তখনো এক উদ্ভান্ত রাত। নির্দ্বিধায় হেটে চলেছে বহুদূর! চারদিকে নৈঃশব্দ্যের হাওয়া ভেসে চলছে। এই সময় আমি স্বচক্ষে দেখি এই শহরের বুকে জন্ম নেওয়া এক সমুদ্র জলের, পাশের ঘরের রাইসার বাবার আঁতুড় ঘরের চিৎকার, এক একটি ধর্ষিত শিশুর হাহাকার। কারা যেন প্রতিদিন এখানে নীল রঙ নিয়ে আসে। সাদা-কালো মেঘ চুমুক দিয়ে যায় প্রতিনিয়ত; তাদের আকর্ষণ, তাদের খেয়ালি ভাব ছুঁয়ে যায় প্রান্তরেখা!
এক.
তখন পানকৌড়ির এক সন্ধ্যাবেলা। ডাক পিয়ন সাইকেলে করে একটি চিঠি নিয়ে আসলেন। খামের মুখ খুলে সাদা কাগজটি মেলতে কয়েকটা বাক্য ছিল এই রকম-
বাবা আমি রাহুল। বৃষ্টিস্নাত এক শহরে ডুবতে হয়েছে আমাকে। বহু প্রত্যাশিত রাত জেগে স্বপ্ন সাজিয়েছি দু'চেখের কোণে। যদিও বৃষ্টিস্নাত শহরে ভিজতাম প্রতিনিয়ত, যদিও নীরবতা ঘিরে রাখতো আমার আকাশ, আমার পূর্ণিমার আসর; তবুও বোনের দিকে তাকিয়ে, আপনার মুখে রাহুল বলে ডাক শোনার অপেক্ষায় আমার অনুভূতির সাথে আপনাদের জন্য কিছুটা সুখ এঁকে নিতাম। আমি যে আজ আর পারছি না। প্রতিদিন আমার স্বপ্নগুলোকে আমি ধূলিসাৎ করে ফেলছি। ভাঙা কাঁচের উপর দিয়ে হেটে যেতে আমার আজ দ্বিধা করছে না। বাবা তোমার কাছে আমি খুব ভালো ছাত্র বলে বিবেচিত ছিলাম, তবে আমার সেই যোগ্যতা দিয়ে এ সমাজ তোমাদের জন্য কিছু করতে পারলো না। আর কত বাবা- ছোটবেলা মা হারিয়ে যতটা কষ্ট সহ্য করেছি, আজ বড় হয়েও সেই কষ্ট সহ্য করে নিতে পারি, তবে পারি না এই সমাজের করুণ কাহিনী। ভেবেছিলাম তোমার জন্য একটু হলেও কিছু করবো, ভেবেছিলাম তুমি যে মুক্তিযোদ্ধা ছিল তার প্রমাণ ফিরে আনবো, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার খাতায় আজ আর তুমি নেই। তোমাকে আজ আর সেই পুরনো ডাইরিতে রাখা হয়নি। তুমি তো শিখিয়েছিলে হেরে যাওয়ার মাঝে খুব আনন্দ থাকে, কিন্তু সে বারবার হেরে যাওয়ার মাঝে যদি সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের গাফলতি থাকে তখন তোমার কাছেও জানি তা বিষাদ ছাড়া আর কিছু মনে হবে না! তাই নিষ্ঠুর এই পৃথিবীতে থাকার চেয়ে আমার কাছে না ফেরার দেশের সুধা পান করা-ই ভালো বলে মনে হল। ভালো থেকো তোমরা।
-) চিঠির বুক ভরা অভিমানের প্রতিটি বাক্যে বাবা যেন সমুদ্রে ডুব দিয়েছিলেন, যেন দাবানলের
উদগীরনে বাবার হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হয়ে গেল।।
দুই.
