এইতো সেই দিনের কথা। সে দিনের সেই ছোট্ট আলো দেখতে দেখতে আজ ষোলতে পা দিয়েছে।আলো সময়ের সাথে সাথে হয়ে উঠেছে অবিশ্বাস্য পরিপূর্ণ সুঠাম দেহের অধিকারী। মাঝারি মানের শারীরিক গড়নের আলো কখন যে কৈশর পেরিয়ে এতটাই সুন্দর সু-স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠেছে। কেউ দেখে বুঝতেই পারবেনা আলো সবে মাত্র যৌবনে পা দিয়েছে। আলোর সমস্ত শরীর জুড়ে যেন যৌবনের উদ্যত উম্মাদনা। সারাক্ষণ টল মল জল তরঙ্গের মত খেলে বেড়ায় তার বুকে এক অমিমাংসিত উত্তেজনা। তার দু’গালের দু’পাশে টোল পড়া উজ্জল চেহারার লাবন্য মুখ, তারমধ্যে দৃষ্টিনন্দন কমলার মত রসালো গোলাপী দুটি ঠোঁট। কিঞ্চিৎ বাঁকা বাঁশির মত নাক। দীর্ঘ মুখমন্ডলের উপরি ভাগে রয়েছে দশমীর অর্ধ চন্দ্রাকৃতির কপাল। তার দৃষ্টির আড়ালের চিরল চিকন দাঁতের হাসিই বলে দেয়, আলো কতটা সুচিস্মিতা আর মুহাশিনী। জীর্ণশীর্ণ পোষাকেও আলোর রূপকে হার মানাতে পারে না। কিন্তু দুভার্গ্য হলেও সত্য তার আয়নার মত স্বচ্ছ দুটি চোখ দেখে কেউ বুঝতেই পারবেনা আলো দৃষ্টিহীন অন্ধ। প্রিয় সুহৃদ ও পাঠ্য বন্ধু। আসুন গল্পের শুরুতে জেনে নেয়া যাক আলোর অন্ধের পিছনের ইতি কথা। সব ধরনের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রূপবতী আলোর অন্ধ হওয়ার পিছনে রয়েছে বৃহৎ ভয়াল এক করুন ট্র্যাজেডী। গরীব মা-বাবার অস্বচ্ছল পরিবারে আলোর বেড়ে উঠা। একদিন তার মা গৃহকর্মী আলেয়া ভীষণ অসুস্থ থাকায় বিছানা ছেড়ে উঠতে পারে না। তাই নিজের পরিবর্তে ৬ বছরের আলোকে পাশের বাড়ীতে কামে পাঠায়। এইদিকে বাড়ীর কর্তী ম্যাডাম আলেয়ার পরিবর্তে তার এই টুকুন ছোট্ট মেয়েটাকে দেখে খুশি হতে পারে না। আলোকে দেখামাত্র ম্যাডাম তেলে বেগুনে হয়ে আলেয়াকে অনেক বকা ঝকা করতে থাকে। আর আলোকে খুমরিয়ে খুমরিয়ে ধমকের সুরে এটা সেটা করতে আদেশ দিতে থাকে। আলো ভয়ে ভয়ে ধোয়া মুচা থেকে শুরু করে তার ছোট হাতে, তার মত করে ঘরের সবটুকু কাজ করে দেয় এবং ম্যাডামের কাছে বাড়ী ফেরার অনুমতি চায়। ম্যাডাম খাবার টেবিলে খাবার রত অবস্থায় আলোকে রান্না ঘর থেকে খাবারগুলো টেবিলে এনে দিয়ে তারপর বাড়ী যাওয়ার জন্য বলে। আলো রান্না করা খাবারগুলো টেবিলে এনে রাখার সময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ডালের বাটীর একটু ডাল হঠাৎ ম্যাডামের হাতের উপর পড়ে। ম্যাডাম চমকে উঠে উহ: করে চিৎকার করেন। ম্যাডাম চেহারা আগুন তুল্য করে বড় বড় চোখে আলোর দিকে তাকায়। আলো ভয় পেয়ে মাথা নিচু করে বলে-দোষতো আপনেরি, আপনেইবা হাত তুলতে গেলেন ক্যান? ম্যাডাম অগ্নিশর্মা হয়ে আলোর দিকে তাকায়, আর বলে- এই টুকুন একটা মেয়ের মুখে এত বড় বড় কথা। দোষতো করছে, আবার মুখে মুখে তর্ক করে। এ বলে- ম্যাডাম ধোঁয়া উঠা গরম ডালের বাড়ীটা আলোর মুখে ছুড়ে মারে। আলো চোখে হাত দিয়ে মাগো বলে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠে মেঝেতে লুটে পড়ে। ম্যাডাম কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে যায় এবং দ্রুত লোক মারফতে আলোর মা আলেয়াকে খবর দেয়। আলেয়া এসে তাড়াতাড়ি আলোকে গ্রামের আলী ডাক্তারের ডাক্তারখানায় নিয়ে যায়। আলী ডাক্তার আলোর প্রাথমিক চিকিৎসা সেরে দিয়ে আলেয়া কে বলেন-যত দ্রুত সম্ভব আলোকে একজন ভালো চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে। আলী ডাক্তার এও বলেন যে, মোটেও দেরী করা যাবে না। দেরী হলে তার দুটো চোখই অকালে হারাতে হবে। আলেয়া দুশ্চিন্তায় ভেঙ্গে পড়ে। তার এই দুরাবসতিায় অনেকের কাছে হাত পেতেও টাকার অভাবে আলোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারে না। ফলে কিছুদিনের মধ্যে আলোর দুটি চোখই অন্ধ হয়ে যায়। আলো তার মায়ের অসুস্থতা আর বড়লোক ম্যাডামের রাগের বলি হয়ে চিরস্থায়ীর জন্য তার চোখের আলো হারিয়ে ফেলে। তার চোখ থেকে নিভে যায় অসীম আলোর সূর্যদীপ এবং চিরদিনের মত আলো অন্ধত্ব বরন করে। কিছুদিনের মধ্যে আলেয়া এক দিকে দৃষ্টিহীন আলোর দুশ্চিন্তায় আর অন্য দিকে সারাদিন মানুষের বাড়ীতে অনেক খাটাখাটি করে দিন দিন শরীরে ভীমার বাঁধিয়ে বসে। ধীরে ধীরে তার অসুস্থতা ভয়ানক আকার ধারন করে। আলেয়া মাস ছয়েক এর মত টানা বিছানায় পড়ে থাকে। তার স্বামী রমজান অনেক কবিরাজের ঔষধ খাইয়েও তার রোগ সারাতে পারলো না। সময় গড়িয়ে একদিন বিধির বিধান অসুখের সাথে পেরে উঠতে না পেরে তার অন্ধ মেয়ে আলোকে একা করে এবং স্বামীর সকল চেষ্টা ব্যার্থ করে দিয়ে আলেয়া পরপারে চলে যায়। অন্ধ আলো মাকে হারিয়ে সুখে দুখে বাবার হাত ধরে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। অবুঝ, অসহায়, অন্ধ আলো বাবার চোখে আলো দেখে পথ চলে। বাবাই সেদিন থেকে আলোর চোখের জ্যোতি। বাবাই তার মা, বাবাই তার সব, বাবাই তার একমাত্র অবলম্বন। এদিকে ফেরিওয়ালা রমজান মাতৃহারা অবুঝ শিশু কন্যা আলোকে সাথে করে গ্রামে গ্রামে ফেরী করতে থাকে। রমজানের নিজের কোন ভিটা-বাড়ী না থাকায় আলোকে নিয়ে বছরের পুরোটা সময় ধরেই বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন ভাড়া বাড়ীতে থাকে। সেদিনের আলো আর আজকের আলোর মধ্যে অনেক পার্থক্য। আজকের আলো অনেকটা পরিনত। শুধু অমিল একটাই, আলো আজও অন্ধ। কিন্তু আলোর রূপের কমতি নেই। দিন যত অতিবাহিত হয়, দৃষ্টিহীন সুন্দরী আলোর রূপের রশ্মি ততই জ্বলতে থাকে। তার রূপের ধাঁধার ঝলকানিতেই মানুষ খেই হারিয়ে হোঁচট খায়। আলোর সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে আলোর প্রতি কিছু দুশ্চরিত্র লোভাতুর মানুষের কু-দৃষ্টি পড়ে। আলোর বাড়ন্ত শরীরে মানুষ উকিঝুঁকি মারে। আলো তার অনুভবের দৃষ্টিতে নিজেকে সামলে নেয়। তবুও কখনও কখনও নিজের অজান্তে কামিজ বেধ করে তার উদ্যম বুকের লোভনীয় দৃশ্য কিছু লম্পটের দৃষ্টি আড়াল করতে পারে না। কিছু মানুষরূপী অসভ্য জানোয়ার লোক চক্ষুর আড়ালে ঝোপ বুঝে কোপ মারে। নির্ধিদায় তাদের