নীরব আর্তনাদ

ভালোবাসার গল্প (ফেব্রুয়ারী ২০২০)

মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
  • ১৮০
১)
একটা আশা নিয়ে বড় হইছি কেবল। ভাটা এবং জোয়ারের গতি বুঝি নাই কোনদিন। কেবলি বড় হওয়ার স্বপ্নে আনন্দ করার অভিনয় শিখেছি৷ অভিমান, অনুরাগ কি জিনিস কখনো জানার চেষ্টা করিনি। বোঝার চেষ্টা করিনি কোথায় থেকে এসেছি, আবার একদিন কোথায় চলে যাবো। কেন এসেছি, অথচ কি করছি। এই বড় হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান কাদের। তারা কেনই বা এতো কষ্ট, এতো সুখ পরিত্যাগ করে শুধু আমাদের সুখটাই চেয়েছেন! সত্যি কি আমরা তখন সুখে ছিলাম, নাকি এখনো সুখ খুঁজছি। কি পেয়েছি, কি হারিয়েছি, আর কি এখনো আছে? থাকার ভিতরে সবচেয়ে যত্নবান জিনিসটা কি। কেনই বা বন্দী কারাগর থেকে এনে আমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এই মুক্তির পিছনের কারণ কি, কোথায় গেলে এই মুক্তির ব্যাখ্যা পাবো। আর কেনই বা মুক্তির ব্যাখ্যা খুঁজতে যাবো!

প্রতিদিন সজোরে হাজারো প্রশ্ন খেলে, হাজারো প্রশ্ন উড়ে বেড়ায়_____ পশ্চিম থেকে পূর্বে, দক্ষিন থেকে উত্তরে। এমন কি ডিম্বানু থেকে পরিপক্ক, পরিপক্ক থেকে জন্ম, জন্ম থেকে বড় হওয়া; এরপর মানুষ করে গড়ে তোলা পর্যন্ত। অথচ কয়টা প্রশ্ন খুঁজেছি! কয়টার সমাধান পেতে বিবেককে বারবার প্রশ্ন করেছি।
আমরা সত্যি কি নির্বোধ, নাকি মানুষ হয়েও আমাদের জ্ঞান পশুর সমতূল্য?

২)
চাকরি পেতে না পেতেই আমরা বিয়ের স্বপ্ন দেখেছি। দেখেছি মিষ্টি একটা সংসারের। অথচ বিয়ের সময় বাড়তে না বাড়তেই আরেকটা গল্প রচিত হয় ইতিহাস কিংবা হৃদয়ের প্রাচীরে। মাঝেমাঝে হৃদয়কে শুধু অহংকার, হিংসা আর ঘৃণার প্রাচুর্য করে গড়ে তুলেছি। অথচ এ বহির্বিশ্বের পরিবেশ যে বিনম্রতা শিখিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন, আমরা মোটেও উপলব্ধি করি না। একটু জানার আগ্রহে হাত বাড়িয়ে তুলি না। ক্রমেক্রমে জীবনের শিরোনাম বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে সংসারে যোগ হয় আরেকটি শিশুর। বাড়তে থাকে খরচ। সব সময় আদর আর ভালোবাসার মিষ্টি এক মায়াজলে বেঁধে নিই সংসারের কুটি। অথচ আমরা দেখি না, আমরা ভাবি না আমাদের বড় হওয়ার পিছনেও যে দুটো মানুষ গ্রীষ্মের এক একটি রৌদ্রে পোড়া দিনকে দিন ভাবেননি, মাঘ মাসের শীতকে শীত বলে পরিশ্রম থেকে দূরে রাখেননি। নির্দয় আমরা ভুলে যাই তাঁদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, আমাদের গভীর ভালোবাসা। ভুলে যাই মায়ের নিদ্রাবিহীন দু'চোখ আর আমার অসুখের রাত এবং তখন বাবার কঠিন পরিস্থিতি এবং ভুলে যাই কতো কষ্ট করে যত্নে রাখার এক একটা মায়াজাল!

