মীনা পাগল

অন্ধ (মার্চ ২০১৮)

শফিক নহোর
  • ১৪
ছোট একটি চা-ঘরের সামনে অর্ধ নগ্ন শরীরে শীতের সকালে সূর্যের আলোর আশায় হয়তো সে বসে আছে । মাথার চুলগুলো এলোমেলো উসকো-খুসকো।আমি এক কেজি গরুর মাংস ক্রয়ের জন্য মূলত বাজারে গিয়েছি । আমাদের ছোট সংসার।আমি,আমার স্ত্রী, আর নেহা। বউয়ের কড়া নির্দেশ ছিল যা বলেছে তার চেয়ে এক টাকাও যেন বেশি খরচ না করি ।যদিও পেশায় সে একজন গৃহিনী মাত্র । কোন এক সময়ের তেজী ছেলেটা বউয়ের নিকট মদন হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে খুব রোমান্টিক/ইন্টারেস্টিং মনে হয় ।

বাজার শেষ করে বাসায় ফিরছি।হঠাৎ থমকে দাঁড়াই।পথে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা একটি অসহায় অন্তঃসত্বা মেয়েকে এটা ওটা নিক্ষেপ করে আঘাত করছে ।আমি একটু এগিয়ে গেলাম। প্রচন্ড রাগ করে বাচ্ছাদের কে তাড়িয়ে দিলাম। মেয়েটির করূণ অবস্থা দেখে আমার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল । মানুষ এমন হতে পারে? একটা অবুঝ পাগলী মেয়ের সঙ্গে সহবাস করে তার পেটে বাচ্চা দিয়ে পালিয়ে যেতে পারে ?পশুতে পরিনত হলেই সব পারে !

কৌতুহলী হয়ে আমি তার নাম জানতে চাইলাম? সে খুব মৃদুস্বরে বললো "মীনা" ! বাড়ি কোথায় কিছু বলতে পারলো না। তার আবদার ছিল গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাবে। আমি তাকে সঙ্গে করে নিয়ে গেলাম ।

আমার স্ত্রী প্রচন্ড রাগী মানুষ।তার হাজার প্রশ্ন আমি কেন বাজার থেকে একটা পাগলী বাড়িতে নিয়ে এসেছি ? সে মেয়ে মানুষ ! অন্তঃসত্বা। আমি বুঝাতে ব্যার্থ হয়ে পুকুর পাড়ে একাকী বসে আছি। আমার পাশ ঘেঁসে মীনা পাগলীও বসে পড়লো। যদিও তার বসতে খুব কষ্ট হচ্ছিল । আমি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলাম । সে আমার হাত প্রত্যাখ্যান করলো। বিস্ময় বিমূঢ়তা আমাকে ঘিরে ধরলো।মীনা পাগলী হলেও তাঁর ভিতরে একটা মনুষ্যত্ব বোধ ছিল ।একটা পবিত্র হৃদয় ছিল ।

