ভালবাসার কসম

প্রেম (ফেব্রুয়ারী ২০১৭)

মোঃ নিজাম গাজী
১৪ই ফ্রেব্রুয়ারী ২০১৬ বিশ্ব ভালবাসা দিবস । পার্কে অনেক প্রেমিক
প্রেমিকার সমাগম। কেউ ঘোরাঘোরি করতেছে কেউ গল্প করতেছে । কেউ ফুচকা খাচ্ছে ইত্যাদি
। পার্কে ফারদিন বসে আছে তার প্রেয়সী রুপার অপেক্ষায় ।
[পার্কে রুপার আগমন]
রুপাঃ- হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ মাই জান ।
ফারদিন:- ধন্যবাদ জান তুমি এসেছো?
রুপাঃ- না এসে কি আর পারি আজ এই বিশ্ব ভালবাসা দিবসে যে আমার প্রিয়তমর
শুভ জন্মদিন ।
ফারদিন:- হ্যা আমাকে জন্মদিনের উইশ করার জন্য তোমাকে আজকের এই ভালবাসা
দিবসে এক সাগর হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা দিলাম ।
রুপা:- তোমার এক সাগর ভালবাসা আমি সাদরে গ্রহন করে নিলাম ।
[পার্কে শিশু ফুল বিক্রেতার আগমন]
শিশু ফুল বিক্রেতা:- স্যার ফুল নিবেন ফুল নিবেন স্যার?
ফারদিন:- হ্যা ফুল নিবো । তোমার ফুলের দাম কতো?
ফুল বিক্রেতা:- স্যার আইজ তো ভালবাসার দিন তাই সবাই যা খুঁশি অইয়া দ্যায়
আমি তাই নিই ।
রুপা:- আজ যে ভালবাসার দিন তা তুমি জানো কিভাবে?
ফুল বিক্রেতা:- কিযে কন আপামনি পার্কে চাইয়া দ্যহেন সব স্যারেরা আর
ম্যাডামরা বইয়া ভালবাসার গল্প কইতাছে ।
(শিশু ফুল বিক্রেতার কথা শুনে ফারদিন আর রুপা হেসে দিল) ।
ফারদিন:- এই পিচ্চি তোমার আর গল্প কইতে হবেনা তুমি ফুল দাও আর এই টাকা নাও ।
ফুল বিক্রেতা:- ঠীকাছে স্যার এই ন্যান ফুল ।
[শিশু ফুল বিক্রেতার প্রস্থান]
ফারদিন:- রুপা এই ফুলটি তোমার জন্য ।
রুপা:- ধন্যবাদ জান তোমার ভালোবাসায় উতলে উঠলো আমারই প্রান ।
ফারদিন:- তুমিতো একদম কবি হয়ে গেলে । চলো রুপা আমরা ঐ ফাকা জায়গাটায় গিয়ে বসি ।
রুপা:- হ্যা চলো জান ।
[উভয়ে গিয়ে পার্কের ঐ ফাকা জায়গাটায় বসলো]
ফারদিন:- রুপা তোমার প্রতি আমার একটি আবদার আছে তুমি ফেলবেনাতো?
রুপা:- কি আবদার ফারদিন? তবে এমন কোনো আবদার করোনা যা আমি রাখতে পারবো না ।
ফারদিন:- এই আবদারটা তোমার রাখতেই হবে জান । এর আগে আমার মেসে তোমাকে
অনেকবার ইনভাইট করিছি কিন্তু তুমি কখনও যাওনি । তাই আমি চাচ্ছি আগামীকাল
আমার মেসে একটা বার্থডে পার্টি দেবো আর সেখানে তোমার যেতে হবে ।
রুপা:- চিন্তার বিষয় ।
ফারদিন:- দেখো রুপা চিন্তা করে লাভ নেই । ভালবাসা দিবসে ভালবাসার কসম
দিয়ে বলো যে তুমি আমার বার্থডে পার্টিতে আগামীকাল যাবে । তোমার যেতেই হবে

