সকালটা হবে হবে করছে, সূর্যটা মনে হচ্ছে লাল টমেটো। সকাল হলেই পাখির ডাকের আগে আগে গ্রামের ভিতর কিছু মানুষকে ছুটতে দেখা যায়, কর্মের সন্ধানে। হাসানের বাপ রহিম মিয়াও তাদের একজন। তিনি তার রিক্সা নিয়ে বের হয়েছেন, খুব সকালে পাশের গ্রামের মাদবর আরব আলির মেয়ে সালমাকে তিনি স্কুল পৌঁছে দেন, আজোও বের হয়েছেন কিন্তু বারে বারে তার রিক্সার চেইন খুলে যাচ্ছে। তিনি খুবই পেরেশানিতে আছেন। তাড়াতাড়ি করেতে গেলেই বুঝি কিভাবে কিভাবে যেন তার বেশী দেরি হয়ে যায়, আজো যেমন হচ্ছে। তার ছেলে একটা ব্যাট কিনে দিতে বলেছিলো গতরাতে।কাল এমনেই তার মেজাজ খারাপ ছিলো আর থাকবে নাই বা কেন, মহাজন তার কাছে কিছু টাকা পায় , ঠিক আছে ,তাই বলে কি সবার সামনে চড় দিতে হবে, সে কী মানুষ না ,তার কী মান ইজ্জত নেই। এমনেই মেজাজ গরম ছিলো তার উপরে পোলাটা চেয়ে বসলো ব্যাট, নিজেকে আর সামলাতে পারেনি রহিম মিয়া। রাগে ক্ষোভে মনে হয় দুয়েক ঘা বেশী বসিয়ে দিয়েছিলো। সকালবেলা দেখে তার বউ ছেলের মাথায় পানি দিচ্ছে, তা দেখে তারও মনটা ভরে ওঠেছিলো, চোখে জল এসে পড়েছিলো তাই কাউকে কিছু না বলেই বের হয়ছে। ভাবতে ভাবতে সে আরব আলির বাড়ীর সামনে চলে এসেছে, আবারো চেইন পড়লো বিড় বিড় করে একটা গালি দিলো মহাজনকে, সালা বেছে বেছে একটা নষ্ট রিক্সা দিচ্ছে। সামনে তাকিয়ে দেখে সালমা দাঁড়িয়ে আছে। রহিম মিয়া ভাবে বড়লোকের মাইয়াগুলো এতো মোটা হয় কেনো, কী খাঁয় কে জানে। কেউ নিতে চায়না বলেই বুঝি রহিম মিয়ার এতো কদর! রহিম মিয়া বহুকষ্টে রিক্সা টানতে থাকে, তাগাদা দেয় সালমা বলে, চাচা একটু জোরে টানেন না, ক্লাস শেষ হইয়া যাইব তো। রহিম মিয়া আপন মনে রিক্সা চালাতে থাকে। তার মাথায় ঘুনপোকার মতো ঘুরতে থাকে ছেলের আবদার। ভাবতে থাকে কিভাবে জোগাড় করা যায় একটা ব্যাট কিনার টাকা। ভাবতে ভাবতে চলে আসে স্কুলের কাছে। সালমা কিছু না বলেই দৌড়ে ঢুকে যায় স্কুলে। দুপুরবেলা একজন যাত্রী তাকে জিজ্ঞেস করলো সে কি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের খেলা দেখে কিনা? রহিম মিয়া ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিলো অনেক্ষন, কোন জবাব দেয়নি, আর কিবা জবাব দিবে সেতো আর খেলা দেখেওনা আর বুঝেওনা। আজ নাকি বাংলাদেশের খেলা, তাই দুপুরবেলাই রাস্তা খালি, মনটা খারাপ হয়ে যায় তার। খ্যাপ না মারলে খাবে কী আর পোলার ব্যাট কিভাবেই বা কেনা হবে? রাতেরবেলা টিভির সামনে ভীড় দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে রহিম মিয়া, বাংলাদেশ খেলছে। মানুষের সেকি উত্তেজনা, কি টেনশণ! তার কাছে কেমন নেশার মতো লাগে, কিছু না বুঝলেও মানুষ যখন চীৎকার দেয় সেও দেয়। সবাইকে খুব আপন মনে হয়, তাকে একজন জিজ্ঞেস করে স্কোর কতো? সে হাসে কিছু বলতে পারেনা। কিছুক্ষন পরে এটা সে বুঝে ফেলে যে বল যদি দাগ পার হয় তবে সেটা চাইর, মানে সবাই একসাথে চীৎকার দিবে। খেলা শেষ। বাংলাদেশ জিতছে বলে, একজন তাকে জড়িয়ে ধরে সে কি লাফালাফি। সেও সব ভুলে লাফাতে থাকে। সে ভুলে যায় মহাজনের হাতে অপমানের কষ্ট, পোলার হাতে ব্যাট কিনে না দেবার বেদনা, একটা খেলা পারে এভাবে কষ্ট ভূলিয়ে দিতে, তার মনটা ফুরফুরে হয়ে উঠে। হালকা শীষ দিতে দিতে বাড়ীর পথে রওয়ানা হয় রহিম মিয়া, মনটা কিভাবে যেন ভালো হয়ে গেছে।