নোংরা হাত ছড়িয়ে বেড়ায় আলোর মসৃন শরীরে। মাঝে মাঝে তাদের অন্যায় আবদার মিটাতে নরপশুর দল আলোর উপরে ঝাপিয়ে পড়ে। অসহায় আলো নিরুপায় হয়ে মুখ বুঝে সব সয়ে যায়। এদিকে দৃষ্টিহীন আলোর অন্ধত্ব আর দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের বাড়ীর মালিক করিম বেপারী তার কাম লালসা মিটাতে সবার অজান্তে গোপনে অন্ধকারে আলোর যৌবন লুটতে থাকে। এক রাতে আলোর বাবা রমজান বাড়ীতে ছিল না। রমজান তার ব্যবসার চালান আনতে শহরে যায়। সেই সুবাদে সময় বুঝে গভীর রাতে ভন্ড ব্যাপারী আলোর ঘরে আসে। নষ্ট মানসিকতার অধিকারী বদমাইশ ব্যাপারী আলোর মুখে কাপড় পেছিয়ে জোর করে তাকে লুটে পুটে ভোগ করে। সেই দিনের পর থেকেই প্রতিদিন পালাক্রমে চরিত্রহীন ব্যাপারী তার মেয়ের বয়সী আলোর চরিত্র অনায়াসে হনন করতে থাকে। অসহায় আলো প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলে। আলো লোক লজ্জার ভয়ে মুখ খোলে না। দিন দিন ব্যাপারীর যৌন লালসার স্বীকার হয়ে আলো অতিষ্ট হয়ে যায়। এক সময় এসে আলো অন্তসত্তা হয়ে পড়ে। অনূঢ়া আলো নিজেকে সামলে নিতে পারে না। ভেবে কুল-কিনারা পায় না সে কি করবে? মনে মনে আলো ব্যাপারীর উপর হিংসাত্মক হয়ে উঠে। তাকে উপযুক্ত জবাব দিয়ে আলো সবাইর সামনে তার মুখোশ মুখ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আলো মনে মনে এও চিন্তা করে কে আলোর কথা বিশ্বাস করবে ? এই সমাজতো প্রমাণ চায়। প্রমাণ ছাড়া কেউতো আলোর মুখের কথা বিশ্বাস করবে না। বরং উল্টো সবাই আলোকে অপবাদ দিবে। তাই আলো প্রমাণ সহকারে ব্যাপারীকে তার স্ত্রী, সনান্তদের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার মনস্থীর করে। আলোর যেমন ভাবনা তেমন কাজ, সেই দিন রাত্রে শোয়ার সময় আলো তার শিয়ানে বালিশের পাশে একটা ধারালো দা নিয়ে শোয়। রাত যখন ধীরে ধীরে গভীর হয়ে আসে আলো ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখতে থাকে, করিম ব্যাপারী সবার অজান্তে চুপিসারে অন্ধকারে আলোর ঘরে প্রবেশ করে। ব্যাপারী আস্তে আস্তে আলোর বিছানার কাছে আসে। ধীর সুস্থে আলোর গায়ের কাঁথা সরিয়ে নেয়। প্রতিদিনের মত আজও ব্যাপারী নির্ধিদায় তার নৃশংস নোংরা কাজ চালাতে থাকে। আলো ঘুমের মধ্যেও টের পায়। চিৎকার করার ইচ্ছা থাকা সত্বেও মান-সম্মানের ভয়ে আলো বোধ শক্তি হারিয়ে ফেলে। আলো তার অস্তিত্বে কামড়িয়ে বোবা হয়ে কাঁদতে থাকে। আলোর দু’চোখ থেকে গাল বেয়ে নীরবে অশ্রু গড়িয়ে যায়। আলো ঘুমের ঘোরে রাগে-ক্ষোভে উত্তেজনায় ঘামতে ঘামতে হালকা চিৎকার দিয়ে জেগে উঠে। অন্ধকারে ব্যাপারীর কুৎসীত ভীবৎস চেহারার ঝাপসা মুখ আলোর কল্পনায় ভেসে উঠে। এদিকে ঘুমের ঘোরে আলোর চিৎকারে পাশের ঘরে তার বাবার ঘুম ভেঙ্গে যায়। রমজান মেয়ের চিৎকার শুনে মেয়ের ঘরে আসে। আর ভাবে হয়তো তার মেয়ে দুঃস্বপ্ন দেখে ভয় পেয়েছে। অন্ধকারে কোন শব্দ না করে রমজান মেয়ের