হঠাৎ দেখা সেই মুহত্য

রমণী (ফেব্রুয়ারী ২০১৮)

নাঈম রেজা
  • ২২
হঠাৎ দেখা সেই মুহুর্ত, পড়ন্ত বিকাল আর কিছু পরেই সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করবে। শীতের দিনে আরও তাড়াতাড়ি হয়। কেন যেন এখনি মনে হচ্ছে সোনালী হয়ে গেছে সুর্যটা। আছরের আজান হয়ে গেছে, আমি নামাজের জন্য ব্যস্ত। নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাচ্ছি। মেইন রোড পার হতে হবে। গাড়ির যনজট আছে। সামনে একটা রিক্সা দাড়িয়ে আছে। রাস্তা দিয়ে যারা যাচ্ছে সবাই একবার রিক্সার দিকে তাকিয়ে যাচ্ছে। কেন কি কারণ আমি জানি না । আমিও যখন রিক্সা টা ওভারটেক করি তখন একবার পিছন ফিরে তাকালাম। দেখতে পেলাম রিক্সার ভিতরে 30-32 বছরের এক যুবক সাথে গা ঘেসে বসে আছে 17-18 বছরের এক যুবতী, লাল রঙ্গের একটা শাড়ী পরনে, ভিতরের লাল ব্লাউজটা দেখা যাচ্ছে। কাজল কাল পোটল চেরা চোখ, পাকা মরিচের মত লাল টক টকে ওভার সেডের মেরুন কালারের ঠোট দুটি অনেক দুর থেকে বেশ ফুটে উঠেছে। কালোকেশের মাঝে একটি গাধাফুলের থোকা বেধে দেওয়া আছে। মাঝে কয়েকটা গোল্ডেন কালারের চুল। রিক্সার মধ্যে বসে মেয়েটা যেন লজ্জাবোধ করছে। ছেলেটা কিছু বলবে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু না । কিছু বলছে না, তখন বুঝলাম কেন সবাই একবার তাকিয়ে যাচ্ছে। মসজিদে প্রবেশ করলাম, নামাজ পড়ে আসার সময় আর সে রিক্সা টা নেই। চলে গেছে কোথাও । আমি অফিসে এসে একবার এই জুটির কথা ভাবলাম। কিন্তু অহেতুক কেন। তাদের নিয়ে আমার ভাববার কিছু নেই। মাগরীবের আজান হলো মসজিদে নামাজের জন্য গেলাম, নামাজ পড়ে আসার সময় দেখলাম সেই যুবক ও যুবতী হেটে আসছে। মেয়েটি তার নরম হাতটা ছেলেটির হাতের ভিতর দিয়ে জড়িয়ে ধরে রাস্তা দিয়ে হেটে আসছে। পরণে নেই সেই শাড়ী, সেই মরিচের মত লাল ঠোট, সেই এলো চুল! এখন মেয়েটি তার মাথার চুল গুলি গ্রোমের মেয়েদের মত চুল গুলি মাথার উপর গোল করে বেধে একটি কাঠি গুজে দিয়েছে। মাথায় একটা কালো ওড়না বেধে এবং একটি সেলোয়ার কামিজ পরনে। ঠোটের লাল রংটা গোলাপী হয়ে গেছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে তাদের কেন এই পরিবর্তন? একটু পরেই যান্তে পারলাম তাদের দুজনের অবৈধ্য সম্পর্ক। তারা এই অল্প সময়ের মধ্য একটা হোটেলে ছিল। এবং তারা শারিরীক মিলন করেছিল। পথি মধ্যে মেয়েটি তাকে বললো আমাদের তো শারিরীক মেলামেশা হয়ে গেলো, তবে চলো আমরা এখন কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে আসি। ছেলেটি রেগে গিয়ে আমাকে মুক্তি দাও, বলে মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পরে ফেলে দিল। আর দ্রুত গতিতে একটা গাড়ি এসে মেয়েটিকে চাপাদিয়ে চলে গেল। একটি ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে গেল। আর মেয়েটি চিরতরে ছেলেটিকে মুক্ত করে দিল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাদিক ইসলাম খুব দ্রুত হয়ে গেছে। প্লট ভালো ছিলো। বানান ভুল চোখে পড়ে। সব মিলিয়ে সমাজের নোংরামো আর ছেলেদের আসল চেহারা দেখা গেল। শুভ কামনা। আমার গল্পে আমন্ত্রণ থাকলো।
ভালো লাগেনি ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
মোঃ গালিব মেহেদী খাঁন শুভকামনা রইল।
ভালো লাগেনি ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
বালোক মুসাফির Golpo balo kintu bornonay durbolota lokkho kora gelo.sob miliye subo kamona roylo se sathe amar patay amontron.
ভালো লাগেনি ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
H.M. Naem Faisal এটা কি ছিল!!! সেক্স করেই গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলল!!! মাই গড!! কি বিভৎস!!
ভালো লাগেনি ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
সালসাবিলা নকি খুব তাড়াহুড়ো করেছেন লেখার সময়। আপনার লেখার হাত ভালো। গল্পের প্লটও বেশ ভালো ছিল। আরেকটু গুছিয়ে গল্পটা লিখলে আরও ভালো লাগতো।
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
সুমন আফ্রী লেখককে শুভকামনা লেখাটির জন্য। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইলো...
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া ভালো লাগল। সিনেমার ট্রেলার তো পুরো গল্পটির কথাই বলে। ছোট্ট অথচ কষ্টের কাহিনীটি ভালো লাগল। আসবেন আমার গ/ক এর পাতায়।
ভালো লাগেনি ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
নাঈম রেজা ধন্যবাদ ভাই, এটা একটা বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখ
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী গল্পটি পড়ে মনে হয়েছিল, কোন নষ্টামো সিনেমার কাহিনী। যেমন- মেয়েটাকে ধরে নিয়ে ইভটিজিং করে, ছাদ থেকে ফেলে দিছে কিংবা চলন্ত গাড়ীর নিচে টেলে দিছে..... সুন্দর হয়েছে, আরও চমৎকার গল্পের আশা করে শুভকনা রইল....(যান্তে- জানতে)
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

০২ অক্টোবর - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