৩)
একসময় আমরা অনুতপ্ত হই না। অভিশপ্ত হয়ে পড়ি মা বাবার হৃদয়ে। অতঃপর বুকভরা দুঃখ আর চোখ ভরা জল নিয়ে মা বাবা নেমে পড়েন আবারো সেই কঠিন পরিশ্রমে, বেদনার আরেকটি শহরে। শরীরে শক্তি থাকতে আর কোনদিন ফিরবো না এই দরজায়, আর কোনদিন দেখতে আসবো না এমন কঠিন জবাবেও আমাদের মন কুণ্ঠিত হয় না!
আমরা হাসি, মজা করি, সন্তানের সাথে খেলা করি। মিষ্টি বাতায়নে ঘুড়ি উড়াই। তবুও ভাবি না, একটু আফসোস জাগাই না। একবার বলি না, জিজ্ঞেস করি না- কেমন আছো মা, কেমন আছো বাবা? অথচ আমার মুখে একটু ডাক শোনার জন্য মা ব্যাকুল হয়ে থাকেন, বাবা অনুশোচনা জাগান। কি খায় তারা, কেমন করে চলেন মোটেও ভাবি না। শুধু সন্তান, বউ আর চাকরিতেই ব্যস্ত থাকি। ছুটির দিনে স্ত্রী আর সন্তানকে সময় দিই। হাই বলেও তাদেরকে কোনদিন ইশারা দিই না! অথচ তারাই সে মা বাবা যারা কখনো আমাকে একা ঘরে শুয়ে রেখে ঘরের উঠোন ছাড়া বেশি দূরে যাননি। উঠোনে কাজ করলেও আমাদেরকে সেখানে নিয়ে যেতেন। বিনিময়ে আমরা কি দিয়ে চলছি। কতোটা আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করলে এমন পাল্টা আঘাত তাঁদেরকে দেয়া যায়! কই তারা তো কখনো আমাদেরকে কিঞ্চিৎ পরিমাণও আঘাত দেননি! অথচ আমি শুধু "উহ" করেছি, তারা সেখানে দৌড় দিয়ে কতো ইনুনি বিনুনি করেছেন। অথচ মহান আল্লাহ বলেন, আমি তো মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে ভালো আচরণের নির্দেশ দিয়েছি। জননী সন্তানকে কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে গর্ভে ধারণ করে এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দুবছরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার মা-বাবর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। প্রত্যাবর্তন তো আমারই নিকট (সুরা লুকমান: ১৪)। অথচ আমরা কি করছি?

৪)
ক্রমেক্রমে বয়স বাড়ার সাথে সাথে শক্তিরা ন্যুয়ে পড়ে। কর্ম করতে পারে না। পরিস্থিতি তখন এলোমেলো করে দেয় সবকিছু। শুরু হতে থাকে জীবনের আরেকটি অধ্যায়, আরেকটি পরিণাম । ব্যথাগুলো বেড়ে চলতে থাকে প্রতিনিয়ত। ফলে অভিমানগুলো আরো বেশি চোখের জল জড়ায়, আরো বেশি বেদনার শহর উপহার দেয়!
-) এরপর লোক সম্মুখে তাদের কষ্টের কথাগুলো ভেসে চলে। কানাকানি হয়। অথচ সবার আগে জানা দরকার, শোনা দরকার আমাদের। আমরা শোনেও না শোনার মতো করে থাকি। জেনেও না জানার ভাঁন করি। একপর্যায়ে লোকসম্মুখে মুখ না দেখাতে পারার ভয়ে বৃদ্ধ বাবা মাকে নিয়ে আসি। নিয়ে আসি তাঁদেরকে দেখার জন্য, তাদেরকে সুখে রাখার জন্য। আমাদের ভিতরে কারো বাবা মা সন্তান থাকা সত্যেও এতোটুকুতেই ভিক্ষার থলি হাতে নেন। তবুও সন্তানের কাছে যান না। আর আমাদের ভিতরে আমরা যারা নিয়ে আসি, তাঁদের প্রতি হয় আরো ঝুলুম, আরো অত্যাচার। সমাজে তাঁদেরকে আমরা বোজা ভাবি। ঠিকমতো তাঁদের খাওয়া-দাওয়া সহ তাঁদের অসুখ বিসুখের খবর নিই না। স্ত্রী সারাক্ষণ তাঁদের নিয়ে বেজে থাকে। আমাদের ছেলে মেয়েদেরকে তাঁদের কাছে যেতে দিই না। তাঁদের খোঁজ খবর নেওয়ার কথা বলি না। বলি না তাঁদেরকে নিয়মিত দেখার। অথচ আমরা আরো তাঁদের মরণ চাই। বুড়াবুড়ি বলি। স্ত্রীর লাগানো প্যাঁচাল নিয়ে অবশেষে আমরা তাঁদের ঠিকানা দিই বৃদ্ধাশ্রম। কিছু না ভেবে, কোনকিছু চিন্তা না করে গল্পের শিরোনাম দিই বৃদ্ধাশ্রম। নির্ভয়ে আমরা তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে এসে সন্তান-সন্তুতি নিয়ে আনন্দ করি, মজা করি, বেড়াতে যাই৷

