চিরকুট

প্রশ্ন (ডিসেম্বর ২০১৭)

নাজমুল হুসাইন
সুবর্না,দাঁড়াও,একলা যেতে পারবে না,যন্ত্রনা তোমার একার নয়,আমাকেও কিছু দাও।দাঁড়াও বলছি,যেয়ো না,প্লিজ আমার কথাটা শুনো,সুবর্ণা……
এই তোমার কি হলো,কি সব ভুল ভাল বকছো ঘুমের মধ্যে?কে সুবর্ণা?এই কি হলো…এই কি হলো…
হাঁপানি রুগীর মতো জিহব্বা বের করে দিয়ে হাঁপাচ্ছে নয়ন,হাড় কাঁপানো শীতের রাতেও,শরীর থেকে ঘাম ঝরছে তার।হাত-পা মৃদুভাবে কাঁপছে,চোখের অবস্থা যেন উলটে আছে,দেখে মনে হয় ভয় শঙ্কায় এক বিষ্ফরিত তাঁরা।এক গ্লাস পানি ।থর থর করে কাপতে থাকা গলার স্বর থেকে,ক্ষীণ ধারায় বেরিয়ে এলো।কাছেই টেবিলের উপর গ্লাসে পানি রাখা ছিলো,ঐশী বাম হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে,পানির গ্লাসটা হাতে তুলে নিলো,বুকের সাথে আগলে রাখা পরাণের প্রিয় স্বামীর মুখে, পানির গ্লাসটা তুলে ধরলো সে।গ্লাসে মৃদু চুমুক দিয়ে,মুখটা সরিয়ে নিলো নয়ন।স্ত্রীর কাছ থেকে একটু সরে বসলো,কি যেনো ভেবে।তার পর চোখটা বন্ধ করে,কেমন যেনো এক অচেনা দীর্ঘশ্বাস, ঝরে পড়লো তার নিঃশ্বাস বেয়ে।স্ত্রীর মুখের পানে চেয়ে জিঞ্জাসা করলো,এখন কয়টা বাজে?ডিম লাইটের আলোয় দেয়াল ঘড়ির কাঁটা বেশ স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে।শাড়ির আঁচল দিয়ে,ঘুমটাটা একটু ঠিক করে নিয়ে,ঐশী উত্তর দিলো ২টা৪৫মি।কি হয়েছে তোমার?তুমি কি খুশি হও নি?
সারা দিন বাড়িতে ধুম ধামের কোন কমতি ছিলো না,আত্নীয় স্বজনের ভীড়ে সারা বাড়িই যেনো আজ হেঁসেছে।গোলাপ,গাঁদা,বকুল,আর হাসনা হেনার ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে বাসর ঘর,নব দম্পতির নব জীবন শুরু হলো আজ।কিন্তু কেমন যেনো শুকিয়ে যাওয়া ভালোবাসার ঘ্রাণ,সারাটা বাসর ঘর জুড়েই।কত স্বপ্ন সাধনার এই দিনটি্র জন্য দুনিয়ার সমস্ত মানুষ অপেক্ষা করে,কত কথা জমিয়ে রাখে যেমন পৃথিবীর সব নারী,তেমন ভাবে পুরুষও।বাঙালী নারী যেনো আরো একধাপ এগিয়ে।যৌবন আসার পর থেকে তার প্রতিটা রাত্রির নিদ্রা শুরু হয় প্রাণ পুরুষের স্বপ্ন দিয়ে সাজিয়ে।একান্তে আসার পর,এক বিছানায় প্রথম কোন নারীর হৃদয়ের কম্পন ধ্বনি শোনার পরও নয়ন একটি বারও তার সাথে কথা বলে নি,জানতে চায় নি আবেগ অনুভুতি,প্রকাশ করে নি সুখ স্বপ্নের কথা,ঘরে ঢুকে কেবল মাত্র একটি কথায় বলেছে,আমার ঘুম পাচ্ছে।লাইট নিভিয়ে দিয়ে তুমি ঘুমিয়ে পড়ো।ঠিক তখনই বুকের ভিতর চিলিক দিয়ে উঠেছিলো ঐশীর।নানা প্রশ্ন,আর শঙ্কা ঘিরে রেখেছে তাকে।তবুও সাহস করে বলেই ফেলেছে,তোমার কি খারাপ লাগছে?নয়ন কোন উত্তর দেয় নি,অগত্যা সে ঘুমিয়ে পড়লো,স্বামী-স্ত্রীর মাঝে আর কোন কথা হলো না।লাইটটা বন্ধ করে দিয়ে,বিছানায় ঠায় বসে রইলো ঐশী।যেন চোখের বাকিটা জীবনের সমস্ত ঘুম চীর কালের জন্য উবে গেলো,এ চোখ আর কখনও ঘুমাবে না।নিরব অশ্রু তার নয়ন থেকে অঝোর ধারায় ঝরতে লাগলো।বেশ কিছু সময় আকষাৎ কাঁদতে কাঁদতে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠলো নয়ন।আচমকা ভীতিভাব সামলে নিয়ে,নয়নকে বুকের মাঝে জাপটে ধরে জিঞাসা করলো কি হয়েছে তোমার?তুমি এমন করছো কেনো?কে সুবর্ণা?
