এর পর শুরু হয় দৌড়,জীবন বাজীর দৌড়, একজন বাঁচার জন্য দৌড়ায়,অপরজন খাবার জন্য। হরিণ পালায় বাঘের ভয়ে,বাঘ ডরায় বন্দুকের নল। মানুষ দৌড়ায় অচেনা এক গন্তব্যের দিকে, মৃত্যু তাকে তাড়ায়,সারাক্ষণ তাড়ায়। ভয়ে উদ্বেলিত সাধুর তপস্যা, না জানি গোপন পাপ,তার সাধনার জামা ধরে টানে! হৃদরোগের কারন যখন বেশ্যার গোপন প্রণয়, সতী বধু তখনো পরম মমতায় এক বালিশে ঘুমায়। পুত্রের খায়েশ মেটাতে,স্বামীর পকেট মারে যে নারী, তালাকের তিন অক্ষর তাকে ভয় দেখায় সম্পর্ক নাশের। গাড়ির চাকায় পিষ্ট যুবকের বাঁচাও মিনতী, ঘিরে ধরা দর্শকের কান ভারি করে তোলে নিমেষে, পারলে মৃত্যু দূত হতে পালিয়ে বাঁচত যুবকটি। কবিও পালায়,কথা মালা ছেড়ে,শব্দের খেলা ফেলে, সমাজের বুকে থিতু হয়,কলম তকে পুতুল করে নাচায়। কবিরা অস্ত্রধারী নয়- অথচ ভীষণ ভয় পেয়ে চাবুকও ঘুমতে যায়। এত ভয় দেখাবার পরেও- নিজেকে দেখে বহুবার সংজ্ঞা হারিয়েছে ভয়, এর পর না জানি কত বার- বিজয়ী বাঘ তাকে হরিণ বানিয়ে খেয়েছে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কখন শুরু হবে সেটা পাঠকের উপর ছেড়ে দিয়েছি,কারন কোন পাঠক বাঘ,আর কোন পাঠক হরিণ রুপী সেটা আমার অজানা।পুতুল করে নাচার ব্যপারে যা লিখেছি এটা একটা উপমা,বলতে পারেন কলম কবি সাহিত্যিকদের হিপনোটাইজড করতে পারে,যার ফলে কবির অভিব্যক্তি গুলি কলম প্রকাশ করে দিতে সক্ষম হয়। এ কথাটি ভুলে গেলে চলবে না যে কলম শুধু অস্ত্র নয় শান্তি ও সাম্যের পত্রও বটে।সুতরাং বলব স্বতন্ত্র ভাবনা গ্রহন করেই কবিতাটি লেখা।গঠন মূলক সমালোচনার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
এই পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টিই কোন না কোন ভয় থেকে পালিয়ে বেড়ায়।এমনকি জীবনও মৃত্যু থেকে পালিয়ে বেড়াতে চায়,কারন সে মৃত্যুকে ভয় পায়।
২৯ সেপ্টেম্বর - ২০১৬
গল্প/কবিতা:
৩৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।