৫)
চমৎকার একটা ব্যাপার কি জানেন, তবুও মা বাবা দুঃখ প্রকাশ করেন না! তাঁরা নিশ্চিত বোঝেন- এই কোলাহলময় শহরে বেদনা আছে, কান্না আছে, আছে সন্তপ্ত হৃদয়ের বুকফাটা চিৎকার! তবুও কি জানেন- নিজেকে বোঝাতে পারেন না। গ্রিলের পাশে দাঁড়িয়ে চোখের জলে ভিজিয়ে দেন একটা শহর। আমার কথা ভেবে ভেবে হৃদয়টাকে পুড়িয়ে তুলেন, শহরটাকে বৃষ্টিস্নাত একটা শহরে পরিণত করেন প্রতিদিন৷ এখানে জলের যেমন অভাব নেই, তেমনি অভাব নেই আগুনেরও। আগুনে পোড়ে পোড়ে এখানে জল আসে, আর সে জলে নিশ্চিত গোসল করে নেই বাবা মা। আরেকটা ব্যাপার কি জানেন, তাঁরা তবুও আমাকে আল্লাহর কাছে অপরাধী করেন না, নিষ্ঠুর বলে গাইল দেন না। তবুও আমার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। আমি যেন আরো সুখী হই, আরো বড় হই। অথচ আমরা সেখানেও একটু দেখতে যাই না। আমরা ভাবি যে, তাঁদেরকে সরিয়ে দিলে আমরা আরো বেশি সুখে থাকতে পারবো। আরো ভালো করে চলতে পারবো, খাইতে পারবো, ঘুমাতে পারবো। আসলেই সুখে থাকা কি অত সহজ! সত্যি কি আমরা ভুলে গেছি, সামান্য কাউকে কষ্ট দিলে কেউ সুখে থাকতে পারে না। সামান্য ব্যক্তির বেলায় যদি এটা হয়, তাহলে মা বাবার বেলায় কেমন হতে পারে আমরা কি একটু চিন্তা করেছি? যাদের কষ্ট দিলে দুনিয়া ও আখিরাত কোথাও সুখের ঠিকানা নাই। যেখান রাসূল বলেছেন- "মা বাবাই তোমার জান্নাত এবং মা বাবাই তোমার জাহান্নাম"। আর মহান উপরেওয়ালা তো নিশ্চিত দেখে আছেন, আমি কি করছি। আ রে মা বাবা তো কোন অভিশাপ দেন না, কিন্তু আমাদের কারণে তাঁদের প্রতি ফোঁটা জলে আমার নামে অভিশাপ লেখা হয়। আমি অভিশপ্ত হই ক্রমেক্রমে।
অবশেষে ঠিকি একদিন আমাদের ঠিকানা হয়- মা বাবাকে পাঠানো সেই স্থান " বৃদ্ধাশ্রম"!


