রক্তাল্পনা ও একটি বিবেকর কথা

মুক্তিযোদ্ধা (ডিসেম্বর ২০১২)

ধ্রুব
  • ১৯
"পাথর ঘাড়ে উঠে বসেছে আমার।
বয়ে বেড়াব এই ভাড় আরো কতটা দিন?
পাথরের দাগটা ঘাড়ে নয় পড়েছে আত্মায়।
যেন কোন খুনী নিপুন হাতে নকশা কেটেছে
অনেক দিন ধরে।
বৃত্ত ভাঙ্গার লড়াই এর ফলাফল টা বড়ই উৎকট।
বেঁচে থাকার জন্য সকল লড়াইকে পাশ কাটিয়ে নিজের ছায়াকে পদদলিত করেই চলেছি,পদদলিত করেই যাব।"
"এই বাণীগুলো জড়িয়ে বসে থাকার কাল নেই আর।
ক্ষত-বিক্ষত আত্মার বুকে আর কত ছুরিকাঘাত করবো?
আত্মহত্যা তো করেছি একবার।মানুষ কয়বার মরতে পারে?
নিজের রক্তের রক্তাল্পনার মাঝখানে বসে থাকা আর বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টার মাঝের ব্যবধানটা সুস্পষ্ট নয় কি?"
"কিন্তু আমি যে শত কোটি আয়নার আয়না মহলে থাকি।
কুতসিত,রক্তপিপাসু আয়নার গোলকধাধার ভিতর আছি আমি।
ডানে-বামে,সামনে-পিছনে,উপরে-নিচে আমার ও আমার কুতসিত আত্মার প্রতিকৃতিরা চোখ পাঁকিয়ে তাকিয়ে আছে
একটু সামনে আগালেই যেন আমার গলাটা টিপে ধরবে।"