অত্যন্ত বুদ্ধিমতি মেয়ে ঐশী,ছোটবেলা থেকেই সে চটপটে আর ডান পিঠে স্বভাবের,খুব সহজেই সে অনেক গভীর ভাষা বুঝতে পারে।আজ এ চরম সুখের দিনে,তার আর বুঝতে বাকি রইলো না,সে এক তীব্র যন্ত্রনার আঘাত পেতে যাচ্ছে।স্বামীর হৃদয় জ্বয় করতে সে বুঝি আজ ব্যার্থ হয়ে গেলো।আপন মনে প্রশ্ন করতে লাগলো,তার হৃদয়ে আমার জন্য কি কোন জায়গা নাই?তবে এ প্রহসনের নাটক কেনো?আমি তো কোন অন্যায় করিনি।আমিও নাছোড় বান্দা,আমি তোমাকে ছাড়তে চাই না,আমি তোমাকে হারাতে দেবো না।আমার সুখ আমি আদায় করেই ছাড়বো,আমার স্বপ্ন তোমাকে দিয়েই পুরন করব।তোমার সমস্ত আঘাত আমি মাথা পেতে নিলাম।মনটাকে কন্ট্রোল করে নিলো ঐশী,তার পর স্বামীর দিকে মায়া জড়িত দৃষ্টি নিয়ে বলল,দু;স্বপ্ন দেখেছো বুঝি?নয়ন এখন ও চুপ করে বিছানার এক কোনে বসে আছে,কথা বলতে যেনো তার ইচ্ছা করছে না।জানালার দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে কি যেনো একটা দেখছে।ঐশী তার ঘাড়ে হাত দিলো,নয়ন আলতো করে হাতটা সরিয়ে দিয়ে,জানালার গ্রিলটা ধরে দাড়ালো।আমি কি তোমার কাছে কোন অন্যায় করে ফেলেছি,কাঁদো স্বরে প্রশ্ন করলো ঐশী।বেশ কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর,নয়ন জবাব দিলো,তুমি আমার কাছে কি দোষ করবে,দোষ তো আমার কপালের।
মানে?আমাকে তোমার পছন্দ হয় নি?
কেনো হবে না?তুমি তো শুস্রী,নম্র,কোমল একটা মেয়ে।
তুমি যে বললে কপালের দোষ?
সেটা তো আর তোমার জন্য বলি নাই।
কার জন্য বলেছো তা হলে?
নয়ন অনেকটা অবাক দৃষ্টিতে ঐশীর দিকে তাকালো,তার পর চোখটা ঘুরিয়ে নিয়ে বললো সেটা একান্তই আমার ব্যপার।ঐশী ঘুরে নয়নের সামনে এসে দাঁড়ালো,তার পর স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললো তোমার ব্যপার কি আমার ব্যপার না?
নিজের চোখটা আবার জানালার দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে নয়ন জবাব দিলো,সেটা তোমার না জানলেও চলবে।
আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না ঐশী,ডুকরে কেঁদে উঠে বললো আমি তোমার স্ত্রী।তুমি আমার সাথে এমন করতে পারো না।দুহাত দিয়ে শক্ত করে জানালার গ্রিল ধরে রেখেছে নয়ন,এক তীব্র অপরাধ বোধ যেনো গ্রাস করছে তাকে। বিয়ের রাতে স্ত্রীর চোখের এ অনাকাঙ্খিত জলের জন্য সে নিজেই দায়ী।কিন্তু স্ত্রীর কাছে নিজেকে ব্যক্ত করে সারা জীবনের জন্য ছোট হয়ে যাওয়াটা কি ঠিক হবে?প্রশ্ন গুলো যেনো মৌমাছির মতো দলে দলে,মধু সংগ্রাহককে ঘিরে ধরেছে।আজ আর রক্ষা নাই,এতো সব প্রশ্নের জবাব কি তার কাছে আছে?কেমন করেই বা বলা যায় অতীত জীবন কে?এমন হাজার হাজার ভুল গুলো এসে জীবনকে উড়িয়ে নিয়ে যায় কালবৈশেখী ঝড়ের মত।বক্ষপাজরে রক্তস্রোত, থমকে যাওয়া হীমশীতল বরফ খন্ডের রূপ গ্রহন করেছে যেন।রৌদ্রের প্রখর উজ্জ্বলতার দর্শনেই কেবল তা গলতে পারে।পশ্চীমে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড়াদার সূর্যটা,রাতকে তাড়িয়ে দিয়ে পূর্বকোনে এসে উঁকি দিয়ে গেলো।সারাটি রাত চোখের পাতা এক হয় নি দুজনার।চোখের পানি ঝরতে ঝরতে রাত পোহালো ঐশীর,নয়ন জানালা ধরেই দাঁড়িয়ে ছিল।কাঁদতে কাঁদতে উভয় চোখের কোন ফুলে গেছে ঐশীর।আত্নসম্মান আর লোক লজ্জার ভয়ে সারা রাত ক্ষনে ক্ষনে শিউরে উঠেছে নয়ন।নতুন করে তার একান্তই মনের কোনে যোগ হয়েছে আজ বুঝি তার ঘর ভাংতে চলেছে,কিন্তু সে যেন নিশ্চুপ,কিছুই করতে পারে না।তার এ অজানা আশংকা ম্লান করে দিয়ে,দুহাত দিয়ে স্বামীর হাতটা চেপে ধরলো ঐশী।চলো গোসল খানা দেখিয়ে দিবে আমি গোসল করব,সাথে তুমিও।
নয়ন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ঐশীর দিকে।কি বলে এসব!পাগল নাকি?কিছুই যেন বুঝে আসছে না তার।মনের অজান্তেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে,কেন?