(বি.দ্র. একটা কথা কি জানেন, মা বাবা সমাজের, সংসারের কোন বোজা নন। মা বাবা হচ্ছেন- বিশাল বিশাল এক একটা সম্পদ। যার মা বাবা আছে তিনি কখনো গরীব হতে পারেন না। মা বাবা হচ্ছেন এমন দুজন মানুষ, যারা আপনার জন্য দোয়া করলে কিংবা অভিশাপ দিলে সরাসরি আল্লাহ্‌র কাছে পৌঁছে যায় এবং সাথে সাথে কবুল হয়ে যায়। সুতরাং আমি পুরুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করেছি, আমাকে সবদিকে দেখতে হবে। মা বাবা, ছেলে মেয়ে, বউ এবং সংসারে বাকীদেরকেও। অন্যের কথা ধরে মা বাবাকে দূরে সরিয়ে দেওয়া যাবে না। যে বাবা মা আমাদেরকে রেখে কোথাও জেতেন না, আমরা কেন তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে সংসারে তাঁদেরকে ছাড়া থাকবো। আমাদের স্ত্রীরা ভুলে যাই, তারাও একদিন অন্যের শাশুড়ি হবে। তারা ভবিষ্যতের কথা কখনো ভাবে না, বরং বর্তমানকে নিয়ে তারা বেশি ভাবেন। সেই ভাবনায় কখনো প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। যদি মায়ার বাঁধনে গভীর ভালোবাসা দিয়ে তাদেরকে আটকিয়ে রাখতে না পারি, তাহলে মা বাবা নয় বরং আমরাই সমাজের বোজা। অতএব স্ত্রীকে বুঝতে হবে- বৃদ্ধা পিতামাতাকে অবহেলা করে নিজের স্বামী নিয়ে আলাদা হয়ে জীবনযাপন করার নাম সুখ নয়! এবং আমরা পুরুষদেরকে বুঝতে হবে- মা যদি বেশ্যাও হয় অতীতে ছেলের সাথে বে-ইনসাফও যদি করে থাকে মায়ের বার্ধক্যের সময় তাকে খুটা দিয়ে তার মনে কষ্ট দিলে নিজের ছেলেমেয়ে তোমাকে কষ্ট দিবে। শরীয়ত বিরোধী কথা ছাড়া বাবা মা যা-ই বলে না কেন হাসি-মুখে মাথা নিচু করে বাবামায়ের কথা মেনে নেওয়া নেককার সন্তানের চরিত্র!)
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মোখলেছুর রহমান আপ্লুত হলাম গল্পে।
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত ভাই , সুন্দর একটা বাস্তব ঘটনা তুলে ধরবার জন্য অনেক ধন্যবাদ । আর একটা লাইনের কথা উল্লেখ করতে চাই , যেটা আমার খুব ভালো লেগেছে । " ..... মা বাবা হচ্ছেন - বিশাল বিশাল এক একটা সম্পদ । যার মা বাবা আছে তিনি কখনো গরীব হতে পারেন না ..... " । ভালো থাকবেন । অনেক শুভকামনা রইল ।
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
ফয়জুল মহী অনন্যসাধারণ লিখনী । শুভেচ্ছা সতত ।
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০
Neerob কষ্টদায়ক৷ ভালো লাগল। ভোট এবং শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

আমরা ছোট থেকে বড় হই। আমাদের জন্য কত পরিশ্রম করেন বাবা। মা তো অবয়ব জন্মের দশমাস আগে থেকেই। অথচ যখন আমরা মানুষ হই তখন মা বাবার কষ্টের কথা ভুলে যাই। মা বাবাকে আমরা সমাজ ও সংসারের বোজা ভাবতে শুরু করে দিই। বৃদ্ধ বয়সে যখন উনারা হাটতে পারেন না, খাইতে পারেন না তখন আমরা তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিই। মা বাবা সেখানে দুচোখের জলে নিজেকে সমুদ্র বানান। যদিও মা বাবা অভিশাপ দেন না, কিন্তু আমরা ঠিকি অভিশপ্ত হই। সুতরাং বৃদ্ধাশ্রম নয়, ভালবাসায় মায়ার বাঁধনে আঁকড়িয়ে ধরাই আমাদের শ্রেষ্ঠ ঠিকানা হতে হবে। অতএব এই দিকগুলো বিবেচনা করলে আমার " নীরব আর্তনাদ" গল্পটি "ভালোবাসা" বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যতা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।।

২২ ডিসেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৬৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