ধীরেধীরে জোছনার আলো ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। চোখের দূরবীনে বুঝা যায় ল্যাম্পপোস্টগুলো সবুজ, হলুদ আর লাল বাতি জ্বলে সাহায্য করেছে প্রতীকের। ঠিক তখনি পাশের বাসার জীবনের অধ্যায় থেকে হেরে যাওয়া রাহুলের বোন রাইসার চিৎকার কানে ভেসে আসতে শুরু করলো। বুঝতে না বুঝতেই দৌড় দিলাম। গিয়ে দেখি এক রক্তে ভিজা প্রান্তর। মাটির সাথে আজ রক্তের যেন গভীর সম্পর্ক। ভালোবাসার টানে মাখামাখি করেছে মাটি। যতক্ষণ না মাটি রক্তের হৃদয় ছুঁয়ে তাঁর বুকের ভিতর জমাতে পারবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত রক্তকে ভালোবাসা থেকে ফারাক করবে না!
-)এই তো ষষ্ঠ শ্রেণিতে চমৎকার এক ফলাফল করে কিছুদিন আগে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হল রাইসা। চোখে ছিল এক আকাশ স্বপ্ন, হাতে এঁকেছিল হিমালয় পাড়ি দেওয়ার মত দিগন্ত আর প্রতিনিয়ত বুকে চাষ করেছিল ভরসার হলুদ রঙ। হয় তো যৌবন কি, ভালোবাসা কি আজো বুঝার বয়স হয়নি মেয়েটির। হলেও দূর দিগন্তে স্বপ্ন দেখেছিল, এক ফুল সজ্জা রাত। যার চারপাশে জোনাকি পোকারা আনন্দের পয়গম্বর হবে, চাঁদ ভালোবাসার টানে আলো ছিটিয়ে দিবে, আর নক্ষত্রেরা ঢোল-বাজনা, হারমোনিয়াম, গিটার বাজিয়ে তৈরি করবে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
কতটা অপরাধ করলে এই শিশু মেয়েটির ফুলসজ্জা হয় ধর্ষকের হাতে, কতটা নিষ্ঠুর হলে ধর্ষিতার জীবন হয় রক্তাক্ত এক প্রান্তর? কিন্তু কি চেয়েছে সে, আর কি পেয়েছে?
তিন.
প্রতিনিয়ত এক একটা অভিনয় দেখি, এক একটা অভিনয় আবার যেন এক একটা ইতিহাস। সে ইতিহাস গড়বে কে? কে সেই ইতিহাসের পাতায় থেকে কয়েকটা শব্দ দেখে একটা বাক্যকে মুখে নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলবে? যদি বলে, তবে তাঁর পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তাহলে দেখা যাক.....
-)আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার......
মুয়াজ্জিনের মধুর কণ্ঠে মাগরিবের আজানের শব্দ কানে ভেসে আসতে শুরু করলো। মুসল্লিরা নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছেন।
এই তো নামাজ শেষে বিচারে বসবেন গ্রামের মাতাব্বর রহিম শিকদার। লম্বা টুপি মাথায়, পায়ের ঘিরেই পর্যন্ত পাঞ্জাবী পড়ে, বড় বড় দাঁড়ি, মাথায় চুল নেই! তাঁর কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর ক্ষমতা এ এলকার সাধারণ দু'একজনের সম্ভব নয়! তবুও রাসেল খুব সাহসিকতা নিয়ে সেই কাঠগড়ায় উপস্থিতির অপেক্ষা করেছে। সত্যি বলার ইচ্ছেটা বেশ রাখে সে।
-) নামাজ পড়ে সবাই উপস্থিত হল। বিচার শুরু হয়ে গেল। এক পর্যায়ে সত্যতা প্রমাণ করতে রাসেল তাঁর জবানবন্দি দিতে শুরু করলো। কিন্তু রহিম শিকদার কোনভাবে তা মেনে নিতে পারছেন না। কোনভাবে জবানবন্দি তাঁর গ্রহণযোগ্যতা হচ্ছে না। শুধু ঘুরাঘুরি। অতঃপর চতুর্থদিন একই সময়ে আবারো বিচারের রেখাঙ্কন করলো।
-) তাহলে পক্ষপাতহীন একদল সমাজ-ই রেখাপাত করতে পারেন, এখানে রহিম শিকদার কতটা নিচু হলে একটা সত্য জবানবন্দীকে না মেনে বিচারের রায় আগামীর জন্য রেখে দিতে পারেন! তবে বিচারক চাইলে সময় পরিবর্তন করতে পারেন ঠিক-ই, কিন্তু সব দলিল যেখানে সত্য, সব প্রমাণ যেখানে স্পষ্ট দলিল সেখানে এমন বিচারের রায় পরিবর্তন করা কতটা সাপেক্ষীকরণ আমার জানা নেই।
চার.
