আমি নিরুপমা বর্ণের আম্মু।পরীর মত দেখতে আমার মেয়েটি।যেন রাজকুমারী।তার বাবা ইসতি একজন আইনজীবী।মিষ্টি ভালোবাসায় ভরা আমাদের সুখি পরিবার।আমার মেয়েটি যখন হাসে মনে হয় সারা পৃথিবীর লাখো গোলাপ একসাথে ফোটে।ওর বাবার ইচ্ছা মেয়েটিকে সাংবাদিক বানাবে আর আমার সপ্ন আর্মি অফিসার।এর পেছনে আমার একটা কারণ ও আছে।আমারও এক সময় সপ্ন ছিল আর্মি অফিসার হব কিন্তু হাইটের কারণে হতে পারিনি।আমি যখন ইন্টার পড়ি তখন আমার এক কাছের বান্ধবীর বরের বন্ধুর সাথে পরিচয়।ছেলেটি তখন সবে মাত্র আর্মি অফিসারে জয়েন করেছে।ছেলেটি অনেক চালাক আর বুদ্ধিমান ছিল।তার বুদ্ধিমত্তার কাছে হেরে যায়।আর তার প্রেমে পড়ে যায়।কিন্তু সমস্যাটা হল তখন ই যখন তা সে বুঝে যাই।আমাকে চরকির মত ঘুরাতে থাকে।আর তার দাম্ভিকতার তীরকে অপমানের বিষ মিশ্রত করে আমাকে বিদ্ধ করতে থাকে।সেই আহত আমাকে বাচানোর জন্য ইসতির আগমন।তারপর থেকে প্রেম।সেই সময় থেকেই মনে মনে পণ করি আমার মেয়েকে আর্মি অফিসার বানাবো।আমার সপ্ন পূরণ আর অপমানের প্রতিশোধ নেবার জন্য।আমার আর ইসতির তিন বছর এর প্রেম।বর্ণ আমাদের দুজনের কল্পনার ফসল।আমার স্বপ্ন জুড়ে আমার বর্ণ।কখনো মনেই হয়না ওর অস্তিত্ব নেই।কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যায়।হয়তোবা আমিই তাদের একজন।তিন বছর পর পাল্টে যেতে থাকে আমার ইসতি।তার বন্ধুর কাছে শুনি ও নাকি নতুন একটি মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে।মাঝে একদিন ইসতি আমার কাছে মুক্তি চাইলো।আটকালাম না।চলে গেলো সে।কিন্তু রেখে গেল তার আর আমার স্বপ্ন বর্ণকে আমার কাছে। শুরু হল আমার অপেক্ষার পালা।জানি বর্ণের বাবা একদিন ফিরবে।অপেক্ষা করতে করতে শেষ হল একটি বছর।এক বিকালে ছাদে বসে আছি।পাশের বাসার পিচ্চিটা একটি খাম দিয়ে বলল আপু আপনার চিঠি।দেখলাম বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র।তাও আবার বর্ণের বাবার।আমার চোখ মুখ ঘোলা হয়ে গেল।মনে হল পৃথিবীটা চরকির মত ঘুরছে।ওইদিন রাত থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়লাম তলপেটে ব্যাথা।অসহ্য যন্ত্রণা।বাবা মা ডাক্তার এর কাছে নিল।বেশ কিছু পরীক্ষার পর ডাক্তার জানালো ওভারিয়ান সিস্ট, খুব খারাপ অবস্থা জরুরী অপারেশন করে অপসরণ করতে হবে।আর সব চেয়ে কষ্টের বিষয় অপারেশন এর পর আমি কখনো মা হতে পারব না।দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ল।আমার বর্ণের বাবা, বর্ণ দুজন ই আমাকে ছেড়ে চলে গেল। বর্ণের বাবা কে একটা মেসেজ দিলাম বিয়ের শুভেচ্ছা রইলো।উপহার হিসেবে আমার স্বপ্ন আমার বর্ণকে তোমাদের দিয়ে দিলাম।আমার শেষ অনুরোধ ওকে তোমরা আর্মি অফিসার বানিও। তারপর মোবাইলটা দূরে আছাড় দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলাম। খুব ঘুম পাচ্ছে আমার।সপ্ন ভংগের ঘুম।যাহা অন্তত কালেও ভাঙিবে না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সেলিনা ইসলাম
গল্পের উপাস্থাপনা এবং ধারাবাহিকতায় আরও খেয়াল দিতে হবে। গল্প বড় হয়ে যাবার ভয় মনে কাজ করলে লেখক লেখায় বাঁধাগ্রস্ত হবে। তাই মন খুলে লিখুন তারপর নিজেই পাঠক হয়ে কয়েকবার পড়ুন। এতে লেখার ভুলগুলো লেখক নিজেই ধরতে পারবেন। আরও ভালো ভালো গল্প লিখুন সেই প্রত্যাশায় শুভকামনা রইল।
এম এ রউফ
লেখার গতি আছে। লিখতে ত্থাকুন। ভালই লেগেছে কিন্তু মোবাইলটা দূরে আছাড় দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিলাম এই রাগটা মনে হয় বিধাতার উপরে দেখানো হয়েছে যে তিনি কেন এমন রোগ দিলেন। কিন্তু বর্ণের মায়ের চিন্তা করা দরকার যে আল্লাহ্ তা'য়ালা তাকে জীবন্ত ফিরিয়েছেন। সুখ-দুঃখ আল্লাহ্র পক্ষ থেকেই আসে। এটা বর্ণের মাকে মেনে নিতে হতো তাই বলে এভাবে রাগ দেখানটা কতটা ঠিক হল আমার বোধগম্য হচ্ছে না......। শুভকামনা আপু।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।