আমি চাইনা আমাদের ব্যপারে বাড়ির কেউ জানুক বা কিছু বুঝুক।দৃড়তার সাথে উত্তর দিলো ঐশী।
তার মানে তুমি বাপের বাড়ি চলে যাচ্ছনা?
এবার ঐশী চোখ তুলে তাকালো,এমন দৃষ্টিতে,মনে হচ্ছে যেন,সে স্বামীকে শাষাচ্ছে।তার পর মৃদু ঝাড়া দিয়ে হাতটা সরিয়ে নিয়ে,গম্ভীর স্বরে বলল বিয়ে মানুষ বার বার পোষে না।এর পর সারাটি দিন তাদের দেখে কেউ কিছু জানতে পারে নি।আনন্দ আর হাসি ঠাট্টায়,সারাটা দিন বেশ কেটেছে।দক্ষ অভিনেত্রীর মত অভিনয় করেছে মেয়েটি।অবশেষে ক্লান্ত,শ্রান্ত হয়ে ঘরে এসে মাথাটা বালিশে এলিয়ে দিয়েছে সে।দেখতে দেখতে চোখ জুড়ে তার সমুদ্রের জলরাশীর মত ঘুম চলে এলো।যখন তার ঘুম ভাংলো তখন চার পাশ থেকে ফজরের আজান কানে ভেসে আসছে।চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসলো ঐশী।নয়ন ঘরে নাই,ঘর থেকে মনে হয় বাহিরে গিয়েছে,না সারা রাত সে ঘরেই ফেরে নি।দরজাটা গত রাতে যেমন ছিল,এখন ও তেমনই আছে,একদম খোলা,বন্ধ করা হয় নি।কুয়াশা মোড়ানো মুখচ্ছবি নিয়ে বারান্দায় এসে দাড়ালো সে।বৃষ্টি হলেও যেন মনের মেঘ আর কাটবে না।বেলা গড়িয়ে গেলে নয়ন বাড়িতে ফিরলো।সকাল থেকে এ পর্যন্ত ঐশী কিছুই মুখে দেয় নি,বাড়ির অনেকেই খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে,কাজ হয় নি।কিন্তু কেন খায় নি আসল কারনটা কেউ জানে না।বাড়িতে ঢুকেই উচু গলায় মাকে ডাকলো নয়ন,মা আমার খিদে পেয়েছে,খাবার দাও।রান্না ঘর থেকে দৌড়ে এলো মা,তুই কেমন ভাদাইম্যা ছেলেরে?এতো বেলা হয়ে গেলো ঘুরে বেড়াচ্ছিস,নাওয়া খাওয়ার নাম নাই,তোর জন্য বউডাও তো না খেয়ে রয়েছে।যা ঘরে যা খাবার দেওয়া আছে।কেমন যেন হোঁচট খেয়ে উঠলো মায়ের কথা শুনে,মনে মনে ভাবতে লাগলো মেয়েটী চায় কি,একি সত্যি সত্যি আমার বাড়িতে রয়ে যাবে!কি ভাবছিস,যা ঘরে যা,বউমা বসে আছে।হু যাচ্ছি……
ঘরে ঢুকেই খাবার খাওয়ার জন্য বসে পড়লো নয়ন,নিজের মত করে খাবার খেতে শুরু করলো সে।স্বামীর এমন অবহেলায় জ্বলে পুড়ে যেতে লাগলো ঐশীর হৃদয়।যার জন্য খুধা চেপে রেখে বসে আছি,সে, আমি খেয়েছি কিনা একবার ও শুনলো না!তীব্র অভিমানে খাটের এক কোনে মুখ ঘুরিয়ে বসে রইলো সে।ইচ্ছা করছে যেন ওকে চিবিয়ে খাই,স্বার্থপর একটা…মনে মনে গালি দিতে লাগলো সে।বেশিক্ষন বসে থাকতে হলো না,তাড়াহুড়া করে খাবার খেতে গিয়ে গলায় আটকে গেছে নয়নের।পানি পানি করে মাথায় থাপড়াতে লাগলো সে,পেছন থেকে গ্লাস ভর্তি পানি নিয়ে তার মুখের সামনে ধরলো ঐশী।পানি পানের পর অনেকটা শান্ত হয়ে,ক্ষনিক সময় স্ত্রীর মুখের পানে চেয়ে থেকে,খাবারের থালায় পানি ঢেলে দিলো নয়ন।
