এক পলকের একটু দেখা

আঁধার (অক্টোবর ২০১৭)

স্বপন কুমার ঘোষ
  • ১৩
দুপুরের খাওয়া শেষ করে যখন সূর্যের রুমমেট শরীরটাকে বিছানায় এলিয়ে দিল তখন সূর্য টিউশনির জন্য বাইসাইকেল নিয়ে বের হলো। মানুষের সুখ দেখে তার বড্ড কষ্ট হয় কিন্তু বাড়ির কথা চিন্তা করলে কষ্ট আর কষ্ট থাকে না। দুপুরের এমন খা-খা রোদে লেভেল ক্রসিংয়ের গেট বন্ধ করে দিল। অপেক্ষা করছে ট্রেনের রাস্তা অতিক্রম করার জন্য। এদিক ওদিকে তাকাচ্ছে। পিছনের দিকে দূরে লক্ষ্য করল রাস্তায় পানি ছল ছল করছে। সামনে তাকিয়ে চোখ আটকে গেল। তার চিনতে কোন ভুল হবার কথা নয়। নিশ্চিত হলো লেভেল ক্রসিংয়ে সামনে বাইকের পিছনে বসা মেয়েটি অধরা ছাড়া কেউ নয়।
.
অধরা সূর্যের প্রাক্তনের নাম। নামটা সূর্যই দিয়েছে। বর্তমানে প্রেমিক প্রেমিকারা একে অপরের নতুন নামকরণে শুধু সীমাবদ্ধ নেই। তাদের বাচ্চার নাম নির্বাচন নিয়েও আগ্রহের কোন ঘাটতি দেখা যাবে না।অবশ্য তার ব্যর্থতার কারণেই সে এখন তার প্রাক্তন। রেজিস্ট্রি অফিসে যেয়ে যখন সূর্য সাত পাঁচ ভাবনা ভাবছিলো তখন অধরা স্রেফ "কাপুরুষ কোথাকার" বলে তাদের দুজনের দু-কপি ছবি আর জন্মনিবন্ধন কার্ডের কপিগুলো টুকরাটুক করে ছিড়ে দিয়ে হনহন করে চলে গেছিল অধরা। পিছন ফিরে ডাকার সাহস হয় নি। গ্রাজুয়েশন অসম্পূর্ণ একটা ছেলে হয়ে বিয়ে করে জীবনটা বরবাদ করতে চায়নি। কোথায় যেন পড়েছিলো শুধু পাওয়ার মধ্যে ভালোবাসা নয়, না পাওয়ার মধ্যেও ভালোবাসাকে খুঁজে নেওয়া যায়। এই একটি বাক্যই তাকে পাওয়ার স্বপ্নটা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। সেই দিনের পর থেকে সে সূর্যের সাথে কোন যোগাযোগ করে নি। করবেইবা কেমন করে। পরের সপ্তাহেই তার পরিবারের দেখা ছেলের সাথে অধরার বিয়ে হয়ে যায়।
.
হঠাৎ এক পলক দেখতেই বুকটা কেপে উঠল। এমন সময় ট্রেন রাস্তা অতিক্রম করতে লাগল। তাকে আরেক পলক দেখার ব্যর্থ চেষ্টা করল সূর্য। কিন্তু ট্রেনের জন্য কিছুতেই দেখার সুযোগ হলো না। ট্রেন যাবার অপেক্ষা করছে। ট্রেনটাকে যেন আজ কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ মনে হচ্ছে। বুকটা ধুক ধুক করে কাঁপছে। সে জানে কথা বলার সুযোগ হবে না কিন্তু যদি একটা বার সে তার দিকে তাকায় তবে নিজেকে অনেক বড় সুখি মনে হতো। লেভেলক্রসিংয়ের গেট খুলে দিতেই প্রচন্ড ভীড় বেঁধে গেল। ভীড় অতিক্রম করেই সামনে যেয়ে তাকে পাগলের মতো খুঁজতে লাগল সূর্য কিন্তু কোথাও পেল না। ভীড়েই মধ্যেই তাকে কোথায় যেন হারিয়ে ফেলল। খুব ইচ্ছে ছিল আরেকটা নজর দেখে তাকে দেখার অতৃপ্ত আত্মাকে তৃপ্ত করবে। অন্ধকারাচ্ছন্ন মনটাকে কিছুটা আলোকিত করবো। কিন্তু কিছুই হলো না। অধরাকে ধরার স্বপ্ন দেখাই বৃথা। অধরা এখন সূর্যের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে একটু আগে পিছন দিকে এই পিচঢালা পথে ছল ছল করা পানিকে যেমন মরীচিকা বলে মেনে নিতে সূর্যের অবিশ্বাস হয় নি ঠিক তেমনি সামনের দিকে অধরাকে আলো নয় বরং আলেয়া ভেবেই টিউশনিতে যেতে লাগল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিঠুন রায় ভালো হয়েছে।
ম নি র মো হা ম্ম দ ভালো লাগলো, আমার পাতায় আমন্ত্রণ!
স্বপন কুমার ঘোষ সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নুরুন নাহার লিলিয়ান তথা কথিত পরিচিত গল্প ভাল লাগলো । লেখকের জন্য শুভ কামনা
পন্ডিত মাহী লেখার হাত ভালো তবে এখানে বিকশিত হয়নি
সেজান খন্দকার এটুকুতেই যথেষ্ট মজা পেয়েছি। তবে মশলার ঘাটতি ছিল। বারবার সেটাই খুঁজছিলাম। শুভকামনা রইল। আগামীতে আরোও ভাল করবেন।
সাদিয়া সুলতানা চলুক লেখালেখি
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী অধরাকে সূর্য ভালোবেসেছে, কিন্তু এমন না যে→ অধরার জন্য সূর্যের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে, কিংবা সূর্য আঁধারে ঢুকে পড়েছে.... চালিয়ে যান, সামনে ভালো কিছু আশা করেছি.....
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি ভালো গল্প একটু যত্ন নিলে ভালো করবেন....অন্যদের লেখা না পড়লে শিখবেন কোত্থেকে.....শুভ কামনা.........
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত ছোট গল্প হিসাবে ভাল লাগল। শুভকামনা । আমার গল্প পড়বার অনুরোধ ।

০৬ ডিসেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী