আমি শিরিষের ডালপালা ছেড়ে পাখ-পাখালির বাসা হতে সবুজ কচি ঘাসের দেশে এসেছিলাম মানব জন্ম নিয়ে। পৃথিবীর মানুষের কত রূপ দু’চোখ ভরে দেখার সাধ জেগেছিল। তাই দেবতার কাছে বর চেয়েছিলাম আমায় মানব জন্ম দাও। দেবতার কাছে বর চেয়ে মানবরূপ পেলাম, যৌবন পেলাম, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, নিত্য প্রয়োজনীয় সকলই পেলাম। কিন্তু বুকের মধ্যে কি এক হাহাকার অশান্ত ঝড় ক্রমেই ঘনিয়ে আসতে লাগল। আঁধার হয়ে এলো প্রদীপের ম্লান আলোয় সারারাত মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তে, কি নেই? খুঁজতেই পেলাম একটু সুখ নেই! রাতের আঁধারে ছুটে দেখলাম এখানে কোথাও নেই আরাধনা কোথাও নেই দেবতার গান। এখানে আলো-আঁধারে খেলা করে নর পিশাচ-পিশাচীর নগ্ন দেহ ঘৃনায় মুখ ফিরিয়ে নিলাম! তারপর একদিন। অমার মানবজন্মের যবনিকা হলো ভাগ্য দেবতার কাছে বর চেয়ে শূণ্যে উড়ে গেলাম। আবার সেই শিরিষের ডালপালা কাকফাঁটা রোদ্দুরে পাখনা মেলে ঘুরে ফিরে কুন্জবনে ফিরে আসা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
পন্ডিত মাহী
জীবনানন্দের প্রভাব টের পেলাম । ভালো লেগেছে
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।