স্ত্রীর ব্যবহার আর কর্ত্যব্য যেন নয়নকে ক্রমন্বয়ে অপরাধী করে তুলছে।এ ভাবে আর কত দিন ধরে চলতে থাকবে।মেয়েটা কেন বাপের বাড়িতে চলে যায় না,আমার সাথে তো ওর কোন সম্পর্কই তৈরি হয় নি।কিসের আশায় তা হলে বসে আছে?নিজের জীবন নষ্ট করতে চায় কেন সে?ভারি আজব মেয়েতো!নয়নের ভাবনা জুড়ে এখন অনেক প্রশ্নরা খেলা করছে।দিন পেরিয়ে রাত এলো,দেখতে দেখতে আজ তৃতীয় রাত। কাল শ্বশুর বাড়ি যেতে হবে।এটা বাঙালী সমাজের নিয়ম,চিরায়ত কাল ধরে চলে আসছে,বাংলা আর বাংলার মানুষের মাঝে।কিন্তু আমি যেতে চাই না,যে সম্পর্ক কখনও তৈরি হবার নয়,তাকে জিইয়ে রেখে বাঁচানো আমার পক্ষে সম্ভব না।আজই তার ফয়সালা হওয়া দরকার,মেয়েটিকে অনেক ঠকিয়েছি আর নয়।আমাকে ঐশীর সাথে কথা বলতে হবে,তাকে ক্লিয়ার করতে চাই,আমাদের রাস্তা এক হবার নয়, হতে পারে না।
বাসর ঘরের সে ঘ্রাণ তৃতীয় রাত্রিতে অনেকটাই চলে গেছে,তবে শুকিয়ে যাওয়া ফুল্ গুলো এখনো রয়েছে।নয়ন আজ সকাল সকাল ঘরে ফিরেছে।বিছানা গুছিয়ে ঐশী ঘুমোতে যাবার জন্য রেডি হচ্ছে,এমন সময় নয়ন বলল তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে।ঐশী অবাক দৃষ্টিতে স্বামীর দিকে তাকালো,হয়তো এবার বরফ বুঝি গলতে শুরু করেছে।মৃদু হেসে বলল হা বলো,কি কথা?ডান হাত থুতনীতে দিয়ে, বুকের সাথে রাখা বাম হাতে ভর দিয়ে,ঘরের মধ্যে পাইচারী করতে করতে নয়ন বলল,কাল তো তুমি বাপের বাড়ি যাবে তাই না?
হা আমার সাথে তুমিও তো যাবে।
না আমি তোমার সাথে যাচ্ছি না,আর কোন দিন যেতেও পারব না,তুমি চলে যাও,সারা জীবনের জন্য এ বাড়ির রাস্তা ভুলে যাও।নতুন করে গড়ে নাও তোমার জীবন।আমি দুইটা হৃদয় নিয়ে জন্ম নেই নি।
তুমি এতো সহজেই ভাঙা-গড়ার হিসাব করতে জানো,আমার জানা ছিল না।
আমি নিরুপায়।অত্যন্ত নিষ্ঠুর ভাবে জবাব দিলো নয়ন।
আচ্ছা একটা প্রশ্ন জানতে পারি?বুক থেকে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে বেরিয়ে এলো ঐশীর।
হা করতে পারো।
তুমিতো কাউকে ভালো বাসতে,তাহলে তাকে বাদ দিয়ে আমাকে কেন?
মানুষকে অনেক সময় না চাইলেও অনেক কিছু করতে হয়।
সেটার জন্য কি আমাকেই বেছে নিতে হলো তোমার?
বিশ্বাস করো তোমার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে আমি তা চাই নি।
কিন্তু আমার জীবনের বারোটা বাজতে আর বাকি রইলো কোথায়?
