আজ রাজ্যের সবচেয়ে বড় উৎসব।রাজ্যের মূল মাঠে পুরো রাজ্যের সকল মানুষ এসে জটলা পাকাচ্ছে সকাল থেকে।আজকে হল বাৎসরিক চুমু উৎসব।রাজ্যের বর্তমান ও সাবেক রাণী আসবেন।একজন তাঁর বাবার ছবি আনবেন।আরেকজন আনবেন তাঁর স্বামীর ছবি।তাঁরা দুইজনেই ছিলেন এই রাজ্যেরই রাজা একসময়ের।রাজ্যের সকল প্রজারা এসেছে রাণীর হাত-পা আর দুই রাজার ছবিতে চুমু খেতে।এই রাজ্য প্রতিষ্ঠা কাল থেকে এমন হয়ে আসছে।
সকাল থেকেই মাঠে প্রচুর মানুষ।এদের মাঝে কেউ কেউ আছে ব্যানার হাতে জাকজমক পোশাক পরে এই ধরনের উৎসবের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।এটা নাকি অসম্মাঞ্জনক।তাদের সংখ্যা অবশ্য নিতান্তই অল্প।আবার আরেক দল আছে ধর্মীয় দিক দিয়ে এই উৎসব কতটা যে ক্ষতিকর তা বুঝানোর চেষ্টা করছে।তবে সাধারন মানুষের এদের কথা শোনাটা যেন বয়েই গেছে।কারন এই লোকগুলা সম্পর্কে একটা ধারনা আছে সবার মাঝে,এরা নাকি রাতের গভীরে নিজেরাই রাণীদের সামনে বসে এই রাজাদের ছবি চুমু খায় আর রাণীদের পা ধরে বসে থাকে,কিছু একটা পাওয়ার আশায়।কিন্তু আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে খুব ফায়দা তাদের হচ্ছেনা।তাই তারা এখানেই আবার,ক্ষীণ ভাবে প্রতিবাদ চালানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বর্তমান রাণীর ঘোষক এসে বললেন, “আসুন,আসুন রাণীমা এসে গিয়েছেন উনার বাবার ছবি,স্রদ্ধেয় সাবেক রাজামশাই এর ছবি।লাইন ধরুন আর যাদের কার্ড আছেন তারা সামনে আমার কাছে আসুন”।এই শুনে একটা হূড়োহূড়ি লেগে গেল সবার মাঝে।
মাঠের অপর পাশে সাবেক রাণী যেখানে বসেছেন সেখানেও একি অবস্থা।বর্তমান রাণী আবার সাবেক রাণীকে একদম পছন্দ করেন না।তাদের মাঝে সম্পর্ক নাকি ভালোই ছিল।কিন্তু প্রজারা মনে করেন তাঁরা একে অপরের পারিবারিক জীবনে হস্তক্ষেপ করে ফেলেছিলেন।কিন্তু এই ঝগড়ার ফলে উনাদের কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি।যা ক্ষতি হওয়ার প্রজাদের হয়েছে।
আমরা গীবত না করে মাঠের পরিস্থিতি লক্ষ্য করি।চুমু উৎসব চলছে।কেউ কেউ ছবিতে চুমু খেতে খেতে আবেগে গাঁয়ে কাপড় রাখতে পারছেনা।তবে কাপড় খোলার সাথে সাথে তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে জোর করে।প্রজারা চুমু খেয়ে বের হএ এসে বলছেন গর্বে,আনন্দে নাকি আজ তাদের বুক ভরে গিয়েছে।রাণীমা আর রাজামশাই এর ছবিতে চুমু খেতে তারা গর্বিত।অপরদিকে প্রতিবাদিদের দল হালকা হয়ে গিয়েছে।তারাও চুমু খাওয়ার লাইনে দাড়িয়েছে।
হঠাত করে পাশের বন্ধু রাজ্যর দূত কে দেখা গেলো দূর থেকে ছুটতে ছুটতে এদিকে আসছে।তারপর বর্তমান রাণীমার বুথের দিকে গেল সে।কিছুক্ষন পর দূত আবার ছুটে বেরিয়ে গেল।বর্তমান রাণীমা বের বুথের ভেতর থেকে।তারপর বললেন প্রজাদের উদ্দেশ্যে, “সবাই জানেন আমরা বন্ধুভাবাপন্ন একটি রাজ্য।আমরা সবসময় বন্ধুদের সাহায্য করি।আমাদের নিজেদের ক্ষতি করে হলেও,ওরা আমাদের আসলে বন্ধু ভাবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকার পরেও আমরা তাদের সাহায্য করি।এখন তারা আসলে বিপদে পড়েছে।তাদের রাজ্যে মানুষের থাকার কষ্ট,খাওয়ার কষ্ট।ওরা তিন বেলা খেতে পারলেও ওরা সন্ধ্যার নাস্তা করতে পারছেনা।আমরা ওদের সত্তিকার এর বন্ধু হলে ওদের দাবি টা আমাদের মেনে নেওয়া উচিত।ওরা আমাদের সবাইকে মেরে ফেলে আমাদের রাজ্যে থাকতে চায়।আমি নিজে দরকার হলে সবার আগে জীবন দিব।আপনারা আমার সাথে আছেন?”
পুরো মাঠ গর্জে উঠে বল্ল, “হ্যা আছি আমরা আপনার সাথে”।
সাবেক রাণীও আসলেন আর বললেন, “আমিও আছি এতে”।প্রজারা আরো খুশি, “তাদের দুই রাণী একত্র হয়েছে।ধন্যবাদ,হে বন্ধু রাজ্য।
রাণীরা বললেন, “আপনারা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে যান,ওই যে ওদের জল্লাদ আসছে”।জল্লাদ আসতেই সবাই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে পড়ল।কিন্তু রাণীরা দুই জন ঝগড়া শুরু করে দিলেন কোথায় দাড়াবেন সেটা নিয়ে।আর প্রতিবাদীরা জল্লাদের দলে যোগ দিল।কাউকে তো জল্লাদকে সাহায্য করা লাগবে।ও বেচারী তো আর একা পারবেনা।অবশেষে দুই রাণীর গলা একসাথে কাঁটা হল।এভাবে দুই রাণী খুশি থাকলেন।বাকিরা সবাই গর্বের সাথে তাদের বন্ধু রাজ্যের জন্য জান দিল।কি এক সুন্দর দৃশ্য,পূরো একটা মাঠ ভর্তি রক্ত আর তার মাঝে কতগুলো ধর থেকে আলাদা করা মাথা পড়ে আছে।সেগুলোর মুখে একটা হাসি।গর্বের হাসি…
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Md. Akhteruzzaman N/A
সাবের ভাই এর মন্তব্য আমার যথার্থ মনে হয়েছে| 'বর্তমান রাণীমা বের বুথের ভেতর থেকে।'- এই রকম হোচট খাওয়া একটু যত্ন নিলেই এড়িয়ে যেতে পারতেন অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো|
বিন আরফান. N/A
বর্ণনার দোষে একটি সত্য ঘটনাও মিথ্যা হয়ে যায়. অনেক কিছু বলতে মন চাইছিল গল্পটি পড়ে. কিন্তু টাইপ এ দূর্বল তাই এড়িয়ে গেলাম. খুব খুব খুব ভালো প্রচেষ্টা.
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।