পুকুরপাশে একফালি ছোট্ট জমি
ক'দিন থেকেই বদলাচ্ছে তার রকম সকম
কখনও পুঁতছে খু্ঁটি তো কখনও আবির মাখছে, বাসন্তী।
হালকা শিরশিরে বাতাসে ভাসছে মিষ্টি বাসন্তী সুভাস।।
বাগদেবীর আরাধনায় হাজির চাল কলা ফুল বেলপাতা সারে সারে,
পড়া মিটিয়ে বইপত্র গোছা করে সাজানো মা'য়ের পায়ের ওধারে।
পুষ্পাঞ্জলি হবে, কাঁসর ঘন্টা বাজবে
দইচিঁড়ে থেকে খিচুরি ভোগ, হবে সবেরই আয়োজন।
রাতে খাওয়া দাওয়া হবে, গান বাজবে
আর নাচও হবে তালে তালে
একদিনে পুজো মেটানোর খুব কি আছে প্রয়োজন?
ঠাকুর বরং থাকুক, আরও কটাদিন কাটুক গোলেমালে।
দিনচারেক বাজল মাইক,
কোমোর দুলিয়ে নাচও হল,আবিরে রঙীন হল পথঘাট
বেচারা ঠাকুর নীরব হয়ে দেখল সকল কেরামত।
পূজো তো কবেই মিটে গেছে,জোটেনি কোনো ভোগ আর;
শুকনো মুখে চুপটি করে,তাও মা থেকেছেন দিন চার;
নাচ দেখেছেন,গান শুনেছেন,বলেলনি একটিবারও-----
"হলো না কেন আরতি?
খেতে যদি নাই দিবি,আবাহনের দরকার কি?
আনন্দটাই আসল কথা?মায়ের কথা ভাবিস না?
আরাধনার আসল মানে তোরা এখনও জানিস না।"
চারদিন পর অবশেষে
দুটি ছেলেতে কোনোমতে,হাজির হল পুকুরঘাটে।
দুজনাতে ঠেলেঠুলে,রাখল ঠাকুর পুকুর পাড়ে।
একটি বলল---
"বৃষ্টি এলে নিজে থেকেই গলবে মাটি মায়ের গায়ের;
দরকার নেই ঘাম ঝরিয়ে দুইজনাতে জলে নামার
পুকুর পাড়ে গাছের নীচে রেখে গেলেই কাজ সাবার।"
হায়রে ঠাকুর,
এলোচুলে রইল পড়ে পুকুর ধারে।
একটি ফোঁটাও জলের ছিটে পড়ল নাকো মায়ের পায়ে
সরস্বতী আজ মাটির ঢেলা,রোদ বাড়ল,ধূলো পড়ল
শুষ্ক গায়ের মাটি ঝড়ল,
রঙ হারাল রুখ্খো বসন,
শ্বেতশুভ্র গায়ের রঙে পড়ল যে কালো আস্তরন।
হায়রে আমার সরস্বতী
ফিরিয়ে আনো এদের মতি।
বিদ্যে দাও,বুদ্ধি দাও,জ্ঞান দাও আর বিবেক দাও।
তার বিনিময়ে, বরং তুমি এদের থেকে মুক্তি চাও।।
০৬ ফেব্রুয়ারী - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