তুমি চলে যাও,তোমার সব কষ্ট একদিন শেষ হয়ে যাবে।আমকে তুমি মাফ করে দাও।আমি আসলে পারছি না।আমি পারব না।
ঠিক আছে,জোর করে ঘর বাধা যায়,মন পাওয়া যায় না।দেহ পাওয়া যায়,তাতে স্বাদ থাকে না।আমি চলে যাবো,তুমি মুক্ত একলা স্বাধীন।কিন্তু যাবার আগে আমি তাকে জানতে চাই,কে সে ,যার জন্য আমি তোমার কাছে এতোটাই উপেক্ষিত?
আমার কাছে কিছু জানতে চেয়ো না,আমার হৃদয়ের গোপন বিরহ নিয়ে আমাকেই থাকতে দাও,কি লাভ বলো এসব জেনে?
লাভ-লোকসানের হিসাব,জিবনে দ্বিতীয়বার আর কষতে চাই না,একবার যখন সামনে এসেছে,তাকে না বুঝে বাদ দিতে পারি না।
ঠিক আছে তুমি যখন নাছোড় বান্দা,শুনো তা হলে……
তখন ছিলো বর্ষাকাল,রাস্তা ঘাট কাদামাখা,সমস্ত পৃথিবী যেনো তার রস ছেড়ে দিয়েছে,ক্ষনে রোদ,ক্ষনে বৃষ্টির খেলা চলছে প্রতিনিয়ত।এমনই একটা দিনে স্কুল থেকে ফিরছিলাম আমি। রাজা বিভুতী ভূষনের বাংলোর কাছে আসতেই শুরু হলো বৃষ্টি,সে দিন অবশ্য সঙ্গে করে ছাতা নিতে ভুলে গিয়েছিলাম।কি আর করা দৌড়ে গিয়ে ভাংগা বাংলোটাই ঢুকলাম।আসলে বৃটিশরা এদেশ থেকে চলে যাবার সময়,রাজা বিভুতী ভূষন ও স্বপরিবার নিয়ে পুনেতে চলে যায়,আর কখনো ফিরে আসে নি।সেই থেকে বাড়িটা খালি পড়ে রয়েছে,মাঝে শুনেছি একাত্তর সালে মিলিটারিরা নাকি ক্যাম্প করেছিলো এখানে।যুদ্ধে পরাজয়ের পর তারা এই বাড়িটাতেই আত্ন সমর্পণ করে।এখন আর এ বাড়িতে কেউ আসে না।এ বাড়িকে নিয়ে অনেক রহস্যময় গল্প ছড়িয়ে আছে।সারা বাড়িটা জঙ্গলে ভরে গেছে,এলাকার কিছু নেশাখোর মাঝে মাঝে এখানে এসে লুকিয়ে নেশাটেশা করে,তবে আজ আর এ বৃষ্টিবেলায়,তেমন কাউকে দেখা গেলো না।ছ্যাদলা পড়া ছাদের গা চুইয়ে ফোটা ফোটা পানি পড়ছে,আমি একটা কিনারে গিয়ে দাড়ালাম।হঠাৎ করে কে যেনো,দৌড়ে ভেতরে ঢুকলো।জোর বৃষ্টির ধকলে অনেকটাই ভিজে গেছে তার শরীরটা।ঘরটাতে ঢুকেই সে নিজের মাথার চুল ঝাড়তে লাগলো,আবছা আলোয় বুঝতে পারলাম একটা মেয়ে।তার হাতে আমার মত কিছু বই আছে।ক্লাস টেনের বই হবে হয়ত।গলা ঝাড়া দিতেই মেয়েটা চমকে উঠে চিৎকার করতে লাগলো।আমি কাছে গিয়ে তার মুখ চেপে ধরে আশ্বস্থ করলাম আমি নয়ন।ক্লাস এইটে পড়ি ভয় পাবেন না।এতক্ষনে মেয়েটা আমায় চিনতে পেরেছে।তুমি?তুমি এখানে কি করো?এই ছেলে তুমি এখানে কি করো হ্যা……?
মাথা চুলকাতে চুলকাতে আমি উত্তর দিলাম,বাড়িতেই তো যাচ্ছিলাম,বৃষ্টির জন্যেই না এখানে এসে ঢুকলাম।
এই তোমার কোন কুমতলোব নাই তো?
