের ঢেউ
জন্মানো আরেক আকুতি,
কথা হোক মুখোমুখি
ভেঙে সব প্রথা-রীতি।
হটাৎ এক অজানা ৰণে
কথা হলো হয়, তাহার সনে
স্বল্প সে সময় হায়-
কোন সে অপূর্ণতা
এনে দিল আমায়।
পাল্টে গেল মোর জীবনের রেখা
এলোমেলো হলো গতিপথ,
নীরবে-নিভৃতে নিজের অজান্তে
করে নীল মন কি এক শপথ।
সারাৰণ মনে জল্পনা-কল্পনা
কথা হবে কখন? কোথায়?
বুঝলাম আমি ফেঁসে গেছি
মায়াময়ী ভালবাসায়!
আবার এক ৰণে স্বল্প সময়ে
কথা হলো সে মেয়ের সাথে,
কইব কি কথা মন জড়সড়,
আপস্নুত আবেগে।
দিশেহারা মন তারই কামনায়
কিভাবে সে হবে আমার,
কিভাবে জানাই তারে, কইব কিভাবে
কথা ভালবাসার।
দুরু দুরু বুকে সাহস এনে
কইতে গেলাম কিছু কথা তাহাকে,
তোমার সাথে কিছু কথা ছিল
তুমি কি চাইবে তা শুনতে?
তারপর সে মুখের মুচকি হাসি
তুলল মোর অন্তরে কাঁপন!
তার চোখের সেই নিরব ভাষা
এনে দিল মনে শিহরণ।
লালাভ সে অধরের উত্থান-পতন,
এনে দিল কথা সুরেলা কণ্ঠ থেকে
বলব কি আমি, শুনবে সে তা
বলল সে উৎসুক নয়নে।
বুকে মোর ঢোলের বাজনা
গলা শুকিয়ে কাঠ,
কিভাবে আমি কইব কথা
করব কিভাবে ভালবাসার পাঠ?
তবুও শুরু করলাম কথা
তোতলানো স্বভাবে,
তোতা পাখির মতো আউরে গেলাম সব
প্রত্যয়ের অভাবে।
শুনে সে কথা কপোলে তাহার
পড়ল লালচে ছোপ,
অজানা সংশয়ে, সংকোচে-ভয়ে
উভয়ে হলাম নিশ্চুপ।
ক্রমে ক্রমে ভ্রমে সময় বয়ে যায়
তবু নিরবতা ভাঙেনা,
আমার সে ভাষা তাকে আঘাত দিল,
নাকি করল আনমনা?
অক্ষ- নীরবতায় সুর না তুলে
নত মুখে সে করল প্রস্থান,
চুপচাপ আমি দাঁড়িয়ে রইলাম
আঁকড়ে ধরে সময়ের স্থান।
থেমে গেল সব ভাবনা আমার
মাথায় ধোয়ার সাগর,
ধোয়াটে সমগ্র পৃথিবী আমার
সব যেন নিশ্চুপ পাথর।
বিৰিপ্ত মনে প্রত্যাবর্তন মোর
নিজ আলয়ে,
মনের ভিতর অজানা সংশয়
ভয়ে-নির্ভয়ে।
কোন এক ৰণে আবার এ চোখ
দূরে দেখা পেলো তার,
আমার চোখে চোখ পরতেই সে
ছোঁয়া পেল লাজুকতার।
ধারল করল মুখে লালচে আভা
মুখে স্মিত হাসি,
দৃষ্টিতে দেখা দিল চাঞ্চল্য
সংশয় রাশি রাশি।
আমার চোখে থেমে রইল সে চোখ
কিছুটা সময়ের জন্য,
জেগে উঠল মনে সেই পুরোনো প্রশ্ন,
হবো কি সে মনে বরেণ্য?
এভাবেই দিন কেটে যায় মোর
তবু স্বপ্ন যে কাটেনা,
খুঁজে যায় প্রশ্নের উত্তর এ মন
সন্ধান যে মেলেনা।
কাছাকছি হয়ে থাকে সে আমার
তবুও আমার হয়না।
তোলপার করে মোর গহন হৃদয়
ভাবনা সব এলোমেলো,
চোখের সামনে যেন ধাঁধার দেয়াল
অনত্দর হারায় আলো।
জীবন জুরে মোর অনিশ্চয়তা
হৃদয় জুরে আশান্তর,
কবে ফুটবে তার মুখে কথা
হবে কবে ভাষার নিষ্পত্তি?
একদিন ভেঙ্গে পড়ল সব
অনিশ্চয়তার ব্যবধান,
নিষ্পত্তি হয়ে গেল ইশারা-ইঙ্গিতের
লুকোচুরি পেল প্রস্থান।
জানাল সে নতমুখে
সে তো হবেনা আমার,
ঝিম ধরা মাথায় বুঝতামনা কিছু
কি সে বলে গেল আর।
কেড়ে নীল মোর সকল সুখ
শুধু একটি শব্দ 'না'
নিশ্চুপ মনে ভাবি আজ
ব্যর্থ সব আরাধনা।
দৃষ্টিতে সে, ছিল সৃষ্টিতেও সে
সে-ই দেখালো আলো (আশার)
আবার সে-ই ভাঙল আশার দেয়াল
সে-ই হতাশায় ডুবাল।
নিয়তি তোমার একি খেয়াল
তোমারই সৃষ্টি রমনী,
ভাবে ও কর্মে কেন এক হয়না?
প্রশ্ন করে অন্তযামী।
১৯ জানুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