গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থেকে এই ব্যাপার টা নিয়ে লেখার চিন্তা মাথায় আসলো। লেখাটা ঘুম এবং স্বপ্নের সর্ম্পক নিয়ে। ঘুমে প্রায়ই আমরা ওপর থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার অনুভূতি পাই। আবার কখনো চোখ খোলা রেখেও একচুল পরিমাণ নড়তে পারি না ।
কেন? কী তার বৈঙ্গানিক বিশ্লেষণ?
মানুষ মাএই এসবের শিকার হতে পারে । আমার নিজেরও এমন অভিঙ্গতা হয়েছে অনেকবার ।
যেমন ধরুন, আপনি আজ রাতে ঘুমাতে গেলেন। বাতি নিভালেন, নরম বিছানায় গা এলিয়ে দিলেন, অল্প অল্প তন্দ্রা লেগে এল, হঠাৎ মনে হল আপনি অনেক উচুঁ থেকে নিচে পড়ে যাচ্ছেন । চমকে উঠলেন আপনি!
আবার হয়ত একদিন আপনি আরামেই ঘুমিয়ে আছেন। হঠাৎ ঘুমটা একটু পাতলা হতে লাগলো আর আপনি দেখলেন যে আপনি আর নড়াচড়া করতে পারছেন না। মনে হচ্ছে কেউ আপনাকে চেপে ধরে আছে । আপনি প্রাণপণে চিৎকার করতে চাইছেন কিন্তু গলা দিয়ে কোন আওয়াজ বের হচ্ছে না । একটা আঙ্গুল নাড়াতে পারছেন না আপনি । কিছুক্ষণ পর ঘেমে উঠলেন আপনি । স্বাভাবিক হয়ে আসলো সবকিছু এ ধরণের ঘটনা কারো জীবনে ঘটেনি এমন মানুষ পাওয়া বিরল । তা ছাড়াও ঘুমের মধ্যে কথা বলা, নাক ডাকা বা ঘুমের মধ্যে হাঁটা কোনটাই বিচিএ নয় এবার আসুন জেনে নেই, কেন এমন হয় এবং কী তার সম্ভাব্য প্রতিকার ?
ঘটনা -১ ঘুমের মধ্যে হঠাৎ মনে হওয়া যে ওপর থেকে পড়ে যাচ্ছি । একে বলে হাইপনিক জার্ক । আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়ি আমাদের সারা শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে আসে, মাংসপেসীগুলো শিথিল হয়ে আসে । কিন্তু যদি সে সময়ের মধ্যে আমাদের মস্তিক ততটুকু বুঝতে না পারে তবে মস্তিক একে ওপর থেকে শরীর পড়ে যাচ্ছে এটা ভুল করে । সেক্ষেএে সে শরীরকে সে সময়ের জন্য প্রস্তুত করতে হাত-পা শক্ত করে ফেলে সেই আসনড়ব বিপদ মোকাবেরা করার জন্য । আর তাই আমরা ঝাঁকি দিয়ে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠি । এটা আসলে সে সময় হয় যদি আমরা অনেকক্ষণ ধরে ব্রেনকে রেস্ট না দেই ।
যেমণ আমি ঘুমের ঘোরেও মুভি দেখি! আবার অনেকে একটানা পড়াশুনা বা অফিসের কাজ বা গবেষণায় এসব চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে এবং ঘুমরে মধ্যেও যদি এসব চিন্তা চলতে থাকে তবে তখনই এ ঘটনা ঘটে । ঘটনা -২ বোবায় ধরার ঘটনাকে অনেকে কুসংস্কারের বশে ‘বোবা ভূত’ ধরা বলে। যার আসল নাম হচ্ছে স্লিপ প্যারালাইসিস । এক্ষেএে ব্যাপারটা একটু জটিল । আমাদের ঘুমের মধ্যে দুইটা পর্য়ায় আছে ।
১। REM (Rapid Eye Movement) ২। Non-REM (Non-Rapid Eye Movement) ঘুমের মধ্যে এদুটি চক্র পর্যায় ক্রমে আমাদের মাঝে আসে । আমরা যদি কোন ভাবে এই দুটি চক্রের মাঝের সময়ে জেগে যাই তখনই আমরা হাত পা নাড়াতে পারি না । কথা বলতে পারি না , কারণ আমাদের এই জেগে থাকা সর্ম্পকে মস্তিক অবগত থাকে না । এক্ষেতে কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে । আর ঘুমে এ সময়কে অনেক সময় বলে মনে হতে পারে ।
আমরা জেগে আছি এ তথ্য মস্তিক সাহেব (!) যদি জানতে পারেন তাহলে আমরা হাত পা স্বাবাবিক ভাবে নাড়াতে পারি এবং জেগে উঠি । এ সময় কোন কিছু দেখা বা গন্ধ পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না । কারণ মস্তিক তখন স্বপেড়বর মত দৃশ্য ‣তরি করে । এই সুযোগে অনেকে কাল্পনিক ভূত-প্রেতও দেখে ফেলতে পারেন । কারণ মস্তিক যখন অক্সিজেনের ঘাটতি হয় তখন আমরা স্বপেড়বর মাধ্যমে অস্বাভাবিক অনেক কিছু দেখতে পাই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
বিষয়ের বাইরে গিয়ে লেখা ফিচার বা প্রবন্ধের মত মনে হলো....জানিনা লেখক এমনি করলেন কেন....তবে তথ্য নির্ভর লেখাটির জন্য লেখক ধন্যবাদ পেতেই পারেণ....আমার পাতায় আমন্ত্রণ থাকলো...।
আসল লেখককে বলছি-এসব কাজ নিন্দনীয়। গল্প কবিতায় নুতন নুতন লেখক আসবে আবার পাঠকও আসবে। পাঠকরাই লেখার প্রাণ। এসকল পাঠকরা বাপ্পি ভাইসহ অন্য লেখকদের গল্প কবিতাও একসময় পড়বে। এতে তো দোষের কিছু নাই। কিন্তু আপনি যে ভাবে বাপ্পি ভাইকে আমার গল্পের একটি চরিত্র নিয়ে ব্যঙ্গ করলেন। তা ঠিক না। পাঠকদের পড়ায় ও কমেন্টস করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা ঠিক না। আসা করি আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ বাপ্পি ভাই প্রতিবাদ করার জন্য।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
সুন্দর লিখেছেন, এমন ধরনের গঠনা কিন্তু সচরাচর হয়ে থাকে। তবে বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্য মিলাতে গিয়ে মনে হয় আমরা ঘুমের ভিতরে যে স্বপ্ন দেখি সেটা ভাবছেন হা হা হা। এমন ভাবনার বাহিরে গিয়েও কিছু লিখতে পারতেন। যেমন- আপনার নিজের ভবিষ্যত্বের স্বপ্ন, আপনার কি স্বপ্ন ছিল কি হয়েছে? ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার/ শিক্ষক, আপনার/রহিমের/ করিমের ভালোবাসা, আপনার/রহিম/করিমের সাংসারিক আলোচনা, দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন। এভাবে যে কোন একটা পদক্ষেপ বের করে গল্পে পরিণত করতে পারতেন... শুভকামনা রইল বাপ্পি ভাই
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।