কি বলেন এসব,আমি তো আপনার আগেই এসেছি,আর আমি কি জানি যে আপনিও এখানে এসে ঢুকবেন।
হুম।তা অবশ্য ঠিক।
মেয়েটার নাম সুবর্না,বয়সে আমার চেয়ে দু বছরের বড়।পড়াশুনায় ও দুই ক্লাস এগিয়ে।ও তখন ক্লাস টেনে,আর আমি ক্লাস এইটে পড়ি।বৃষ্টি ক্রমেই যেনো বেড়ে চলেছে,এ দিকে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা,মাঝে মাঝে বজ্রপাতের বিকট আওয়াজ হচ্ছে।বের হওয়ার কোন উপায় নাই,বই গুলো সব ভিজে গুলিয়ে যাবে,বাড়ি এখন ও এক কিলো দূরে।সুর্বনা আর আমার বাড়ি কাছেই,মাঝখানে দুইটা বাড়ির তফাৎ।সারা দিনই আমাদের দেখা হয়,কথা হয়,বয়সে সিনিয়ার হওয়ায়,আমি সব সময় তাকে বড় আপি বলেই ডাকি।যদিও এই প্রতিকূল পরিবেশে আজ তাকে বেশ ভীতু মনে হচ্ছে,কিন্তু তার গলার টন বেশ শক্ত।হঠাৎ তীব্র বেগে বজ্রপাতের বিকট শব্দ কানে এলো,মনে হলো যেনো মাথার উপর পড়েছে,সমস্ত পরিবেশ থমথমে হয়ে গেলো,আমি আতকে উঠলাম ভয়ে।যখন পরিবেশ শান্ত হলো,আমার মনে হলো কেউ যেনো আমকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে,আমি হাত দিয়ে ছাড়িয়ে নিলাম নিজেকে,তাকিয়ে দেখি সুবর্না এখনো কাঁপছে।যেনো সরতে চাইছে না আমার বুক থেকে।ভয় পেয়েছেন?
শুধু ঘাড় নাড়িয়ে উত্ত্র দিলো হু।
রাত নেমে এসেছে,বৃষ্টি ও থেমে গেছে।আমি ঘর থেকে বের হবো এমন সময় আমার হাত চেপে ধরলো সে।
আমি একলা বাড়ি যেতে পারবো না,আমায় বাড়ি দিয়ে তার পর বাড়ি যাবি।
ঠিক আছে,আমার সাথে আসেন।
সে দিন ওকে বাড়িতে দিয়ে এসে খুব ঠেঙানী খেয়েছিলাম বাবার কাছে,আমার মত সুর্বনাও বোধহয় অনেক বকা খেয়েছিল।ছোট বেলা থেকে আমার বৃষ্টিতে ভেজার অভ্যাস নাই,সামান্য ভিজলেই গায়ে জ্বর চলে আসে এবার ও তার ব্যতিক্রম হয় নি,রাতে বালিশে মাথা দেয়ার সাথে সাথেই গায়ে জ্বর চলে এসেছে।কিন্তু কেন জানি আজ আমার খারাপ লাগছে না,মনের মধ্যে এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।সেদিন গায়ে এতো জ্বর এসেছিলো যে তিন দিন বিছানা থেকে উঠতেই পারি নি।চতুর্থদিন বিকাল বেলা,অঘোরে বালিশে মাথা দিয়ে পড়ে আছি,হঠাৎ সারা গায়ে ঘাম দিয়ে জ্বরটা চলে গেলো,চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি,আমার পাশে সুর্বনা বসে আছে।আমি অবাক হলাম,আপনি?
তোমাকে দেখতে এসেছি।
কি ভাবে বুঝলেন আমি অসুস্থ?
তুমি তিন দিন স্কুলে যাও নি,তাই মনে হলো তোমার কোন সমস্যা হয়েছে নিশ্চয়,এসে দেখি তোমার গায়ে জ্বর।খালা আম্মা তোমার মাথায় পানি দিচ্ছে।
সেদিনের ঘটনার পর থেকে কেমন যেনো একটা টান অনুভব করতে লাগলাম মেয়েটার প্রতি।আবার নিজেকে বার বার বকতে লাগলাম এই ভেবে,একটা সিনিয়ার মেয়েকে নিয়ে কি সব আজে বাজে ভাবছিস রে ফাজিল।স্টপ নয়ন স্টপ,তোর বড় আপি,স্কুলের বড় আপি,দু ক্লাস উপরে পড়ে তোর।নাক লজ্জার মাথা কি খেয়েছিস তুই?