বাড়ী ফিরেই রহিম মিয়া জিজ্ঞেস করে হাসান কই? তার বউ ভয়ে ভয়ে উত্তর দেয়, হাসান মিছিলে গেছে। রহিম মিয়া চুপ থাকা দেখে, সাথে সাথেই বলে এক্ষনেই গেছে এইতো আইয়্যা পড়বো। রহিম মিয়া বলে আচ্ছা ঠিক আছে। তারামন বিবি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। সে ভাবতে থাকে রহিম মিয়া জিজ্ঞেস করলো না কিসের মিছিল? সে দ্রুত প্রসঙ্গ পাল্টে বলে, দুপুরে আইল্যা না কেন? রহিম মিয়া বলে এমনেই মনটা ভালা ছিলো না। আর কথা বাড়ায় না তারামন বিবি বলে হাত মুখ ধোও, খাইতে দেই। রহিম মিয়া বলে, আচ্ছা ঠিক আছে। রহিম মিয়া টিউবওয়েলের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ চিৎকার শুনতে থাকে, তারও ইচ্ছা করে মিছিলে যেতে। কিচ্ছুক্ষন পরে হাসানের হাসির শব্দ শুনা যায়, মাকে সে নানা ঘটনা বলতে থাকে। রহিম মিয়া ঘরে ঢোকার সাথে সাথে কথা বন্ধ হয়ে যায়। রহিম মিয়া ভাবে তার ছেলে তাকে এতো ভয় পায় কেন? হাসান চুপ করে থাকে। রহিম মিয়া জিজ্ঞেস করে, তুই মিছিলে গেছিলি? কথা বলার সময় কেমন যেন গুমোট হয়ে যায় পরিবেশ। হাসান মাথা নাড়ে। রহিম মিয়া হেসে বলে ভালা করছস। হাসান অবাক হয়ে তাকায় বলে, আজকা বাংলাদেশ জিতছে বাবা , যদি খেলা দেখতা বাবা কিযে ফাটাফাটি খেলা। রহিম মিয়া হাসতে হাসতে বলে আমিতো দেখছি। হাসান চিৎকার দিয়ে বলে বাবা খেলা দেখছো। রহিম মিয়া মাথা নাড়ে। হাঁচা কইতাছো!! হাসানের চোখে অবাক দৃষ্টি, সে ভাবতে পারছেনা তার বাবা ক্রিকেট খেলা দেখছে। রহিম মিয়া বলে, আমি খেলা দেখতে দেখতে ভাবছি তোরে একটা ব্যাট কিন্না দিমু। হাসান কোন কথা বলতে পারেনা। এতগুলো বিষ্ময়কর ঘটনা একসাথে ঘটে যাওয়ায় সে হতবিহবল হয়ে যায়। হাসানের মা ভাত খেতে ডাকে।
রাতে রহিম মিয়ার ঘুম আসে না। সে এপাশ ওপাশ করতে থাকে। পাশ থেকে তার বউ বলে, কি হইছে, ঘুমাও না কেন? রহিম মিয়া উত্তর দেয়, ভাবতাছি পোলাটারে কেমনে ব্যাট কিন্যা দিমু। তারামন বিবি বলে, হোন পোলাপাইন যা চাইবো তাই কি কিন্যা দিতে হইবো। টাকা আসুক পরে কিন্যা দেওন যাইবো। রহিম মিয়া বলে, আমি কথা দিচ্ছি না, দেখি কাল বা পরশুর মাঝে কিন্যা দিমু। তারামন বিবি কথা বাড়ায় না, সে জানে রহিম মিয়া এককথার মানুষ। কিছু বলে আর লাভ নাই, তার মাথায় ঢুকছে যখন না কিন্যা থামবো না। সকালবেলা রহিম মিয়া সালমাকে জিজ্ঞেস করে, তোমার বাবা কই মা, সালমা উত্তর দেয়, কেন চাচা ডাইক্কা দিমু। রহিম মিয়া বলে, একটু ডাক দেওতো মা কথা আছে। সালমা বাড়ীর ভিতর যায়, কিছুক্ষন পরে আরব আলি আসে, এসেই জিজ্ঞেস করে, কি ব্যাপার রহিম মিয়া। রহিম মিয়া কাচুমাচু হয়ে বলে, না মানে কিছু টাকার দরকার। টাকা মানে কয়দিন আগে না দিয়া দিলাম, অবাক হয়ে বলে আরব আলি, আরো