একটাই কথা আছে বাংলাতে মুখ আর বুক বলে এক সাথে, সে হল বন্ধু---বন্ধু আমার। বন্ধু, দুস্ত, জানি দুস্ত, এ কথা গুলোর সাথে মিশে আছে যেন আত্তার সমর্্পক, তা আমরা সবাই মানি এবং বিশ্বাস করি। আর এ রকম বিশ্বাস থেকেই বন্ধুত্ব চলছে, চলবে সারা জীবন। তাই আমি চললাম বন্ধুর খুজে। আমি খুব একা। আমার মত একা মানুষ পৃথিবীতে নেই বললেই চলে। আমি সেই অর্থে একা যেমন - ইংরেজ কবি কোলরিজ এর কবিতা দি এনসিয়েন্ট মেরিনার এ একটি লিখা ছিল এ রকম চারি দিকে পানি আর পানি কিন্তু পান করার মত এক ফুটা পানিও নেই। ঠিক আমার জীবনটা ও এ রকম আমার চারি পাশে মানুষ আর মানুষ কিন্তু মনের কথা বলার মত বা আমাকে বুঝার মত মানুষ এক জন ও নেই। নিঃসগতা আমাকে প্রতি নিয়ত গ্রাস করে।আমি খুজে ফিরি এমন একজন জানি দুস্তকে যার জন্য বলতে পারি-তোমাকে কাছে পাব বলে কত বিনিদ্র রজনী কেটেছে আমার, জোছনা প্লাবিত ঝরণা যেমন পাহাড় চিরে সাগরে মিশে, তেমন বন্ধু তুমি আসবে আমার কাছে। ভালোবাসা বা বন্ধুত্ব সম্পর্কে বলতে গেলে হিন্দি ফানা মুভির একটি গানের প্রথম দুটি লাইনের কথা বলতে হয়- মেরে হাত মে তেরা হাত হো সারি জান্নাতে মেরে সাত হো । এ লাইন দুটির মহত্ব অনেক ভাবে বুঝানো যায়। এমন শুদ্ধ একটা সম্পর্ক পাব কিনা জানি না , যে সম্পর্কে থাকবে না স্বার্থপরতা ,বিশ্বাস ঘাতকতা।এমন একটা বন্ধুত্বের জন্য প্রতীক্ষা করে সারা জীবন কাটিয়ে দেয়া যায়।যেখানে থাকবে না কোন বিভেদ, থাকবে শুধুই বন্ধত্ব। আমার বাবা এক বন্ধুর কথা যদি বলি দেখবেন বন্ধুত্বের স্বাদ যে কত হতে পারে। মোকারম চাচা আর বাবা ছিলেন প্রথমে পরিচিত। মানে বড় চাচীর আত্বীয় হওয়ার সুবাদে মাঝে মাঝে দেখা হত কথা হত আর সে দেখা থেকেই আস্তে আস্তে বন্ধুত্বে রূপ নেয়। দিন যতই যেতে থাকে তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা ততই বাড়তে থাকে।এক সময় তারা ঊভয় বুঝতে পারল নিজের অজান্তেই তারা জানি দুস্ত হয়ে গেল। তখন তো মোবাইল কি জিনিস তা ছিল না তাই মনে হলেই বাসায় চলে আসা ছাড়া ঊপায় ছিল না। তাই দুজনে মিলে ওয়াদা করল যদি আমি আগে মরে যাই তাহলে তুমি আমার পরিবারকে সাহায্য করবে আর তুমি আগে মরে গেলে আমি তোমার পরিবারকে সাহায্য করব। মানে জীবনে ও থাকব পাশা পাশি মরনে ও থাকব পাশা পাশি।এ রকম ওয়াদা করার কিছু দিন পরই বাবা রোড একসিডেন্ট হয়ে মারা যান। মোকারম চাচা ঐ সময় অফিসের কাজে বিদেশ সফরে চলে গেলেন। মোকারম চাচা নাকি এখন ও বিশ্বস করতে পারেন না যে তার জানি দুস্ত তাকে ফেলে মরে যেতে পারেন। তাই বাবা মৃতু্যর কথা শুনে কোন ভাবেই বিশ্বাস করতে পারেননি। মায়ের সাথে যখন দেখা করতে আসলেন কান্না ছাড়া কোন কথাই তার মুখ থেকে বের হচ্ছিল না। যেন তার ভিতরটা দুমরে মুচরে কেঊ নিয়ে গেল।সে ভাবতেই পারছে না তার বন্ধু আজ দূর আকাশের তারা।এরই নাম ভালোবাসা এরই নাম বন্ধুত্ব। এর পর থেকে বিভিন্ন ভাবে আমাদের সাহায্য করতে লাগলেন। কখনো টাকা পয়সা দিয়ে কখনো কাপড় চোপড় দিয়ে। আর মাকে বলতেন ভাবি কোন চিন্তা করবেন না ছেলেদের লেখা পড়া করান ।এর পর ও যেন মোকারম চাচার চিন্তা কমেনি তাই মাকে একটি শেলাইয়ের মেশিন আর একটি গাভী কিনে দিলেন । এই চাচার ঋণ হয়তো কোন দিন দিতে পারবনা কিন্তু যে বন্ধুত্বের শিক্ষা চাচা দিয়ে গেলেন তা সারা জীবন ও ভুলবনা। সেই ত্রিশ বছর আগের বন্ধুত্বে সংজ্ঞা কি আজো কারো সাথে মিলে যাবে? যাবে হয়তো । এখনো ভালো মানুষ দুনিয়াতে আছে, আছে জানি দুস্ত হওয়ার মতো মন। খুজলে অনেক কিছুই পাওয়া যায়, আমি ও সারা জীবন অপেক্ষায় থাকব। জীবনে যদি কোন জানি দুস্তের খোজ পেয়েই যাই বাবার মত মরে গিয়ে ও শান্তি পাব। এ লিখাটি লিখতে যে কয় ফোটা চোখের পানি ঝরেছে তা শুধুই আপনাদের ভালোবাসা পাবার জন্য। প্রিয় পাঠক আপনাদের কে ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিজানুর রহমান রানা
শব্দের ভুল-ভ্রান্তিগুলো চোখে পড়ার মতো। সেগুলো প্র“ফ করে লেখাটা জমা দেয়ার প্রয়োজন ছিলো। যাই হোক গল্পে বর্ণিত --ইংরেজ কবি কোলরিজ এর কবিতা দি এনসিয়েন্ট মেরিনার এ একটি লিখা ছিল এ রকম চারি দিকে পানি আর পানি কিন্তু পান করার মত এক ফুটা পানিও নেই।--কথাটি খুব সুন্দর করে বর্ণনা করলেন। ভালো লেগেছে গল্পটি। শাব্দিক ভুলগুলো দেখিয়ে দেয়ায় মনে কিছু নেবেন না। ক্ষমা করবেন। ভোট দিলাম।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।