মুখে, মাথায় হাত বুলায়। ভয়ে আলোর সারা শরীর থর থর করে কেঁপে উঠে। সেই মুহুর্তে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে অবস্থা এমন পর্যায়ে দাঁড়ায় যে, ব্যাপারী ছাড়া বাবার কথা আলোর মনের ধারে কাছেও ছিল না। আলোর সমস্ত চিন্তা জুড়ে তখন শুধু ব্যাপারী। দৃষ্টিহীন আলো ঘন অন্ধকারে তার বাবাকে ব্যাপারী ভাবতে লাগে। এক পর্যায়ে আলো ব্যাপারীকে শিক্ষা দেওয়ার নিমিত্তে সন্তুর্পনে তার বালিশের নিচ থেকে ধারালো দা-টা বের করে এবং সজোরে একটা এলোপাতাড়ি কোপ হাকায়। দা-টা তার বাবার বাম পাজরে গেঁথে যায়। তার বাবা উহুঁ করে চিৎকার দিয়ে বলে উঠে। আলোরে, মা তুই একি করলি? আলো তার বাবার গলা শুনতে পায় এবং হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
আলোর মায়ের অসুস্থতা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু বড়লোক ম্যাডামের রাগের বলি হওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না। গল্পের পরিণতিটা খুবই বেদনাদায়ক। অনেক ভাল লাগল। আমার শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
বালোক মুসাফির
ধন্যবাদ নকি আপু। বমন্তের হরিৎ শুভেচ্ছা রইল। আপনাকে এই জন্য আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি সব সময় সঠিক মন্তব্যটাই করেন। আমারও ভুল-ভ্রান্তির উর্ধেব এসে শুধু মুখ দেখে মিথ্যে প্রসংশা করতে ভালো লাগেনা। আবার অযথা নিন্দা করতেও পছন্দ করিনা। পরিশেষে সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য কৃতজ্ঞ রয়ে গেলাম। আর হ্যাঁ বানানের প্রতি অবশ্যই মনোযোগ দিব। তবে আমার ভালো হতো যদি কিছু শব্দের ইঙ্গিত দিতেন।
কৈশোর, অমিমাংসীত, উজ্জ্বল, লাবণ্য, সুহাসিনী, *আলোর অন্ধত্বের পেছনে অথবা আলোর অন্ধ হওয়ার কারণ, *পিছনে নয় পেছনে, ট্র্যাজেডি(ইংরেজি শব্দের বাংলা বানানে হ্রস ই কার হয়, বাড়ি, কামে না লিখে কাজে লিখলে সুন্দর হয়, কর্ত্রী, *খুমরিয়ে শব্দটা আমার অপরিচিত, মোছা, বাটি, লুটিয়ে... এরকম আরও অনেক বানান আছে। আমার মনে হয় অনেকগুলো আপনার অনিচ্ছাকৃত টাইপিং মিস্টেক। এগুলো এড়াতে গল্প লেখার পর কয়েকবার চেক করে দেখতে পারেন কোন ভুল আছে কিনা। আশা করি আমার মন্তব্যে আপনি কিছু মনে করবেন না। শুভকামনা
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
সুন্দর কাহিনী সম্বলিত গল্প, বলা চলে পাগলীটাও মা হয়েছে, বাবা হয়নি কেউ। তার যদি দু'চোখ আছে, কিন্তু তার ব্রেন ঠিক নেই। যাক গে সে দিকে যাচ্ছি না। আচ্ছা, আপনি ১ম দিকে বলেছেন তার ম্যাডামেে গরম ডালের বারী চোখে মারার কারণে এক পর্যায়ে সে অন্ধ যায়। পরবর্তীতে গল্পের এক পর্যায়ে বলেছেন বাড়ির মালিক করিম ব্যাপারী তাকে অনেকদিন মুখ চেপে ধরে ভোগ করেছে। আলো তো অন্ধ তাইনা, সেক্ষেত্রে আলোককে যে করিম ব্যাপারী ভোগ করেছে সেটা আলোক বুঝলে কিভাবে?? তবুও বলবো গল্প সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা নিরন্তর....