বলে এখনতো হাতে টাকা পয়সা নাই কয়দিন পর নাও। রহিম মিয়া বলে আজ কালের মধ্যে দিলে ভালা হয়। আচ্ছা ঠিক আছে দেখমুনে, অহন যাও সালমারে নিয়া স্কুলে দিয়া আসো। রহিম মিয়া মাথা নাড়ে। তারপর সালমাকে স্কুলে পৌচ্ছে দেয়। কতক্ষন পরে একজন যাত্রী রহিম মিয়া কে বলে, যাবেন গ্রীনহল স্কুল মাঠ? রহিম মিয়া বলে, যামু। ভাড়ার কথা না বাড়িয়েই যাত্রীটি উঠে পড়ে। রিক্সা চালাতে চালাতে রহিম মিয়া জিজ্ঞেস করে বাংলাদেশের খেলা কবে, প্রথমে যাত্রীটি একটু অবাক হলেও উত্তর দেয়, সামনের শনিবারে। সে পাল্টা রহিম মিয়াকে জিজ্ঞেস করে, আপনি খেলা দেখেন? আপনি স্বমোধন রহিম মিয়া কে অবাক করে, সে মাথা নাড়ে, বলে হ দেখি ভাইজান, ইনশাআল্লাহ সামনেও আমরাই জিতমু। যাত্রীটা হাসে বলে, দোয়া করেন, দেখেন কি হয়। সে আরো বলে আজ কিন্তু স্কুল মাঠে আন্তস্কুল ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে, আমি দেখতে যাচ্ছি। স্কুলের সামনে এসে দেখে মাঠে অনেক মানুষ। কৌতুহলি হয়ে রহিম মিয়া দাঁড়িয়ে যায়। খেলা শুরু হয়ে গেছে। রহিম মিয়া দেখে তার ছেলে ব্যাট করছে। হাসানের খেলা দেখার সময় তার বুক কাপতে থাকে। হাসান একের পর এক বল সীমানার বাইরে পাঠায় আর রহিম মিয়ার স্বপ্ন একে একে আকাশে উড়তে থাকে। একজন দর্শক আরেকজনকে বলে, পোলাটা একদম সাকিব আল হাসানের মতো খেলে, এতটুকু ছেলে আর কী খেলেরে ভাই, চোখ একদম জুড়িয়ে যায়। ছেলেটা বড় হয়ে অনেক বড় খেলোয়াড় হবে। একথা শুনে রহিম মিয়ার চোখে পানি এসে যায়। খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত সে অপেক্ষা করে। তারপর আবার রিক্সা নিয়ে মাঠ থেকে বের হয়। রিক্সা চালানোর সময় তার মাথায় দর্শকের কথাগুলো জলের ঘুরে ঘুরে কথা বলে। সে ভাবে তার ছেলে একদিন বড় খেলোয়াড় হবে। রাতেরবেলা বাড়ি ফিরেই তারামন বিবিকে জিজ্ঞেস করে হাসান কই? তারামন বিবি বলে, হাসান একটা কাপ জিতছে, হেইটা হকলরে দেখাইতে গেছে। রহিম মিয়ার বুকটা ভরে যায়। হাসান ঘরে এসেই বলে বাবা আমি মান অব দ্যা ম্যাচ হইছি, একটা কাপ পাইছি। রহিম মিয়া কাপটার দিকে তাকিয়ে বলে, কালকা তোরে আমি একটা ব্যাট কিন্যা দিমু। হাসান হেসে, চিৎকার করে বলে, হাঁচা কইতাচো বাবা, হাঁচা কইতাচো। রহিম মিয়া মাথা নাড়ে, কালকা তুই আমার লগে যাবি, আমি কিন্যা দিমু। তারামন বিবি বলে, টাকা পাইবা কই? রহিম মিয়া হাসে বলে, জোগাড় করমুনে।
সকালবেলা সুর্য ওঠার আগেই হাসান রেডী বসে থাকে, রাতেই সে আশেপাশের সব ছেলেকে বলে দিয়েছে সে একটা ব্যাট কিনবে। কেরানী সর্য ওঠার জন্য হাসানের প্রতীক্ষা যেন শেষ হয়না। অবশেষে কেরানী সূর্্যআ তার কাজ শুরু করে। হাসান বাবাকে ডেকে তোলে। নাস্তা করার তর সয়না হাসানের। রহিম মিয়া আজ আর রিক্সা চালাবেনা বলে ঠিক করেছে। সে আজ আরব আলি সাহাবের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গঞ্জে যাবে। চারটা ভাত খেয়েই হেঁটে হেঁটে ছেলেকে নিয়ে আরব আলির সাহাবের বাড়ি যায় রহিম মিয়া। সালমাকে ডাক দেয়, সালমা আসেলেই