আমার ভাবনারা আমার বারন শোনে নি,শুনতেও হয়নি,স্বপ্নের মতো আমার ভাবনার দুয়ারে এসে পাড়তুতো বড় আপি,নিজেকে আটকে ফেলেছে আমার হৃদয় খোয়াড়ে।কৈশর যেনো টকবগিয়ে ফুটতে ফুটতে যৌবনের রুপ লাভ করেছে।কি যেনো হয়েছে মনের,কি যেনো ছুতে চাই সে।ভালোবেসে ফেললাম আমরা।
না আমাকে তার পেছন পেছন নাটক বা সিনেমার মতো ঘুরতে হয়নি,ভালোবাসার প্রথম প্রকাশ তার কাছ থেকেই হলো।যে দিন অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়েছিলাম,সে দিন ও যখন আমাকে দেখতে এসেছিলো।অঘোরে পড়েছিলাম।সুর্বনা বাড়িতে ফিরে যাবার পর,বালিশের নিচে হাত দিতেই একটা চিরকুট পেয়েছিলাম।জীবনে কতবার যে পড়েছি তা আমার মনে নেই,কোন একটা কল্পনা আমার বাস্তবতার বাসর গড়েছে।আমি আর আমি নেই গো,চিমটি কেটে দেখেছিলাম,সব ঠিক ঠাক আছে তো?হ্যা চিরকুটে তো ভালোবেসে ফেলেছি,ফিরিয়ে দিয়ো না,এমন কথায় লিখা আছে।সেই থেকে শুরু আমাদের ভালোবাসা।
এতোক্ষন নয়নের পেছনের আমি কে খুজে ফিরছিলো ঐশী,নিশ্চুপ হয়ে শুনছে সে।তার পর…
আট বছর ধরে চললো আমাদের প্রেম বিলাশ।কতো যে স্বপ্ন এঁকেছি,কতো যে কথা মালার সুর,কতো যে অপেক্ষা,বিরক্তির শেষে আহা কতো যে মধুর…
আট বছরের প্রেম,সবইতো ঠিক ছিলো,সে দিন ও ঠিক ছিলো সবই।শেষবারের মতো আমাদের দেখা হয়েছিলো কমলগঞ্জের জোড়া দিঘীর ঘাটে।কেনো যেন অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলো সে দিন ও।যে প্রেম বয়সকে হার মানিয়েছে,সেদিন সে প্রেমের আলোটাকে কেন জানি বেশ ফিঁকে লাগছিলো।সে দিন তার শেষ কথা ছিলো,আজ যেতে হবে তাড়া আছে,বাড়িতে কি যেন জরুরি কাজ আছে।তার পর আর আমাদের দেখা হয় নি।সব শেষ হয়ে গেছে আমাদের।স্বপ্ন,সাধনা,আশা,ভালোবাসা……
সে বুঝি অন্য কাউকে বিয়ে করে নিয়েছে?বললো ঐশী
আমাদের ভালোবাসার শুরু হয়েছিলো একটা চিরকুট দিয়ে,শেষ ও হয়েছে চিরকুটে।
মানে?কি লেখা ছিলো তাতে?
তুমি শুনতে চাও?
হুম।
তাতে লেখা ছিলো,আমার অতি সখের কৈশরের পথ চলা,নিজের ছবি যে আয়নায় দেখা, তুমি আমার সে নয়ন গো,তোমাকেই বলছি,চলে গেলাম,বহুদুর,অন্তপুরের সুখ আমাকে, হঠাৎ করেই বড় বেশি স্বার্থপর করে দিয়েছে,আমার আর ত্বর সইলো না গো,তোমাকে একা রেখেই তাই পাড়ি জমালাম।ভুলবুঝোনা লক্ষিটি।তোমার অতি প্রিয়ো বাদল দিনের ঝরা হয়ে,ফিরে ফিরে আসব চিরকাল।তুমি কি অপেক্ষায় রবে,জোড়া দীঘির মত,ওপারের আমি দেখার আশায়?তোমার প্রিয়ো হাসনা হেনা ফুলের ঘ্রাণের অপেক্ষায়,সখা বিদায় জানালাম।বড় বেশি ঘুম আসছে আমার,এই ডেকোনা যেন………………
প্রেয়সীর লেখা চিরকুট হাতে স্বামীর চোখে জল,ঐশীও কাঁদছে।কেমন যেন সুর গাঁথার আগেই,ভেঙে যাওয়া গান শুনলো সে।সে দিন রাতেই সুর্বণার বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো,তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে,হাজার চেষ্টা করেও বোঝাতে পারেনি বাড়ির কাউকেই।কিন্তু সে নাছোড় বান্দা, নয়ন ছাড়া কাউকে নয়,অন্য কেউ তার জীবন অধিকার করতে পারে না।তাই গোপনে আত্নহত্যার পথ বেছে নেয় সে।শ্বশুর বাড়িতে গিয়ছিলো ঠিকই,পালকী থেকে তার লাশ নেমেছিলো,নব বধু বেশে।
রাতের আঁধার শেষে দিনের সূর্য আরেকবারের জন্য উঁকি দিয়েছে,নতুন দিন ঘুরে এসেছে,ঐশীকে আজ চলে যেতে হবে,সুর্বণার মত অতীত রুপে নয়,জীবন্ত,বেদনার অভিপ্রায় গুলোকে পুজি করে।চিরতরে সম্পর্কের ইতি হাতছানি দিয়ে ডাকছে,গড়ে উঠার আগেই।