"মীনা তুমি এখানে বসে থাকো। আমি গরুর মাংস দিয়ে ভাত নিয়ে আসছি …..!"
"মীনা।মীনা, কোথায় তুমি"।পুকুর পাড়ে মীনাকে এত নাম ধরে ডাকছি কোন সাড়া-শব্দ নেই । আমার বউ বাড়ি থেকে বের হয়ে আসলো !
"এত গলা ফাটিয়ে পাগলী টাকে ডাকছো কেন? ও মনে হয় চলে গেছে । পাগল না ছাগল ভান ধরেছে –পাগল হলে পেটে বাচ্চাকাচ্চা হয় ?"
হঠাৎ পুকুরের পানিতে ভেসে উঠেছে মীনা ! মীনার অনাগত পৃথিবী । আমি ততক্ষণে তলিয়ে যাচ্ছি গভীর সমুদ্রের অতল গহবরে ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Farhana Shormin এধরণের ঘটনা সম্প্রতি ঘটছে। ভাল লাগল। ভোটও রইল।
শফিক নহোর ধন্যবাদ হে আমার প্রিয় শ্রদ্ধেয় দিদিমণি । ধন্য হলাম আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে । আপনার জন্য শুভ কামনা রইল । ভাল থাকুন সব সময় হে প্রিয় দিদি আমার ।
মৌরি হক দোলা সম্প্রতি এ ধরনের যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা আমাদেরই এলাকায়... এ ধরনের ঘটনার কথা আগে পরে প্রায়ই শুনতে পাই... তবে আপনার গল্পটি কিন্তু দারুনভাবে এগোচ্ছিল। এত দ্রুত শেষ করলেন কেন? আরেকটু বড় হলে মনে হয় আরেকটু বেশি ভালো লাগত! হা..হা...হা...! যাই হোক, লেখাটা বেশ সাবলীল। তাই আপনার লেখা অারও বেশি পরিমানে পড়ার আগ্রহ বেড়ে গেল। অপেক্ষায় রইলাম আরো সুন্দর গল্প পড়ার... শুভকামনা চিরন্তন...
মোঃ মোখলেছুর রহমান হ্যাঁ ফেসবুকে এরকম একটি ছবিও দেখেছিলাম মনে হচ্ছে,। পাগলি হলেও তার যে শেষে সেটা চমৎকার ভাবে এসেছে,ধন্যবাদ এবং পাতায় আমন্ত্রন রইল।
তার যে মানবিক জ্ঞানবোধ আছে শেষে সেটা........পড়বেন
ধন্যবাদ কবি আপনাকে । ভাল থাকুন সব সময় প্রিয় দাদা ভাই ...সময় করে আসব শরীর টা আমার ভাল যাচ্ছেনা দেআ করবেন ।
সালসাবিলা নকি আপনার লেখা বলে আপনি অনেক ভালো লিখতে পারেন, পারবেন। বানানের প্রতি আরও যত্নশীল হোন, বেশি বেশি পড়ুন এবং লিখতে থাকুন। আপনার এই গল্পটা আমার অনেক ভালো লেগেছে।
ধন্য হলাম শ্রদ্ধেয় দিদিমণি । ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন ।
মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া সম্প্রতি এ রকম একটি ঘটনা মিডিয়াতে এসেছে। সমসাময়িক ঘটনা আপনাকে নাড়া দিয়েছে। তবুও যদি সমাজ সংসার একটু নড়ে চড়ে বসে। ভালো লাগল। পছন্দ, ভোট ও শুভকামনা রইল। যদিও গল্প নয় সত্যিকে আরেকটু বড় পরিসরে তুলে ধরলে ভাল হতো। ধন্যবাদ। আসবেন আমার পাতায়।
ধন্যবাদ হে আমার প্রিয় দাদা ভাই । আপনার সুন্দর মন্তব্য করবার জন্য ।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী হঠাৎ পুকুরের পানিতে ভেসে উঠেছে মীনা ! মীনার অনাগত পৃথিবী । আমি ততক্ষণে তলিয়ে যাচ্ছি গভীর সমুদ্রের অতল গহবরে । মানে মীনা মরে ভেসে উঠেছে নাকি? গল্পটি সুন্দর ছিল, আরও কিছু চরিত্র যোগ করে আলোচনা বাড়াতে পারলে চমৎকার গল্প হত। শুভকামনা নিরন্তর....
ধন্যবাদ আপনাকে । কৃতজ্ঞ আপনার নিকট সুন্দর মন্তব্য করবার জন্য ।
সাদিক ইসলাম কাহিনী ভালো ছিলো। বানানের দিকে যত্নশীল হলে আরো ভালো হবে শুভ কামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে । ভুল গুলো সহ , মন্তব্য করবেন হে আমার শ্রদ্ধেয় দাদা ভাই ।
মোস্তফা হাসান মানবিক গল্প। ভালো লাগল।
ধন্যবাদ হে প্রিয় দাদা ভাই ।

০৩ মে - ২০১৭ গল্প/কবিতা: ৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