প্রথম আলোর ‘ছুটির দিনে’ কোন এক নারী কর্মকর্তার সাফল্যের জীবনী পড়েছিলেন একজন মা। এরপর নিজের মাঝেও একটা স্বপ্ন বুনতে শুরু করেন তিনি। গার্মেন্টসের চাকুরী ছেড়ে একটু বাড়তি উপার্জনের জন্য নিজেই বসেন চায়ের দোকান দিয়ে।তার স্বপ্ন তার মেয়ে তুলিও একদিন বড় অফিসার হবে। তার ছবিও পত্রিকায় ছাপা হবে।তার মতে, সেই দিনটার জন্য তিনি অদম্য পরিশ্রম করে যেতে চান এক নাগাড়ে। এই মায়ের পরিবারের সদস্য বলতে তিনি এবং তার মেয়ে তুলি। থাকেন মোহাম্মাদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের পাশে একটা বস্তিতে। সেদিন ওনার দোকানে দাড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম। তার সাথে কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম তার ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা। তুলিও তখন দোকানে। বয়স ৮-৯ বছর হবে। সে মায়ের পাশে বসেই বই পড়ছে। মা’ও চা বানানোর ফাঁকে ফাঁকে মেয়েকে একটু পড়া দেখিয়ে দিচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম ওকে দোকানে এনেছেন কেন? বললো- কি করমু মামা, বাসায় তো কারেন্ট নাই। তাছাড়া কার কাছেই বা রাইখা আমু। জানতে চাইলাম ওর বাবা কোথায় থাকে। বললো, বিদেশ যাওনের নাম কইরা পাঁচ বছর আগে আমগো ছাইড়া গেছে আর কখনো খোঁজ নেয় নাই। এহন এই মাইয়া’ই আমার সব তিনি বললেন, মামা আমার তুলির লাইগা দোয়া কইরেন। আমি অরে অনেক বড় অফিসার বানামু। কথাটা শুনে এই মায়ের জন্য শ্রদ্ধায় বুকটা ভরে গেলো। এমন মায়েদের কাছে আমাদের মত সন্তানরা সারাজীবন ঋণী। যে ঋণে ভর করেই আমরা সভ্য নাগরিক হয়ে উঠি সমাজের বুকে। হুম খালা দোয়া করি, আপনার কষ্টের ফল একদিন তুলি নিয়ে আসবে, ইনশাহ-আল্লাহ। সত্যি সত্যি তুলি একদিন অনেক বড় অফিসার হবে। চা শেষ করে ১০০ টাকার একটা নোট বের করে দিলাম। খালা বাকিটা রাইখা দেন তুলিকে কলম কিনে দিয়েন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
খুব কষ্ট লাগলো। আসলে মায়ের ঋণ শোধ করার মত ক্ষমতা আল্লাহ কাউকে দেন নাই, বিদায় কেউ পারবে না.... তবে আরও গোছিয়ে, সুন্দর করে বড় করতে পারলে এ মাসের শ্রেষ্ঠ লেখা হত। যা হোক, অনেক শুভকামনা ও ভোট রইলো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।