রহিম মিয়া বলে, মা তোমার বাবাকে একটু ডাক দেও দেখি। সালমা বলে, বাবাতো মোকামে গেছে চাচা। রহিম মিয়া হতবিহবল হয়ে তাকিয়ে থাকে, জিজ্ঞেস করে, মা হ্যায় কবে আইবো? সালমা বলে জানিনাতো চাচা কয়েক দিনতো লাগবোই। হাসানের ছোট্ট বুকটা দুমড়ে মুচরে যায়। রহিম মিয়া হাসানের দিকে তাকিয়ে বলে, কোন চিন্তা করিস না বাপ, দেখি মহাজনের কাছে যাই। দুজনে মেঘের মতো হাটতে থাকে। মহাজনের কাছে যাওয়ার কথা রহিম মিয়া ভাবেনি কিন্তু ছেলের কষ্ট দেখে তার মনে হয়েছে যদি কোনভাবে মহাজন রাজী হয়।
মহাজন কাকে যেন গালাগালি করছিলো। রহিম মিয়া কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকে বোকার মতো। মহাজন তাকে দেখেই বলে, কিরে আজকা দেহি তুই রিক্সা নিলিনা, ঘটনা কী, কত আমারে। রহিম মিয়া ম্লান হেসে বলে, মহাজন শরীরটা সুবিধার না। মহাজন ভ্রুকুচকে তাকিয়ে থাকে, বলে কিয়ের লিগা আইছোস। রহিম মিয়া মাথা চুলকাতে থাকে। মহাজন তাগাদা দেয় আরে যা কবি তাড়াতাড়ি কয়, আমার কাম আছে। রহিম মিয়া তার ছেলের দিকে তাকিয়ে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে বলে, কিছু টাকা লাগবো মহাজন। মহাজন অবাক হয়ে বলে টাকা!! কি করবি। রহিম মিয়া ছায়ার মতো ফিসফিস করে বলে একটা ব্যাট কিনমু। মহাজন থমকে বলে কী করবি?
জী ব্যাট কিনমু বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে রহিম মিয়া । মহাজন চোখ পাকিয়ে বলে, কান ধর। রহিম মিয়া বুঝতে না পেরে দাঁড়িয়ে থাকে। ধমক দিয়ে মহাজন বলে, সালা হারামীর বাচ্চা কথা কানে যায় না, কান ধর, সালা শুয়ুরের বাচ্চা আগের টাহা দিতে পারোনা আর আজকা আইছো পোলার লাইগ্যা ব্যাট কিনবা। ব্যাট একদম ঢুকাইয়া দিমু। সালা কান ধর। রহিম মিয়া কান ধরে। হাসান ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে বাবার দিকে। মানুষের জটলা বাড়তে থাকে। আশেপাশের মানুষ তামশা দেখতে থাকে, কেউ কোন প্রতিবাদ করেনা বরং হাসতে থাকে। রহিম মিয়ার চোখে পানি চলে আসে, তবুও সে উঠবস করতে থাকে। হাসান ঢুকরে কেদে উঠে এতো অপমান তার অবুঝ হৃদয় বইতে পারে না। মহাজনের হাসানের কান্না দেখে দয়া হয়, বলে, যা হইছে আর জীবনে এইরকম উল্টাপাল্টা কথা বলবি না বূঝছোস। রহিম মিয়া কিছু বলতে পারেনা তার চোখ ইটের ভাটার মতো জ্বলতে থাকে। ছেলেকে নিয়ে ভীড় ঠেলে সে বের হয়। কিছুক্ষন পর রহিম মিয়ার চোখ থেকে অবিরাম বর্ষন হতে থাকে। সে হাসানকে প্রলাপ বকার মতো বলে, বাপ এঘটনা তুই কিন্তু তোর মারে কইস না। হাসান মুখ তুলে তাকায় আর ফিসফিস করে বলে বাবা এই কথা কি কয়া যায়। রহিমের মনে হয় তার ছেলে হুট করে অনেক বড় হয়ে গেছে। হাসান যেন তার সমান একজন মানুষ ।রহিম মিয়া বলে, বাবা তোরে আমি কয়েকদিন পর ব্যাট কিনে দিমু, বিশ্বাস কর। হাসান দৃঢ়কন্ঠে বলে, বাবা আমি আর ক্রিকেট খেলতাম না, আমার ব্যাট লাগতো না। রহিম মিয়া কিছুক্ষনের জন্য বিমূঢ় হয়ে যায়, নিঃশব্দ কথা বলতে থাকে তাদের মাঝে । আর এভাবেই মৃত্যু ঘটে মালিরপাথরের সাকিব আল হাসানের।