আমি মানিনা কোন প্রভাব,মানিনা কোন টাকার জোর। অন্যায় করলে এ্যকশন নেব যদিও ওরা কেড়ে নেয় প্রান মোর।। আমি কোন পদ-পদবি,বন্ধুত্ব,সম্পর্ক মানিনা। অন্যায় করলে তারা যে কে তা আমি জানিনা।। আমি মানিনা কোন কর্মকর্তা,মানিনা কোন গুরু। অন্যায় দেখলেই কেবল সেখানেই হবে মোর প্রতিবাদ শুরু।। কে মাতাপিতা,কে ভাইবোন তা আমি জানিনা। অন্যায় করলে এদের কেউকেই যে আমি মানিনা।। আমি জানিনা কে মোর সহধর্মিনী,কে মোর সন্তান। অন্যায় করলে কেড়ে নেব যে আমি ওদেরই প্রান।। যদি অন্যায় করে মোর মাতাপিতা ভুল কিছু কহে, তাহলে আমি যে তাদের সন্তান নহে! হোক বিশাল কোটিপতি,হোক মস্তবড় বাবা। অন্যায় করলে আমি এদের কেউকেই মানিনা দিব যে এক আইনেরই থাবা।। আমি যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়ে করি কোন অপরাধ, তাহলে আমি নিজেই আমার জীবনে ঢুকিয়ে দেব আইনেরই হাত। আমাকে অপরাধী হিসেবে যদি দিতে পারে কেউ প্রমান, তাহলে আমি আমার নিজের জীবন করিবো যে কোরবান। সত্য কথা বললে যদি কেউ বন্ধ করে দেয় মোর খাদ্য,খাবার,ভাত। তবুও আমি চিরকাল করে যাবো অন্যায়ের প্রতিবাদ।। অন্যায়কারী যদি হয় মোর জীবনের সবচেয়ে আপন। তাহলে আমি তাকে মানিনা,হবে যে তার দাফন।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজী জাহাঙ্গীর
কবিতায় মাত্রা-তাল যদি নাই বা থাকে তবে অন্তঃমিল থাকাটা কি জরুরী। কেননা অন্তমিলের পিছনে ছুটতে গিয়ে শব্দ চয়নে মার খেলে পঙথি’র ভাবটাযে দুর্বল হয়ে পড়ে সেটাও ত খেয়াল রাখতে হবে। যদি বিশ্লেষন করি তাহলে প্রথম লাইনে ভাবের যে দৃঢ়তা আছে ২য় লাইনে সেটা একেবারেই ধরাশায়ী হয়ে গেছে। ‘অন্যায় করলে এ্যকশন নেব যদিও ওরা কেড়ে নেয় প্রান মোর’ এখানে ২টা শব্দ কে ‘এ্যকশন/মোর’ বিবেচনায় আনতে হবে, প্রথমে ভাবতে হবে অযাচিত ইংরেজী শব্দ বাদ দেওয়া যায় কিনা, আর শব্দের প্রক্ষেপনটা আপনি নিজে পড়েও বিচার করতে পারবেন কতটুকু জোরালো হলো ঐ শব্দটায় যেটা আপনি বেছে নিলেন, নাকি একটু সময় নিলে তেজী শব্দ খুজে বের করা যেত। ‘আমার’ শব্দটার মধ্যে যেই জেদ বা তেজ আছে সেই তুলনায় ‘মোর’ বেশ দুর্বল এবং সেকেলে। তাহলে কি শব্দগুলো ব্যবহার আমরা করব না, হা করব তবে সেটা যদি ছন্দবদ্ধ হয় তাহলে সেই শব্দও প্রাণ আনতে পারে। পরিশেষে বলব কবিতার বক্তব্যটা বেশ ঝাঁঝালো কিন্তু এলোমেলো উপস্থাপনায় কথাগুলো সমাজে বিরাজিত অতিকথন বলে মনে হয়েছে। তবে এটা বলা যায় যে বর্তমান সময়ের ফাঁকা বুলি স্বর্বস্ব রাজনৈতিক বাগাড়ম্বরকে মনে করিয়ে দিয়েছে আপনার কবিতাটি, যেটা বাংলা ব্যাকরনের প্রচলিত বাগধারা ‘বার হাত কাকরের তের হাত বিচি’ আমরা পাই।
পাঠকের বিশ্লেষনটা যদিও একটু লম্বা হয়ে গেল সেটাকে সেভাবেই নেয়ার অনুরোধ থাকবে। আশা করি শব্দ চয়নে আর সতর্ক হবেন। আর এই তেজী ভাবটা বজায় রাখবেন সবসময়। অনেক শুভকামনা রইল
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
কে মাতাপিতা,কে ভাইবোন তা আমি জানিনা।
অন্যায় করলে এদের কেউকেই যে আমি মানিনা।।
আমি জানিনা কে মোর সহধর্মিনী,কে মোর সন্তান।
অন্যায় করলে কেড়ে নেব যে আমি ওদেরই প্রান।।// বাচাধন আগে বাবা হও তার পরর দেেখা যাবে....শক্তিশালী বক্তব্য ... ভাল...
Pakhi Nill
আপনার লেখা কবিতাটি মুগ্ধ হয়ে পড়লাম আর সাথে ভোট রেখে গেলাম। আমি একজন নবীন কবি। আপনি যদি আমার পাতায় গিয়ে আমার লেখা কবিতার সমালোচনা করেন তাহলে খুবই কৃতজ্ঞ থাকব।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।