"ভান করো,ভান।এই পৃথিবীতে ভান-অভিনয়ের দামটা নেহাত কম নয় আজ।
ভান করো আয়না নেই,কোন বৃত্ত নেই।রক্তাল্পনা নেই।
ভান করো আর সবার মত।সুখের ভান।দুঃখের ভান।কানে তালা দাও।চোখে এসিড ঢালো।অন্ধ হয়ে যাও।বোবা হয়ে যাও।
জানোনা?'বোবার কোন শত্রু নেই'।"
"না আমি আর এসিড নিবোনা।আর কোন ভান করবোনা।শুদ্ধতার খোঁজে এসিড ঢেলেছি এই সেদিন।আর না।শুদ্ধতার খোজ় আমি পেয়েছি।
শুদ্ধতা রক্ষার পরীক্ষাতেও আমি পাশ...তবে রক্তাল্পনার মাঝে থেকে ছায়াদের পদদলিত করে এসে আয়না মহল টাকে ভাঙ্গতে পারছি না আর।
চারদিকের সব কীটপতংগ হাওয়ার ভেলায় ভেসে চলেছে।
রক্ত হাতে নিয়ে বসে থাকাই নিয়তি"
"আয়না ভাঙ্গো।গুড়া গুড়া করে দাও।আয়না মহলের সব আয়না।হাতে তোমার রক্ত লেগে আছে এমনিতেই।
আর কি হবে?রক্ত মাখো হাতে।সব ভেংগে ফেলো।"
....................................
.................................................
................................................
"কি ব্যাপার নীরব কেন তুমি?আয়না সব তো ভেংগে ফেলেছি আমি।
দুর্দশার কুতসিত কম্পাংক টেনে নামিয়ে ফেলেছি
কুতসিত প্রতিবিম্বগুলোতে লাল রক্তের ছোপ ছোপ দাগ এঁকে দিয়েছি।
বলো তুমি কোথায়?আয়নার ওপাশে?নাকি ওই বাহিরের আলোতে?নাকি সূর্যের আলোতে মিশে গেছো বিধাতার শক্তিশালী সৃষ্টিরূপে?নাকি আমার মাথার ভিতরে খেলা করছো?"
"না আমি মাটিতে লুটিয়ে আছি।তাকাও নিচে।ভাঙ্গা কাচের মাঝে আমাকে দেখবে।হ্যা আমিই তুমি।তুমিই আমি।
আমি তোমার বিবেক।আমাকেই তুমি খুজে পেলেনা সময় মত।আমাকেই তুমি ধ্বংস করলে।
আমার উপরেই রক্ত মেখে দিলে।
যন্ত্রনা হচ্ছে খুবই।খুবই যন্ত্রনা হচ্ছে।
বিবেকের যাতনা সওয়া যায়না...
আমার নাকি কান্না শুনোনা।
সবকিছুর আমাকেও পদদলিত করো।
আমার-তোমার দুইজনেরই নিয়তি এই...
না চোখের পানির দাম এই জগতে নেই।
তোমার কাছেই রাখো।করো আমাকে পদদলিত করো,নাহয় আগাতে পারবেনা কখনোই।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ আক্তারুজ্জামান ভান করো,ভান।এই পৃথিবীতে ভান-অভিনয়ের দামটা নেহাত কম নয় আজ।-দারুন বলেছেন|
ভালো লাগেনি ৩০ ডিসেম্বর, ২০১২
porara jonne dhonnobad..
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০১৩
সেলিনা ইসলাম অসাধারণ ! কবিতাটা পড়ে আমার কাছে মনে হল যেন একজন মুক্তিযোদ্ধাই/মুক্তিকামী বর্তমানকেই পরিহাস বা ধিক্কার/ ঘৃণা দিয়ে বলছে কথাগুলো এমন কি নিজেকেও মাঝে মাঝে এই কাতারে দাঁড় করাচ্ছে এমনটাই মনে হল আমার (স্বল্প জ্ঞানে তাই মনে হল) আর বিষয়ের উপর ভিত্তি করে লিখছি বলে ভান করে লিখছি এই যুক্তি আমি মানতে পারলামনা বরং যেখানে যা নিয়ম তা মেনে চলাটাও কিন্তু বিবেকের বহিঃপ্রকাশ। অনেক শুভকামনা কবি
ভালো লাগেনি ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২
আপনি যা ভাবেন.... পরার জন্যে ধন্যবাদ..
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০১৩
এফ, আই , জুয়েল # ভালো লাগলো ---- নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইলো ।
ভালো লাগেনি ২৮ ডিসেম্বর, ২০১২
ধন্যবাদ..
ভালো লাগেনি ১০ জানুয়ারী, ২০১৩
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি আত্মহত্যাতো করেছি একবার ...মানুষ কয়বার মরতে পারে?....ভাল লাগলো কবিতা........চোখের পানির দাম এজগতে নেই তাই এগিয়ে যাবার আকাঙ্থা....আরো ভালো লাগলো.......................
ভালো লাগেনি ২৪ ডিসেম্বর, ২০১২
ধন্যবাদ..
ভালো লাগেনি ২৬ ডিসেম্বর, ২০১২
সূর্য যারা রক্তের আল্পনা আঁকে তাদের বিবেকটা কাজ করে না, আবার যাদের বিবেক জাগ্রত তারা রক্তের হোলি খেলে না। আর তাইতো একসময়ের স্বাধিনতা বিরোধীরা আজ জিকির তোলে ৪১বছর পরে কেউ আর স্বাধিনতা বিরোধি নেই। যদি তাদের বিবেক কাজ করত অন্তত নাকে খত দিলেও তো যারা হারিয়েছেন সব, তারা শান্তনা পেতেন। কবিতাটা অনেকটা ঘোরের সৃষ্টি করেছে। চরিত্রের স্বরূপ অনেকটা ঢেকে আছে সেই ঘোরে।
ভালো লাগেনি ২৩ ডিসেম্বর, ২০১২
পরার jonne ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ২৬ ডিসেম্বর, ২০১২
তাপসকিরণ রায় দীর্ঘ কবিতা--কিছু লাইন তো স্বভাবিক থেকে অনেক বড় !ভাব ভাবনায় ভালো লেগেছে সন্দেহ নেই তবে অনেক জাগা বুঝতে ভ্রম হয় !
ভালো লাগেনি ১৯ ডিসেম্বর, ২০১২
হমমম...ইচ্ছা করেই করা সবকিছু...
রনীল খুব গোপন জায়গায় আঘাত করেছেন ভাই... চারপাশে সব কিছু এত বেশি ফেইক যে আজকাল আর সরলভাবে কথা বলতে পারিনা... নিজের অজান্তেই ভান চলে আসে. লেখনী খুব ই সহজাত... অনুরোধ করব নিয়মিত লিখে যাবার জন্য.
ভালো লাগেনি ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২
নিয়ম ভাঙ্গার লড়াইয়ে নেমেছি....ধন্যবাদ.
ভালো লাগেনি ১৮ ডিসেম্বর, ২০১২
প্রিয়ম অনেক গভীর একটা ভাব নিয়ে লেখা কবিতা |
ভালো লাগেনি ১১ ডিসেম্বর, ২০১২
ধন্যবাদ.
ভালো লাগেনি ১৮ ডিসেম্বর, ২০১২
ম্যারিনা নাসরিন সীমা বিষয়ের সাথে না গেলেও চমৎকার একটা কবিতা । মুগ্ধ হলাম ।
আমি ভান করে বিষয় ভিত্তিক কিছু লিখতে পারতাম...তবে লিখলাম না..আপনাকে পরার জন্যে ধন্যবাদ.
ভালো লাগেনি ১০ ডিসেম্বর, ২০১২

০৮ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