শত শত প্রজ্বল্লিত বাত্বির মধ্যে কেনো লাগবে মোম?
নিয়ম আজ যম হয়ে হচ্ছে অনিয়ম।
নিয়মের নিকট আজ বড্ড অসহায় যৌবন,
কাঁদিতেছে অনেক যৌবন ভরা দীপ্ত মন।।
শীতের পিঠাপুলি যদি খেতে দেয় গ্রীস্মে,
বলুন তাহলে কি লাভ হবে সেই পিঠা খেয়ে?
বৃদ্ধকালে যদি মধু পাই আর যৌবন যদি হয় নিয়মের বার্ধ্যক্য,
তাহলে তো ফেরেস্তা ও বুঝি পাপ করিতে হবে বাধ্য!!
তেরো বছর বয়সে যৌবন প্রাপ্ত হলাম,
কিন্তু দীর্ঘ এক যুগ পর এসেও যৌবনের স্বাদ না পেলাম।
মাঝে মাঝে অসহায় যৌবনের দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে,
কিন্তু কি লাভ হবে এই অহেতুক চেটে?
ত্রিশে এসে যৌবন হয় বাধাগ্রস্থ,
কিন্তু সে সময়ই বিয়ে করে শুরু করতে হয় দাম্পত্য।
শীতকালে রস না খেয়ে গরমে খাই রস,
বলুন কি লাভ হবে এমন রসের করে চাষ?
পাত্র আছে, পাত্রী আছে কিন্তু সমাজের নিয়মের কারনে নেই তার ব্যাবহার,
তাইতো হচ্ছে অসহায় যৌবনের হার।
ধর্মের নিয়ন আজ না মেনে কর্মের নিয়ম মানেন গুরুজন।
তাইতো আজ লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতীদের অসহায় যৌবন।।
বিঃদ্র:- কবিতায় যতটা সম্ভব অশ্লীলতাকে বয়কট করেছি। তারপরও নিয়মের কারনে হয়তোবা কিছু কথার ভাবার্থ অশালীন হয়েছে। তবুও এটি বাস্তব এবং সময়োপযোগী।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
আগামী সংখ্যার বিষয় "উষ্ণতা"। আর আমার কবিতার শিরোনাম হলো " অসহায় যৌবন"। মুলত আমি কবিতার শিরোনামে অসহায় যৌবন শব্দদ্বয় ব্যবহার করলেও মুলত কবিতার ভিতরে ফুটে উঠেছে যৌবনের উষ্ণতা। কবিতায় যুবক-যুবতীদের যৌবনের তাৎপর্য তুলে ধরে আগাম সৎপথে যৌবনের স্বাদ আস্বাদন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যেমন এর দুটো চরণ হলো- গ্রীষ্মকালে রস না খেয়ে বার্ধ্যকে খাই রস, কি লাভ হবে এমন রসের করে চাষ। এরকম সব চরণেই যৌবনের উষ্ণতা ফুটে উঠেছে৷ সুতরাং আমার অত্র কবিতাটি আগামী সংখ্যার বিষয় উঞ্চতার সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ। অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৪ নভেম্বর - ২০১৬
গল্প/কবিতা:
২৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।