একটা রাত প্রসববেদনায় কাঁদে, সমুদ্রের কলতান বুকের গভীরে এসে দামামা বাজাই।
আরেকটা রাত পূর্ণিমার আসর সাজায় বুকের উৎকৃষ্ট জলে, দু'চোখে উচ্ছ্বাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে আঁতুড় ঘরে!
ইশ! যদি না আজ ছেলে থাকতো, যদি না আজ মেয়েটি থাকতো, একমুঠো ভাত হলেও বাবার মুখে এনে গড়িয়ে পড়া বিষাদের জলকে একটু শীতল করতে পারতো.......!!
কিন্তু কে করবে? কে দেখবে? কে বুকের আকুতি, হঠাৎ নেড়ে উঠা বিড়ম্বনাকে শীতল পাটিতে জিইয়ে রাখবে!!??
মানুষ যে আজ বড় নিষ্ঠুর, তারা যে চোখের সামনে মরণ দেখতে দেখতে হৃদয়কে পাথর বানিয়ে ফেলছে!
-) কোকিলের মিষ্টি কণ্ঠ আর বাসন্তী ফুলের ঘ্রাণ এলিয়ে তখন নৈঃশব্দ্যের রাত। বাঁশের ঝোপঝাড় আর কড়ই গাছের ফাঁক করে চাঁদের আলো এসে পড়েছে রসুই ঘরে। সেখানে অদ্ভুত রকমের চিৎকারের আওয়াজ ভেসে আসতে শুরুর করলো । হঠাৎ ঘুম ভেঙে গিয়ে দেখি রাইসার বাবা কেন জানি চিৎকার করেছেন। পরক্ষণে দেখি সাড়ে তিনহাত দেহটাকে মাটিতে শুয়ে দিয়ে এক আকাশ অভিমান আর এক সাগর জলকে মুক্ত করে নিষ্ঠুর পৃথিবী থেকে ত্যাগ করেছেন। সেদিন শুধু আমি কাঁদিনি, হয় তো আকাশও কেঁদেছে! যে মানুষটির জন্য মেয়ে মরে যাওয়ার পর থেকে কেউ একমুঠো ভাত এনে আঁতুড় ঘরে দেননি, এক গ্লাস পানি যার ভাগ্যে জুটেনি সেই মানুষটির জন্য মানবতার চোখ না ভিজলেও সেই সৃষ্টিকর্তার আকাশ ঠিকই কেঁদেছে। তুষের আগুনে পুলকে পুলকে জ্বলার চেয়ে, একবার চিরবিদায় নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া-ই অনেক ভালো।
অতঃপর জানাজা শেষ করে কয়েক টুকরো মাটি দেওয়া শেষে কিছুটা ঝিনুকজল নিয়ে বিদায় নিলাম।
পাঁচ.
পরেরদিন রাত। দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া রাসেল ঘুমাচ্ছিল। হয় তো বনের পশুপাখিও তখন ঘুম। কিন্তু মাঝেমাঝে কবুতরের ডাক শুনা যায়। একটু দূরে ডাল পালা মেলে তাকিয়ে থাকে বিশাল একটি তুলো গাছ। নানা নানুর কাছ থেকে শোনা- তাঁর পাশের বাড়িটাই এক সময় ভূতের বাড়ি ছিল। আর সেখানেই রাসেলদের কুঁটির ঘর। রাত তখন খুব গভীর। সেই সময়তে তিনজন ব্যক্তি রাসেলকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসলো।
-) রাসেল..... এই রাসেল, শুনতে পেরেছিস?
এমন করে কতক্ষণ ডাকাডাকির পর রাসেলের ঘুম ভাঙল। জোর করে তাকে পাশের বাড়িতে ডাব খাওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে গেল। যদিও রাসেল রাজি ছিলো না, কিন্তু এলাকার মাথা উঁচু লোকগুলো যখন ভয় দেখায় তখন রাজি হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। সে যে গেছে ছেলেটি তাঁর আর খোঁজ পাওয়া গেল না। আজো মায়ের কান্না ভেজা চোখ আর একবুক আকুতি বাতাসে উড়ে বেড়ায়!
পড়া-লেখায় ছেলেটা খুব ব্রিলিয়ান্ট ছিল। কথা-বাত্রায় আমরা তাকে খুব ভদ্রতা দেখতাম। প্রায় সময় নামাজ পড়তেও দেখতাম। ছোটবেলা ছেলেটির বাবা মরে যায়।ভাই বোন দু'জন। বাঁধভাঙা সমুদ্রের জল এসে জাপটে পড়েছে যেন রাসেলের মায়ের উপর। আমরা প্রায় সময় তাকে নামাজের বিছানায় দু'হাত তোলে কাঁদতে দেখতাম। এই অল্প বয়সী নারী এক ছেলে আর এক মেয়ের দিকে তাকিয়ে পার করতে লাগলেন জীবনের বাকী বয়সটা। আমরা তাকে কঠিন পরিশ্রমের সাথে যুদ্ধ করতেও দেখেছিলাম। হয় তো নিজে কঠিন পরিশ্রম করে ছেলে-মেয়েকে মানুষ করার সুন্দর এক স্বপ্ন ছিল তাঁর। কিন্তু হটাৎ সে স্বপ্নটা ভেঙে সমুদ্রের সাথে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে। যার কষ্ট বেশি তাকে যেন সৃষ্টিকর্তা কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেন, হয় তো এটাও সৃষ্টিকর্তার ভালোবাসা এবং পরীক্ষা।
ছয়.
ঠিক সময় বিচার শুরু হয়ে গেল। সবাই উপস্থিত। বিচারক, অপরাধী, পক্ষপাতহীন সবাই আছে, আজ শুধু বাঁধির পক্ষে কেউ নেই। আজ আর নেই কোন সাক্ষী। কে করবে কার বিচার। বিচার হবে-ই বা কার? বিচার কেন-ই বা হবে না এমন কথা বলার সাহস আছে-ই বা কার? সাক্ষী আজ কোথায়, কোথায় এই বিচারের উচ্ছলতা। অতঃপর কিছু চোখ টিপাটিপি শেষ, বিচারও শেষ। নির্মম ঘটনার কালসাক্ষী হয়ে দাঁড়ায় বাতাস, মেঘ আর বৃষ্টি। চোখে দেখে, বুকে আত্মগোপন করে, আর মুখ সাহস রাখে না বলার। কোন সমাজ যখন একটা অন্যায়কে মাথা পেতে নিলো তখন পুরো একটি সমাজ যেন দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে পড়লো। আর এ দৃষ্টিভঙ্গি এমন এক বিষক্রিয়া ঘটায়, যা পুরো একটি দেশকে আক্রমণ করে। ফলে সে দেশ ধ্বংসের মুখোমুখি হয়ে পড়া কোন ব্যাপার-ই হয় না। কিন্তু যেখানে মাথা উচুওয়ালা দরবেশ থাকে, যেখানে সমাজ পরিচালনা করার জন্য একজন নায়ক থাকেন, যেখানে সকল বিচারকার্য চালানোর জন্য একজন পরিচালক থাকেন সেখানে তাঁর উপরে কথা বলার সাহস সবার থাকে না। সেখানে মাথা পেতে নেওয়া ছাড়া আর কোন সমীকরণ জেগে উঠে না।।
সুতরাং সহজে বুঝা যায় আমাদের সমাজের, আমাদের দেশের কোন পরিপন্থীর কারণে ষোল থেকে আটার বছর পড়ালেখা করে ভালো ফলাফল এনেও একজন ব্রিলিয়ান্ট ছেলে নিজের যোগ্যতার কাছে বারবার হার মানে, বারবার হার মানে এক একটা কুসংস্কারের কাছে। দিনের আলোতে মুখোশ খুলে হাটলে সবাই আমাদেরকে ভালো বলে চিনে, কিন্তু আমরা যদি ভালো হই তাহলে রাইসাকে রাতের আঁধারে ধর্ষণ করে খুন করেছে কারা? কারাই বা এতদিন তার পিছু ছিল? কেনোই বা একজন শিশু মেয়ের প্রতি তাদের এমন নিষ্ঠুর আচরণ? আমরা তো লাম্বা পাঞ্জাবী পড়া মানুষকে ভেবে নিই শ্রেষ্ঠ বিচারক। কিন্তু পাঞ্জাবী ওয়ালা হলেই কি সে ভালো? বাহিরে ঠিক থাকলে-ই যে ভিতরে ঠিক এমন কিছু কি আমরা প্রতিনিয়ত খুঁতিয়ে দেখেছি?