ধন্যবাদ সিদ্দিক ভাই। একটা ছোট গল্পে অনেক কিছুই উহ্য রাখতে হয়। প্রথমত ঐ বাড়িতে করিম ছাড়া নিম্ন মানের চরিত্রের হয়তো দ্বিতীয় কেউ ছিলনা। অন্য দিকে একটা মানুষ অন্ধ হতে পারে কিন্তু এক জায়গায় বহু দিন যাবত থাকতে থাকতে তার অনুভবের দৃষ্টিতে অনেক কিছু বুঝতে এবং দেখতে পারে।
তার মানে দেশে যত ঘটনা গঠবে তার সব দোষ জামাত ইসলামের, তাইনা? হা হা হা....। মনে রাখা উচিৎ যে, চোখের সামনে সবাই ভালো, আড়ালে যে ভালো মানুষও কতটা অপরাধ করে তা সমাজ জেনেও না জানার ভাঁন করে। তবে আপনার গল্প খুব ভালো লেগেছে। অল্প কয়েকদিনে একটা উপন্যাস লেখা যায়, কিন্তু অল্প কয়েকদিনে একটি ছোট গল্প লেখা যায় না। কেন এবং কারণ কি তা নিয়েও ভাবতে হবে। ধন্যবাদ অফুরান।
সিদ্দিক ভাই আপনাকে আবারো অকৃত্রিম সবুজ ধানের ধন্যবাদ। অবশ্যই আমার এ সংখ্যার কবিতাটি দেখবেন। আমি গ্রামের এক আত্মীয়ের বিয়ে বাড়িতে একটু ব্যস্ত আছি তাই আপনাদের সবার পাতায় এখনো যাওয়া হয়নি। অচিরেই আসব।
আপনাদের কথোপকোথন দেখে একটু 'অনধিকার চর্চা' করতে ইচ্ছে হলো। আমি কিন্তু মুসাফির ভাইয়ের সাথে একমত। আর দীর্ঘদিন এক জায়গায় থাকলে কণ্ঠস্বরও পরিচিত হয়ে যায়। এমন তো না যে করিম ঐ সময় কোন কথা না বলে চুপচাপ অত্যাচার করছিল। তবে যাই হোক, সিদ্দিকী ভাইয়ের প্রশ্ন যেমন যৌক্তিক, মুসাফির ভাইয়ের জবাবও ঠিকঠাক। আসল কথা হচ্ছে 'অন্ধ' বিষয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন একটা গল্প সব প্রশ্নের উর্ধ্বে থাকে... ভুল কিছু বললে ক্ষমা করবেন।
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া
ক’দিন আগেই পত্রিকায় দেখলাম লালসার শিকার এক পাগলী কিশোরীর মা হওয়ার করুন কাহিনী। আজ আরেকটি গল্প পড়লাম অন্ধ আলোর। না, এগুলো গল্প নয়; এগুলো আমাদের সমাজেই ঘটছে। ভালো লাগল গল্পটি। আসবেন আমার পাতায়।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।