নয়ন বাথরুমে প্রবেশ করলো,ঐশী নিজের জামাকাপড় গুছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।একটু পরেই বাপের বাড়ি থেকে লোক আসবে তাকে নিয়ে যেতে,কেউ জানে না,এ যাওয়া তার শেষ যাওয়া।দেখতে দেখতে কেটে গেছে মিছে কাগুজে বন্ধনের তিনটি রাত।হয়তো শুন্যহাতে যেতে হবে,কিন্তু রাগ ,অভিমান,ক্ষোভ বুঝি আর রইলো না।ভালোবাসা তা আর হতে দিলো না।স্বামীর প্রতি রাগ যা ছিলো,তা যেন মমতায় রুপ নিয়েছে,হৃদয়ের সংকল্পকে তাই থামিয়ে দিয়ে,হেরে যাওয়াকে মেনে নিয়েছে ঐশী।কিন্তু সে জানে না এর শেশ পরিনতি কি।
অতিথিদের খাবার দাবার শেষ,সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে নতুন বউকে,বাপের বাড়ি যাবার জন্য সাজিয়ে দিতে।বউয়ের সাথে যাবার জন্য সকলেই অনেক পীড়া-পীড়ি করল নয়নকে।কোনভাবেই রাজি করানো গেলো না।বারান্দায় গিয়ে এক দৃষ্টে হাসনা হেনা ফুল গাছটার দিকে তাকিয়ে রইলো সে।ঐশী শেষ বারের মত বিদায় নেবার জন্য স্বামীর কাছে এলো,আমি চলে যাচ্ছি,তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী,তুমি সুখি হও,চিরসুখী হও।সুর্বণার চলে যাওয়া তোমাকে কাঁদিয়েছে,আমার চলে যাওয়া তোমার মুক্তির পথ হয়ে রইলো।কেউ জানতে পারবে না,আমি আর কেনো,এ বাড়িতে ফিরে আসব না,শুধু তুমি জানো,সুর্বণার মৃত্যু হয়েছে,সে আর যন্ত্রনা দেখতে পায় না,আমার জীবন বেঁচে থেকে মৃত্যুর সাধ পেলো।যাবার আগে বলে যাই নিজেকে আর ঠকিয়ো না,ভালো থেকো।ঐশী কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে পড়লো,নয়ন পেছন ফিরে তাকাতে পারে নি।ঠা্য দাড়িয়ে রইলো,বারান্দার গ্রীল ধরে।এ ভাবেই বেশ কিছু সময় পার হয়ে গেলো,ঐশী চলে গেছে,বাপের বাড়ি,আর ফিরে আসবে না।হঠাৎ কি যেন ভেবে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলো নয়ন।ট্রেনের ঢের সময় বাকি নেই আর,মিস হয়ে গেলে,সব মিস হয়ে যাবে।অনেক হারিয়েছি আমি আর হারাতে চাই না।স্টেশনে পৌছাতে পৌছাতে বেশ দেরী হয়ে গেলো নয়নের।বাড়ি থেকে ট্রেন স্টেশন কাছেই ছিলো,কিন্তু সময় যেনো ফুরিয়ে গেছে।ফাঁকা প্লাটফরম,একটা লোকও নেই।প্লাটফরমে পড়ে থাকা চেয়ারে নিজেকে এলিয়ে দিয়ে বসে পড়লো নয়ন,চোখটা বন্ধ করে,নিজের ভুলগুলো দেখতে পেলো সে।হঠাৎ মনে হলো কে যেন পেছন থেকে তার কাঁধে হাত রেখেছে।পেছন পানে ঘুরতেই,আমি জানতাম তুমি না এসে পারবে না।অবাক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে নয়ন,হ্যা অন্য কেউ নয় ঐশী।আচ্ছা তুমি কি ভাবে জনতে যে আমি আসব?ঐশী মুচকী হেসে জবাব দেয়,উত্তরটা অজানায় থাক না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু প্রশ্নটা প্রশ্নই থেকে গেল। উত্তর আর পাওয়া হলো না। অবশ্য উত্তর না পেলেও সমস্যা নেই। কারণ ঐশীর হাত তো তার শরীর স্পর্শ করেই ফেলেছে। দারুন গল্প। শেষটা অনেক ভাল লেগেছে। শ্রদ্ধা জানবেন। শুভেচ্ছা। ভাল থাকবেন।
Farhana Shormin শুভকামনা রইল
%3C%21-- %3C%21-- Khub bhalo laglo. Vote rekhe gelam :) shomoy pele amar lekhati pore dekhben. dhonnobad.
মুশফিক রুবেল ভাল লাগলো , শুভ কামনা রইলো , সময় পেলে আমার গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইলো
সাদিক ইসলাম ভালো লাগলো আমার গল্পটি সময় পেলে পড়বেম।

২৯ সেপ্টেম্বর - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৩৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