একজন শ্রেষ্ঠ সমাজ পরিচালক কিংবা নায়েক যদি সত্যিই সমাজ পরিচালন করেন, তাহলে বিচারের রায় পিছিয়ে দিয়ে সাক্ষী রাসেলকে গুম করে মেরে ফেলার অধিকার দিয়েছে কারা? কাদের কারণে আঁতুড় ঘরে থাকা বৃদ্ধ বাবা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন?
ত্রিশ লক্ষ রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হওয়া স্বাধীনতায় কি পাওয়ার কথা ছিল, কি অধিকারের কথা ছিল আমাদের...... অথচ আজ আমরা কি পেয়েছি, আর কি হারাতে চলছি??
প্রতিদিন সবার মুখে আকাশ পরিমাণ প্রশ্ন খেলে। তারা জলের ভিতরে সকল উত্তরও খুঁজে পায়। পাতাল থেকেও উঠে আসে তাদের এক একটি জবাব...... শুধু প্রতিবাদ করার মুখ আজ বন্ধ!!
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
প্রত্যকে স্বাধীনতা অর্জিত দেশের নাগরিকের-ই একটা আশা থাকে ন্যায়-নীতি, অন্যায়ের প্রতিবাদ, স্বৈরাচারী থেকে মুক্তি, সুষ্ঠু সমাজ, সুষ্ঠু বিচার, সুন্দর নিয়ম কানুন এবং মানুষের প্রতি নির্যাতন মুক্ত। কিন্তু ত্রিশ লক্ষ মা বোনের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হওয়া এই বাংলাদেশ আজ পেরিয়ে এসেছে আটচল্লিশের কৌটায়, অথচ আমরা কি আজো সে স্বাধীনতার কোন রূপ দেখতে পেলাম? নারী নির্যাতন, শিশু ধর্ষণ, মারামারি, খুনখুনি, ঘুষ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। যার ফলে এই গল্পের ব্রিলিয়ানট ছাত্র রাহুল ১৬ থেকে ১৮ বছর পড়ালেখা করেও ঘুষের জন্য চাকরি নিতে পারেননি। সমাজের আইন ঠিক নেই বলে রাহুলের সপ্তম শ্রেনিতে পড়ুয়া বোন রাইসা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হয় তো খাবার ও ছেলে মেয়ের শোকে বাবা ইহত্যাগ করেছেন। বিচার যখন হার মানে তখন রাইসার বিচারের সত্য সাক্ষী হওয়া রাসেলকে গুম করে হত্যা। আর এই থেকেই বুঝা যায় আমরা কি আধো স্বাধীনতা পেয়েছি? কি পাওয়ার কথা ছিল আমাদের মানবতার কাছে, সমাজের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে। অথচ আমরা কি পেয়েছি? কেবলি স্বাধীনতা এসেছে, মুক্তি আসেনি, ভালোবাসা আসেনি। ভালোবাসা আসলেই মুক্তি আসা একেবারেই সম্ভব। আমি আমার লেখা " পরাধীনতার শিকলে বাধা স্বাধীনতা" গল্পটিতে এইসব বোঝাতে চেয়েছি। যা "স্বাধীনতা" বিষয়ের সাথে সম্পূর্ণ মিল আছে বলে আমি আশা করি।
২২ ডিসেম্বর - ২০১৬
গল্প/কবিতা:
৬৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