রুপা:- আচ্ছা বাবা ভালবাসার কসম আমি আগামীকাল যাবো তোমার মেসে ।
(ফারদিন একথা শুনে খুঁশিতে আটখানা হয়ে গেলো) [হঠাৎ দুজনে চলে গেলো গানের ভূবনে]
বন্ধুরে তুমি ছাড়া নিঃস্ব আমি নিঃস্ব,
তোমার আমার ভালবাসায় কাপে মহাবিশ্ব(২) ।
নিঃস্ব হে নিঃস্বরে ।।
তুমিহীনা বন্ধু আমি নদীহীনা দেশ,
তোমার আমার ভালবাসা লাগলোরে হে বেশ(২) ।
তোমার জন্য আমি হতে পারি সৈন্য হতে পারি জম,
তোমায় আমি ভালোবাসি আল্লাহর কসম(২) । [দৈত কন্ঠে]
[গান শেষে দুজন দুজনাকে জড়িয়ে ধরলো]
ফারদিন:- আচ্ছা রুপা কাল সন্ধা ৬ টার সময় আসবে কিন্তু । এখন আমি যাই । আর
তুমিও বাসায় যাও ।
রুপা:- আচ্ছা ঠীকাছে আমি আমার ওয়াদা তো রাখবোই। হ্যা আমি এখন বাসায়
যাচ্ছি তুমিও যাও । বাই ।
[পার্ক থেকে উভয়ের প্রস্থান]
এদিকে ফারদিন খুব খুঁশি । ওর বন্ধুদের ফোন করলো । ফারদিন নতুন জামা কাপড়
। রুপার জন্য গিফট ও জন্মদিনের কেক মোমবাত্বিসহ সবকিছুই কিনে ছয়টায়
মধ্যেই সবকিছু প্রস্তুত করে রাখলো । এখন শুধু রুপার অপেক্ষা । ৬ টা বেজে
১৫ মিনিট তবুও রুপার খোজ নেই ।
[অবশেষে সাড়ে ছয়টায় রুপার আগমন]
রুপার হাতে একটা লাল গোলাপ ।
ফারদিন:- রুপা তুমি এসেছো । তোমার অপেক্ষায় আমি কত সময় ধরে বসে আছি।
রুপা:- হ্যা ফারদিন তোমায় ভালোবাসি বলেই এসেছি। তোমার কথা রেখেছি।
(ফারদিন ও রুপা কেক কেটে একে অপরকে খাইয়ে দিচ্ছে। চারিদিকে জ্বলজ্বল করে
মোমবাত্বি জ্বলতেছে) ।
ফারদিন:- রুপা তোমায় আমি প্রচন্ড ভালোবাসি । তোমার জন্য আমি প্রানও দিতে পারি ।
রুপা:- হাহা আমার জন্য তোমার প্রান দিতে হবেনা বোকা । তুমি এই পৃথিবীতে
আমার জন্য বেঁচে থাকবে ।
ফারদিন:- ঠীকাছে । কিন্তু তুমি ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না ।
রুপা:- শোনো ফারদিন আমি যদি কখনও তোমার জীবন থেকে হারিয়ে যাই তাহলে তুমি
ভেঙ্গে পরবেনা । আমায় চিরকাল ভালবেসে যাবে । আমি ও তোমাকে চিরকাল ভালবেসে
যাবো ।
[এর মধ্যে ফারদিনকে রুপার মা ফোন দিলো]
ফারদিন:-আসসালামু আলাইকুম খালাম্মা ।
রুপার মা:- ওয়ালাইকুম আস সালাম । বাবা তুমি একটু হাসপাতলে আসো ।
ফারদিন:- কেনো খালাম্মা হাসপাতালে এসে কি করবো?
রুপার মা:- বাবা রুপা তোমার বাসায় স্কুটিতে যাবার সময় এক্সিডেন্ট করে
মারা গেছে(কাঁদো কাঁদো কন্ঠে) ।
ফারদিন:- কী বলেন খালাম্মা রুপাতো এখন আমার সামনে দাড়ানো ।
রুপার মা:- বাবা আমিতো আর তোমার সাথে মিথ্যা বলিনা । আমরা সবাই এখন
হাসপাতালে । রুপার লাশ এখন হাসপাতালের মর্গে আছে। (এই বলে ফোনটা রেখে দিল
রুপার মা)।
হঠাৎ করে ফারদিনের রুমটা একেবারে অন্ধকারে আচ্ছন্য হয়ে গেলো। ফারদিন
তাকিয়ে দেখে অন্ধকারের গন্ডির মধ্যে রুপা গায়ে চাদর পেচিয়ে একটি জ্বলন্ত
মোমবাত্বি নিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
ফারদিন:- রুপা তুমি নাকি মারা গেছো তাহলে তুমি এখানে আসলে কিভাবে?
রুপা:- ফারদিন খবরদার তুমি আমাকে স্পর্শ করবেনা । আমি তোমাকে আমার জীবনের
চেয়েও বেশি ভালবাসি । আর এর জন্যই আমি তোমার ভালবাসার কসম রক্ষা করার
জন্যই তোমার মেসে এসেছি । তোমায় অনেক ভালবাসি বলেই আমি ভালবাসার কসম
রক্ষা করেছি । ভালো থেকো ফারদিন । কোনো একদিন তোমার সাথে ওপারেতে দেখা
হবে । ভালবাসি ভালবাসি আমি তোমায় ভালবাসি ।
(ফারদিন তখন পাগলের মত ছুটে গিয়ে রুপার আত্মাকে স্পর্শ করলো । আর রুপা
সাথে সাথে অদৃশ্য হয়ে গেলো)
ফারদিনের রুমের সোপার উপর পরে রইল রুপার আনা একটি ভালবাসার লাল গোলাপ ।
ফারদিন হঠাৎ বেহুশ হয়ে গেলো । এখান থেকে ওদের পার্থিব জীবনের ভালবাসার
মরন হলেও পূর্ন হয়েছে ওদের ভালোবাসার কসম ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
MD IMTIAS ভাল লাগলো । সত্যি কারের ভালোবাসা কখনো হারিয়ে যায় না
ডাকপিয়ন খুব ভাল লাগল পড়ে। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল...
হুমায়ূন কবির golper poriborthe 'natok' valo laga soho vot roilo.
‌মোহাম্মদ ইউনুছ ভা‌লো লাগা রে‌খে গেলাম।
ভালো লাগেনি ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
আখতার উজ্জামান সুমন নাটিকা টি ভালোই লেগেছে।
ভালো লাগেনি ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
মিলন বনিক ভালোই...নাটকের মতোই মনে হলো....
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
dhonnobad he kobi.valo thakun.
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
আহমাদ সা-জিদ (উদাসকবি) Golper bodole natika??? Best Of luck
ভালো লাগেনি ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
dhonnobad he kobi.valo thakun.
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

২৪ নভেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ২৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অভিমান”
কবিতার বিষয় "অভিমান”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মার্চ,২০২৪