শত সহস্র কাজের ভিড়ে সামান্য অবসরে পার্কে গিয়েছি সময়ক্ষেপণে দুই প্রহরের পরে। চলতে পথে হঠাৎ করে পেছন ফিরে থামি, সাত বর্ষের ছোট্ট বালক আমায় ধরল টানি। শুনেছি তার কণ্ঠ মাঝে আকুল স্বরের বাণী, “পাঁচটা টাকা দিবেন মোরে? কাল রাত থেকে খাই নি আমি।” বুঝেছি তার আবেদনে ছিল জঠর যাতনা তীব্র, যেটুকু লাজ দরকার, তা ক্ষুধার জ্বালায় খর্ব। পৃথিবীর সব নিষ্ঠুরতার প্রমাণ মিলে সে চোখে, অবহেলা আর অনাদরে গাঢ় শ্রান্তির ছায়া মুখে। দেখেছি, তার শুষ্ক চর্ম হয়ে আছে সংকীর্ণ, রৌদ্রতাপে গোল মুখখানা আংশিক কালোবর্ণ, আর অর্ধনগ্ন শরীরটা তার ধুলোয় পরিপূর্ণ। তারে দেখলে পড়ছে মনে, সভ্য জাতির কথা, “দরিদ্র আর কি বা খাবে করুক না পেটে ব্যথা? আজ আমি বরং চাইনিজ খাবো সহস্র টাকা দায়, কাঙালেরে আবার দশ টাকা দিলে কম যদি পড়ে যায়!” আজ চিৎকার বলতে ইচ্ছা করে, ”হে জাতি তুমি সভ্য হয়ে কি দিয়েছ পরিচয়? তোমরা পার না ক্ষুধা সইতে, দরিদ্র কেমনে সয়? তবু ধনের পাহাড়ে সভ্য বলে, সমাজ তোমার সাথে। আর যারে দরিদ্র বলে ধিক্কার দিচ্ছ, শূণ্য উদরে জঠর যাতনে সে ঘুরছে মৃত্যু পথে।” অবশেষে আমার কি আছে বলবার? ”যারা দরিদ্র, তারা অসভ্য ছাড়া কি আর?”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।